• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সীতাকুণ্ডের ঝরনায় পর্যটকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঝরনার পানিতে ডুবে তাহমিদ মুনতাসির চৌধুরী (১৮) নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগারহাট সহস্রধারা ঝরনায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম মরদেহ উদ্ধার করে।  নিহত তাহমিদ রাউজাস উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের মৃত এরশাদ হোসেন চৌধুরীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, নিহত ব্যক্তির সঙ্গে তার আরও দুই বন্ধু সহস্রধারা ঝরনায় সাতার কাটতে নামে। এক পর্যায়ে অপর দুই বন্ধু সাতরে ওপরে উঠতে পারলেও একজন লেকের পানিতে ডুবে যায়। তখন উপস্থিত লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিনকে খবর দিলে তিনি ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি অবগত করেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম মরদেহ উদ্ধার করেন। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল বলেন, একজন পর্যটক পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করি। সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় কোনো পক্ষের অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৪

পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সৈকত 
ঈদের দ্বিতীয় দিনে হাজার হাজার পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত। আগত পর্যটকরা সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট-বড় ঢেউয়ে সাঁতার কেটে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে মেতেছেন। অনেকে আবার ঘোড়া চড়ে, ওটারবাইক কিংবা মোটরবাইকে চড়ে সৈকতের বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘুরে দেখছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।  আগত পর্যটকদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে সকল পর্যটন স্পটগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন মহিলা মার্কেট, রাখাইন পল্লী, জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন, সৈকতের ঝাউবাগানসহ পর্যটন স্পটগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। ঘুরতে আসা পর্যটক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। সকাল থেকে পুরো সৈকত মুখর। অনেক লোক এসেছে, বেশ ভালো লাগছে। তবে প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আবাসিক হোটেল সি ভিউ এর ম্যানেজার সোলায়মান ফরাজী বলেন, আজকে পর্যটকের সংখ্যা অনেক। শনিবার থেকে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এবারের ঈদের ছুটিতে আমাদের শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে। আশা করছি, সামনের পুরো সপ্তাহজুড়ে ভালো পর্যটক পাবো। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ঈদের ছুটি উপলক্ষে আজকে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছেন। প্রচন্ড গরমেও পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর গোটা সৈকত। ছাতাবেঞ্চ ব্যবসায়ী নাসির খলিফা বলেন, আজকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শনিবার পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক হাসান মারুফ বলেন, আজকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরা বুকিং করে না এসে বিপদে পরে গেছি। হোটেলে রুম পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, প্রায় হোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও পর্যটকরা ফোনে রুম বুকিং দিচ্ছেন।  কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে সাদাপোশাকে পুলিশ সার্বক্ষণিক ডিউটিতে আছে। এখানে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয় সে ব্যাপারে আমরা সর্বদা সতর্ক রয়েছি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সেবায় পৌরসভা প্রস্তুত আছে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা মহাসড়ক ফোর লেন বাস্তবায়িত হলে আরও পর্যটক বাড়বে।  কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আজকে কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর। কাল-পরশু কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানা, মহিপুর থানা, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তা জোরদার
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। পর্যটকরা সৈকতের কিটকটে বসে, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে মনের আনন্দে ঘুরছেন। জেলার ইনানী, পাটুয়ারটেক, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম টহল জোরদার করেছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলগুলোর ৮০ থেকে ১০০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।  এ বিষয়ে কলাতলী আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, আগামী সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের পর্যটকদের চাপ থাকবে।  রমজান মাসের পর পর্যটন ব্যবসায় ফের চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে দেখা গেছে, তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে পর্যটকদের। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের লোনাজলে গোসল করতে নামে। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবারে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন। জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, তিলধারণের ঠাঁই নেই
সমুদ্র সৈকতের টানে কক্সবাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে। তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে তাদের।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় চরম আকার ধারণ করে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নেমেছেন। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে অন্তত ৪০ হাজার দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবার থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।  এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।  হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৪

পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা
ছুটির দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শীতের রেস কাটতে না কাটতেই সৈকতে গোসল ও উল্লাসে মেতে উঠেছে হাজারও পর্যটক। রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মামুন-রিয়া বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানে একসঙ্গে অনেক পর্যটক দেখে বেশ ভালো লাগছে। তবে কুয়াকাটার রেস্টুরেন্টে খাবারের মান আরও ভালো করা দরকার। এদিকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে এদিন। ফলে তাদের ব্যবসাও জমে উঠেছে। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর এত বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, শুক্রবার পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আমরা কাজ করছি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৮

ভালোবাসা দিবসে কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড়
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের রং লেগেছে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। ভালোবাসার রং ও সমুদ্রের উত্তাল টেউয়ের ছন্দে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠছে পর্যটকসহ তরুণ-তরুণী। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে তারকামানের হোটেল মোটেলগুলোকে সাজিয়েছে ভালোবাসার রঙে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে জমজমাট পর্যটন কেন্দ্র সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় বাড়ছে। কুয়াকাটায় সবকটি আবাসিক হোটেল-মোটেল ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। কুয়াকাটায় আসা এসব ভ্রমণ পিপাসুদের কথা চিন্তা করে তারকা মানের হোটেলগুলোতে দেওয়া হয়েছে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা। ভালোবাসা দিবস ও আগামী সপ্তাহে একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছেন তারা। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি জানি আলমগীর বলেন, বিশ্ব ভালবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ইতোমধ্যেই সমুদ্রের ভিতরে যে স্পটগুলো রয়েছে নৌ-রুটে চলাচলকারী ট্যুরিস্ট বোটের টিকিট ফোনের মাধ্যমে বুকিং হচ্ছে এবং অন্য যেসব বোর্ড রয়েছে ইতোমধ্যেই অনেকগুলো বুকিং হয়েছে। কুয়াকাটার স্থান ছাড়িয়ে সমুদ্রের ভিতর ৩০ কিলোমিটার দূরে চর বিজয়ে ভিড় জমাচ্ছে তরুণ-তরণীরা। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, শুধু বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নয়, ফাল্গুন, সরকারি ছুটি ও ২১ ফেব্রুয়ারি বন্ধ উপলক্ষে এখন থেকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লেগে আছে। ইতোমধ্যে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন হোটেল তাদের নিজস্ব কিছু কার্যক্রম শুরু করছে। আশা করা হচ্ছে সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভাল ব্যবসা করতে পারবে। এতে করে পর্যটন শিল্প বিকাশে অনেকটা সহায়ক হবে। অপরদিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কুয়াকাটার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে মহিপুর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাহাত গাওহারি জানান, পর্যটকদের আগমন ও স্থানীয়দের পদচারণা নিরাপদ করতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। তাছাড়া হোটেল-মোটেলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আলাদা সিভিল টিম রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭

চাঁদের গাড়ি খাদে, প্রাণ গেল ২ পর্যটকের
বান্দরবানের রুমা ‍উপজেলায় বগালেক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি চাঁদের গাড়ি খাঁদে পড়ে দুই পর্যটক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন পর্যটক আহত হয়েছেন।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পর্যটকদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ৪৫ জনের একটি পর্যটকের দল বান্দরবান জিপ-মাইক্রোবাস স্টেশন থেকে পাঁচটি পর্যটকবাহী গাড়ি কেওক্রাডং ভ্রমণে নিয়ে যায়। শনিবার ফেরার পথে রুম-কেওক্রাডং সড়কের রুমসংপাড়া ও দার্জিলিং পাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় গেলে একটি ভি-৭০ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনা কবলিত পর্যটকরা মাগুরার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহাবুবুল হক গণমাধ্যমকে জানান, হতাহতদের উদ্ধারে কাজ চলছে। তাদের পরিচয় পরে জানানো হবে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়