• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রোজায় পান করবেন যে ধরনের শরবত ও পানীয়
রোজা রেখে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। যেহেতু রোজায় লম্বা সময় ধরে পানি না খেয়ে থাকা হয়, সেহেতু পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি ও পানীয় গ্রহণের পাশাপাশি পানি জাতীয় সবজিও খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এতে সারাদিন শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। ইফতারে যে ধরনের পানীয় শরীরের জন্য উপকারী : পানি : স্বাস্থ্যকর পানীয়র মধ্যে প্রথমেই থাকবে সাদা পানি। চিনি, লবণ ছাড়া শুধু সাদা পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। ইফতারের শুরুতেই সাদা পানি খান। আখের গুড়ের শরবত : পানির সঙ্গে আখের গুড় আর একটু লবণ মিশিয়ে শরবত তৈরি করা হলে এটি স্যালাইনের কাজ করে এবং রক্তের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। লেবু পানি : পানি ও লেবুর সঙ্গে এক চিমটি পরিমাণ লবণ, বিট লবণ বা পিংক সল্ট মিশিয়ে পান করতে পারেন। চিনি দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই লেবু পানিও চমৎকারভাবে শরীরের ইলোকট্রোলাইট ব্যালান্স করতে সাহায্য করবে। সারাদিনে শরীরে যে ভিটামিন সি’র ঘাটতি তৈরি হয়, সেটিও পূরণ করবে এটি। ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হলে রোজার মাসে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি হওয়ার ঝুঁকি একটু কমে যাবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ফলের রস: বাসায় যেকোনো সতেজ ফলের জুস তৈরি করে খেতে পারেন। ফলের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ও মিনারেলসে ভরপুর। এই ফলের রসের মধ্যে ইসবগুল, তোকমা, চিয়াসিড যোগ করে খাওয়া হলে তখন সেটি ফাইবার সমৃদ্ধ পানীয় হবে। এ ধরনের পানীয় শরীরকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।  ডাবের পানি: রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে কাজ করার ফলে ঘাম হয়। ফলে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে মিনারেলস সমৃদ্ধ পানীয়। ইফতারে এক গ্লাস ডাবের পানি খেলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স হবে।   মিল্কশেক : দুধ দিয়ে তৈরি করা যেকোনো শেক ইফতারে খেতে পারেন। এতে মেশাতে পারেন খেজুর, বাদাম, পেঁপে বা পছন্দের যেকোনো ফল। গাজরের জুস: বিশেষ করে বাচ্চা ও বয়স্ক যারা রোজা রাখেন তাদের জন্য উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ পানীয় গাজরের জুস। গাজরের জুস বা স্মুদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে।হারবাল টি: ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত এক বা দুই কাপ হারবাল টি খেতে পারেন। গ্রিন টি, তুলসি টি ইত্যাদি হতে পারে। এগুলো খাবার হজম করতে সাহায্য করবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করা হলে বিএমআর বাড়িয়ে সেই ফ্যাটকে দ্রুত বার্ন করতে সাহায্য করে এগুলো। আপেলের জুস: আপেল ভালোভাবে পরিষ্কার করে কেটে নিন। খোসা ও বিচি বাদ দেবেন। এবার আপেলের টুকরাগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে ছেঁকে নিন যাতে শরবত পরিষ্কার দেখা যায়। পানি ও পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে আধা ঘণ্টার মতো ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন। ডালিমের জুস: ডালিমের খোসা ছাড়িয়ে রসালো বিচিগুলো বের করে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে দিয়ে রস বের করে নিন। এতে কিছু পানি এবং লেবুর রস দিয়ে মিশ্রিত করে নিন। রসে পরিমাণ মতো চিনি ও লবণ দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর একটি জগে ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ইফতারের সময় বের করে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। বেলের শরবত: যাদের শরীর বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তারা বেলের শরবত খাবেন। এটি খুবই উপকারী পানীয়। বেল যদি মিষ্টি না হয় তখন প্রয়োজনে চিনির বিকল্প উপাদান মিছরি, যষ্টিমধু, খেজুরের পাউডার, গুড় ইত্যাদি দিয়ে শরবত তৈরি করা যেতে পারে। এসব পানীয়তে চিনির বিকল্প উপাদান ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই পানীয় স্বাস্থ্যকর হবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

