• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘নারীবাদ’ সমাজ ও পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করছে : নোরা ফাতেহি
মাত্র পাঁচ হাজার রুপি নিয়ে ভারত এসেছিলেন নোরা। বলিউডে জায়গা পেতে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। এক ফ্ল্যাটে নয়জনের সঙ্গে বাস করতে হয়েছে। অর্থের অভাবে করতে হয়েছে ক্ষুধার কষ্ট। বলছি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির কথা। খুব অল্প সময়েই নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন এই তিনি। তবে অভিনয়ের চেয়ে নাচেই বেশ পারদর্শী নোরা। শুধু তাই নয়, বলিউডে তিনি ‘বেলি ডান্স কুইন’ হিসেবে পরিচিত।  এদিকে প্রতিষ্ঠিত নারীদের অনেকেই নারীবাদের আদর্শে বিশ্বাসী। সবসময় ভাবেন পুরুষরা নারীদের পদে পদে প্রতিবন্ধকতকা তৈরি করে। তবে সাবলম্বী নারী হয়েও এই ধারণা পোষণ করেন না নোরা। তিনি মনে করেন নারীবাদ সমাজকে ধ্বংস করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই ধারণায় আমার দরকার নেই। নারীবাদ শব্দটা আসলে একটা সি…। এটা একটা ঢেউয়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আমি বিশ্বাস করি না। আসলে আমি মনে করি, নারীবাদ আসলে আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।  এরপর বলেন, পাশ্চাত্য-প্রাচ্যের সামাজিক ধ্যান-ধারণার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখানে নারীবাদের নামে বলা হচ্ছে, পুরুষরা আসলে মেয়েদের স্বাধীনতায় বাধা, পুরুষরা খারাপ, বিয়ে কোরো না, সন্তানের জন্ম দিও না, এগুলো সব পুরনো ধ্যান-ধারণা, এইসব…। এগুলো আখেরে সমাজের ক্ষতিই করছে, পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করছে। এই অভিনেত্রী  আরও বলেন, পুরুষরা খাবার সরবরাহকারী, উপার্জনকারী এবং মহিলা লালনপালনকারী, এতে খারাপ কী আছে! আমার তো খারাপ মনে হয় না! নারীবাদকে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, নারীরা লালন-পালনকারী, হ্যাঁ তবে তাদেরও কাজ করা উচিত এবং তাদেরও নিজস্ব জীবন থাকা উচিত এবং স্বাধীন হওয়া উচিত। তবে সেটাকে নারীবাদের নামে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নোরা অভিনীত ‘মাদগাঁও এক্সপ্রেস’। এটি পরিচালনা করেছেন কুণাল খেমু। ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্যেন্দু, প্রতীক গান্ধী এবং অবিনাশ তিওয়ারি।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৬

লুবাবার পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিশুশিল্পী দিশার মা
শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা গান, মডেলিং ও অভিনয় করলেও মাঝেমধ্যেই নানা মন্তব্যের জন্য শিরোনামে উঠে আসেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শিশুশিল্পী দিশা মনিকে টিকটকার দাবি করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে লুবাবা। সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুশিল্পী দিশা মনিকে উদাহরণ দিয়ে সাংবাদিক একটি প্রশ্ন করলে দিশাকে চিনতে পারেন না লুবাবা। পরে সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করে দিশা মনি কে? একপর্যায়ে টিকটকার দাবি করে চিনতে পারে লুবাবা। এদিকে সাক্ষাৎকারে লুবাবার এমন মন্তব্য চোখে পড়ে দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজির। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন তিনি।   স্ট্যাটাসে দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজি লেখেন, দিশাকে একটা ইন্টারভিউতে প্রশ্ন করা হয়েছিল লুবাবা ‘কেন্দে দিয়েছি’ যে বল্লো এটা নিয়ে কি বলবা? দিশা বলেছে আমরা ছোটো মানুষ, আমাদের ভুল হতেই পারে এটা নিয়ে এত বড় করে দেখার কিছু নেই। একটা নাটকে দিশাকে ডায়ালগ দিয়েছিল ‘কেন্দে দিয়েছি’ সেখানে দিশা ডায়ালগ দেয়নি। এটা নিয়ে ডিরেক্টর এর সঙ্গে আমার ক্যাচাল। কারণ, দিনশেষে তারা কো-আর্টিস্ট।   লুবাবাকে প্রশ্ন করে দিশার মা ডেইজি লেখেন, দিশার ২০০ এর বেশি নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন রয়েছে। দিশা ৩ বছর বয়স থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করে। এই মেয়ে ইন্টারভিউতে দিশাকে চেনে না, দিশাকে টিকটকার বলে। আমি জানতে চাই লুবাবার ঝুলিতে কয়টা নাটক, সিনেমা আছে?   তিনি বলেন, দিশার সঙ্গে অনেক আগে থেকে পরিচয়, বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে শুটিংও করেছে। মিটও হয়েছে তাদের। দিশাকে সে ভালো করেই জানে।   পরিবারের শিক্ষার বিষয়ে ডেইজি লেখেন, কাউকে ছোটো করে কেউ ওপরে উঠতে পারে না। পারিবারিক শিক্ষাটা আসল। রানু মন্ডল, কাঁচাবাদাম ওয়ালাও ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু ভাইরাল এক জিনিস ও জনপ্রিয়তা এক জিনিস। দিশা সবার ভালোবাসার, তাকে সবাই ভালোবাসে। দিশা বাংলাদেশের এক নাম্বার জনপ্রিয় শিশুশিল্পী যাকে কোটি মানুষ ভালোবাসে।   প্রয়াত মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি সিমরিন লুবাবা। মূলত দাদার হাত ধরেই শোবিজে পথচলা শুরু এই খুদে শিল্পীর।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৩

