• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিপজলের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ নিয়ে অঞ্জনার মন্তব্য
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। মিশা-ডিপজলের প্যানেলের বিপরীতে কলি-নিপুণ প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। বর্তমানে নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এসবের মাঝেই অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন ডিপজল। এবার বিষয়টি নিয়তে মুখ খুলেছেন অঞ্জনা।  নির্বাচনী প্রচারণার ব্যস্ততার মধ্যেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর খবরে আলোচনায় উঠে এলেন অঞ্জনা-ডিপজল। মূলত ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পাড়ায় অভিনেত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ডিপজল। বিষয়টি অবশ্য গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন অঞ্জনা।  বিষয়টি নিয়ে অঞ্জনা বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া নেই। আমি বলব— এটি শুধুই ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে ডিপজল ভাই না, তার লোকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা কোনো ইস্যু না। ডিপজল ভাই তো আমাদেরই ভাই। জানা গেছে,  চেক ডিসঅনারের জন্য অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ডিপজল। গেল বছর ডিপজলের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন অঞ্জনা। ছয় মাসের মধ্যে ধার পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির বরখলাপ করেছেন অঞ্জনা। ছয় মাস পার হয়ে গেলেও ঋণের টাকা ডিপজলকে ফেরত দেননি অঞ্জনা। ডিপজল টাকা ফেরত চাইলে চলতি বছরের বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ডিপজলকে ডাচবাংলা ব্যাংকের একটি চেক দেন তিনি। তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি অঞ্জনার অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়। মূলত এ কারণেই গত ২৩ মার্চ টাকা পরিশোধ করার জন্য অঞ্জনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ডিপজল। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে অঞ্জনাকে পুরো অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। অন্যথায়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে অঞ্জনার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০২

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে পাঠানো চিঠিতে যা বলেছেন শেখ হাসিনা
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় জর্জরিত ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিঠিতে তিনি বলেন, আমরা গাজার কোনো অংশ পুনর্দখল করার জন্য ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে।  গত ৩১ মার্চ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে এই চিঠি পাঠানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন গণহত্যা চলাকালীন নারী, শিশু এবং পুরুষসহ নিরপরাধ প্রাণের মর্মান্তিক ক্ষতির জন্য আমি ফিলিস্তিনের সরকার এবং ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। তিনি আরও লিখেছেন, আমি গাজার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ‘ডে আফটার’ যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত এবং এটি নিয়ে আপনার গভীর উদ্বেগকে সমর্থন করছি। পরিকল্পনাটি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের অবমাননা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির লঙ্ঘন। এটি হতাশাজনক যে এই পরিকল্পনাটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কোনো বাস্তব পথ প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এর  লক্ষ্য হচ্ছে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বৈধ জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকে দমন করা এবং ভূমির ওপর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী করা। এর প্রেক্ষাপটে, আমরা আমাদের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি যে, আমরা গাজার কোনো অংশ পুনর্দখল করার জন্য ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে।  সরকারপ্রধান বলেন, আমরা মনে করি, সামরিক উপায়ে এই সংঘাত কোনো সমাধান নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের আদেশের ওপর ভিত্তি করে চলমান সংকট সমাধানে একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের সময় এসেছে, যেটি শুধু ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের পাশাপাশি বসবাসকারী দুই-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে। চিঠিতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার শিকার একটি জাতি হিসেবে আমরা প্রকৃতপক্ষে দখলকৃত ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা অনুভব করি। এভাবে, আমরা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে আমাদের পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের নিন্দা করছি এবং আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে একটি ন্যায়সঙ্গত সমাধানের পক্ষে কথা বলছি। তিনি বলেন, পূর্ব জেরুজালেমের রাজধানী হিসেবে ১৯৬৭ সালের সীমানাসহ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য আপনার বৈধ আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন অবিচল থাকবে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সব আন্তর্জাতিক ফোরামে এবং এর বাইরেও জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আমাদের সমর্থন ও অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির জন্য আমরা আমাদের আহ্বানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৬

