• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি, পানি স্প্রের পরামর্শ 
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র তাপদাহে আমের গুটি ঝড়ে পড়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন আম চাষিরা। এমনিতেই এ বছর মুকুল এসেছিল কম, গাছে যে কটা আমের গুটি টিকে আছে সেগুলোর বৃদ্ধিও ঠিকমতো হচ্ছে না তাপদাহের প্রভাবে। ঝরেও পড়ছে গুটি। এ সমস্যা থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে গাছে পানি স্প্রে করার পরামর্শ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার।    আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার কিছুটা দেরিতেই ফুটেছিল মুকুল। পরিমানেও ছিল অনান্য বছরের তুলনায় কম। তারপরও শুরু থেকেই বাড়তি যত্নে বাগানগুলোতে মুকুল থেকে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আম। তবে কদিনের তীব্র তাপদাহ যেন শঙ্কায় ফেলেছে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের। গাছে থাকা আমের গুটির বৃদ্ধি ও টিকে থাকা নিয়ে তারা পড়েছেন চিন্তায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুর এলাকার আম বাগান মালিক রাজন ইসলাম বলেন, খরার কারণে আমের গুটির বড় হচ্ছে না, বোটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। সেচ দিয়েও খুব বেশি কাজ হচ্ছে না, শ্যালো যতক্ষণ চলছে ততক্ষণ, পানি সব দ্রুত সুকিয়ে যাচ্ছে।  আম সংগঠনের নেতারা বলছেন, এ বছরের শুরু থেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা আমের কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন, চলমান তাপদাহ তাদের সেই চিন্তাকে আরও বাড়িয়েছে। অন্যদিকে সেচের কারণে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আম ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, এমনিতেই এ বছর শীতের কারণে মুকুল দেরিতে এসেছিলো, তার উপর মুকুল ঝরে যায় মার্চ মাসের অসময়ের বৃষ্টিতে। তখন বৃষ্টির দরকার ছিলো না, তখন বৃষ্টির কারণে মুকুলের ক্ষতি হয়েছিল, আর এখন বৃষ্টির অভাবে গাছে যেকটা আমের গুটি ছিলো তাও ঝড়ে যাচ্ছে। তাপদাহ আরও কিছুদিন চললে আরও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের। এমনিতেই এ বছর আম উৎপাদনের খরচ সবক্ষেত্রেই বেড়ে গেছে। আবার এখন সেচ দেওয়ার জন্য অনেকের খরচ আরও বাড়বে। সবমিলিয়ে এবছর খুববেশি স্বস্তিতে নেই ব্যবসায়ীরা। অনেকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। তবে এখনই আশাহত না হয়ে বাগানের সঠিক পরিচর্যা চালিয়ে যাওয়া ও তাপদাহ যতদিন চলমান থাকবে ততদিন বাগানে পর্যান্ত সেচ দেওয়া, তাপমাত্রা আরও বাড়লে সকালে বা বিকেলে গাছে সরাসারি পানি স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড় গাছ গুলোতে এবার মুকুল কম এসেছে, তবে ছোট গাছে ভালো মুকুল আছে। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা গেলে, কৃষি বিভাগ যে সাড়ে চার লাখ টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তার কাছাকাছি অন্তত যাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা। 
১৫ ঘণ্টা আগে

সেচের পানি দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমিতে সেচের পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।  শনিবার ( ১৩ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাইল গ্রামে এই সংঘর্ষ চলে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খায়রুল পাঠানের গোষ্ঠীর মাসুদ পাঠান কৃষি জমিতে সেচের পানি পাম্প পরিচালনা করে ব্যবসা করেন। জমিতে পানি দেওয়ার পর সে টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু সম্প্রতি সাবেক ইউপি সদস্য মারফত আলীর গোষ্ঠীর এক ব্যক্তির জমিতে পানি দিলেও সে মাসুদকে টাকা দেয়নি। এনিয়ে শনিবার দুই পক্ষ বাকবিতণ্ডা থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৭ জনকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।  নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৮

