• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেজরিওয়ালকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ
ভারতে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ এপ্রিল) কেজরিওয়ালের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে এ রায় দেন দিল্লির রোজ এভিনিউ আদালত।  এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের (ইডি) হাতে গ্রেপ্তার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে অবশ্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ বার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু কোনোবারই সাড়া দেননি তিনি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২১ সালে দক্ষিণ ভারতের একটি মদ প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছিলেন কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সঞ্জয় সিং। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দিল্লিতে ওই কোম্পানির ব্যবসার সুবিধার জন্য সরকারি মদবিক্রয় নীতিতে পরিবর্তন আনবে দিল্লির রাজ্য সরকার এবং তার বিনিময়ে ১০০ কোটি রুপি ঘুষ দেবে ওই কোম্পানি। এ অভিযোগে গত বছর মনীষ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিংকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরে জিজ্ঞাসাবাদকালে তাদের বয়ানে উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রী  কেজরিওয়ালের নাম। আম আদমি পার্টির (এএপি) অভিযোগ, কেজরিওয়ালকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি সাজানো এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে ইডির অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করছেন না এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।  এদিকে সোমবার রায়ের পর আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে নিজের এ অবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি দায়ী করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যা করছেন, তা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।’ প্রসঙ্গত, ভারতের ইতিহাসে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাকে পদে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরিওয়ালই থাকবেন এবং কারাগার থেকে তিনি সরকার পরিচালনা করবেন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪০

