• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
বাগেরহাটে ঘুঘুর চোখ সেলাই ও আঠা দিয়ে দৃষ্টিহীন করে পাখি শিকার করছে একটি চক্র। বুধবার (৩ এপ্রিল) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতেছিল শিকারি চক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ওই ঘুঘু দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে পালিয়ে গেছে অসাধু শিকারিরা।  স্থানীয়রা জানান, প্রথমে চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করা হয় ঘুঘুর চোখ। তার ওপর আঠা দিয়ে আটকানো হয়। এভাবে ঘুঘুর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ঘুঘুকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে প্রকৃতিতে থাকা ঘুঘুসহ অন্য পাখি শিকার করেন অসাধু শিকারিরা।  শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু শিকারি ঘুঘুর দুচোখ আটকে ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে জালের ফাঁদ পেতেছে এমন খবর পাই। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহিন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।  নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘুকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি ধরতে। সেখানে এই ঘুঘু দুটিকে দেখে ঘুঘু বা অন্য পাখি এলে জালে আটকা পড়তো। বাঁশ বা লম্বা লাঠি মাথায় বেঁধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে।  সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদের জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। এরপর থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

জালে ধরা পড়ল ৩ মণ ওজনের চারটি পাখি মাছ
বঙ্গোপসাগরে সূর্য মাঝি (৫৫) নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩ মণ ওজনের ৪টি পাখি মাছ।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে এসব মাছ পটুয়াখালীর আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় বড় সাইজের এ মাছগুলো একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।  উপকূলে এসব মাছের চাহিদা না থাকায় নিলামের মাধ্যমে সুমন মৃধা নামের এক মাছ ব্যবসায়ী মাছগুলো সাড়ে ৭ হাজার টাকা কিনে নেন। গত শনিবার সূর্য মাঝি ১৯ জেলেসহ আল্লাহর দোয়া-১ নামের একটি ট্রলার নিয়ে চট্রগ্রাম সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গিয়ে জাল ফেললে এ মাছ চারটি ধরা পড়ে। আল্লাহর দোয়া-১ ট্রলারের মাঝি সূর্য মিয়া বলেন, আমরা মূলত এ গোলপাতা মাছ (পাখি মাছ) ধরার জন্য সমুদ্রে জাল ফেলি না। এ মাছগুলো ইলিশ মাছের জালে জড়িয়ে ধরা পড়ে। দেশে এ মাছের চাহিদা কম থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায় না। কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, আগের চেয়ে বঙ্গোপসাগরে এসব মাছ বেড়েছে। তবে এর প্রাচুর্যতা বেশি নয়। আশা করছি আরও বড় বড় সাইজের মাছ জেলেরা শিকার করতে পারবে। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০২

শ্রীপুরে আকস্মিক পাখি মৃত্যু, তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
গাজীপরে শ্রীপুরে আকস্মিক পাখি মৃত্যুর ঘটনায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। এ সময় তারা সেখান থেকে কয়েকটি মারা যাওয়া পাখির নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সিটাপাড়া গ্রামের পাখি মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ওইদিন (বুধবার) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বায়োডাইভার্সিটি কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বায়োডাইভার্সিটি কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিটপাড়া গ্রামে অর্ধশতাধিক পাখি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। পাখি মারা যাওয়ার ঘটনাস্থল সিট পাড়া গ্রামের গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড (পোশাক কারখানা) সামনে কয়েকটি গাছ এবং স্থানীয় কৃষকদের শস্যখেত রয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সরেজমিনে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের সঙ্গে পাখি মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা বলি ও মৃত পাখি সংগ্রহ করি। এ সময় জানতে পারি ওইদিন স্থানীয় গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড কারখানা শ্রমিক চা বিরতির সময় (সকাল ১০টায়) কারখানা থেকে বাহিরে বের হলে দেখতে পান কয়েকজন নারী ও শিশু মারা যাওয়া পাখিগুলো ওই কারখানার সামনে এনে এক জায়গায় জড়ো করে রাখছে। পরে সে মারা যাওয়া পাখিগুলোর ছবি ভিডিও করে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) পোস্ট করে। ফেসবুকে পোস্টে তথ্য প্রচার দেন কৃষকের খেতের ফসল প্রায় নষ্ট করে ফেলায় ক্ষেতে দেয়া বিষ বা বিষ মিশ্রিত পানি খেয়ে অর্ধশতাধিক পাখি মারা গেছে। বাস্তবে মৃত পাখির সংখ্যা আরও কম। বুধবার আমরা ঘটনাস্থল থেকে ১২টি মৃত পাখির তথ্য জানতে পেরেছি। এদের মধ্যে ২টি ছিল তিলা ঘুঘু এবং বাকি ১০টি ছিল বনছাতারে পাখি (অঞ্চলিক নাম খেই খেই পাখি)। এগুলোর মধ্যে ১০টি মৃত পাখি ঢাকায় আই আর ডিসি আর ল্যাবে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা হিসেবে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আকস্মিক পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তিনি বলেন, আশপাশে সবজিখেত রয়েছে। আগের দিন হয়তো কেউ সেখানে কীটনাশক স্প্রে/প্রয়োগ করেছে। ওই বিষ কিংবা কীটনাশক খাওয়া কোনো পোকামাকড় খেয়ে বিষক্রিয়া হওয়ার কারণেই এরকম ঘটনা ঘটে থাকতে পরে বলে মনে করেন তদন্ত দলের সদস্যরা। সকাল বেলা খালি পেটে পাখির ফিডিং টাইমে ওই পোকামাকড় খাওয়ার পরে হয়তো পাখি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিষ প্রয়োগ করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে পাখি মারার জন্য কেউ বিষ প্রয়োগ করার কোনো তথ্য আমরা পাইনি। এটা ছিল বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা। তবে ঢাকার রোগ অনুসন্ধান ও গবেষণাগারে স্যাম্পল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক ভেটেরিনারি সর্জিন মোস্তাফিজুর রহমানও জানালেন একই তথ্য। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বায়োডাইভার্সিটি অফিসার রুবিয়া ইসলাম ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকার খামারবাড়িতে কর্মরত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরত ভেটেরিনারি সার্জন ফয়সাল আতিক, গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান, বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জ অফিসার কাজী নাজমুল হোসেন, চারজন ভেটেরিনারি সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩