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না থেকেও যেভাবে পানি পাবে টবের গাছ 
ঈদের ছুটিতে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান বেশ কয়েকদিনের জন্য। কিন্তু ঘরে থাকা গাছ নিয়ে পড়েন দুশ্চিন্তায়। গাছে পানি দেবে কে এই চিন্তায় শহর ছেড়ে বেড়াতে বা ভ্রমণে যাওয়াটা এক রকম চিন্তার বিষয় হয়ে যায়। তবে এ সমস্যার সমাধানে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারলে বাড়িতে কেউ না থাকলেও গাছ পানির অভাবে অন্তত মারা যাবে না। চলুন জেনে নিই পদ্ধতিগুলো- বোতলবন্দি: গাছে পানি দিতে বোতলকে অনেক ভাবেই কাজে লাগানো যায়। প্রথমে একটি বোতল নিয়ে তার গলা পর্যন্ত পানি ভরে নিতে হবে। সেই পানিতে কিছু সার গুলে দিতে পারেন। তারপর বোতলের মুখ বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরে উলটে দিন। ধীরে-ধীরে বোতলের মুখ গুঁজে দিন টবের মাটিতে। বোতলটা উলটে থাকবে। এক দিকে একটু হেলে থাকলেও অসুবিধে নেই। এবার বোতলের পিছন দিকে পানির মাত্রায় দাগ দিয়ে দিন। কয়েক ঘণ্টা বাদে দেখুন পানি সেই লেভেল থেকে নীচে নেমেছে কি না। তা হলে বুঝতে পারবেন পানি পাস করছে। কিন্তু পানির মাত্রা যদি না নামে, তার মানে বোতলের মুখে মাটি জমে পানির পথ আটকাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বোতল তুলে নিয়ে তার মুখটা পরিষ্কার করে আবার গুঁজে দিতে হবে টবের মাটিতে। অথবা বোতলের গায়ে দু’-চারটে ফুটো করে, বোতলে পানি ভরে নিন। এবং পুরো বোতলটাই মাটির মধ্যে পুঁতে দিন। বোতলে পানি ভরে আর অল্প মাটি দিয়ে তার মধ্যেও গাছ বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সব গাছ কিন্তু এই পদ্ধতিতে বাঁচে না। রশির বাঁধনে: একটা বড় গামলায় পানি ভরে নিতে হবে। এবার যে গাছগুলোতে পানি দিতে চান সেই গাছের টব এনে গামলার চারপাশে রাখুন। কয়েকটা দড়ি নিয়ে তার এক প্রান্ত গামলার পানির নীচ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে দিন। দড়ির অন্য প্রান্ত টবের মাটির মধ্যে গুঁজে দিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে দড়িটি টবের নীচ পর্যন্ত চলে যায়। তবেই গাছ ভালো করে পানি পাবে। পানিভর্তি গামলার মুখ যেন টবের চেয়ে বেশি উচ্চতায় থাকে। এই পুরো পদ্ধতি শুরু করার আগে টবের মাটি পানি দিয়ে ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে। না হলে টবের মাটি প্রথমেই অনেকটা পানি শুষে নেবে। পানিভর্তি টাব: একটা বড় গামলা বা বাথটাব থাকলে তার মধ্যে পানি ভরে ফেলুন। তারপর সেই পানিনিকাশি বন্ধ করে দিতে হবে। সেই পানিভর্তি টাবের মধ্যে একে একে সব গাছ বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন, গাছের টবের নীচে যেন পানি পাস করার ফুটো থাকে। এই পদ্ধতিতে গাছেরা বেশ কিছুদিন পর্যন্ত পানি পাবে এবং ভালো থাকবে। টুকরো টিপস- • বাড়ির বাইরে থাকাকালীন গাছে পানি দেওয়ার যে কোনও পদ্ধতি বাছতে পারেন। কিন্তু যে পদ্ধতিই প্রয়োগ করুন না কেন, গাছকে প্রত্যক্ষ সূর্যালোকে রাখবেন না। তা হলে গাছের গোড়ার পানি গাছের কাজে লাগার আগেই বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। তাই এমন কোনও জানালার ধারে গাছের টবগুলো রাখতে হবে যাতে গাছ আলো পায়, কিন্তু রোদ যেন না লাগে। • এই পদ্ধতিতে চারদিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত গাছে পানি সরবরাহ করা যায়। আর গাছ তার নিজের আপনিধারণ ক্ষমতায় আরও তিনদিন হয়তো বাঁচতে পারে। কিন্তু তার বেশি দিনের জন্য যদি বাইরে থাকতে হয়, সে ক্ষেত্রে গাছের দায়িত্ব কোনও প্রতিবেশী বা বন্ধুকে দিয়ে যাওয়াই ভালো। • গাছে পানি দেওয়ার উপকরণ সাজিয়ে আগে দেখে নিন, সেই পদ্ধতিতে গাছের পানির চাহিদা মিটছে কি না। বাড়িতে থাকাকালীন সময়েই পদ্ধতিগুলো পরখ করে দেখে নিন, আপনার গাছের জন্য কোন পদ্ধতি সহায়ক। বাড়িতে কোনও প্রাণী থাকলে তার যতটা যত্নের প্রয়োজন, গাছেরও ততটাই। তাই দরজায় তালা দিয়ে বেরোনোর আগে কিছুটা সময় দিন। তা হলে আপনার সাধের বাগানও আর শুকিয়ে যাবে না।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

