• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিদেশি চাপে নির্বাচনের অনিয়ম তদন্ত করবে না পাকিস্তান সরকার
বিদেশিদের চাপে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগগুলোর কোনো তদন্ত করবে না পাকিস্তান সরকার। দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এ কথা জানিয়েছেন। পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সামনের দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখার কথা জানিয়েছে দেশটি। এ প্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের সময় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত করার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে অত্যধিক বিলম্ব করা হয়েছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াতে ইসলামী এবং জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ)-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করেছে। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং জালিয়াতির যেসব অভিযোগ আমরা উত্থাপিত হতে দেখেছি, তাতে পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থার অধীনে এগুলোর সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এর পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতেও এ নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারেই পরে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় পাকিস্তানের বর্তমান সরকারপ্রধানের কাছে। জবাবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, পাকিস্তান কি যুক্তরাষ্ট্রকে ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার তদন্ত করতে বলেছিল? তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং কোনো চাপের কাছে মাথানত করবে না।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২০

নওয়াজ-বিলাওয়ালের সঙ্গে জোট করবে না পিটিআই : ইমরান খান
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) নওয়াজ শরীফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সরকার গঠনে জোট করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ইমরান খান বলেন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) সঙ্গেও জোট গঠন করা হবে না। তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জোট না করতে চাওয়া দলগুলো অর্থপাচারকারী। যাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়েছে তারা সবাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অর্থপাচারকারী। তবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে; তা পাকিস্তানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে। তিনি আরও বলেন, যখন জানতে পেরেছি যে, নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করেছেন; তখনই বুঝতে পেরেছি, তারা দুজনই নির্বাচনে হেরে গেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আগে আমরা নির্বাচনের কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আমরা নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবো। তিনি বলেন, পিটিআই সরকার গঠনের সুযোগ পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থী ঠিক না করলেও খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের নাম ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। ফলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিশেষ করে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিবিরে হানা দিচ্ছেন নওয়াজ। সূত্র : জিও টিভি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩

পাকিস্তান ছাড়ছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা
দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। অনিশ্চিত পরিস্থিতির কারণে তারা এখন দুবাইয়ে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম প্রসারিত করছেন। গত ২০ মাস ধরে দুবাইয়ের আবাসন খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী ও ধনীরা। এছাড়া খুলেছেন আমদানি–রপ্তানির ব্যবসাও। খবর ডনের। আনোয়ার খাজা। করাচিতে তার অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা দুবাইয়ের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করছেন এটা আশ্চর্যের বিষয় না। আশ্চর্যের বিষয় হলো পাকিস্তানিরা এখন সেখানে গিয়ে ব্যবসা–বাণিজ্য শুরু করেছেন। আনোয়ার খাজা নিজেও তার ব্যবসায়ের অধিকাংশ দুবাইয়ে সরিয়ে নিয়েছেন। ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে পাকিস্তান। কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিচ্ছে দেশটিতে। অস্থিরতার এ সময়ে ধনীদের এভাবে দেশত্যাগ দুঃখজনক হলেও এ পথে পা বাড়ানোর পেছনে তাদের যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে পাকিস্তানে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এই পরিস্থিতি দেশটির ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত করে তুলেছে। করাচির অনেক ব্যবসায়ী কোনো না কোনো গোষ্ঠীকে নিয়মিত চাঁদা দেন। আনোয়ার খাজা বলেন, ‘দুবাই থেকে ব্যবসা করা খুবই সহজ, কারণ আমদানি বা রপ্তানি করার জন্য সেখানে হিসাব খুলতে কোনো সমস্যা হয় না। তাই টাকা বানানোর জন্য দুবাইয়ের আবাসন খাত সত্যিই স্বর্গ।’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৫

নির্বাচন নিয়ে যা বললেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। ভোট গণনাও শেষ। অথচ এখন পর্যন্ত সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।  অবশ্য নির্বাচন সফল হয়েছে দাবি করে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, সব রাজনৈতিক দল এবং বিজয়ী সকল প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেনারেল মুনির। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সংবিধানে বর্ণিত গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার প্রদর্শন করেছেন। একইসঙ্গে হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোট গ্রহণের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য সর্বোচ্চ প্রশংসার দাবি রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এছাড়াও জাতীয় গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বেসামরিক প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত গঠনমূলক ভূমিকা নির্বাচন সফলে ভূমিকা রেখেছে। বিবৃতি আরও বলা হয়, নির্বাচন জয়-পরাজয়ের শূন্য-সমষ্টি নয় বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের একটি মহড়া। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসন ও সেবা করার প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা উচিত যা গণতন্ত্রকে কার্যকরী ও উদ্দেশ্যমূলক করার একমাত্র উপায় হতে পারে। পাকিস্তানের জনগণ যেহেতু পাকিস্তানের সংবিধানের প্রতি তাদের সম্মিলিত আস্থা রেখেছে, এখন রাজনৈতিক পরিপক্বতা এবং ঐক্যের সঙ্গে এর প্রতিদান দেওয়া সব রাজনৈতিক দলের ওপর কর্তব্য। উল্লেখ্য, ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে ইতোমধ্যে। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের অধিকাংশই কারাবন্দি ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে ফলাফলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। এই দুটি দলই জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০৬টি আসন। তাদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ৯৯ জন। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৩টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৮