পান খেয়ে ১৮ লাখ টাকা খোয়ালেন গরু ব্যবসায়ী
বাসে পান খাইয়ে অচেতন করে এক গরু ব্যবসায়ীর ১৮ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার প্রদীপের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাসযাত্রী মো. জাহাঙ্গীর গত শনিবার (২৩ মার্চ) পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।  রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে পাবনায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার তার জ্ঞান ফিরলে রাতে তিনি এ তথ্য জানান। অভিযোগে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে পাবনায় গরু কিনতে যাওয়ার পথে বাসের মধ্যেই তাকে অচেতন করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীর অভিযোগ, শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার যাত্রাপথে পান খাইয়ে তাকে অচেতন করে হাতিয়ে নেন ওই টাকা। গরু ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে দীর্ঘ এক যুগ ধরে প্রতি সোমবার গরু কেনার জন্য পাবনার অরনখোলা হাটে যান। আর নিয়মিত যাতায়াত করায় সুসম্পর্ক হয় শ্যামলী পরিবহন বাসের সটির স্টাফদের সঙ্গে। জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, দীর্ঘ এক যুগ চলার পথে এতদিন কোনো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ করেই গত সোমবার (১৮ মার্চ) পড়তে হয় বিপাকে। ১৮ লাখ টাকা কোমরে বেঁধে সেদিন রাত ৮টার দিকে ৮ নম্বর শ্যামলী পরিবহন বাসের টিকিট ক্রয় করেন জাহাঙ্গীর ও তার রাখাল জসিম উদ্দীন। এ সময় রাখালের কাছেও ছিল ৩ লাখ টাকা। শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার প্রদীপ তাকে ৪ নম্বর বাসে তুলে দেন। বাসটি পাবনায় পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে সুপারভাইজার প্রদীপ দুজনকেই দুটি পান খেতে দেন। এ সময় তারা পান খেতে থাকলে সুপারভাইজার প্রদীপ এসে তাদের ঘুমাতে বলেন। গরমের মধ্যে সারাদিন গরু কিনবেন বলে বিশ্রাম নিতে বলেন তাদের। এরপরের ঘটনা আর কিছুই মনে নেই জাহাঙ্গীরের। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন শ্যামলী গ্যাস পাম্পের পেছনের একটি জায়গায় পড়ে আছেন তিনি। তার কাছে থাকা ১৮ লাখ টাকা নেই। তবে পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তার রাখালের কাছে থাকা তিন লাখ টাকাও আছে।  পান খাওয়ানোর বিষয়সহ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাসটির সুপারভাইজার প্রদীপ। তিনি বলেন, আমি কাউরে কোনো চা অথবা পান খাওয়াইনি। কোনো যাত্রীকে কোনোদিন পানিও খাওয়াইনি। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমরা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪

পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে নারীকে মারধরের অভিযোগ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নে রমজান মাসে পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিভা রানীকে (৬৪) মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নাটেহারা গ্রামের গাজী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নুরুল আমিন ওই গ্রামের মো. কলিম উদ্দিন গাজীর ছেলে। মারধরের শিকার প্রতিভা রানী একই গ্রামের হরিদাস বেপারী বাড়ীর সুকুমার চন্দ্র দাসের স্ত্রী। বুধবার (২০ মার্চ) এই ঘটনায় প্রতিভা রানীর ছেলে বিষু চন্দ্র দাস নুরুল আমিনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন আসামির বাড়ীর কাছে পাতা কুড়াতে যায় প্রতিভা রানী। তখন নুরুল আমিনের স্ত্রী তার ঘরের কাজ করার জন্য বলে। এতে প্রতিভা রানী সম্মত হন এবং তাকে পান দিতে বলেন। প্রতিভা রানীর পান খাওয়া অবস্থায় নুরুল আমিন দেখে তাকে গাল মন্দ করে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং গলায় পাড়া দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার বাদী বিষু চন্দ্র দাস বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে আসামি নুরুল আমিন আমাদের পরিবারকে আইনি ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমাদেরকে ভারতে পাঠিয়ে দিবে নাটেহারা থাকতে দিবে না মর্মে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এদিকে প্রতিভা রানীকে দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত হন চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু তমাল কুমার ঘোষসহ পরিষদের অন্যান্য নেতারা। তারা প্রতিভা রাণীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং এই ঘটনার নিন্দা জানান। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিভা রানীর মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

‘শেখ হাসিনা বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি ভয় পান না’ 
শেখ হাসিনা বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি ভয় পান না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে সিলেট নগরীর সারদা হলের সামনে আয়াজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অদম্য। তিনি বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি ভয় পান না। বহু রক্তচোখ অপেক্ষা করে, অনেক মোড়লদের চোখ রাঙানি উপক্ষো করে এ বাংলার মানুষকে নির্বাচন উপহার দিয়েছেন তিনি। সংবর্ধনা সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, সিলেটের মানুষ শেখ হাসিনকে ভোট দিয়েছেন। শেখ হাসিনা প্রতিদান দিতে ভোলেন না। যারা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিল। নির্বাচন হবে না বলেছিল। বিভিন্ন হুমকি স্যাংশন দেখিয়েছিল, তাদের মুখের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাংলা মানুষ আমার সঙ্গে আছে। বিশ্বের কোনো মোড়লের চোখ রাঙানিতে আমি পাই না। তাই আমাদের সবাইকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের পক্ষে কাজ করতে হবে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগরের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৮