জালে ধরা পড়ল ৮০ কেজির পাখি মাছ 
বরগুনার পাথরঘাটায় দেশের বৃহত্তম মৎস্য বন্দর বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে ৮০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির মাছ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গোপসাগর থেকে বিএফডিসি ঘাটে এ মাছ বিক্রির জন্য জেলেরা নিয়ে আসেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওজনের আরও ২৯টি পাখি মাছ নিয়ে আসে এফবি মারিয়া নামের একটি ট্রলার।  এ সময় স্থানীয়রা এ পাখি মাছগুলো একনজর দেখতে ভিড় করেন। মেসার্স জোবায়ের এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেলিম মিয়া জানান, ‘কয়েক দিন আগে এফবি মারিয়া ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যায়। সমুদ্রে জাল ফেলে অপেক্ষা করলে অন্যান্য মাছের সঙ্গে সাতটি পাখি মাছ ধরা পড়ে। মাছগুলো প্রায় ৭ ফুট লম্বা। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে এ মাছটিকে ‘পাখি মাছ’ বা ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবেই চিনেন। তবে ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবেই এ এলাকায় এ মাছ বেশি পরিচিত। তিনি আরও জানান, এক একটি মাছ ৬০০০ টাকায় পাইকার জাহিদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পাইকার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে এ মাছের চাহিদা কম। তবে তিনি মাছগুলো কম টাকায় ক্রয় করতে পেরেছেন। এ মাছগুলো বিদেশেও রপ্তানি করা যায়। দেশের নামীদামি রেস্টুরেন্টগুলোতে এ মাছের চাহিদা রয়েছে। মাছগুলো বেশি দামে বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠাবেন বলেও জানান এ মাছ ব্যবসায়ী। পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, ‘এটি গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস (Sail Fish)। এ মাছ খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে। বিদেশে অনেক চাহিদা থাকার কারণে এ মাছ রপ্তানি করা হয়ে থাকে। তবে এ মাছ গভীর সমুদ্র ছাড়া সহজে পাওয়া যায় না।’
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭

