• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজায় যেভাবে ত্রাণ পাঠাচ্ছে জার্মানি
ইসরায়েল এখন গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য কয়েকটি পথ সাময়িকভাবে খুলছে। এর মধ্যে গাজায় আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাতজন কর্মী মারা গেছেন। এই ত্রাণ কর্মীরা গাজার ২৪ লাখ মানুষের কষ্ট কিছুটা কম করার জন্য কাজ করছিলেন। এই ঘটনা আবার দেখিয়ে দিয়েছে, গাজায় আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাঠানো কতটা কঠিন। ফলে জার্মানিও সেখানে ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জার্মান ত্রাণ সংগঠনগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, পরিস্থিতির তুলনায় তারা সামান্য সাহায্য করতে পেরেছে। জার্মান রেড ক্রস সাধারণত বাড়িয়ে-চড়িয়ে কোনো মন্তব্য করে না। তারা জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। জার্মানির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যাসেলফিল্ডটসহ রক্ষণশীল সিএসইউ রাজনীতিকরা সম্প্রতি বলেছেন, গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য খুবই সামান্য জায়গা খোলা রয়েছে। ফলে সেখানে যা ত্রাণ যাচ্ছে তা খুবই কম। সেখানে সবকিছুর অভাব রয়েছে। তার উপর সেখানে লড়াই তীব্র হচ্ছে, ঝুঁকিও বাড়ছে। আরো আক্রমণের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে। ২০১৭ থেকে জার্মান রেড ক্রসের নেতৃত্বে আছেন হ্যাসেলফিল্ডট। তিনি এখনো বলতে পারছেন না কবে নাগাদ তার সংস্থা গাজায় ত্রাণ পাঠাতে পারবে। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি প্লেনভর্তি করে ত্রাণসামগ্রী তিনি মিশর হয়ে গাজা ভূখণ্ডে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে খাবার ছাড়াও ওষুধ ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছিল। জার্মানি ও অন্য দেশগুলির সরকার ও সরকারি সংস্থার মধ্যে উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতার ব্যবস্থা থাকে। আর্থিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাটজা হুমেল ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, জার্মান করপোরেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপরেশন (জিআইজেড) গাজার জন্য কোনো স্থায়ী কর্মকর্তা রাখেনি। আগে জার্মানি থেকে কর্মীরা গাজায় যেতেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হচ্ছে না। চার্চ গ্রুপগুলি যেভাবে কাজ করছে জার্মানির চার্চের ত্রাণ সংস্থাগুলিরও একই অবস্থা। ক্যারিটাস ইন্টারন্যাশনালের মুখপাত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, আমরা সবসময় স্থানীয় মানুষ বা সংগঠন, যারা মানুষকে সাহায্য করছে, তাদের সঙ্গে কাজ করি। আমরা বিশ্বের অন্য ক্যাথলিক গোষ্ঠীর সঙ্গেও হাত মিলিয়ে কাজ করি। জার্মানির বিমানবাহিনী জর্ডান থেকে বিমানে করে ত্রাণসামগ্রী আকাশ থেকে ফেলেছে। এই সাহায্য যদি মানুষের কাছে পৌঁছায় তো সবচেয়ে বলশালী মানুষের কাছে পৌঁছেছে। সাধারণত সড়কপথে বা সমুদ্রপথে ত্রাণ পৌঁছে দেয়াটা সহজ। কিন্তু হামাসের আক্রমণের পর এই ধরনের পথ খুবই কম আছে। মার্চের মাঝামাঝি থেকে জার্মানি বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলছে। জর্ডান থেকে দুইটি বিমান এই ত্রাণসামগ্রী ফেলার কাজে লাগানো হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন জার্মানি ও ফ্রান্সের কর্মীরা। সম্প্রতি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশর সফর করেছেন। তিনি সেখানে সড়কপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। বেয়ারবক বলেছেন, আকাশপথে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ফেলে দেয়াটা সমুদ্রে এক বিন্দু জল ফেলার মতো।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭

যেসব ক্রিকেটারকে সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ে পাঠাচ্ছে পাকিস্তান
ভারত বিশ্বকাপে ফিল্ডিং দেখে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এরপর পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে ছক্কা মারতে না পারায় বাবর-রিজওয়ানদের ফিটনেস নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। তাই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ২৯ ক্রিকেটারকে সম্পূর্ণ ফিট করতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ট্রেনিংয়ে পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। সোমবার (২৫ মার্চ) ট্রেনিংয়ের জন্য ২৯ ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কাকুলে শুরু হবে এই ট্রেনিং। আর শেষ হবে ইদুল ফিতরের আগে ৮ এপ্রিল। যেসব ক্রিকেটারদের ট্রেনিংয়ে পাঠাচ্ছে পিসিবি: বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাদ ওয়াসিম, উসামা মীর, মোহাম্মদ নওয়াজ, মেহরান মুমতাজ, আবরার আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, সাহেবজাদা ফারহান, হাসিবুল্লাহ, সৌদ শাকিল, উসমান খান, মোহাম্মদ হারিস, সালমান আলি আগা, আজম খান, ইফতিখার আহমেদ, ইরফান খান নিয়াজি, শাদাব খান, মোহাম্মদ আব্বাস আফ্রিদি, হাসান আলী, মোহাম্মদ আলী, জামান খান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, আমির জামাল, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ আমির। ক্রিকেটারদের শারীরিক শক্তি বাড়াতে তাদের ট্রেনিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। ট্রেনিং শেষে যাচাইবাছাই করা হবে ক্রিকেটারদের ফিটনেস। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করবে পাকিস্তান। আগামী ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানে আসবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। এরপর রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৮,২০ ও ২১ এপ্রিল কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। বাকি ম্যাচ দুটি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২৫ ও ২৭ এপ্রিল।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৬

এবার বুড়ো ঘোড়াদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছে মিয়ানমার জান্তা!