কালিয়াকৈরে মদ পান করে ২ জনের মৃত্যু
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হরিণহাটি গ্রামে অতিরিক্ত মদপানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছে।  শুক্রবার (২ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার পূর্ব বালিঘাটা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৪২), দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ঘরের পাড় শিমুতলী গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে কাদেরুল (২৮)। তাদের মধ্যে হেলাল পেশায় কসাই ও কাদেরুল স্থানীয় একটি বেকারির শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুজনই গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি গ্রামের দুলাল উদ্দিন সরকারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। স্থানীয় ও স্বজনদের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দেশীয় মদ (বাংলা মদ) পান করে অসুস্থ হয়ে মারা যান হেলাল উদ্দিন ও কাদেরুল। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাদের চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালেই রাত ১টার দিকে হেলাল উদ্দিন ও দেড়টার দিকে কাদেরুকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালের ডিজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক লিটন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। দুইজনই এখানে আসার আগেই মারা গিয়েছিল। তাদের জরুরি বিভাগে আনার পরে মৃত ঘোষণা করা হয়।  কালিয়াকৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, দুইজন লোক মারা গেছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন বিষক্রিয়ায় মারা গেচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা মদপান করে বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।  
০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৩

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে যত বেতন পান ভারতীয় ক্রিকেটাররা
২০২৪ সালের ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন ৩০ জন ক্রিকেটার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলায় এবং বোর্ডের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় এই তালিকায় জায়গা হয়নি শ্রেয়াস আইয়ার এবং ঈশান কিষাণের। ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ম্যান ইন ব্লুদের আস্থার নাম ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় তাকে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফর্ম না থাকায় তাকে মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে বলেছিলেন সিলেক্টররা। তবে তা না করে উল্টো ছুটি চেয়ে বসেন তিনি। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটারকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডাক্তাররা পূর্ণ ফিট বললেও রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে রাজি হননি আইয়ার। অন্যদিকে আফগানিস্তান সিরিজের ঠিক আগ মুহূর্তে ছুটি চেয়ে বসেন ইশান কিশান। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বোর্ড থেকে ছুটি নেন তিনি। তবে জানা যায়, কোনো প্রয়োজন ছাড়াই ছুটি নিয়েছেন তিনি। ছুটি নিয়ে রিয়েলিটি শো-তে অংশ নেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। গ্রেড এ+ (বছরে ৭ কোটি টাকা) : রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জাসপ্রিত বুমরাহ এবং রবীন্দ্র জাদেজা। গ্রেড এ (বছরে ৫ কোটি টাকা) : রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ শামি, মোহাম্মদ সিরাজ, লোকেশ রাহুল, শুভমন গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। গ্রেড বি (বছরে ৩ কোটি টাকা) : সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্থ, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল এবং যশস্বী জয়সওয়াল। গ্রেড সি (বছরে ১ কোটি টাকা) : রিঙ্কু সিং, তিলক ভার্মা, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শার্দূল ঠাকুর, শিভাম দুবে, রবি বিষ্ণোই, জিতেশ শর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দর, মুকেশ কুমার, সঞ্জু স্যামসন, আর্শদীপ সিং, শ্রীকর ভরত, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আভেশ খান এবং রজত পতিদার।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৩

মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পান করে শিশুর মৃত্যু, মাসহ অসুস্থ ৩
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পান করে জিম খাতুন নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে নিহত শিশুর মাসহ তিনজন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বৈলগাছি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত জিম খাতুন উপজেলার বৈলগাছি গ্রামের কায়েম উদ্দিনের মেয়ে। অসুস্থরা হলেন- নিহতের মা পারভিন খাতুন, বোন রিয়া ও মিথিলা। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, সোমবার সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে ওরস্যালাইন ও ইস্পি ট্যাংয়ের মিশ্রণ গুলিয়ে পান করেন পারভিন খাতুন। এ সময় তার তিন সন্তান জিম, রিয়া ও মিথিলা ওরস্যালাইন এবং ইস্পি ট্যাংয়ের মিশ্রণের পানি পান করেন। ইফতার শেষে পারভিন ও তার তিন শিশুসন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েন।  ডা. ফয়সাল হোসেন আরও জানান, অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এখানে আসার পর জিম খাতুন নামের তিন বছরের শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য অসুস্থ অপর তিনজনকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জিমের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৩

