• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জি এম কাদেরকে পা ছুঁয়ে সালাম করলেন রাঙ্গা
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দল থেকে বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় মশিউর রহমান রাঙ্গা জি এম কাদেরকে পা ছুঁয়ে সালাম করেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর স্কাইভিউ এর বাসায় জি এম কাদেরের কক্ষে গিয়ে সাক্ষাৎ শেষে পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। জি এম কাদেরকে সালাম করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, জি এম কাদেরের সামনে হাঁটু গেরে বসে পায়ে একহাত রেখে কথা বলছেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। আর মুচকি হেসে রাঙার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন জি এম কাদের। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের জানান, জি এম কাদেরের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। এ কারণে প্রতিবার ঈদে জি এম কাদের এর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সালাম করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে সন্ধ্যায় রংপুরের স্কাই ভিউয়ের বাসায় গিয়ে জি এম কাদেরের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের। তবে এর বাইরে দল কিংবা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। রাজনীতিতে কিংবা জাতীয় পার্টিতে আবার সক্রিয় হলে সবাই জানতে পারবেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮

চাঁদরাতে পা ফেলার জায়গা নেই মৌচাক-নিউমার্কেটে
দেখতে দেখতে চলে গেল পবিত্র রমজান। রাত পোহালেই খুশির ঈদ। চাঁদরাতের বেচাকেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। শেষ সময়ে ক্রেতারা ভিড় করছেন রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে। চাঁদরাতে পা ফেলার জায়গা নেই রাজধানীর মৌচাক ও নিউমার্কেট এলাকায়।   বুধবার (১০ এপ্রিল) ঘড়ির কাটায় তখন বাজে রাত পৌনে এগারটা। রাজধানীর মালিবাগ ও মৌচাক এলাকায় ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। সেই সঙ্গে রাস্তায় দেখা যায় সারি সারি গাড়ি। ছিল যানবাহনের প্রচুর চাপ। যদিও রাজধানীর অন্য এলাকায় রাস্তায় গণপরিবহন নেই বললেই চলে। এছাড়া নিউমার্কেটের সামনের রাস্তায় রাত সাড়ে এগারটায় ছিল সারি সারি গাড়ি। ফুটপাতে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। চাঁদরাতের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। বিক্রেতাদেরও শ্বাস ছাড়ার সময় নেই। রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা আবেদা রহমান। ফরচুন মার্কেটে এসেছেন মেয়ের হাতে মেহেদী লাগাতে। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, ফরচুন মার্কেটে প্রতিবছর মেয়েরা মেহদী লাগায়। এখানে মনের মত করে হাতে মেহেদী লাগানো যায়। যদিও খরচ একটু বেশি। প্রতিহাতে ২০০ টাকা করে মোট ৮০০ টাকা খরচ হলো। এটা ব্যয়বহুল। তারপরেও মনের মত ডিজাইন করতে পেরেছি। ভাল লাগছে। ঈদ এলেই চাঁদরাতে হাতে মেহেদী লাগিয়ে রোজগার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রথমপর্যায়ে মনে হবে হাতে মেহেদী লাগতে এত খরচ। আসলে অনেক সময় নিয়ে ডিজাইন করে কাজটি করতে হয়। পারিশ্রমিক তো নিতে হবে। এটা খুব বেশি না। তাইমু ইসলাম। বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মামার বাসায় ঈদ করতে এসেছেন। মৌচাক মার্কেটের উল্টোপাশে তার সঙ্গে একটি নামী ব্যান্ডের জুতার দোকানে কথা হয়। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, চাঁদরাতে কেনা কাটার মজা আছে। অনেক সময় একটু কমে ভাল জিনিস পাওয়া যায়। কেননা শেষ সময়ে বিক্রেতারা কম লাভেই বিক্রি করে। পাঞ্জাবি, জুতা ও টিশার্ট নিলাম। দাম অন্য সময়ের তুলনায় অনেকটা কম। মৌচাক মার্কেটের কাপড়ের ব্যবসায়ী জুনায়েত। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, চাঁদরাতে শেষ সময়ে বিক্রি ভাল। এখন কম লাভে, কখোনও বা কেনা দামে বিক্রি করছি। ক্যাশ দরকার। চাঁদরাতে ক্রেতাদের চাপ আছে। কামরাঙ্গীর চর থেকে নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন নাজমা আক্তার। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, চাঁদরাতে নিউমার্কেটে কম দামে ভাল জিনিস পাওয়া যায়। প্রতিবছর আমরা চাঁদরাতেই কেনাকাটা করি। এবছরও পরিবারের সবার জন্য কম বেশি কেনাকাটা করেছি। গাউছিয়ার পাশের সড়কের ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করছেন লালবাগের বাসিন্দা রাসেল আহমেদ। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, মার্কেটের ভিতরে দাম বেশি। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ। তাই ফুটপাত থেকেই পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। মান একবারে খারাপ না। দাম কম। তাই আমাদের জন্য সুবিধা। মাকের্ট থেকেতো আমাদের মতো মানুষের কেনাকাটা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে সবাই কেনাকাটা করে গ্রামে চলে যায়। আর চাঁদরাতে কম দামে ভাল জিনিস পাওয়া যায়। ঈদের আগের রাতেই কিনতে ভাল লাগছে। এবার গ্রামে যাব না। ঢাকায় ঈদ করবো। তাই শেষ সময়ে মার্কেটে এসেছি। ফুটপাতের বিক্রয়কর্মী শফিক মিয়া বলেন, ৩০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে মেয়েদের সব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিচ, টু পিস গাউন, টপস, বোরকা মতোর গাউন, লং ফ্রক। ছেলেদের টি-শার্ট, শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবি ২০০ টাকা থেকে শুরু ৮০০ টাকা পর্যন্ত আছে। চাঁদরাতে এসব মার্কেটে আসা ক্রেতারা বলছেন ফুটপাতে সাশ্রয়ীমূল্যে ভালো মানের পণ্য মেলে। একই জায়গায় সব পণ্য পাওয়া যায়। আর বিক্রেতাদেরও একই কথা। মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতে কম দামে সব পণ্য পাওয়া যায় বলে ফুটপাতে ভিড় করেন স্বলআয়ের মানুষ।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৭

পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?
আমাদের দেশে যে পা ছুঁয়ে সালাম করা বা কদমবুসি করার প্রথা প্রচলিত আছে তা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলা ইসলামের দৃষ্টিতে সালাম বলে। হাদিসে মুসাফাহা-মুআনাকার কথা আসলেও কদমবুসির কথা আসেনি। আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যখন তার কোনো ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহলে কি কেবল হাত ধরবে ও মুসাফাহা করবে? রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিজি: ২৭২৮; ইবনে মাজাহ: ৩৭০২; আহমদ: ১৩০৪৪) রাসুল (স.) মাথা ঝুঁকাতে নিষেধ করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, পা ছুঁয়ে ‘সালাম’ করার সময় সাধারণত মাথা ঝুঁকে যায়। আর ‘রুকুর কাছাকাছি হয়ে সালামের জন্য ইশারা করা, ঝুঁকে পড়া এসব মাকরুহ।’ (সাকবুল আনহুর: ৪/২০৫) আরেক হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘যখন দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হয়, তারপর তারা মুসাফাহা করে, তাহলে তারা পরস্পর আলাদা হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৫৪৭, ইবনে মাজাহ: ৩৭০৩, আবু দাউদ: ৫২১২, তিরমিজি: ২৭২৭) হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের লক্ষ করে বললেন, হে বৎস! তুমি গৃহে পরিবার-পরিজনের কাছে প্রবেশকালে সবাইকে সালাম করবে। এতে তোমার এবং তোমার গৃহের সবার জন্য কল্যাণ হবে।’ (তিরমিজি: ২৬৯৮, আলমুজামুল আওসাত: ৫৯৯১) তবে কেউ কেউ কদমবুসি বা পদচুম্বনকে সম্মানসূচক জায়েজ বলেছেন। তবে সেই সঙ্গে শর্তও দিয়েছেন। শর্ত হচ্ছে, ‘যদি রুকু বা সেজদার সুরত হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে না। (আলমুজতাবা: ৪/২০৫, আলমুহিতুল বুরহানি: ৮/১১৮, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩৬৯) ইসলামে উত্তমভাবে সালাম ও সালামের উত্তর দেওয়ার কথা রয়েছে। সাহাবায়ে কেরামরা রাসুল (সা.)-কে আসসালামু আলাইকুম বলেই সালাম দিয়েছেন। হাদিসে লক্ষণীয়, যত উত্তমভাবে সালাম দেওয়া যায় তত বেশি সওয়াব। আবার উত্তমভাবে সালামের জবাব দিতেও বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।’ (সুরা নিসা: ৮৬) ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর নিকট এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম’। রাসুলুল্লাহ (স.) তার সালামের উত্তর দিলে লোকটি বসল। তারপর রাসুল (স.) বললেন ‘দশ’। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।’ রাসুল (স.) তার সালামের উত্তর দেয়ার পর লোকটি বসল। তার সম্পর্কে রাসুল (স.) বললেন ‘বিশ’। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু’, রাসুল (স.) তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন ‘ত্রিশ’। (আবু দাউদ: ৫১৯৫; তিরমিজি: ২৬৮৯)
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৩