ঈদে সবাইকে বাড়ি পাঠানো সম্ভব নয় : রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ঈদে যত লোক বাড়িতে যাবে, তাদের সবাইকে তো আমাদের পক্ষে পাঠানো সম্ভব নয়। তবে যারা আসন পাবেন না তারা যেন অন্তত দাঁড়িয়ে যেতে পারেন, সেজন্য আলাদা টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার যাত্রীরা যেন নিরাপদে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে পারে সেজন্য আমাদের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঈদে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রী পরিবহন স্বার্থে আগামী এক বছরের মধ্যে ৮০০টি কোচ ও লোকমোটিভ রেলওয়ে বহরে যুক্ত করতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, রেলের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোচ আমদানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০০টি বগি আমদানির অনুমতি পেয়েছি। বুধবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা রেলস্টেশনে ট্রেনে ঈদযাত্রা পরিদর্শন করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। টিকিট কালোবাজারি বন্ধে মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা আমাদের চেষ্টার ত্রুটি রাখি নাই। এবার ঈদে কালোবাজারি যেন টিকিট নিতে না পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব ব্যবস্থা কিন্তু যাত্রীদের কল্যাণের জন্য। নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আছে, র‌্যাব, পুলিশসহ সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে। সাধ্যমতো আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি। দুর্নীতি প্রসঙ্গে জিল্লুল হাকিম বলেন, কেনাকাটায় সব জায়গাতেই কিছু না কিছু দুর্নীতি থাকে। অনেক বড় বড় জায়গায়ও হয়ে থাকে। অনেক নামীদামি জায়গাতেও ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্নীতি থাকে। সেক্ষেত্রে রেল অনেক ছোট জায়গা। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যেন আমাদের রেলে কোনো ধরনের এরকম কিছু না থাকে। আমরা চেষ্টা করব সবরকম দুর্নীতি বন্ধ করতে। কোনো সংস্থাই চায় না সেই সংস্থার মধ্যে দুর্নীতি থাকুক। আমরাও চাই না রেলের মধ্যে দুর্নীতি থাকুক।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০০

অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢামেক পাঠানো হয়েছে : ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনের ঘটনায় অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। এদিকে আগুনের ঘটনায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুন ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরমধ্যে অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে আনসার পুলিশ ও র‌্যাব। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।
০১ মার্চ ২০২৪, ০২:৩০

মিয়ানমারের ৩৩০ সেনা-সীমান্তরক্ষী ফেরত পাঠানো হচ্ছে আজ
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশে ঢুকে পড়া ৩৩০ জনকে আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলার ইনানীর নৌ জেটিঘাট দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে মঙ্গলবার, শিগগিরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৪

‘রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেললে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হবে’
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, রমজান মাসে কোনো রকমের মজুতদারি সহ্য করব না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেলাধুলা করলে কেউ রেহাই পাবেন না। যদি কেউ দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেলাধুলা করেন তাহলে কোনো জরিমানা নয়, সরাসরি কারাগারে প্রেরণ করা হবে। রমজান মাসকে আমরা সবকিছু থেকে মুক্ত রাখতে চাই। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী মন্ত্রী হওয়ায় তাকে সংবর্ধনা দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, আপনারা (বিএনপি) বহু চেষ্টা করেছিলেন নির্বাচন বানচাল করার জন্য। কিন্তু আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে যতক্ষণ আন্দোলনের কথা বলবেন, শান্তিপূর্ণভাবে যতক্ষণ পর্যন্ত মিছিল-সমাবেশ করবেন, আমরা কোনো অসুবিধা করব না। কিন্তু আন্দোলনের নামে আগুন-সন্ত্রাস করলে, লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হলে সেটা আপনাদের জন্য মঙ্গল ডেকে আনবে না। জনগণের শান্তি বিঘ্নিত হয়- এমন কোনো কাজ আমরা কখনও হতে দেব না। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী প্রমুখ।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৯

