• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরিসংখ্যান ব্যুরোতে বড় নিয়োগ, নেবে ৭১৪ জন
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদে জনবল নিয়োগে পুনর্বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ২১ ক্যাটাগরির পদে ৭১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যা যা প্রয়োজন- ১. পদের নাম: সিনিয়র নকশাবিদ পদসংখ্যা: ১ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বা ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২) ২. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা: ৪ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ এবং ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) ৩. পদের নাম: পরিসংখ্যান সহকারী পদসংখ্যা: ১০২ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিত বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) ৪. পদের নাম: জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী পদসংখ্যা: ৪১৬ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিত বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) ৫. পদের নাম: নকশাবিদ পদসংখ্যা: ১ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বা ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) ৬. পদের নাম: ইনুমারেটর পদসংখ্যা: ৭ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিত বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) ৭. পদের নাম: এডিটিং অ্যান্ড কোডিং অ্যাসিস্ট্যান্ট পদসংখ্যা: ১০ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বা গণিত বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) ৮. পদের নাম: হিসাবরক্ষক পদসংখ্যা: ২ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেসিক কম্পিউটার কোর্স পাস হতে হবে। বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ৯. পদের নাম: ক্যাশিয়ার পদসংখ্যা: ৫ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেসিক কম্পিউটার কোর্স পাস হতে হবে। বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ১০. পদের নাম: ক্যাশিয়ার কাম ইউডিএ পদসংখ্যা: ১ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। বেসিক কম্পিউটার কোর্স পাস হতে হবে। বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ১১. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা: ১০ যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ১২. পদের নাম: জুনিয়র নকশাবিদ পদসংখ্যা: ১ যোগ্যতা: ড্রাফটসম্যানশিপে ডিপ্লোমা ডিগ্রি বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ১৩. পদের নাম: ডেটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর পদসংখ্যা: ৪৩ যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে। বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) ১৪. পদের নাম: ডুয়েল ডেটা অপারেটর পদসংখ্যা: ৩ যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) ১৫. পদের নাম: কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা: ৮ যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) ১৬. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা: ১১ যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) ১৭. পদের নাম: গাড়িচালক পদসংখ্যা: ৫ যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। হালকা বা ভারী যানবাহন চালনার বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) ১৮. পদের নাম: মেশিনম্যান পদসংখ্যা: ১ যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কোনো স্বীকৃত প্রিন্টিং প্রেসে মেশিনম্যান সহকারী হিসেবে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭) ১৯. পদের নাম: চেইনম্যান পদসংখ্যা: ৫৮ যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০) ২০. পদের নাম: অফিস সহায়ক পদসংখ্যা: ২৩ যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০) ২১. পদের নাম: লোডার পদসংখ্যা: ২ যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০) যেভাবে আবেদন: আগ্রহীদের এই ওয়েবসাইটে পরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইটে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে অথবা যেকোনো অপারেটর থেকে ০১৫০০-১২১১২১ নম্বরে কল করা যাবে। এ ছাড়া [email protected] অথবা [email protected] ঠিকানায়  ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। মেইলের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। আবেদন ফি: অনলাইনে আবেদন করার অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা ফি বাবদ ১ থেকে ১৭ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এবং ১৮ থেকে ২১ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদনের সময়সীমা: ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৬

দেশের মানুষের গড় আয়ু কত, জানাল পরিসংখ্যান ব্যুরো
২০২৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছর। যা ২০২২ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৪ বছর।  রোববার (২৪ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩: গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল’ প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস ডিজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন। মো. আলমগীর হোসেন জানান, ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কালের হার ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। যা তার আগের বছর অর্থ্যাৎ ২০২২ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৪ বছর। এ ছাড়া ২০২৩ সালে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিবাহের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর এবং নারীদের ১৮ দশমিক ৪ বছর।  তিনি বলেন, ২০২৩ সালের হিসেবে দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১৭১ জন জনসংখ্যা বসবাস করে। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।  তিনি আর বলেন, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই; এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে।  অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:২৫

জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস আজ
দিন দিন বাড়ছে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব। বিশেষ করে পরিকল্পিত অর্থনীতির জন্য সঠিক পরিসংখ্যান অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)। দেশে এবার চতুর্থবারের মতো দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট পরিসংখ্যান উন্নয়নের সোপান’। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারিকে পরিসংখ্যান দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরই দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৭৪ সালের ২৬ আগস্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন চারটি পরিসংখ্যান সংস্থাকে এক করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর অনেক বন্ধুর পথ পেরিয়ে আজ শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থা।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৬

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে দেশে বিচ্ছেদ বাড়ছে
দেশে বিয়ের হারের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিবাহবিচ্ছেদের হার। আর এর পেছেনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক উঠে এসেছে। এ বিষয়ে গত ৩১ জানুয়ারি ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস–২০২২’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। জানা গেছে, সংস্থাটি এ জরিপে নমুনা হিসেবে তিন লাখের বেশি পরিবারের তথ্য নিয়েছে। জরিপ অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সাধারণ বিয়ের হার বেড়েছে। ২০২১ সালে হার ছিল ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০২২ সালে ২৫ শতাংশের কিছু বেশি। সাধারণ বিয়ের হার হিসেবে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে ওই বছর যত জনের বিয়ে হয়েছে সেটাকে ধরা হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে বিবিএসের হিসাবে, ২০২১ সালে স্থূল বিচ্ছেদের হার ০ দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে ১ দশমিক ৪ এ দাঁড়িয়েছে। বিবিএস তালাক হওয়া মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে জরিপ করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ২৩ শতাংশ উত্তরদাতা তালাকের বড় কারণ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে দায়ী করেছেন। এরপর রয়েছে ২২ শতাংশ দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অসামর্থ্য অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে তালাকের কারণের তালিকায়। ঢাকা বিভাগে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সবচেয়ে বেশি তালাক হয়েছে, আর কম হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতায় তালাক বেশি বরিশালে, কম সিলেটে। ভরণপোষণ দিতে অসামর্থ্যতার কারণে তালাক বেশি রাজশাহীতে, কম চট্টগ্রামে। পারিবারিক চাপে তালাক বেশি ময়মনসিংহে, কম ঢাকায়। নির্যাতনের কারণেও তালাক বেশি হয়েছে ময়মনসিংহে, কম রাজশাহীতে। যৌন অক্ষমতা অথবা অনীহার কারণে রংপুরে তালাক বেশি হয়েছে। বরিশালে এ ক্ষেত্রে হার শূন্য। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তালাকের ঘটনা বেশি ঘটছে সিলেটে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন সাধারণত বেশি করেন নারীরা। ২০২২ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মোট তালাক হয়েছে ৭ হাজার ৬৯৮টি। এর মধ্যে স্ত্রীরা আবেদন করেছিলেন ৫ হাজার ৩৮৩টি, যা মোট আবেদনের ৭০ শতাংশ। ঢাকা উত্তরের চিত্রও প্রায় একই। সেখানে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের ৬৫ শতাংশই নারী।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১

তরুণদের ৪১ শতাংশ কাজে নিষ্ক্রিয়, মেয়েরা বেশি
‘পড়াশোনায় নেই, কর্মসংস্থানে নেই’ বাংলাদেশে এমন নিষ্ক্রিয় তরুণের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ। অর্থাৎ, দেশের মোট তরুণদের ৪১ শতাংশ নিষ্ক্রিয়। এরমধ্যে ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ ছেলে এবং ৬১ দশমিক ৭১ শতাংশ মেয়ে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২’ প্রতিবেদনে এ হার তুলে ধরেছে। সংস্থাটি বলছে, নিষ্ক্রিয় তরুণের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৫ থেকে ২৪ বছর ধরা হয়েছে। এ হিসাবে দেশে নিষ্ক্রিয় তরুণের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ। বিবিএসের জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন-২০২২ বলছে, দেশে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশের বেশি। ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ অনুযায়ী ওই জনসংখ্যার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ নিষ্ক্রিয়। তাদের সংখ্যায় প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ। বিবিএসের ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে নিষ্ক্রিয় ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণের হার ২২ শতাংশ। সংজ্ঞাগত ভিন্নতায় স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের সঙ্গে শ্রমশক্তি জরিপের ফলাফলের কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিষ্ক্রিয় তরুণের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে, কম বরিশাল বিভাগে। সিলেটে ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৪৩ দশমিক ৭৭, ময়মনসিংহে ৪০ দশমিক ৫০, খুলনায় ৩৯ দশমিক ৬৬, ঢাকায় ৩৯ দশমিক ৫৩, রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক শূন্য ৯, রংপুরে ৩৯ দশমিক ৪ এবং বরিশালে ৩৮ দশমিক ৩২ তরুণ নিষ্ক্রিয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব, মেয়েদের বাল্যবিয়ে, শিক্ষার মানে ঘাটতি, যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি না হওয়া, শোভন কাজের অভাব ও সামাজিক পরিস্থিতি নিষ্ক্রিয় তরুণের হার বেশি হওয়ার কারণ। এ হার কমাতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দেওয়া, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা ও নারীদের বিনামূল্যের পারিবারিক শ্রমের বোঝাও কমাতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৭

