• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বঙ্গবন্ধু ভাবতেই পারেননি বাঙালিরা তাকে হত্যা করবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর একটা বিশ্বাস সবসময় ছিল যে বাঙালিরা তাকে কখনো মারবে না। অনেকেই তাকে সাবধান করেছেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেননি। বলেছেন, ‘না ওরা তো আমার ছেলের মতো। আমাকে কেন মারবে।’ বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এতো গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন যে, এ দেশের কোনো মানুষ তার গায়ে হাত দেবে, তাকে হত্যা করবে তিনি ভাবতে পারেননি। কিন্তু আমরা দেখলাম, যারা আমাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত এসেছে, আমার মায়ের হাতের খাবার খেয়েছে। ১৫ আগস্ট তারাই ঘাতক হিসেবে হত্যাকাণ্ড চালালো। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতির পিতার ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমলে দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকত। দুর্ভিক্ষের সময় সেই ছোট্ট খোকা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) তার বাবার ধানের গোলা খুলে দিয়ে গরিব মানুষকে সাহায্য করেছে। এভাবেই ছোটোবেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে মানুষের প্রতি দরদ ও কর্তব্যবোধ জেগে উঠে। আমার দাদা-দাদি তার খোকাকে যেভাবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করেছেন, সেটিও বিরল ঘটনা। তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এবং তার লেখা বইগুলো নেতাকর্মীদের পড়া উচিত। তিনি অত্যন্ত সাদাসিদে জীবন-যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সরকারপ্রধান বলেন, রমজানে আমরা ইফতার পার্টি না করে এই খাবার দরিদ্র মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেব। সারাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মণি প্রমুখ।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৯

‘অন্যদের সজাগ করলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি হুমায়ুন’
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের পাটুরিয়া ৫ নং ফেরিঘাটের কাছে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধার ডুবির ৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি দ্বিতীয় মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের (৩৯)। ফেরি ডুবির সময় অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও নিখোঁজ আছেন হুমায়ুন। তবে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রাকের চলক ও হেলপার। হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তার। ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন হুমায়ুন। সাত মাস আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে ফেরিতে যোগ দেন। হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন। আরও পড়ুন : স্বার্থের জন্য নির্বাচনের আগে ইস্যু তৈরি করেছিল আমেরিকা : ড. মোমেন   বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালালউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে থাকা সবাইকে আত্মরক্ষার জন্য হুমায়ন সজাগ করলেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় নিচে ফেরির মধ্যে আটকে গেছেন। ৩৬ ঘণ্টায়ও তার কোনো খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহসিন ভুঁইয়া। এদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়। বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। বুধবার সকাল ৮টার দিকে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মালবোঝাই ট্রাকটিকে উপরে তুলে নিয়ে আসে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খালেদ নেওয়াজ। আরও পড়ুন : ৯০ হাজার সেনা নিয়ে ন্যাটোর বিশাল সামরিক মহড়া   ফেরি ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক  হুমায়ূন কবীর এখনো নিখোঁজ আছেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়