• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘কক্সবাজারকে সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে’
পর্যটন শিল্পের বিকাশে সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে কক্সবাজারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, একটি মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে কক্সবাজারকে উন্নত ও সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমডোর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এ সময় কউক সদস্য প্রকৌশলী লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলমসহ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত জোন, কউক ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৩

দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী আরব আমিরাত     
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণেও আমরা নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এতে এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প বিস্তারে আরব আমিরাতের পারস্পরিক সহায়তা দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন পর্যটনমন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে চাই। জবাবে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। যদি আমিরাত এই খাতে বিনিয়োগ করে তবে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবো। এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা পোষণ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৫

মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে হামলা, ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে ধারাবাহিক হামলা, ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনায় থানা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আবেদন করেও ফলাফল না পেয়ে অবশেষে চাঁদপুর আদালতে ঘটনায় জড়িত ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান।  মামলায় প্রধান আসামি হলেন মো. বোরহান খালাসীসহ ২৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫ জন। এদের সবার বাড়ি মোহনপুর এলাকায়। এই প্রসঙ্গে কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ধারবাহিকভাবে চলতি মাসের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংঘবদ্ধ আসামিরা মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে প্রায় ৮০ লাখ টাকা মূল্যমানের জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিসাধন করে। এই প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় দুই শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান। স্থানীয়ভাবে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে আদালতে এসে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।  তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার যে কথা বলেছেন, আমরা সে আলোকে কাজ করে যাচ্ছি। এরকম ধারবাহিক হামলা অব্যাহত থাকলে এই প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমি প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এদিকে পর্যটন কেন্দ্রে হামলা হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাক ও পুলিশ সুপারের নিকট ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। সে আলোকে মামলাও করা হয়।  এছাড়া শুরু থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম, হামলা, লুটপাটসহ পর্যটন কেন্দ্রের সকল ঘটনার বিবরণসহ চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের নিকট আজ আরেকটি আবেদন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেন, এসব ঘটনা আমি অবগত। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গিয়ে কয়েকবার ব্যবস্থা নিয়েছে। পর্যটন কর্তৃপক্ষ ট্যুরিস্ট পুলিশ চেয়ে আবেদন করেছে। এটি কোম্পানি হওয়ার কারণে ট্যুরিস্ট পুলিশ দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, পর্যটন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে লোকদের সঙ্গে বিরোধ আছে। তারা যদি স্থানীয়ভাবে এটি সমাধান না করে এবং আমাদের কাছে নির্দিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ না করে তাহলে আমরা কিছুই করতে পারবো না। এই প্রতিষ্ঠানে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে এমন সংবাদও গণমাধ্যমে দেখলাম। যদিও আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।   
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৫

দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন উন্নয়নে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর করার উদ্যোগ 
সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা থেকে দেখা যায় অপরূপ সূর্যাস্ত। আর তা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন দেশী পর্যটক। এছাড়া কুয়াকাটার অপরূপ সৈকত এবং দর্শনীয় স্থান থাকলেও বিদেশী পর্যটকদের তেমন আনাগোনা অন্যান্য পর্যটন এলাকার মতো ছিল না। তাই আন্তর্জাতিক পর্যটক টানতে একটি বিমানবন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন ভিত্তিক শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের স্থান চিহ্নিত করতে প্রাথমিক পরিদর্শন করেছে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।  বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনের পর প্রতিবেদন দেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেবিচকের টিম। জানা গেছে, কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণে এর আগেও জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানে কিছু খাস জমি রয়েছে। ওই জমি পরিদর্শন করতে আবারও একটি টিম গত শনিবার সেখানে যান। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ওই জমিতে কিভাবে বিমানবন্দর নির্মাণ করা যায়, তার ওপর মতামত ও সুপারিশ করবেন টিমের সদস্যরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে সরকার। এর মাধ্যমে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটাকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। সেজন্য সেবার আগে কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সেতু ও মহাসড়কের পর বিমানবন্দর নির্মাণ করার জন্য জমি পরিদর্শন করা হবে। কুয়াকাটা বিমানবন্দর জমি পরিদর্শনের বিষয়ে বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য কুয়াকাটায় জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিদর্শনের পর টিমের মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুতই এ কাজ শুরু করা যাবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিমানবন্দর হলে ওই এলাকার আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। সমুদ্রসৈকতের কোল ঘেঁষে কুয়াকাটা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেছেন, কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার পর থেকেই দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। সেই উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেলও  বেড়েছে। এ অবস্থায় একটি বিমানবন্দর নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও উপভোগ করতে পারবে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। অর্থসংস্থান করতে পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিমানবন্দর নির্মাণ করা যাবে।  তিনি আরও বলেন, বন্দর নগরী পায়রা ও কুয়াকাটায় যাতায়াত সুবিধা উন্নত করার জন্য এর আশপাশে বিমানবন্দর নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। বিমানবন্দরের স্থান নির্ধারণের জন্য তথ্য চেয়ে এরই মধ্যে বেবিচকের কাছে চিঠি দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। গত বছরের ২৩ নভেম্বর বেবিচককে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের স্থান চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে তথ্য প্রেরণের জন্য নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এ তথ্য চাওয়া হয়। প্রকল্পটির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিমানবন্দর স্থাপনের লোকেশন চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে তথ্য প্রেরণ করতে বলা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পায়রা বন্দরে মানুষের যাতায়াত অনেক বেড়েছে। এখানে সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও আকাশপথের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে।  জানা গেছে, কুয়াকাটাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ বহু আগে শুরু হলেও মূলত ১৯৯৮ সাল থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত কুয়াকাটা সৈকত ধীরে ধীরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। পর্যটকদের কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল। এ কারণে বেড়েছে প্রশাসনিক নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা। সৈকতের কোলঘেঁষে রয়েছে বিশাল বনাঞ্চল। সুন্দরবনের পূর্বাংশ ফাতরার বন, লেম্বুর বন, নারিকেলবাগান, ঝাউবাগান, গঙ্গামতী ও কাউয়ার চরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এর মধ্যে অন্যতম। পর্যটকরা কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে আশপাশের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি সমুদ্রের কোলঘেঁষা বনাঞ্চল ঘুরে ছবি তোলেন। কিন্তু আকাশপথের সুযোগ না থাকায় দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা আসছেন না। ফলে বিশ্বব্যাপী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরকে পরিচিত করার জন্য বিমানবন্দরের বিকল্প নেই। বিমানবন্দর হলে খুব সহজেই বিদেশিরা এখানে আসবেন। সময় বাঁচাতে কিংবা প্রথম বিমানভ্রমণের স্বাদ পেতে আসা পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে। ফলে কক্সবাজারের মতো কুয়াকাটা অঞ্চলেরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। শুধু তা-ই নয়, পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলার ৭টি উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন, জলবায়ুর প্রভাব, পরিবহন, পর্যটনসহ এসব বিষয় কেমন হওয়া উচিত- তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে। পরিকল্পনা প্রণয়নে উপকূলীয় এলাকার উপযোগী অবকাঠামো, আবাসন, পর্যটন, জীবিকা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। এখানে সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও আকাশপথের কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। 
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৪

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনে চাকরি
সম্প্রতি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ছয়টি ক্যাটাগরিতে জনবল নিয়োগ দেবে। প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন- ১. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) পদসংখ্যা: ১টি যোগ্যতা: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। পেশাগত ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড ৯) ২. পদের নাম: হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদসংখ্যা: ৫টি যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (সমমানের সিজিপিএ) অথবা এসএসসি বা এইচএসসিতে প্রথম বিভাগসহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি (সমমানের সিজিপিএ)। বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা গ্রেড ৯) ৩. পদের নাম: উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) পদসংখ্যা: ১টি যোগ্যতা: কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড ১১) ৪. পদের নাম: সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা পদসংখ্যা: ১৫টি যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি (সমমানের সিজিপিএ)। পর্যটনবিষয়ক প্রশিক্ষণ/ অভিজ্ঞতা অগ্রাধিকারযোগ্য। বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড ১১) ৫. পদের নাম: সহকারী প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা পদসংখ্যা: ৫টি যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি (সমমানের সিজিপিএ)। পর্যটনবিষয়ক প্রশিক্ষণ/ অভিজ্ঞতা অগ্রাধিকারযোগ্য। বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড ১১) ৬. পদের নাম: হিসাবরক্ষক পদসংখ্যা: ৮টি যোগ্যতা: সর্বনিম্ন স্নাতক ডিগ্রি (সমমানের সিজিপিএ)। হিসাবরক্ষণ/সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ৩ বছর কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা অগ্রাধিকারযোগ্য। বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড ১৩) বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়। আবেদন ফি: সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি ৬৬৯ টাকা (টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ), উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল), সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ও সহকারী প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা পদের জন্য নির্ধারিত ফি ৩৩৫ টাকা (টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ) এবং হিসাবরক্ষক পদের জন্য আবেদন ফি ২২৩ টাকা। আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। এ ছাড়া নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়