ফের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে সাবিনা ইয়াসমিন
সময়টা ২০০৭ সাল, দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাংলা গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিন। সকলের সহযোগিতায় ক্যানসার জয় করে গানে নিয়মিত হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি হঠাৎ করেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবিনা ইয়াসমিন। চিকিৎসা নিচ্ছেন সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারে। অনেক দিন ধরেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন ৬৯ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি গায়িকা। শিল্পীর ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ সাবিনা ইয়াসমিন। নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসা চলছে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারে। এরই মধ্যে একটি সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। খুব দ্রুতই দেওয়া হবে রেডিওথেরাপিও। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের ভুবনে বিচরণ করছেন সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রাখতে পারেননি। মরমী শিল্পী আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে একালের উঠতি গায়কদের সঙ্গেও তিনি একের পর এক গান গেয়েছেন। সুযোগ পেয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর ডি বর্মণের সুরে গান গাওয়ার। উপমহাদেশের বিখ্যাত দুই কণ্ঠশিল্পী কিশোর কুমার ও মান্না দে’র সঙ্গেও গান গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন। খ্যাতিমান এই গায়িকা তার মায়াবী কণ্ঠ দিয়ে বাংলা সংগীতকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, পুরস্কারও পেয়েছেন দুহাত ভরে। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেয় একুশে পদক। ১৯৯৬ সালে পান স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। সেরা কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন রেকর্ড ১৪ বার। বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন ছয়টি। জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দুবার। ১৯৮৪ সালে বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ থেকে সংগীতের ওপর লাভ করেন ডক্টরেট ডিগ্রি। এ ছাড়া ১৯৯০ সালে শেরে বাংলা স্মৃতি পদক, ১৯৯১ সালে বিএফজেএ পুরস্কার ও উত্তম কুমার পুরস্কার, ১৯৯২ সালে অ্যাস্ট্রোলজি পুরস্কার এবং একই বছর নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে পান ‘বেস্ট সিঙ্গার’ পুরস্কার। ২০১৭ সালে দশম স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-দ্য ডেইলি স্টার জীবনের জয়গান উৎসব থেকে পান আজীবন সম্মাননা। সাবিনা ইয়াসমিন শেষ প্লেব্যাক করেছেন প্রয়াত চিত্রনায়িকা ও নির্মাতা কবরী পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির ‘দুটি চোখে ছিল কিছু নীরব কথা’ শিরোনামের একটি গানে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গানটিতে কণ্ঠ দেন তিনি। এ ছাড়া কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির চারটি গানে সুরও দেন সাবিনা ইয়াসমীন। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৬

বিলে-হাওরে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য
সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও থেমে নেই পাখি শিকার। পরিযায়ী ও দেশি পাখি শিকার হচ্ছে শ্রীমঙ্গল হাইল হাওর এবং বাইক্কা বিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে। প্রতি বছরের মতো এবারের শীত মৌসুমে এই অঞ্চলে পাখি শিকারিদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। তবে বিলের সৌন্দর্য্য রক্ষায় বাইক্কা বিল প্রকল্প চালু, বিল খনন করাসহ বিলের আয়তন বৃদ্ধির দাবি উঠেছে। পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণে চরম অবহেলার পাশাপাশি মাছের জন্য বিখ্যাত বাইক্কাবিলে অবৈধ ভাবে পাখি শিখারীদের দৌরাত্বা বন্ধ না হওয়ায় বাইক্কাবিল সৌন্দয যেমন হারাচ্ছে তেমনি সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। জানা যায়, সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলার পশ্চিম ভাড়াউড়া এলাকা থেকে খাজা মিয়া নামে এক পাখি শিকারিকে বেশ কিছু পরিযায়ী পাখি ও পাখি ধরার সরঞ্জামসহ আটক করা হয়। এ সময় তাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও মৌলভীবাজারের থানা বাজার এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৮টি পাখিসহ আটক আব্দুস শহীদকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালাত। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। হাইল হাওর এলাকার বাসিন্দা সফল মিয়া জানান, হাইল হাওরের পাশাপাশি বিলের এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, ইসলামপুর ও হাজীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় শিকার করা পাখি বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব বলেন, অবাধ শিকারের কারণে পাখিদের পরিসর যেমন সীমিত হয়ে আসছে, তেমনি হুমকির মুখে পড়ছে এর প্রজনন ও আবাসস্থল। অতিথি পাখির আগমনের এ সময়টিতে শিকারিরা বেশি সক্রিয় থাকে। হাওর-বিলের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা থেকে শিকার করা পাখি খুব গোপনে বিক্রি হয় জানিয়ে মৌলভীবাজার পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ মহসীন পারভেজ বলেন, গ্রামের অনেক মানুষ এখনো জানে না যে পাখি শিকার একটি অপরাধমূলক কাজ।  শ্রীমঙ্গল বাইক্কা বিল বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের সভাপতি পিয়ার আলী জানান, বাইক্কা বিলের মাছ রক্ষার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারাই পাখিদের নিরাপধে রাখার চেষ্টা করেন। পাখির নিরাপত্তার সার্থে সরকারীভাবে পাহাড়াদার বাড়ানো হলে পাখি শিকার কমে আসবে।  সার্বিক বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পাখি শিকার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাখি শিকারিদের বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বন বিভাগের নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচেতনতা কার্যক্রমও চালিয়ে আসছেন তারা। তারপরও তেমন সুফল মিলছে না।  
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়