প্রাথমিকে ২৫ ও মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক ও গবেষক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। গবেষণার তথ্য বলছে, ২০২২ সালে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পারিবারিক ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরেই প্রধানত ব্যয় হয়েছে প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ। ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফি-র ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে, যা বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ, গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, মো. আহসান হাবিব বক্তব্য রাখেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৮

আলোচিত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ
পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিন যুগ আগে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করবেন।  এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল। আসামিদের মধ্যে আনাস মাহমুদ এবং মারুফ রেজা কারাগারে, অন্যরা জামিনে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকেলে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ব্যক্তিরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ মারা যান। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ছিনতাই নয়, মূল পরিকল্পনা ছিল সগিরাকে হত্যা।  অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এসব নিয়ে আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৪১

পাথরঘাটায় পারিবারিক কলহে গৃহবধূর আত্মহত্যা 
বরগুনার পাথরঘাটায় পারিবারিক কলহের জের ধরে রিনা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূর চাউলের পোকা দমনের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুক চরদুয়ানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  রিনা বেগম চরদুয়ানী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এমাদুল হকের স্ত্রী। রিনার ভাই শাহ জালাল বলেন, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিনাকে মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এর সূত্র ধরে তার স্বামীও কিছু কথা বললে তা মানতে না পেরে আমাদের বাড়িতে আসেন চলে আসেন রিনা। আমাদের বাড়ির সকলের অজান্তে চাউলের পোকা দমনের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মা রিনাকে এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।  রিনার স্বামী এমাদুল হক বলেন, আমার স্ত্রী রিনা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। কিছুদিন আগেও তাকে খুলনায় নিয়ে চিকিৎসা করেছি। এরপর বাবার বাড়ি গিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।  পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্ষক (ওসি তদন্ত) মো. সাইফুজ্জামান জানান, আমরা চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি রিনা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুরতহাল করা করেছে। পরবর্তী আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৮

বিচারক ছুটিতে / ফের পেছাল সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়
পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিন যুগ আগে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ফের পেছানো হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন ছুটিতে থাকায় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা না করে আগামী ১৩ মার্চ নতুন দিন ধার্য করা হয়। আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ তথ্য জানান। এর আগে, দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২৫ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণা পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল। আসামিদের মধ্যে আনাস মাহমুদ এবং মারুফ রেজা কারাগারে, অন্যরা জামিনে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকেলে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ব্যক্তিরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ মারা যান। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। এরপর ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২০

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ
পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিন যুগ আগে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে, দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২৫ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণা পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল। আসামিদের মধ্যে আনাস মাহমুদ এবং মারুফ রেজা কারাগারে, অন্যরা জামিনে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকেলে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ব্যক্তিরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ মারা যান। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। এরপর ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৯

পারিবারিক বিরোধ / বাবা-ভাইসহ ১২ আত্মীয়কে গুলি করে হত্যা
পারিবারিক বিরোধের জেরে বাবা ও ভাইসহ ১২ আত্মীয়কে গুলি করে হত্যা করেছে ইরানের এক যুবক। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক কালাশনিকভ রাইফেল ব্যবহার করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যদিও পরবর্তীতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তার মৃত্যু হয়। পারিবারিক বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই যুবকের পরিচয় জানানো হয়নি। অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, হামলাকারীর পরিবারের মধ্যে কয়েক দিন ধরে ঝামেলা চলছিল। সেই বিরোধের জেরেই ওই যুবক শনিবার হঠাৎ করে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকেদের ওপর গুলি চালালে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, ইরানে এমন গণহত্যা বিরল। দুই বছর আগে দেশটির একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বরখাস্ত হওয়া এক কর্মচারী তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেন।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়