অবশেষে নতুন বোর্ড প্রধান পেল পাকিস্তান ক্রিকেট
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ‘মিডিয়া মোঘল’ হিসেবে পরিচিত মহসিন নাকভি। আগামী তিন বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন পাঞ্জাব রাজ্যের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী নাকভি। পিসিবির দেওয়া বিবৃতিতে নাকভির মন্তব্য, আমি সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হওয়ায় গভীরভাবে সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞবোধ করছি। তিনি যোগ করেন, আমি খেলার মান বাড়াতে এবং পাকিস্তান ক্রিকেট প্রশাসনে পেশাদারিত্ব আনতে সম্পূর্ণভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রমিজ রাজা সরে যাওয়ার পর নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান ৪৫ বছর বয়সী নাকভি। রমিজের পরবর্তী সময়ে বোর্ডের অন্তর্বর্তী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নাজাম শেঠি ও জাকা আশরাফ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-০ এবং নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছে দ্য গ্রিন ম্যানরা। তাই নাকভির প্রথম কাজই হবে ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো এবং জাতীয় দলের পারফরমেন্সের উন্নতি করা। নাকভির জন্য ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮ জাতির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৮

মার্কিন নাগরিকদের পাকিস্তান সফরে যেতে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে পাকিস্তান সফরে ইচ্ছুক মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর শনিবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভ্রমণ পরামর্শে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন মিছিল, সমাবেশ এবং নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সম্ভাব্য বিঘ্ন এবং সুরক্ষা উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে দিন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাবে। এরই অংশ হিসেবে মিছিল, সমাবেশ ও বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত যা যে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম। এতে ট্র্যাফিক অবরুদ্ধ, পরিবহন ব্যাহত হতে পারে। যার ফলে অবাধ চলাচল এবং সুরক্ষায় বাধা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে এবং তারা যেসব এলাকায় যেতে চান সেসব এলাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের স্থান সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি, নির্বাচনের দিন, ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকাগুলোতে জনাকীর্ণ হতে পারে। মার্কিন নাগরিকরা পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বরং এসব তাদের এড়িয়ে চলা উচিত। পাকিস্তান সফরের পরিকল্পনা করা মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং তাদের পরিকল্পিত অঞ্চলে রাজনৈতিক সমাবেশের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের আশপাশের নির্দিষ্ট এলাকায় ভিড় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন নাগরিকদের এসব স্থান এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

ভারতকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাপ্রধানের
নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তান সেনাদের ওপর কোনও হামলা হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ভারতের সেনা বাড়ানোর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এ হুমকি দেন তিনি। খবর এনডিটিভির। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) লাইন অব কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিদর্শনে যান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। সেখানে সীমান্তে দায়িত্ব পালনকারী সেনা সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি এবং তাদের সাহসিকতারও প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তার কথায় উঠে আসে ভারত প্রসঙ্গ। এ সময় নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তান সেনা সদস্যদের ওপর কোনো হামলা হলে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জেনারেল আসিম মুনির বলেন, সীমান্তের অপর পাশ থেকে যেকোনো আঘাত ঠেকিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছেন তারা।   কানাডায় শিখ নেতা হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আরেক শিখ নেতা হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে মুনির আরও বলেন, ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের নাগরিকদের টার্গেট করছে। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যেকোনো নাশকতার পরিকল্পনা রুখে দিতে প্রস্তুত।   এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীর সীমান্তে ভারত নিজেদের সেনা সদস্য বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।   কাশ্মীর সীমান্তে প্রায়ই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অঞ্চলটিকে অশান্ত করার অভিযোগ দিল্লির বেশ পুরানো। সম্প্রতি হঠাৎ করেই কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাড়তি সেনা মোতায়েন করে ভারত। এর জের ধরে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে অঞ্চলটি। এর আগে, বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চলে পাকিস্তানের সঙ্গে ডি ফ্যাক্টো সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বিগুণ করে ভারত। পশ্চিম সীমান্তের ওপার থেকে যেকেনো হামলার প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এমন তৎপরতা অঞ্চলটিকে আরও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।    
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১২

রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বেচে দিচ্ছে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার
অর্থ সংকটের কারণে পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই দেশের পতাকাবাহী এই সংস্থাটিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এক মন্ত্রীর বরাত দিয়ে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের এই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই  নিয়মিত লোকসানে পরিচালিত হচ্ছিল। এরপরও দেশটির আগের সরকার এই সংস্থাটির সংস্কার বা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে গত বছরের জুনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের আওতায় তৎকালীন সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল।  উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কাজ দেশে নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু আগস্টে বিদায়ী নির্বাচিত সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আইএমএফের সঙ্গে ঋণ চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে যায়। তার সূত্র ধরেই, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার পিআইএ বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।    পাকিস্তান সরকারের বেসরকারিকরণ বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ হাসান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘পিআইএ বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করা সংক্রান্ত কার্যক্রম ৯৮ শতাংশই সমাধান হয়ে গেছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর এক্সেল শিটে হিসাব-কিতাব করে বাকি ২ শতাংশও শেষ করা হবে।’ ফাওয়াদ হাসান বলেন, লেনদেন বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং পিআইএ বিক্রির পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করেছে। এই পরিকল্পনা নির্বাচনের পর বর্তমান প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা টেন্ডারের মাধ্যমে বা সরকার থেকে সরকারি চুক্তির মাধ্যমে পিআইএ-এর শেয়ার বিক্রি করবে কি না তাও সিদ্ধান্ত নেবে।  আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার ঠিক সাত দিন আগে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিক্রির সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নে পাকিস্তানের এই মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র চার মাসে আমরা যা করেছি, তা অতীতের সরকারগুলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে করার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারেনি। এখন আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।’ 
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৮

রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বেচে দিচ্ছে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার
অর্থ সংকটের কারণে পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই দেশের পতাকাবাহী এই সংস্থাটিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এক মন্ত্রীর বরাত দিয়ে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের এই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই  নিয়মিত লোকসানে পরিচালিত হচ্ছিল। এরপরও দেশটির আগের সরকার এই সংস্থাটির সংস্কার বা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে গত বছরের জুনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের আওতায় তৎকালীন সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল।  উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কাজ দেশে নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু আগস্টে বিদায়ী নির্বাচিত সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আইএমএফের সঙ্গে ঋণ চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে যায়। তার সূত্র ধরেই, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার পিআইএ বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।    পাকিস্তান সরকারের বেসরকারিকরণ বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ হাসান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘পিআইএ বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করা সংক্রান্ত কার্যক্রম ৯৮ শতাংশই সমাধান হয়ে গেছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর এক্সেল শিটে হিসাব-কিতাব করে বাকি ২ শতাংশও শেষ করা হবে।’ ফাওয়াদ হাসান বলেন, লেনদেন বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং পিআইএ বিক্রির পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করেছে। এই পরিকল্পনা নির্বাচনের পর বর্তমান প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা টেন্ডারের মাধ্যমে বা সরকার থেকে সরকারি চুক্তির মাধ্যমে পিআইএ-এর শেয়ার বিক্রি করবে কি না তাও সিদ্ধান্ত নেবে।  আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার ঠিক সাত দিন আগে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিক্রির সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নে পাকিস্তানের এই মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র চার মাসে আমরা যা করেছি, তা অতীতের সরকারগুলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে করার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারেনি। এখন আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।’ 
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২২

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল পাকিস্তান
পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পাল্টা জবাব কূটনৈতিকভাবে দিল ইসলামাবাদ। কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই ইসলামাবাদে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। এর আগে ইরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের কথা জানায় পাকিস্তান। এ ছাড়া ২ দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সব বৈঠক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ বলেন, ইরান থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে বর্তমানে তেহরানে অবস্থান করা ইরানি রাষ্ট্রদূতও আপাতত ইসলামাবাদে ফিরছেন না। এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটিতে মঙ্গলবার রাতে ‘বিধিবহির্ভূতভাবে’ বিমান হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে ২ শিশু নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। তবে কোথায় এ হামলা হয়েছে, তার উল্লেখ ছিল না বিবৃতিতে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের এ লঙ্ঘন সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পরিণাম গুরুতর হতে পারে। পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে কয়েকটি যোগাযোগের মাধ্যম থাকা সত্ত্বেও এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি আরও বেশি উদ্বেগের।  এ ঘটনাকে ‘বিনা উসকানিতে আকাশসীমা লঙ্ঘন’ বলে অভিযোগ করে ইসলামাবাদ। জানা যায়, বেলুচিস্তান প্রদেশে সীমান্তবর্তী পাঞ্জগুর শহরে এ হামলা হয়েছে। বেলুচিস্তান প্রদেশের সঙ্গে ইরানের প্রায় এক হাজার কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ইরানের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ আল-আদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুটি ঘাঁটি নিশানা করে এই হামলা চালিয়েছে ইরান।  এ নিয়ে গত কয়েক দিনে তৃতীয় কোনো দেশে হামলা চালাল ইরান।  এর আগে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে দেশটি। ইরাকের কুর্দিস্তানে ‘মোসাদের সদর দপ্তর’-এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছিল ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়