• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ ঘর থেকে আজিদা বেগমের (৪০) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি স্বামীসহ ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আজিদা বেগম নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার হাইলাটি গ্রামের রুমালী হোসেনের মেয়ে। সে উপজেলার জৈনা বাজারে স্থানীয় দুলাল কুমার ঘোষের পাবনা হোটেলের রান্নার কাজ করতেন। জৈনা বাজারের পাবনা হোটেলের মালিক দুলাল কুমার ঘোষ বলেন, প্রায় ৬ মাস যাবৎ আজিদা বেগম আমার হোটেলে কাজ করতেন। তিনি রান্না ও থালা-বাসন ধোয়ার কাজে সহযোগিতা করতেন। কখনো তার স্বামীকে দেখিনি। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, প্রায় ৯ মাস পূর্বে আজিদা বেগম তার স্বামীকে নিয়ে নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের টিনশেড রুমের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। তার স্বামী স্থায়ীভাবে বসবাস না করলেও নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন। স্ত্রীর পরিচয় পাওয়া গেলেও স্বামীর পরিচয় কেউ জানাতে পারেনি। তার স্বামীর ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বাড়ির মালিককে বলতো সে মাওনা চৌরাস্তায় কাজ করতেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে ঘর তালাবদ্ধ থাকায় কেউ খোঁজখবর নেয়নি। দুর্গন্ধ ও মশা-মাছি ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে মেঝেতে ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশে বঁটি ও দা পড়েছিল। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার কোনো একসময় বঁটি দিয়ে ওই নারীর স্বামী তাকে গলা কেটে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। স্বামীর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামীই গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, ছেলে পলাতক 
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় টাকা না দেওয়ায় আব্দুল কাদের (৬০) নামে এক বাবাকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে ছেলে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে আরিফ হোসেন (২০) পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।  নিহত আব্দুল কাদের ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ছয় ছেলের বাবা। এর মধ‍্যে ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট ছেলে।  ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রায়ই টাকার জন্য বাবাকে নির্যাতন করত ছেলে আরিফ। গত কিছুদিন আগেও বাবার কাছ থেকে পনের হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল ক্রয় করে মাদকাসক্ত আরিফ। ঘটনার দিন রাত ৯ টার দিকে আরিফ হঠাৎ করে দশ হাজার টাকার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা না দিলে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করবে বলে জানায়। এই ভয়ে বাবা আব্দুল কাদের আলাদা বাড়ি করা বড় ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে বড় ছেলে বাবাকে অভয় দিয়ে বাড়িতে রেখে যায়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আব্দুল কাদের আবারও ভয়ে বড় ছেলের বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় পথিমধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আরিফ পেছন থেকে বাবার পেটে পিঠে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ছেলে আরিফ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যা, স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ আমেনা খাতুনকে (২১) নির্যাতনে হত্যার পর লাশ টয়লেটের ভেতর ফেলে স্বামীসহ শ্বাশুড়ি ও দেবর পালিয়েছে।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মাওনা ইউনয়নের চকপাড়া (সলিংমোড়) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধূ আমেনা খাতুন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কুটিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মাওনা ইউনিয়নের সলিংমোড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। স্বামী আনোয়ার হোসেন মাওনা ইউনিয়নের সলিংমোড় এলাকার মঞ্জুর আলীর ছেলে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। নিহতের মা মনোয়ারা বেগম তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেন। গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেন (২৫), শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৫০), দেবর দেলোয়ার (২২) এবং মামি শাশুড়ি রেনু আক্তার (৩৮) ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন। নিহতের মা মনোয়ারা বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েকে লোকজন নির্যাতন করত। তাদের অব্যাহত নির্যাতনে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার একাধিকবার সালিস বৈঠক করেও কোন সুরাহা করতে পারেনি। শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় মেয়ে মামি শাশুড়ি রেনু আক্তার ফোন করে জানায় আমেনা মারা গেছে। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখি বাড়ীতে কেই নাই। ঘরের ভেতরে টয়লেটে মেয়ের লাশ পড়ে আছে। আশপাশের লোকজনের কাছে শুনেছি শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে স্বামীসহ তার শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর এবং মামি শাশুড়ি আমার মেয়েকে অনেক নির্যাতন করে বাড়ীর পাশে রাস্তায় ফেলে রাখে। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় স্থানীয় আদম আলী গ্রহবধূকে রাস্তা থেকে তুলে এনে বাড়িতে দিয়ে গেলে আবার মারধর করে হত্যা করে লাশ টয়লেটে রেখে তারা পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা তাকে সবসময় নির্যাতন করত। তারা আমার মেয়েকে খুন করে আমার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে এবং দেড় বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। শ্রীপুরের মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মোল্লা বলেন, বসতবাড়ির একটি ঘরের টয়লেটের ভেতর থেকে গৃহবধূ আমেনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল করে লাশের থুঁতনির নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় রহস্য ও সন্দেহ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