নিখোঁজের পর শিশুর হাত, পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে আহসান বিশ্বাস নামের ৪ বছরের শিশুর টেপ দিয়ে হাত, পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।   শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের কচুরিয়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।  নিহত আহসান বিশ্বাস নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার জয়নগর ইউনিয়নের শুক্তাইল গ্রামের মোঃ কামরুজ্জামানের ছেলে। সে মোল্লাহাট উপজেলার কচুরিয়া গ্রামের নানা মাওলানা ফিরোজ আহমেদের বাড়িতেই থাকতো। মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশু আহসান বিশ্বাস নিখোঁজ হয়। এদিন রাতে নিহতের পিতা মোল্লাহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর তিনিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে বিভিন্ন স্থান খুঁজাখুঁজি করেন। রাতে সন্ধান না মেলায়  শনিবার সকালে মোল্লাহাট থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে বিভিন্ন  স্থানে খোঁজ করেন। দুপুরে পার্শ্ববর্তী একটি পানের বরজের ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মুখে পলিথিন দিয়ে এবং হাত-পায়ে টেপ প্যাঁচানো ছিল।     তিনি আরও জানান,  ঘটনা তদন্তে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের একাধিক টিমসহ পুলিশের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২২

এক পা নিয়ে জন্ম নিলো শিশু, পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক শিশু। অস্বাভাবিক হওয়া শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবার। শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।  বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে বিরামপুর সিটি ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম দেন নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুড়িয়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক মাহফুজুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। দুটি সন্তানের মধ্যে একটি স্বাভাবিক হলেও অপর শিশুটি মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় শিশুটিকে কোনো কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। এদিকে শিশুটির সুস্থ্যতা কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছে পরিবার।   শিশুর নানি আক্তারা বেগম বলেন, বিকেলে বিরামপুরে সিজারের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে এক মেয়ে শিশু সুস্থ আছে। অপরটি শিশুটির একটি পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। পাশাপাশি তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা নেই। তাকে রাতে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশুটির সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি। এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফজলে রাব্বী বলেন, রাতে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন বর্তমানে সুস্থ আছে। কিন্তু তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় আপাতত কোন ধরনের খাবার দেয়া হচ্ছে না। শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যদি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো হয় তাহলে এনাল ওপেনিং সার্জারির মাধ্যমে মলদ্বার চালু করা সম্ভব হবে। ইতিপূর্বে এই হাসপাতালে সার্জারির মাধ্যমে বহু মলদ্বার চালু করা হয়েছে। কিন্তু শিশুটির প্রসাবের রাস্তা চালুর বিষয়ে সংশয় রয়েছেন তিনি।  এদিকে বুধবার রাতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। ভবিষ্যতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, শিশুটির জন্মের পর পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিশুর পরিবারকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শিশুর সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।   
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পা ধরে কাঁদলেন নিবন্ধনধারীরা
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পেতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ১-১৫তম (অনূর্ধ্ব ৩৫) নিবন্ধন সনদধারী ফোরাম। এ সময় তাদের সঙ্গে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম কথা বলতে আসেন। তাকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মানববন্ধনকারীরা। তাদের অনেকে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পা ধরেও কাঁদেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘যাদের সনদের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রম হয়ে গেছে আমরা আবেদনের সুযোগ দিতে পারি না। এমন কোন আইন নেই। তবে সরকার চাইলে বিষয়টি সমাধান করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। আমাকে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আপনাদের বিষয়টি আমি অনুধাবন করেছি। তবে আমার হাতে কিছু করার নেই। আদালত যদি আদেশ দেন অথবা রাজনৈতিকভাবে যদি এটার সমাধান করা যায়, তাহলে আবেদনের সুযোগ দিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’ এদিন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের প্রবেশ পথে বসে পড়েন এবং সেখানে অবস্থান নেন ১-১৫তম নিবন্ধনের সনদধারীরা।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৮