মদ পান করায় যুবলীগ নেতা বহিষ্কার
যশোরে ‘মদ্যপ’ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়ে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন রাতেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।  জানা গেছে, কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক। যশোর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবার রাতে যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে মিলনসহ ৪ জনকে ‘মদ্যপ’ অবস্থায়  গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার অপর ৩ জন হলেন- শেখ দস্তগীর হোসেন (৪৪), শফিকুল ইসলাম (৩৭) ও মারুফুজ্জামান (৩৯)। জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এদিন রাতে পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ জানতে পারে শহরের পালবাড়ি এলাকার একটি ভবনে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে গোলযোগ করছেন। এরপর পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে পৌর কাউন্সিলর মিলনসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ মিলনের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যুবলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন। এ সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সবার। জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রয়েছে। যা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করেছে। এ কারণে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে জাহিদ হোসেন মিলনকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। তবে বিজ্ঞপ্তিতে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলা হলেও সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক পদ থেকে জাহিদ হোসেন মিলনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮

মরিচ গুলানো পানি পান করিয়ে হত্যা, ১৭ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালেহ মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের বাড়ি জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এদের মধ্যে ২ জন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলা থেকে ৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর চকপাড়া গ্রামের মৃত আলতাফের ছেলে সালেহ মোহাম্মদের সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এরই জের ধরে ২০০৯ সালের ২ মে সকালে সালেহ মোহাম্মদ তার নিজ শ্যালোমেশিন ঘর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামি মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে ওঁৎ পেতে থাকা  আসামিরা তাকে ধরে আমগাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় সালেহ মোহাম্মদ পানি পান করতে চাইলে আসামিরা মরিচ গুলানো পানি জোরপূর্বক পান করালে সে ছটফট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় একই তারিখে পাঁচবিবি থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজিজুল হক। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন। জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশ রোগী
অর্ধশতাধিক নীতিমালা ও আইন থাকার পরেও এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হয়নি। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশের বেশি রোগী।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকেই বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়।  জন্মের পরপরই মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয় দেশের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্ল্যানিং মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ (পিএমআর) আয়োজিত এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনটি সেশনে প্রকাশ করা হয় বিষয়ভিত্তিক ১৪টি গবেষণা প্রতিবেদন।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে এই গবেষণাগুলো করা হয়। অধিদপ্তরের নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দেশে আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা রয়েছে ১৫২টির মতো। আইনের অভাব না থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা নেই। যে কারণে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দেশের হাসপাতালগুলোয় সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের (আইপিসি) অবস্থা বিষয়ক এক গবেষণায় বলা হয়, বেশিরভাগ হাসপাতালে আইপিসি কমিটি আছে। কিন্তু অধিকাংশ কমিটি কার্যকর নয়। অধিকাংশ হাসপাতালেই নেই আইপিসির জন্য নির্দিষ্ট জনবল। সরকারি ৬০ শতাংশ হাসপাতালে আইপিসি ব্যবস্থাপনা নেই। আর বেসরকারি হাসপাতালের ৫০ শতাংশে নেই এই ব্যবস্থাপনা। ফলে হাসপাতাল থেকে যেসব রোগের সংক্রমণ হয়, সেগুলো বাড়বে। এই সংক্রমণ মারাত্মক ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়। এই গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে ব্যবহার করা হবে, এর একটি গাইডলাইন থাকলেও হাসপাতালগুলোয় তা মানা হয় না।  এক-চতুর্থাংশ হাসপাতালে ‘হ্যান্ড হাইজেনিং স্টেশন’ অর্থাৎ হাত ধোয়ার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। প্রতি বেডে একজন রোগী থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালগুলোয় বেডের চেয়ে বহুগুণ বেশি রোগী থাকছে।  উন্নত দেশে আইপিসি হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ হলেও এশিয়ার দেশগুলোয় এই হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। তথ্যের ঘাটতি-সম্পর্কিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্য খাতের যে ৪০টি সূচক রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে সরকার কাজ করলেও পরিপূর্ণ তথ্য নেই। এ ৪০টি সূচকের মধ্যে চারটির কোনো সঠিক তথ্যই নেই। অন্যদিকে, ১০ সূচকের আংশিক তথ্য রয়েছে। আর বাকি ২৬টি সূচকের যাচাই করার মতো তথ্য আছে, তবে তা পরিপূর্ণ নয়। যে চারটি সূচকের কোনো তথ্য নেই, তা হলো জন্মহার, অনিরাপদ পানি ও অনিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির অভাবে মৃত্যুহার, স্বাস্থ্য সুযোগ-সুবিধার অনুপাত (যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় ওষুধের সুবিধা রয়েছে) এবং নির্বাচিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে রক্তপ্রবাহের সংক্রমণের তথ্য। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. কাজী মো. রাশিদ উন নবীসহ ১৩ জন চিকিৎসক একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে নেওয়া রোগীদের সুস্পষ্ট মতামত উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হয়। যদিও তাদের হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়ার কথা। এছাড়া ১৮ শতাংশ রোগীকে সরকারি হাসপাতালের সেবা পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। হাসপাতালে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ রোগী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।  স্বাগত বক্তব্য দেন পিএমআরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম।  এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়