ভেনিস কি শেষ পর্যন্ত তলিয়ে যাবে
ইটালির স্বপ্নময় শহর ভেনিস গোটা বিশ্বের পর্যটক আকর্ষণ করে আসছে৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শহরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন৷ একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেনিসের সুরক্ষার উদ্যোগ চলছে৷ ১,৬০০ বছর আগে থেকেই ভেনিস গোটা বিশ্বের বিস্ময়ের কারণ৷ বন্যা ও কোনো এক সময়ে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার ভয়ও ততই পুরানো৷ পানি থেকে সুরক্ষার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ৭৮টি ইস্পাতের প্রাচীর সৃষ্টি করা হয়েছে, যা প্রয়োজনে উপহ্রদটিকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখবে৷ সেই ব্যবস্থার পোশাকি নাম এমওএসই বা মোজে৷ ভেনিসের বন্যা সুরক্ষা কমিশনর এলিজাবেতা স্পিৎস বলেন, মোজে না থাকলে ২০২২ সালের ২২শে নভেম্বর ভেনিস অপূরণীয় ধ্বংসলীলার শিকার হতো৷ ইতিহাসে দ্বিতীয় উচ্চতম বন্যার স্তর সত্ত্বেও কিছুই ঘটেনি৷ আমরা উপহ্রদ ও ভেনিস বাঁচাতে পেরেছিলাম৷ এলিজাবেতা ৫০ বারেরও বেশি ফ্লাড গেট খাড়া করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ মোজে বার বার কাজে লাগানো হচ্ছে৷ এবার সেটি পুরোপুরি চালু হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, আমরা এখন জানি, যে মোজে এমন এক নমনীয় হাতিয়ার, যা সব সময়ে এবং একই সঙ্গে বন্ধ করা হয় না৷ আজ আমরা বন্যা ও বাতাস সম্পর্কে আরো বেশি জানি৷ সে কারণে আমরা বন্যার মোকাবিলা করতে পারি৷ উপহ্রদ ও সমুদ্রের মধ্যে পানির আদানপ্রদান নিশ্চিত করতে মোজে প্রণালী আংশিকভাবেও খাড়া করা যায়৷ বিশ্ব জলবায়ু পরিষদের পূর্বাভাস অনুযায়ী শহরের পানির স্তর চলতি শতাব্দীর শেষে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে৷ গেয়র্গ উমগিসার নামের এক সমুদ্রবিজ্ঞানীর মতে, মোজে প্রণালীর মাধ্যমে ভেনিস শুধু কিছুটা বাড়তি সময় পেয়েছে৷ ভেনিস রক্ষা করতে মোজে কি যথেষ্ট। এই মুহূর্তে বা আগামী দশ, বিশ বা তিরিশ বছর পর্যন্ত অবশ্যই সেটা কাজে লাগবে৷ পানির স্তর ৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে গেলে সেই প্রণালীকে ৩০০ থেকে ৪০০ বার খাড়া করতে হবে৷ অর্থাৎ দিনে একবার তো বটেই৷ তখন সেই প্রণালীর সীমা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ কারণ মোজে সেটা পারবে না৷ কাঠামো হিসেবে তো নয়ই, উপহ্রদের পক্ষেও সেটা সম্ভব হবে না৷ উপহ্রদে পানির আদানপ্রদান জরুরি৷ সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রে মার্কো সিগোভিনিও উপহ্রদের ইকোসিস্টেম নিয়ে গবেষণা করছেন৷ জীববিজ্ঞানী হিসেবে তিনি মনে করেন যে মোজে প্রণালী কত ঘনঘন খাড়া করা হচ্ছে, উপহ্রদের উপর সেই সংখ্যা কোনো বড় প্রভাব ফেলছে না৷ কিন্তু আগামী দশকগুলিতে উপহ্রদ আরো ঘনঘন এবং আরো বেশি সময়ের জন্য সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন রাখলে সেই পরিস্থিতি বদলে যাবে৷ মার্কো মনে করেন, এমনও হতে পারে, যে এই উপহ্রদ লবণাক্ত রাখার অর্থ আছে কি না, কোনো এক সময়ে আমাদের সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখার কারণে সমুদ্র ও উপহ্রদের মধ্যে আদানপ্রদানের ছন্দ ভেঙে যাবে, যে চক্র ভেনিসের জন্য অত্যন্ত জরুরি৷ কারণ এভাবে উপহ্রদের তলদেশ সৃষ্টি হয়৷ কোন প্রাণী ও উদ্ভিদ সেখানে থাকতে পারে, সেটাও এভাবে স্থির হয়৷ আমাদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ বলা বাহুল্য, ভেনিসের মানুষ দুটোই চাইবেন৷ সেন্ট মার্ক্স স্কোয়্যার ভেনিসের সর্বনিম্ন অংশ৷ সেখানেই সবার আগে বন্যার পানি আসে৷ বর্তমানে সেই অংশটিকে উঁচু করার উদ্যোগ চলছে৷ গেয়র্গ উমগিসার বলেন, ধরা যাক, জায়গাটিকে ১১০ সেন্টিমিটার উঁচু করা হলো৷ তখন সেন্ট মার্ক্স চত্বর আর পানির নীচে চলে যাবে না৷ কারণ ১১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বন্যা এড়ানো যাবে৷ উচ্চতা আরো বাড়লে মোজে তা সামলে নেবে৷ মোটকথা সেন্ট মার্ক্স চত্বরে আর কখনো বন্যা দেখা যাবে না৷ সেই সঙ্গে সাহসেরও প্রয়োজন৷ উমগিসার মনে করিয়ে দিলেন, যে গত দেড়শো বছরে ভেনিস ২০ সেন্টিমিটার নেমে গেছে৷ অতিরিক্ত পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণেই এমনটা ঘটেছে৷ তবে সেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তরই ভেনিসকে সর্বনাশের হাত থেকে বাঁচাতে পারে৷ যে পানি পাম্প করে বার করা হয়েছে, সেটা আবার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে ফিরিয়ে দিলে ভেনিস সত্যি আবার ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে যেতে পারে৷ অর্থাৎ গত দেড়শো বছরে আমরা যে ৩০ সেন্টিমিটার হারিয়েছি, হুবহু সেই আগের অবস্থা মানে শূন্যে পৌঁছানো যাবে৷ তবে এই সমুদ্র গবেষকের মতে, ভেনিস অনন্তকাল টিকে থাকতে পারবে না৷ কোনো এক সময়ে উপহ্রদটিকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই হবে৷ তখন ভেনিসের মানুষকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এর কারণ ব্যাখ্যা করে উমগিসার বলেন, দুটিই রক্ষা করা সম্ভব নয়৷ কোনো একটির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে৷ উপহ্রদ নাকি শহর হিসেবে ভেনিস রক্ষা করা উচিত? অবশ্যই ভেনিস৷ ভেনিস একটাই আছে৷ কঠিন সিদ্ধান্ত বটে৷ ভেনিসের মানুষ যত দেরিতে সম্ভব সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছেন৷
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৪

‘বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশবাসীকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। ওই পোস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি লিখেছেন, ২৬ মার্চ, আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ৫৩ বছর আগের এ দিনে মধ্যরাতে পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ওয়্যারলেস বার্তায় বলেছিলেন, ‘...এটাই সম্ভবত আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।... পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন....।’ আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন এবং মাত্র ৯ মাসেই বিজয় অর্জন করেছিলেন। আজ স্মরণ করি বঙ্গবন্ধু এবং সব মুক্তিযোদ্ধাকে। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।  জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৯

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক পরীক্ষা হবে না 
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো কোনো পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান তিনি। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত উপস্থিত ছিলেন। ফরিদ আহাম্মদ বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে। মূল্যায়নের পদ্ধতি ভিন্ন হবে, যেহেতু ধারাবাহিক মূল্যায়ন। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে। গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৪