গুইমারায় পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ ৩টি জিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গুইমারা থানা পুলিশ। আটককৃত আসামি গুইমারা থানাধীন হাফছড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার শৈলাথৈ মার্মার ছেলে মংশাপ্রু মার্মা।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ৩টার দিকে এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার ওসি আরিফুল আমিন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ৩টি ওয়ারেন্ট দীর্ঘদিন মুলতবি ছিল। আসামি দুর্গম পাহাড়ে পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা কঠিন হয়ে যায়। অবশেষে আমাদের একটি চৌকস টিম আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আত্মহত্যা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রাখালিয়া চালা এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালমা (৪০) উপজেলার রাখালিয়াচালা গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে। একই গ্রামের সামসুল মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়ার (৪৫) সঙ্গে তার প্রেম ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গত দুবছর ধরে আরিফ ও সালমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকেই সালমা আরিফকে তাদের বাড়িতে জানাতে চাপ দেয়। স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে আরিফের বাড়িতে সালমা বার বার আসলেও আরিফ নানাভাবে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে টালবাহানা করছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে শুক্রবার দুপুরে প্রেমিকের তালাবদ্ধ টিনসেড বাসার একটি কক্ষের তালা ভেঙে ঘরের সিলিংয়ের আড়ার সঙ্গে কাপড় দিয়ে ফাঁসি দেয় সালমা। এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার তদন্ত (ওসি) সাব্বির রহমান। তিনি বলেন, স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

শিবচরে আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামির মালামাল ক্রোক
মাদারীপুরের শিবচরে আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামির বসতঘরের মালামাল ক্রোক করেছে পুলিশ।   বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কাদির মুন্সীর চরকান্দি গ্রামের পলাতক আসামি মিলন বিবির (৪২) বসতবাড়ি থেকে মালামাল ক্রোক করা হয়।  আসামি মিলন বিবি ওই গ্রামের প্রবাসী শাজাহান শনির স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় করা চেক ডিজঅনারের এক মামলায় আসামি মিলন বিবি দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক রয়েছেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় ফরিদপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাসিম মাহমুদ আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশ প্রদান করে। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বিকেলে শিবচর থানার এসআই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামির ঘরের মালামাল জব্দ তালিকা মূল্যে ক্রোক করে। ক্রোককৃত মালামালগুলো হলো- একটি পুরাতন স্টিলের আলমারি, একটি পারটেক্সের পুরাতন ড্রেসিং টেবিল,  একটি প্লাস্টিকের পুরাতন ডাইনিং টেবিল, একটি গ্যাসের চুলা, একটি প্লাস্টিকের পুরাতন স্ট্যান্ড ফ্যান, একটি পুরাতন রাইস কুকার, মাঝারি সাইজের পুরাতন পাতিল, একটি পুরাতন খালি গ্যাস সিলিন্ডার। প্রতিবেশীর মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে আসামি মিলন বিবি বলেন, আমি জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ এনেছিলাম। কোন এনজিও মামলা করেছে আমি কিছুই জানি না। শিবচর থানার এসআই আলমীর হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে আসামির মালামাল ক্রোক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৪