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও জাতিগত স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত প্রকট আকার ধারণ করেছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের আক্রমণে একের পর এক ঘাঁটি হারিয়ে কোণঠাসা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা; পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে বহু জান্তা সৈনিক। এ অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যদের আবারও যুদ্ধের ময়দানে ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় এবার রিজার্ভ ফোর্সেস আইন সক্রিয় করেছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। আর এর মাধ্যমে অবসরে চলে যাওয়া প্রবীণ সেনা সদস্যদের আবারও যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা পেয়েছেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং। জান্তা প্রধান গত মঙ্গলবার বলেছেন, প্রবীণ সেনাদের ইচ্ছাতেই তিনি এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ওইদিন বৈঠকে তিনি আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যরা জাতীয় প্রতিরক্ষার স্বার্থে আবারও দায়িত্বে ফিরতে চান। জেনারেল মিন অং হ্লাইং মিয়ানমার ওয়ার ভেটেরান্স অর্গানাইজেশনেরও সভাপতি। মঙ্গলবারের সেই বৈঠকের পর একইদিন রাতে তিনি আইনটিতে স্বাক্ষর করেন। মূলত ‘রিজার্ভ ফোর্সেস ল’ আইনটি ২০১০ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক থান শোয়ের নেতৃত্বাধীন জান্তা সরকার জারি করেছিল, কিন্তু কখনও ব্যবহার করা হয়নি। এবারই প্রথম আইনটি সক্রিয় করা হলো। মিয়ানমার ওয়ার ভেটেরান্স অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মিয়ানমারের এই সংগঠনটির দেশব্যাপী ৯১ হাজার ৬৭৭ সদস্য এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭২ জন সহায়ক সদস্য ছিলেন। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ৩৩০টি শহরের মধ্যে ৩০৮টিতে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে। জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেন, অবসরে যাওয়া সমস্ত প্রবীণ সৈনিককে সক্রিয় দায়িত্বে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। যারা যোগ্য এবং উপযুক্ত তাদেরই যুদ্ধের ময়দানে ফেরত পাঠানো হবে। এর ব্যাখ্যায় জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুনকে উদ্ধৃত করে জান্তা মিডিয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা গত পাঁচ বছরে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণের অনুমতি পেয়েছে তারা রিজার্ভ ফোর্সে কাজ করার জন্য বাধ্য। তবে, তাদের সবাইকে সক্রিয় দায়িত্বে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। যাদের সত্যিকার অর্থে দেশের জন্য প্রয়োজন তাদেরকেই ‘সেবা করার’ অনুমতি দেওয়া হবে।’ এই আইনের অধীনে সাবেক সব সামরিক কর্মীকে পাঁচ বছরের জন্য রিজার্ভ বাহিনীতে কাজ করতে হবে। তবে সামরিক বাহিনীর প্রধান ‘রাষ্ট্রের স্বার্থে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তাদের চাকরিতে বাধ্য করতে পারবেন। আইনে অবশ্য তাদের সেবার মেয়াদ কতদিন বাড়ানো যাবে তা বলা হয়নি। শুধু তাই নয়, রিজার্ভ ফোর্সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তিন বছরের জেল বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন সাবেক সেনা সদস্যরা। ইরাবতী বলছে, যাদের ফ্রন্টলাইনে ফেরত পাঠানো হবে তারা তাদের পেনশনের পাশাপাশি সামরিক প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য সুবিধা পাবেন। অবসর গ্রহণ বা পদত্যাগ করার সময় যারা যে পদে ছিলেন তাদের একই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও আইনে বলা হয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে একের পর এক যুদ্ধে তাদেরকে পরাজিত হতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে মিয়ানমারে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে দেশটির জান্তা সরকার। নতুন সেই ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব পুরুষকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে অন্তত দুই বছর কাজ করতে হবে। আর নারীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছরেরে মধ্যে, তাদেরকেও একই মেয়াদে সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতে হবে। এ বিষয়ে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি জান্তা সরকার। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে জাতগত স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর কাছে একের পর এক শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল জান্তা সরকার। সম্প্রতি সেই জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা বাহিনীর ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে যুদ্ধ ও সহিংসতা চলে আসছে। এসব সহিংসতায় এ পর্যন্ত দেশটির হাজার হাজার নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং দশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মূলত স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘাত চলমান থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ের মতো এতোটা চ্যালেঞ্জের মুখে আর কখনও পড়েনি দেশটির জান্তা বা সামরিক শাসকরা।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়