পানি সংকট, কলস নিয়ে বিক্ষোভ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সরবরাহ করা পানি না পেয়ে কলস নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শহরের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দার।  সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে কলস, বোতল, জার নিয়ে শতাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল সহকারে পৌরসভার সামনে এসে জড়ো হয়।  এ সময় তারা পানি সংকটের কথা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেন। পরে পৌরকর্তৃপক্ষ নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করার আশ্বাস দিলে ভুক্তভোগীরা ফিরে যান। ক্ষোভ প্রকাশ করে মসজিদপাড়া এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, গত কয়েক দিন থেকে  তারা পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পাচ্ছেন না। এতে করে রান্নাসহ দৈনন্দিন নানা কাজে নানা সংকটে পড়তে হচ্ছে তাদের। পৌর কাউন্সিলরকে একাধিকবার বলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়েই বিক্ষোভ করে পৌরসভায় এসেছেন। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউর রহমান আরমান জানান, গত কয়েক দিন লোডশেডিংয়ের কারণে পানির উত্তোলনে গভীর নলকূপগুলো চালাতে গিয়ে একটু ব্যাঘাত ঘটেছে। এ ছাড়াও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি উত্তোলন হচ্ছে কম। এসব কারণে পানি সরবরাহে কিছু কিছু এলাকায় সমস্যা হচ্ছে। মসজিদপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে ওই এলাকায় নতুন একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে দ্রুতই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, পৌরসভায় ২০ হাজার ৬০০ গ্রাহককে ২৭টি গভীর নলকূপ ও একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা গ্রহকদের পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমাদের খরচের খাতের প্রথমেই গভীর নলকূপগুলোর বিদ্যুৎ বিলকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে রেখেছি। এখন প্রিপেইড মিটার হওয়ায়, আমরা সবসময়ই সতর্ক থাকি। আমাদের গ্রহকদের কাছে কোটি টাকার উপরে বকেয়া পানির বিল পড়ে আছে। নিয়মিত যদি গ্রহকরা পানির বিল পরিশোধ করে তাহলে আমাদের ওপর কিছুটা চাপ কমে। 
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৮

রাজধানীর পানি সংকট নিরসনে কাজে নামছে ওয়াসার ১০ মনিটরিং টিম
শুষ্ক মৌসুমে রাজধানীতে পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। মহানগরীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা ওয়াসা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ঢাকা ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমির একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে এই ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করে দেন। এ ব্যাপারে ঢাকা ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমির জানান, গঠন করা ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত এবং আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথাযথ নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন করছেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে এ টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে তারা। তিনি আরও বলেন, পরিদর্শনের সময় এসব মনিটরিং টিম যদি কোনো ত্রুটি পায় কিংবা পাম্প বন্ধ পায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ১০টি টিমের আহ্বায়করা সাপ্তাহিক প্রতিবেদন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে দাখিল করবেন। টিমগুলো আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন-চার দিন ধরে রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মুগদা, মান্ডা,  লালবাগ, রায়েরবাগ, পুরান ঢাকা, দক্ষিণ খান এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না এসব এলাকায়। রমজান মাসে এমন পানির সংকটে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮

পানির এলাকায় সুপেয় পানির অভাব
‘পানির জন্য উপকূলের দুঃখ বারো মাস, সুপেয় পানির অভাব আর লবনাক্ততায় সর্বনাশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বরগুনার পাথরঘাটায় খালি কলসি নিয়ে ‘কলসি বন্ধন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিষখালী নদী সংলগ্ন চরলাঠিমারা গ্রামের একটি মাঠে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রায় ৩ শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দাসহ সিসিডিবি, এনএসএস, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন, চরলাঠিমারা, সিসিআরসিসহ ৩০টি বেসরকারি, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংশগ্রহণ করে। এ সময় ‘আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ’ লবনাক্ত এবং খারাপ পানি ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চায়না এমন চিন্তা করে একাধিক শিশু খালি কলসি নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করে।  এতে বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনের সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, সিসিডিবির প্রকল্প সমন্বয়কারী রতন মজুমদার, সমাজসেবক নয়ন আহমেদ, স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন, সোহরাব হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পাথরঘাটায় পর্যাপ্ত সুপেয় পানি পাওয়া যায় না। এখানকার মানুষের মধ্যে নিয়মিত দেখা যায় পানির জন্য হাহাকারের চিত্র। এক কলসি পানির জন্য তাদের পাড়ি দিতে হয় কয়েক গ্রাম। তারপরেও অনেক সময় খাওয়ার মতো পানি না পেয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়। প্রতি বছরই বিভিন্ন এলাকায় মিঠা পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এতে সুপেয় পানির অভাব দিন দিন আরও বাড়ছে। তারা আরও বলেন, এখানে শুকনো মৌসুমে পানির সংকট তীব্র থাকে। বিশেষ করে পাথরঘাটায় গভীর নলকূপ স্থাপন সম্ভব না হওয়ায় এখনকার মানুষের দুঃখের যেন শেষ নেই। সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, উপকূলের মানুষের পানির দুঃখ ১২ মাস। উপকূলের পানির কান্না কেউ শুনতে পায় না। প্রকৃতিগতভাবেই এখানে পানির অভাব থাকে তাই বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে‌‌। যদিও সরকারি এবং বেসরকারিভাবে পানি সংরক্ষণের জন্য পানির ট্যাংক দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এলাকার নদ-নদীর পানি রিফাইন করে স্থায়ীভাবে পানি সরবরাহ ও সংরক্ষণসহ নতুন নতুন উপায় বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, ছোট থেকেই শিশুদের সুপেয় পানির মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। তা না হলে বংশ পরম্পরায় উপকূলের মানুষ রোগ-শোক নিয়ে জীবন চলতে হবে।
২২ মার্চ ২০২৪, ২১:০২

গ্যারেজে বসে ইফতারকালে ব্যাটারির পানি পান, হাসপাতালে ৪