২০৩২ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা উত্তরণের মেয়াদ ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের আইরিশ প্রতিনিধিদল সোমবার (১৮ মার্চ) গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানান, প্রধানমন্ত্রী এজন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন যাতে ইইউ বাংলাদেশের জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বৃদ্ধি করে। আয়ারল্যান্ডকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইইউ সদস্য দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। তিনি ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার জন্য আইরিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিন থেকে চার বিলিয়ন ভোক্তার বাংলাদেশকে একটি সম্ভাব্য বড় মার্কেটিং হাব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল খাতে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। শ্রম ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রম ইস্যু নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না। এ সময় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট খোলার জন্য তিনি এখানে এসেছেন উল্লেখ করে আইরিস মন্ত্রী বলেন, এই কার্যালয়টি দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সহায়ক হবে। সাইমন কভেনি বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায়। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে উল্লেখ করে সফররত মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তবে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা জোরদার, তাদের উপার্জনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করার ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত ঘরের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধ কখনও কখনও দেখা যায়, কারণ সেখানে অনেক অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী রয়েছে- যারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণের নজির নেই, তবে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা ভাসানচরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে ভাসানচরে আবাসন প্রকল্পটি সফল হচ্ছে না। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

‘পুতুল সরকার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কোনও ভোটই পছন্দ হবে না’
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার (১৮ মার্চ) তিনি এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র যতদিন বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার বসাতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত কোনও নির্বাচনই তাদের পছন্দ হবে না।” ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এনডিআই ও আইআরআই প্রতিবেদন প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়। ওই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এনডিএ ও আইআরআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের আগে পরে সহিংসতা কম হয়েছে। তার কারণ হিসাবে নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজরকে চিহ্নিত করেছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

রাজধানীতে ৫ ভুয়া ডিবি গ্রেপ্তার, ছিল চাঁদরাত পর্যন্ত ডাকাতির পরিকল্পনা
রমজান মাস ঘিরে রাজধানী জুড়ে ডাকাতির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল একটি চক্র। এ জন্য রাজধানীর মগবাজারে একটি হোটেলও ভাড়া নিয়েছিল তারা। চাঁদরাত পর্যন্ত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করবে বলে বড় পরিকল্পনা ছিল তাদের। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এ সময় ডাকাতির ১২ লাখ টাকা উদ্ধারসহ তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় পাঁচটি মোবাইল, ডিবির জ্যাকেট, হ্যান্ডকাপ, খেলনা পিস্তল, স্প্রিং স্টিক, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল ও পুলিশ লেখা নেভি ব্লু  ব্যাগ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম দ্বীন ইসলাম, মো. সবুজ, সিফাত ইসলাম রাজী, মাজারুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম হাওলাদার বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।  তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করার সময় অনেক আসামিকে এর আগে গ্রেপ্তার করেছি। চলতি মাসেও ডিবি পরিচয়ে একটি কোম্পানির ৭১ লাখ টাকা ডাকাতি করা হয়। ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। ডিবিপ্রধান বলেন, শাহাদাত হোসেন নামে একজন ক্লায়েন্টের ৭১ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে ৬ মার্চ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হন। মতিঝিলের একটি প্রতিষ্ঠানের ওই জেনারেল ম্যানেজার সেই টাকা নিয়ে রিকশায় করে ইসলামী ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। ফকিরাপুলের ক্যাফে সুগন্ধা হোটেলের সামনে এলে তাকে আটকানো হয়। যারা আটকায়, তাদের শরীরে পরা ছিল ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, হাতে ওয়াকিটকি, স্প্রিং লাঠি ও হ্যান্ডকাপ। তারা ডিবি পরিচয়ে শাহাদাতকে রিকশা থেকে নামিয়ে একটি সাদা রঙের হাইস গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর গাড়িতে বসিয়ে গামছা দিয়ে চোখ-মুখ ও বেল্ট খুলে হাত বেঁধে ফেলে ডাকাত দল। একপর্যায়ে জোর করে কাঁধে থাকা ব্যাগভর্তি ৭১ লাখ টাকা, মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগীকে গাড়ির সিটের নিচে শুইয়ে দিয়ে বুকের ওপর পা রাখে ডাকাত দল। চিৎকার করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর গাড়ির গতি কমিয়ে শাহাদাতকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় তারা। ঘটনার দুদিন পর রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘবদ্ধ এই ডাকাত দলের সন্ধান পায় ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এরপর অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার সিফাত ইসলাম রাজী ও মাজারুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের অর্থ হস্তান্তরকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। এরপর অর্থ উত্তোলনের স্থান, জমা দেওয়ার স্থান পর্যবেক্ষণ করতো। এ দুজন টার্গেট করা ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে দ্বীন ইসলাম ও অন্য আসামিদের সরবরাহ করতো। ডিবিপ্রধান বলেন, নিদিষ্ট তারিখে টার্গেট করা ব্যক্তির যাত্রাপথে প্রাইভেট কার নিয়ে অবস্থান করে তারা। পরে সেই ব্যক্তি সেখানে এলে দ্বীন ইসলাম, সবুজ, সিফাত ইসলাম রাজী, মাজারুল ইসলাম, আব্দুস সালাম মিলে গতিরোধ করে ওই ব্যক্তিকে জোর করে গাড়িতে তোলে। পরে গাড়িটি ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে যায়। এরপর দ্বীন ইসলাম ডাকাতির ৩০ শতাংশ এবং বাকি ২০ শতাংশ টাকা অন্যরা নেয়। আর অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ডাকাতির অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়। শুধু ব্যাংক কেন্দ্রিক টার্গেট করে ডাকাতিই নয়, হানি ট্র্যাপেও সিদ্ধহস্ত ছিল এই চক্রটি। হারুন বলেন, তারা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে ছবি বা ভিডিও করে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করতো। কখনও কখনও তারা সিএনজিচালিত অটোচালকদেরও ছাড় দিতো না। ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছিনতাই করা সিএনজি ছেড়ে দিতো। কখনও কখনও সোনা ব্যবসায়ীদেরও টার্গেট করে মুক্তিপণ আদায় করতো তারা।  
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৩:১০