আর সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে না নিসচা
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, এখন থেকে আর ‘সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান’ প্রকাশ করবে না নিসচা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল নিসচা ‘সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান’ জাতির সামনে তুলে ধরেছে। কিন্তু যখন দেখলাম আমাদের দেখাদেখি অনেকে এ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছেন এবং তা নানা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। তাই এ বছর আমরা ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান প্রকাশ না ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে নিশচা দেশে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে। তখন থেকেই সরকার ও দেশবাসীকে আমরা আমাদের সীমিত ক্ষমতার কথা জানিয়ে আসছি। সারাদেশে আমাদের শাখাগুলোর দেওয়া তথ্য এবং বিভিন্ন পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদ ও বিভিন্ন মাধ্যমকে ব্যবহার করে আমরা এই তথ্য সংগ্রহ করতাম। যা যথেষ্ট নয়। আমরা সেকেন্ডারি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করে আসছি। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০২৩’ এ বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৩১৬ জনের। তবে পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৩৭৬ জনের। একইভাবে ২০১৮ সালে সংস্থাটির রিপোর্টে ২৪ হাজার ৯৪৪ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬৩৫ জনের।   ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় সারা দেশে ৫ হাজার ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে ৫ হাজার ৯৩টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৪৭৫ জন। আরও দুই একটি সংগঠনের তথ্যও এর চেয়ে অনেক বেশি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে সেটিও কোনো রিপোর্টের সঙ্গে মিলছে না। এতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সরকার, পুলিশ ও বিভিন্ন রিপোর্টে ভিন্নতা রয়েছে। আমরা মনে করি এতে করে জাতি বিভ্রান্ত হচ্ছে। কারণ সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের সকল তথ্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তোলে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭

দেশে নারীর চেয়ে কর্মহীন পুরুষ কয়েক গুণ
গত ছয় বছরে দেশে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বেকার কমেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বেকার কমেছে। এ সময় পুরুষের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি নারী বেকার কমেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।  সংস্থাটির ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩-এর চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদন থেকে গত বছরের পরিসংখ্যান বের করা হয়েছে।  প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত এক বছরে বেকার কমেছে লক্ষাধিক। এ সময় পুরুষ বেকার কমেছে ২০ হাজার আর নারী বেকার কমেছে ৯০ হাজার। বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বেকার ছিল ২০২৩ সালে। আর ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেকার কমেছে ১ লাখ ১০ হাজার। এছাড়া ২০১৫-১৬ সালে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। সেই হিসেবে গত ৬ বছরে বেকার কমেছে ২ লাখ ৩০ হাজার। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশে মোট বেকারের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪০ হাজার। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরে পুরুষ বেকার কমেছে ২০ হাজার। বর্তমানে দেশে নারী বেকার রয়েছেন ৮ লাখ ৩০ হাজার। ২০২২ সালে ছিল  ৯ লাখ ২০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৯০ হাজার নারী বেকার কমেছে। বিবিএস’র বলছে, এ বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পায় না। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়