কক্সবাজারের উখিয়ায় ইফতারের সময় তৃষ্ণা মেটাতে গিয়ে ভুলবশত ব্যাটারির পানি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন ব্যক্তি। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে ভর্তি ওই চার ব্যক্তির নাম নুরুল বশর (৪০), নুরুল হাকিম (১৮), ইসহাক আহমেদ (৬২) ও আব্দুল কাদের (৩৮) বলে জানা গেছে।  অসুস্থদের মধ্যে আশঙ্কামুক্ত ইসহাক আহমেদ জানান, তারা চারজন এলাকার একটি গ্যারেজে বসে ইফতার করছিলেন। ভুলবশত পানি মনে করে প্রথমে নুরুল বশর, নুরুল হাকিম ও আব্দুল কাদের ব্যাটারির পানি খেয়ে ফেলে। পরে নিজে সামান্য খেয়ে দেখলে বুঝতে পারেন সেটা ব্যাটারির পানি। নুরুল হাকিমের ভাই নুরুল আবছার জানান, ব্যাটারি পানি খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাদেরকে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে জানতে এরপর যোগাযোগ করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। সেখানকার আরএমও ডাঃ আশিকুর রহমান জানান, অসুস্থ ব্যক্তিদের ইতোমধ্যে ভর্তি করা হয়েছে। যে দুইজন বেশি ব্যাটারির পানি খেয়ে ফেলেছে তাদের অবস্থা একটু বেশি খারাপ। বর্তমানে চারজনই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৩

পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিষ্ঠানটি ৩টি পদে ৯৬ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: পানি উন্নয়ন বোর্ড। পদের সংখ্যা: ৩টি। লোকবল নিয়োগ: ৯৬ জন। পদের নাম: উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ শাখা কর্মকর্তা (পুর)/প্রাক্কলনিক। পদসংখ্যা: ৬৭টি। বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)। শিক্ষাগত যোগ্যতা: পুরকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। পদের নাম: উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ শাখা কর্মকর্তা (যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ)। পদসংখ্যা: ১০টি। বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)। শিক্ষাগত যোগ্যতা: যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ কৌশল বা শক্তি কৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। পদের নাম: হিসাব রক্ষক। পদসংখ্যা: ১৯টি। বেতন: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২) শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগের যে কোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। চাকরির ধরন: সরকারি। প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)। কর্মস্থল: পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস। বয়সসীমা: প্রার্থীর বয়স ১ মার্চ তারিখে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রে বয়স ৩০ বছর। আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি বাবদ অনলাইনে ১ ও ২নং পদের জন্য ৫০০ টাকা এবং ৩নং পদের জন্য ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত।
১০ মার্চ ২০২৪, ১১:২১

শ্রীমঙ্গলে সুপেয় পানি পেলো চা জনগোষ্ঠী
শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন ও পানি সংরক্ষণে আড়াই হাজার লিটারের একটি ট্যাংকের ব্যবস্থা করে দিয়েছে আব্দুর রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। সেখান থেকে আশপাশের প্রায় ৩০টি পরিবারের পানির সমস্যা মিটবে। এছাড়া এখান থেকে সুপেয় পানি পান করতে পারবেন চা বাগানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানে গভীর নলকূপটি উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়।  