বলিউডে পা রাখছেন উরফি জাবেদ
শোবিজের স্টাইলিশ তারকা উরফি জাভেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্ভট পোশাকের কারণে বরাবরই আলোচনার শীর্ষে থাকেন তিনি। অদ্ভুত সব পোশাকের কারণে নানা ঝামেলায় পড়লেও কোনোকিছুকেই পাত্তা দেন না উরফি। এবার শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই নাকি বলিউডে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি।    দীর্ঘদিন ধরেই হিন্দি সিনেমায় কাজ করতে চাচ্ছিলেন উরফি। অবশেষে সেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আগামী মাসে মুক্তি পাচ্ছে দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় নির্মিত ‘লাভ সেক্স অউর ধোকা’ সিনেমার সিক্যুয়েল।  জানা গেছে, এই সিনেমার একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন উরফি। এর আগে শোনা যায়— সিনেমাতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে তুষার কাপুর ও মৌনী রায়কে। এবার উরফি সেখানে কোন চমক হাজির করেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সিনেমাপ্রেমীরা।   সিনেমার বিষয়বস্তুর কথা চিন্তা করেই নির্মাতারা একজন সমাজমাধ্যম প্রভাবীর চরিত্র নির্মাণ করেছেন। সবদিক বিবেচনা করে, এই চরিত্রে তারা উরফিকেই পছন্দ করেন।  বিতর্ককে কখনোই দিন পাত্তা দেননি উরফি। সেটা বরাবরই নিজের কাজেকর্মে বুঝিয়ে দেন তিনি। এবার অভিনয়ে দিয়ে উরফি ভক্তদের মন জয় করে নিতে পারবেন কি না, সেটাই দেখার।  সূত্র : আনন্দবাজার   
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:২৬

বড় পর্দায় পা রাখছেন কিংবদন্তি আশা ভোঁসলের নাতনি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারকা পরিবারের সন্তানরাও তাদের দেখানো পথেই হাঁটেন। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে রুপালি পর্দায় পা রেখেছেন সুহানা খান, খুশি কাপুর, সারা আলী খান, সোনম কাপুরসহ আরও অনেকেই। এবার শোবিজে পা রাখতে যাচ্ছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলের নাতনি ভোঁসলে ডেবিউ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাতনির রুপালি পর্দায় অভিষেকের বিষয়টি একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন আশা ভোঁসলে। তবে কোন সিনেমায় ও কোন চরিত্রে দেখা যাবে ভোঁসলে? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যে্র জট বেঁধেছে গায়িকার ভক্তদের মনে। এক্স হ্যান্ডলে আশা ভোঁসলে লেখেন, আমার নাতনি ভোঁসলে আসন্ন গ্র্যান্ড এপিক ‘দ্য প্রাইড অব ভারত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখতে দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমি আশা করি সিনেমার ইতিহাসে ও নিজের প্রত্যাশিত স্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে এবং ওকে ও সন্দীপ সিংকে শুভেচ্ছা জানাই। সিনেমাটি নির্মাণ করবেন পরিচালক সন্দীপ সিং। তিনি বলেন, ভোঁসলের সঙ্গে কাজ করতে পারার জন্য আমি অত্যন্ত সম্মানিত এবং সম্পূর্ণভাবে সৌভাগ্যবান বোধ করছি। লতা মঙ্গেশকরজী-আশা ভোঁসলেজির নাতনি তিনি। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও বেশ পারদর্শী। আশা করছি ‘রানি সাই’ চরিত্রটি তিনি সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।  প্রসঙ্গত, ‘দ্য প্রাইড অব ভারত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ’ সিনেমার জন্য বিশাল আকারে সেট তৈরি হচ্ছে। এটি ২০২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা। কারণ এদিন দিন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ জয়ন্তী।   সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস    
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬

পা হারিয়েও থেমে নেই আসিফ
বয়স তখন ৭ কি ৮। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তখন তিনি। একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রেন লাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হারিয়েছেন ২ পা। ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারালেও জীবনযুদ্ধে হারতে নারাজ তিনি। বলছিলাম ঢাকার খিলগাঁও থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু মো. আসিফের কথা। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাবির রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে বিজ্ঞান শাখার বিভিন্ন বিভাগ অন্তর্গত ‘সি’ ইউনিটের গ্রুপ-২ এর ভর্তি পরীক্ষায় হুইল চেয়ারে করে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাকে।   কথা বলে জানা যায়, আসিফ মনিপুর স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। তারা দুই ভাই এক বোন। তিনি সবার বড়। তিনি যখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন, তখন একদিন বাড়ি থেকে দাদার সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার পথে দৌড়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেন দুর্ঘটনার স্বীকার হন তিনি। সেই দুর্ঘটনায় জীবন না গেলেও তিনি হারান নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পা। আসিফ জানায়, দুটি পায়ের শূন্যতা তার জীবনের উদ্দেশে কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বরং এটি তাকে  কঠোর পরিশ্রম করার জন্য উদ্যমী করে তুলেছে। স্কুল ও কলেজ সব জায়গায় তিনি ভালো ফলাফল অর্জন করেছেন। আর তার এই পর্যন্ত আসার পেছনে নিজের বাবা-মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। যা বলার মতো নয়। তার বন্ধুরাও তাকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা না করে বরং তাকে সাহায্য করেছে। ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আসিফ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা ভালো হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাবি, জাবি এবং চবিতে পরীক্ষা দিয়েছি। যেকোনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা।  ক্যারিয়ার গড়তে জাপানে যাওয়ার ইচ্ছাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়