• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী পারাপার বন্ধ
ভারতের ১৮তম লোকসভা সাধারণ নির্বাচনের কারণে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভূটান) স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি এবং যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৬টা পর্যন্ত তিনদিন বন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভারতীয় যাত্রী গমন এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে জরুরি চিকিৎসা কাজে ভিসাধারী যাত্রীরা পারাপার হতে পারবেন। এ ছাড়া অন্য পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা এবং বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যনেজার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে গত ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ভারতের দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ড. প্রীতি গোয়াল স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এ সময় ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে চাইলে এবং বন্দর দিয়ে জরুরি পচনশীল খনিজ পণ্যবাহী গাড়ি ভালোভাবে চেক করার পরে অনুমতি সাপেক্ষে চলাচল করতে দেওয়া হবে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমৃত অধিকারী জানান, বন্দর দিয়ে তিন দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও যাত্রী পারাপার (মেডিকেল ছাড়া) বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ৯টা থেকে থেকে বন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও দু’দেশের মধ্যে যাত্রী পারপার পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক হবে বলে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  তিনি বলেন, ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, ভারতের লোকসভা র্নিবাচনের কারণে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন দিয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিন দু’দেশের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় যাত্রী নিজ দেশে চলে যাওয়া এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে জরুরি চিকিৎসা কাজে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা পারাপার করতে পারবেন। এ ছাড়া ভ্রমণসহ সব ধরনের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বন্দর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পূর্বের ন্যায় যাত্রী পারাপার শুরু হবে। ভারতে নির্বাচনের কারণে তিনদিন বন্ধে আমরা ইমিগ্রেশন ও বন্দর এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারতের দার্জিলিংসহ ওই অঞ্চলে লোকসভার সাধারণ নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনদিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে একটি চিঠি গত ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) পেয়েছি। তবে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পূর্বের ন্যায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৮

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৯ হাজার ৩২৪ মোটরসাইকেল পারাপার
ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চলাচলের পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল সংখ্যাও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  ফলে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর ওপর নির্মিত উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষের একমাত্র যাতায়াতের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৩২৪টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৩২৪টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। তারমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী মোটরসাইকেল চলাচলের সংখ্যা বেশি ছিল। এতে টোল আদায় হয়েছে মোট ৪ লাখ ৬৬ হাজার ২০০ টাকা। তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেল পারাপারে দুর্ভোগ লাঘবে সেতু পূর্ব ও পশ্চিমে পাড়ে পৃথক ৪টি টোল বুথ বসানো হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল আরোহীদের এবার কোনো ধরণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০

ফুটওভার ব্রিজ রেখে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার
কুমিল্লা দাউদকান্দির গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, উপজেলার হতদরিদ্র শত শত রোগী আসে এই হাসপাতালে। উপজেলার মাঝখান দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। হাসপাতালে আসা যাওয়া করতে গেলে রোগীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পারাপার করতে হয়। সরকার যদিও পথচারীদের পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করে দিয়েছে, কিন্তু বয়সের ভার নুয়ে পড়া এবং  অসুস্থ রোগীরা  অনেক ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে পারে না।  অনেক রোগীর ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহারে অনীহা দেখা যায়।  আবার হাসপাতালের উল্টোদিকে ফার্মেসি থাকায় রোগীরা  হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিতে  রাস্তা পার হতে হয় । ফুটওভার ব্রিজটি গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের একপাশে হওয়া  হাসপাতালে যেতে রোগীরা সেটা ব্যবহার করেন না।  ফলে প্রায় ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা ঝরে যাচ্ছে অনাকাঙ্খিত প্রাণ।  মানুষ যেন এভাবে পারাপার না হতে পারে সে জন্য সড়ক বিভাজনকে উচু করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই উচু সড়ক ডিভাইডার আটকাতে পারছে না পথচারিকে।  অল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য উচু ডিভাইডার ভেঙে রাস্তা পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। মহাড়কের এই ডিভাইডার পার হওয়া সহজ কথা না। জনগন বেশ কায়দা করসত করে মহাসড়ক পারাপার হয়।  এত কষ্ট করে আসার কী দরকার ছিল? ফুটওভার ব্রিজ কেন ব্যবহার করলেন না?- জানতে চাইলে মধ্যবয়সী এক নারী বললেন, ‘আমার গোড়ালিতে ব্যাথা’।  এভাবে চলতে গেলে তো ঝুঁকি থাকে- এমন মন্তব্যের জবাবে ওই নারী বলেন, ‘শুনেছি অনেক জায়গায় জেব্রা ক্রসিং আছে, আন্ডার পাস আছে। এখানেও সেটা হলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।’ পথচারী দেলোয়ার হোসেন বলেন,  ‘দিনে অনেকবারই রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া লাগে। সময় বাঁচাতে আমরা ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করি না। শর্টকাট পারাপারের জায়গা পেয়েছি তাই সহজেই পার হয়ে যাই। ঝুঁকি রয়েছে কিন্তু জরুরি মুহূর্তে সেটা মনে থাকে না।’ পথচারীদের বেশিরভাগই সময় হাসপাতালে যেতে কিংবা ওষধের ফার্মাসিতে যেতে সময় বাঁচাতেই এভাবে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, সিড়ি ভাঙতে কষ্ট হয়। এ জন্য আন্ডারপাস কিংবা জেব্রা ক্রসিং থাকলে আমাদের চলাচলে সুবিধা হয়। পথচারীদের এই সামান্য ‘কষ্ট বাঁচানোর চেষ্টা’র কারণে সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পাশাপাশি প্রাণঘাতি দুর্ঘটনাও ঘটে নানা সময়। কিন্তু যেন ভ্রুক্ষেপ নেই কারও। এর আগে, পথচারীদের এই প্রবণতা ঠেকাতে নানা সময় জরিমানার আরোপ করেও সুফল মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পদক্ষেপে কিছুদিন শৃঙ্খলা থাকলেও পরে আবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ফিরে যায় পথচারীরা। পুলিশ প্রায়ই  ঘটা করে পথচারীদেরকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করে। স্থানীয় লোকজন বলেন, গৌরীপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের এই  জায়গাটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।  এখানে উচু ডিভাইডার রাখা হয়েছিল, জনস্বার্থে পকেট করা হয়েছিল, দুর্ঘটনা এড়াতে আবারও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে উঁচু ডিভাইডারটি ভেঙে পথচারী পারাপারের জন্য সুযোগ করে দেয়। ফলে আবারো ঝুঁকির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর দাবি ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহারের জন্য বাধ্য করতে হবে। ফুটওভার ব্রিজের আশেপাশের আধা কিলোমিটার জায়গা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দেওয়া হলে মানুষ ব্রিজে ওঠতে হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়