এ সময় এস এস জি জলধারা প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ আল আমিন রাজিব, এস এস জি জলধারা সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মুহাম্মাদ হাছানুজ্জামান চৌধুরী এবং কাকিয়াছড়া চা বাগানের জেনারেল ম্যানাজার সৈয়দ সালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নলকূপ পেয়ে চা শ্রমিক কবিতা হাজড়া বলেন, এখানে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে কুয়া ও ছড়ার (খাল) পানি ওপরই বেশি নির্ভর থাকতে হত। এখন নলকূপ পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এস এস জি জলধারা প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ আল আমিন রাজিব জানান, চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের জীবন মান খুব কঠিন। তাদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও এই ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

‘আমার খুব কষ্ট হলো এবং চোখে পানি চলে এলো’
ইটের স্তূপ এবং দেয়াল দেখলাম, স্থানীরা যতগুলো ইট তুলে রেখেছে আমি বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ঘুরেছি একটা সাইটে এত পরিমাণ ইট তুলে কেউ গুছিয়ে রাখেনি। আমার খুব কষ্ট হলো এবং চোখে পানি চলে এলো  ঢাকার কাছে এত বড় একটা প্রতিস্থাপন, যেখানে কলচুরির রাজা লক্ষ্মকর্ণের ইতিহাসের কথা বলা হয়, লক্ষ্মকর্ণের কথা বলা হয়, এটা আমাদের পাশের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া দুর্গের কাছেই। এটা ইতিহাসের সমৃদ্ধ একটা স্থান এবং ইতিহাসের পাশাপাশি পর্যটন সম্ভাবনার একটা জায়গা। এটা যে শেষ হয়ে যাচ্ছে এখানে দেশের কোনো শাসক আছে বলে মনে হয় না। এখানে কোনো কাস্টোডিয়ান আছে বলে মনে হয় না। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের বড়-দিঘি ও এর আশপাশের এলাকা দিনব্যাপী ঘুরে এসব মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আরও বলেন, কর্ণপুর এখন একটি গ্রাম। কিন্তু একসময় যে এটা কত সমৃদ্ধ বসতি ছিল, কেউ এ জায়গায় না এসে বলতে পারবে না। তিনি বলেন, এখানকার স্থানীয় লেখকরা সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ আসেননি। এখানকার ইট দিয়ে কেমন করে ঘরবাড়ি বানাচ্ছে, সবকিছু কেমন করে ধূসর হয়ে যাচ্ছে, যেটা খুবই দুঃখজনক। এখানকার সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। তারা অবশ্যই তাদের জায়গার ইতিহাস দেখবেন এবং সংরক্ষণ করবেন। সংবিধানেও নিজ এলাকার ইতিহাস সংরক্ষণ করার কথাটি স্পষ্ট করে বলা আছে। তাহলে তারা কি তাদের সংবিধান মানছেন না? শুধু তারাই নয়, আমারা যারা গবেষণা করি, অধ্যাপকরাও দায়ী, মন্ত্রণালয় দায়ী, সরকার দায়ী। সকলেই আমরা একটা ধংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছি। এটা কোনোভাবেই একটা দেশের জন্য শুভকর নয়। দেশকে বাঁচাতে গেলে ইতিহাস আমাদের একটা পরিচয়। সেই পরিচয় আমরা মুছে দিতে পারি না। খুব দ্রুত সরকারের উচিত এখানে এসে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা। তারপর যারা গবেষক তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো, তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। এটা নাহলে দেশ এগোতে পারবে না। স্থানীয় আবদুল হাকিম আকন্দ বলেন, বড়-দিঘি থেকেই পাকিস্তান আমলে শ্রীপুরের কালু মণ্ডল সাহেব ইট তুলে নিয়েছিলেন। এরপর আমরাও সেখান থেকে কমপক্ষে দুই ফুট প্রশস্তের দেয়াল দেখেছি। স্থানীয়রা নানা প্রয়োজনে এসব সংগ্রহ করে নিজেদের প্রয়োজনে স্থাপনা করেছেন। স্থানীয় বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিন বলেন, ইট সরিয়ে নেওয়ার পর পাথর বের হয়। দিঘির পাড়ের অনেকের বাড়িতেই ইট পাথর পাওয়া যাবে। নানান ধরনের নকশা করাও রয়েছে এসব পাথরে। এর আগে ড. সুফী মোস্তাফিজ একই ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের কিছু পুরাকীর্তির চিহ্ন দেখতে পান। ওই এলাকার আকন্দপাড়া, শেখপাড়া, টেক্কার