জলদস্যুরা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত আলোচনার সুযোগ নেই : কেএসআরএম
আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মালিকানাধীন সংস্থা কেএসআরএম এবং এর সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা এখনও জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া অফিসার মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কর্মকর্তারা আজ সকালে কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন এবং ক্রুরা নিরাপদ এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তিনি জানান, জাহাজটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে জলদস্যুরা এবং তারা সোমালিয়া উপকূলের দিকে যাচ্ছে। উপকূলে পৌঁছাতে আরও একদিন সময় লাগবে হয়তো। তিনি বলেন, জাহাজ ছিনতাই করার পর জলদস্যুরা সাধারণত কোনো যোগাযোগ করার আগে বা মুক্তিপণ দাবি করার আগে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত নাবিক বা জাহাজ উদ্ধারের জন্য আলোচনা শুরু করার সুযোগ নেই। সাধারণত বিদেশি কোনো মধ্যস্ততাকারীর মাধ্যমে যোগাযোগ কিংবা মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা হয় উল্লেখ করে মিজানুল বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক জাহাজের বিমাকারী সংস্থা ইতোমধ্যে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

কত রোজা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলবে, আবারও জানাল দুই মন্ত্রণালয়
পবিত্র রমজান মাসে দেশের বিদ্যালয়গুলোতে কতদিন শ্রেণি কার্যক্রম চলবে, তা আবারও জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুই মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, ২৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকবে। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকবে রমজানের প্রথম ১০ দিন; অর্থাৎ ২১ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে।  প্রসঙ্গত, পবিত্র রমজানে বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আজ মঙ্গলবার স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এরপর মন্ত্রণালয়গুলো তাদের সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। এতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত মন্ত্রণালয়ের আগের সিদ্ধান্তই আনুষ্ঠানিকভাবে আবার জানানো হয়েছে। রোজার মধ্যেও নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা রাখার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি হয় গত রোববার। শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দিয়ে পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম ১৫ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন। হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা গতকাল সোমবার চেম্বার আদালতে ওঠে শুনানির জন্য। চেম্বার আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুসারে আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।    
১২ মার্চ ২০২৪, ১৮:১১

শৃঙ্খলায় না ফেরা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অবৈধ ভবন ও রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করে যেখানে সমস্যা পাওয়া যাবে, প্রাথমিকভাবে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। শৃঙ্খলায় না ফেরা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলের সাউথ পয়েন্ট নগর ব্যায়ামাগার উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে এবং ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব ভুল শুধরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবার আবেদন করলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ভবন খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে কারও ওপর দোষ না দিয়ে যারা যারা আইনের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় প্রথম দায় স্থপতির, দ্বিতীয়ত যারা এমন ভবনের অনুমোদন দিয়েছে। বেইলি রোডের ঘটনায় দায়সারা তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দেওয়ার আহ্বান জানান মেয়র। উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে সংস্থাগুলো।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়