• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পর্যাপ্ত অর্থ দেবে জাতিসংঘ 
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলমান অর্থবছরে দেশের ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়, আরও অর্থায়ন প্রয়োজন। আর এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরীবাগে নিজ বাসভবনে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জলবায়ু সংক্রান্ত ক্ষতির টাকা কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইসও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা পাবে তা নিয়ে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার উপায়, অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, এডভোকেসি, বন্যা মোকাবিলা, কমিউনিটি এডাপটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। বৈঠকে জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং প্লাস্টিক দূষণের মতো গুরুতর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০১

পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও অস্থির চালের বাজার
দীর্ঘদিন উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকার পর ফের অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও রাজধানীর পাইকারি বাজারে চিকন ও মোটা চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।  শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাবুবাজার ও বাড্ডা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।  সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও নতুন ও পুরনো চাল বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে মোটা ও চিকন চাল কেজিতে বেড়ে গেছে চার থেকে ছয় টাকা। মোটা চাল ব্রি-২৮ মানভেদে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। খুচরা বাজারে চিকন চালের মধ্যে মিনিকেট মানভেদে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল মানভেদে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।   এ বিষয়ে চাল ব্যবসায়ী ও চালকলের মালিকরা বলছেন, কৃষকের কাছ থেকে মিল মালিকরা এবার বাড়তি দামে ধান কিনেছেন। এতে তারা নতুন করে কিছুটা দাম বাড়িয়ে বাজারে চাল ছাড়ছেন। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজার নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে। নানা অজুহাতে চালকল মালিকরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারওয়ান বাজারের চালের এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, নির্বাচনের এক দিন পর মিলাররা হঠাৎ কারসাজি করে চালের দাম বস্তায় ২৫০ টাকার বেশি বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়েও চালের দাম বেড়েছে। সাধারণত যখন চালের দাম বাড়ে, তখন এক লাফে বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ে। কিন্তু এবার এক লাফে বস্তাপ্রতি প্রায় ৩০০ টাকার মতো বাড়িয়ে দিয়েছেন মিলাররা।  এ ব্যাপারে বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাড়তি দামে ধান কিনতে হয়েছে মিলারদের। এতে চালের দাম বাড়তি। মিলাররা বস্তাপ্রতি চাল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। বাড্ডা বাজারে চাল কিনতে আসা এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমন মৌসুম শেষ হতেই চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে সব পণ্যের দাম কয়েক দফা বাড়লেও চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। নতুন করে চালের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে গেল। বাজারে সরকারের নজরদারি নেই বলেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চালের দাম বাড়াতে সাহস পাচ্ছে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়