ভিটার টেক-টিলা, একটি মাজারের আশপাশ ও প্রাকৃতিক অবকাঠামো ঘুরে দেখেন। সেখানে থাকা প্রাচীন ইটের খণ্ড খণ্ড অংশ পর্যবেক্ষণ করেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামের দরদরিয়া দুর্গের পশ্চিমে তথা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের অবস্থান। অধ্যাপক সূফী জানান, খোঁজেখানী গ্রামে যেসব পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া গেছে ,সেগুলো মধ্যযুগীয় স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ত্রয়োদশ শতাব্দী বা তার পরে ব্রিটিশ শাসনামল পর্যন্ত সময়ের বলে মনে হচ্ছে। কোথাও স্থাপিত দেয়ালের অংশবিশেষের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ইতিহাস থেকে বলা যায়, দরদরিয়া যদি একদল দুর্গ হয় তাহলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর এলাকায় তুঘলকির অবস্থান ছিল। তুঘলকি নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এখানে সেনাবাহিনীর বসতি ছিল এটা একটা একটা ক্লু। এসব জায়গায় প্রাচীন বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে।  ইট, মৃৎপাত্র, ছোট একাধিক ডিবি পাওয়া গেছে। এগুলো চিহ্নিতকরণের মধ্য দিয়ে আমরা সেগুলো কোন সময়ের সেটা বলার চেষ্টা করি। এটা খনন করার দরকার। খনন করা হলে বেশি নিশ্চিত হওয়া যাবে। খোঁজেখানী গ্রামের কিছু কিছু অংশ খনন করা হলে ভালো কিছু পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। খননকাজে নিজেকে যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বেশি প্রয়োজন। খোঁজেখানী গ্রামের আবুল হাশেমের স্ত্রী হেলেনা আক্তার বলেন, চার কোণাকৃতির যেসব ইট পাওয়া যায় সেগুলো গুঁড়া করে এলাকার অনেকেই বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। এগুলো বেশ শক্ত। তারাও এগুলো ব্যবহার করেছে। আরেক গৃহিণী রুনা আক্তার বলেন, আশপাশের জমিগুলো খনন করলে ইটের স্তর বের হতো। এখনও ইটের ভগ্নাংশ পাওয়া যায়। স্থানীয় লেখক মিশকাত রাসেল বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বিশেষ করে এক যুগেরও আগে তিনি একটি বইয়ে ইতিহাস পড়ে এসব এলাকায় প্রাচীন স্থাপনার খোঁজ নিতে আসেন। বছরের পর বছর ধরে খোঁজ করতে করতে প্রাচীন স্থাপনার নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কয়েকটি প্রবন্ধ তৈরি করেন। প্রত্নতত্ত্ব গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কেউ কেউ তার আহ্বানে সাড়া দেন। এখন এগুলো জনসম্মুখে আসতে শুরু করেছে। শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু বাক্কার ছিদ্দিক আকন্দ বলেন, প্রাচীন স্থাপত্য-কীর্তি একটি এলাকার মানুষের ঐতিহাসিক পরিচয় বহন করে। যেগুলোর খোঁজ পাওয়া গেছে দ্রুত সময়ে সেগুলোর সংরক্ষণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর মাধ্যমে প্রমাণ হয় বাঙালিরা অনেক আগে থেকেই কর্মে বেশ সুদক্ষ ছিল। প্রাচীন পুরাকীর্তির সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি এলাকা পর্যটন-সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে। এতে মানুষের মানসিক চাহিদার পূরণের পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। পুরাকীর্তির এসব স্থাপনা অনুসন্ধান করে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে বাংলাদেশের পর্যটন খাতও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। পুরাকীর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ফুল ও ছকের আকৃতিবেষ্টিত পাথর বসানো রয়েছে। কেউ কেউ বাড়ির আঙিনা কাদামুক্ত রাখতে প্রশস্ত ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশস্ত ইটগুলো সংরক্ষণ করেছেন পরবর্তী কোনো কাজের উদ্দেশ্যে।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়