প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আ.লীগ নেতা পলাতক
সুনামগঞ্জের প্রেমিককে বেঁধে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার বন্ধুরা। শুক্রবার (৯ মার্চ) রাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার বন্ধুরা ফেরারি রয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রেমিক-প্রেমিকার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুরে আর ছেলেটির বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ গ্রাম। কয়েকমাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার তাড়া বাড়ি থেকে পালিয়ে কামারগাঁওয়ে ছেলেটির বন্ধু আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। সন্ধায় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আবদুল করিম তাদের আফাজ উদ্দিনের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলে। রাতে জালালপুর গ্রামের ভেতর গিয়ে আবদুল করিম অটোরিকশায় গ্যাস নেই জানিয়ে তাদের নামিয়ে দেয় এবং মান্নারগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক আফছর উদ্দিনকে ডেকে আনে। এরপর ওই নেতা তাদের মারধর ও পুলিশে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। ভয়ে ওই তরুণ বন্ধুর বাবা মিয়াজান আলীকে ফোন দেয়। মিয়াজান আলী ঘটনাস্থলে এলে তাকেও ওই নেতা ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে রাত ১টার দিকে দু’জনকে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে ছেলেটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আফছর ও তার বন্ধু ফয়জুল বারী, কামারগাঁওয়ের আবদুল করিম ও জালালপুরের ছয়ফুল ইসলাম মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। শনিবার (৯ মার্চ) ভোরে অসুস্থ কিশোরী ও তার প্রেমিককে আবার করিমের অটোরিকশায় তুলে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে পাঠায় আফসার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাটাখালী বাজারের কাছে এসে তাদেরকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয় করিম। সকালে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সিকান্দার আলীর সহযোগিতা চায় তারা। ওই পুলিশ সদস্য শনিবার দুপুরে ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দেন। বিকেলে পুলিশ এসে নির্যাতিতা ও তার প্রেমিককে তাদের হেফাজতে নেয়। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা নির্যাতিতা ও তার প্রেমিকের বক্তব্যও শুনছেন। রাতেই নির্যাতিতা কিশোরী আফসরসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৯

মাদক মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামি মো. ইব্রাহিমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে তাকে শহরের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইব্রাহিম ভাদুঘর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ২০১১ সালে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা ছিল। সেই মামলায় ২০১৪ সালে আদালত রায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডাদেশের পর থেকে ইব্রাহিম পলাতক ছিল। অবশেষে তাকে ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেলেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:০০

চালক-হেলপার হত্যা, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার 
ট্রাকচালক ও হেলপার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১২ ও র‍্যাব-৪ এর সদস্যরা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব-১২ এর হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শাহাদাৎ হোসেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের মৃত কাইয়ুম মোল্লার ছেলে। র‍্যাব কমান্ডার বলেন, ২০১০ সালের ৪ আগস্ট ভোমরা স্থলবন্দর থেকে ট্রাকচালক মো. জয়নাল হোসেন (৪০) ও হেলপার রুবেল রাসেল (২৮) পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পরবর্তীতে ৬ আগস্ট পাথরবোঝাই ট্রাকটি ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন শ্রীরামপুর নামক স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং ৭ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানা এলাকা থেকে ট্রাকের চালক এবং হেলপারের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ট্রাকচালকের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‍্যাব কমান্ডার আরও বলেন, মামলার তদন্ত শেষে শাহাদাৎ হোসেনসহ ৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর আসামি শাহাদাৎ হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামি শাহাদাৎ হোসেন আত্মগোপনে চলে যায় এবং সাভার থানার কর্ণপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন কর্ণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫২

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা মামলায় আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমানুল্লাহ ওরফে রিপনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম পাবনা জেলা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমানুল্লাহ ওরফে রিপন গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আবুছদ্দীনের ছেলে। আজ মঙ্গলবার তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মহসিন আলীর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল আমানুল্লাহ ওরফে রিপনদের। এরই জেরে ২০০৫ সালে মহসিন আলীকে হত্যা করে তারা। এ ব্যাপারে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলায় ২০১৯ সালে আমানুল্লাহ ওরফে রিপনের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। সে সময় থেকে আমানুল্লাহ পলাতক ছিলেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমানুল্লাহ ওরফে রিপন পাবনা জেলা শহরে বিদেশি পাখির ব্যবসা করতেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাংনী থানার এসআই শিমুল, এএসআই তাওহীদ ও এএসআই মাহবুবসহ সঙ্গীয় ফোর্স তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়