মেসেঞ্জারে পাঠানো বার্তা এডিট করবেন যেভাবে 
সম্প্রতি ফেসবুক মেসেঞ্জারের (যা বর্তমানে মেসেঞ্জার নামেই বহুল প্রচলিত) জন্য বহু আকাঙ্ক্ষিত এক সুবিধা নিয়ে এসেছে মেটা। তা হলো পাঠিয়ে দেওয়া বার্তা সম্পাদনা বা এডিট করার সুযোগ। নতুন এই আপডেট আসার ফলে মেসেজ পাঠানোর ১৫ মিনিটের ভেতর সেটাকে এডিট করা যায়। আনসেন্ড করার আর প্রয়োজন থাকে না। মেসেঞ্জারের কোনো 'সেন্ট' বা পাঠানো মেসেজ এডিট করতে হলে সেন্ড করা বার্তার ওপর চাপ দিতে হবে। এটা মোবাইল অ্যাপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ওয়েবে এখনো এই ফিচারটি অ্যাড করা হয়নি। অপশনগুলোর ভেতর 'more' এ ক্লিক করে সেখান থেকে 'edit' এ ক্লিক করতে হবে। 'Forward', 'Bump', 'Remove' এর মতো অপশনের সঙ্গে এটিও দেখতে পাবেন। মনে রাখবেন, এই 'Edit' অপশন শুধু ১৫ মিনিটের মধ্যে পাঠানো মেসেজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ১৫ মিনিটের সময়সীমা পার হয়ে বেশি হয়ে গেলে মেসেজ আর এডিট করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আনসেন্ড করে নতুন করে মেসেজ পাঠানো যেতে পারে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় মেটা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা এডিট করা মেসেজ 'রিপোর্ট' করতে পারবেন। অর্থাৎ কোনো নেতিবাচক মেসেজ পাঠিয়ে পরে সেটা এডিট করলেও তা রিপোর্টযোগ্য এবং মেটা কর্তৃপক্ষ এডিট হওয়ার আগের মেসেজও দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। পাশাপাশি, সম্প্রতি এনক্রিপ্টেড চ্যাট চালুরও ঘোষণা দিয়েছে মেসেঞ্জার। মেটার ভাষ্যমতে, 'এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন' এর মাধ্যমে বার্তা ও কলের বিস্তারিত তথ্য শুধু প্রেরক ও প্রাপক দেখতে পাবেন, এমনকি মেটার কাছেও তা দৃশ্যমান হবে না।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২১

ঢাকায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হলো ভোটের সরঞ্জাম
রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন ভোটগ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ভোটের আগের দিন ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনী সরঞ্জাম। এসব সরঞ্জামের নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যালট পেপার বাদে ঢাকার আসনগুলোর ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র, জামানত বই, রশিদ বই, আচরণবিধিমালা, প্রতীকের পোস্টারসহ বিভিন্ন ধরনের ফরমসহ প্রায় ২০ রকমের সরঞ্জামাদি। রাজধানীর ১৫টি পয়েন্ট থেকে বিতরণ করা হয় ঢাকার ১৫টি আসনে ভোটের সরঞ্জাম। প্রিসাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার একটি করে টিম পরিবহনসহ কেন্দ্রগুলোতে এসব সরঞ্জাম নিয়ে যান। তারা ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করে সেখানেই রাতে অবস্থান করবেন। এবার ঢাকা মহনগরীর ১৫টি সংসদীয় আসনে ভোটযুদ্ধে লড়বেন ১২৬ জন প্রার্থী। প্রায় ৩ হাজার কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট থাকবে ৩৭ হাজার ৭৯৩ জন। উল্লেখ্য, এবার জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন। ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ  সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোটগ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়াও স্ট্যান্ডবাই থাকবেন ১ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী। ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক মাঠে থাকছেন। তারা যেকোনো অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন। সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এ ছাড়া সারাদেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় মোট ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়