• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শতভাগ কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ : বিজিএমইএ
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেছেন, এবার ঈদের আগে শতভাগ পোশাক কারখানা তাদের শ্রমিকদের মার্চের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করেছে। বিজিএমইএর হস্তক্ষেপে এ সফলতা এসেছে বলে দাবি করেন তিনি। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি’ (বিজিএমইএ) এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন এস এম মান্নান কচি। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ৬০০ কারখানাকে চিহ্নিত করে ছিলাম। যারা বেতন ও বোনাস পরিশোধের ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন ছিল। এ থেকে উত্তরণে সমিতির ৫০ জনের সমন্বয়ে ২২টি কমিটি করা হয়। যারা দেশব্যাপী মনিটরিং করে এ তালিকা ২৫ টিতে নামিয়ে আনে। বিজিএমইএর হস্তক্ষেপে সেই ২৫টি কারখানাতেও শ্রমিকদের পাওনা অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব কারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হলো বলে আশ্বস্ত করা হয়। এর আগে দেশের কয়েকটি স্থানে শ্রমিকরা তাদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করে। প্রতি ঈদের আগেই কিছু কারখানায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়; যা এবার ঈদের আগেই সমাধান হয়েছে বলে সম্মেলনে দাবি করেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৩

ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বোনের বাসায় লুট, বাধা দেয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম শিমুকে (৩৮) হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় তার সহোদর ভাই ও এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর পিবিআই। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা এবং রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নিহতের ভাই কাপাসিয়া উপজেলার কুলগঙ্গা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) এবং তার সহযোগী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মামদাবাদী গ্রামের আস্কর আলীর ছেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১)। পুলিশ তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গাজীপুর পিবিআই’র উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান জানান, হত্যার শিকার শাহনাজ বেগহম শিমুর ভাই কামরুজ্জামান রুবেল গাজীপুরের একটি আবাসিক হোটেলে চাকরি করতো। প্রায় ৫ মাস পূর্বে রুবেল চাকরি ছেড়ে দেয়ায় সে আর্থিক অভাবে পড়ে। এ সময় সে বিভিন্ন পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ঋনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে সে তার বোনের বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা চুরির সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার দুইদিন আগে আসামী রুবেল তার সহযোগী মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে রুবেল ও মিনাল একটি ব্যাগে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর আসে।  তারা শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড হতে অটোরিকশা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিকশায় রাত ৮ টায় সিংহশ্রী ব্রিজে যায়। তারা সিংহশ্রী ব্রিজ থেকে পায়ে হেটে আসামী রুবেলের বোন প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ির সামনে আখ (গেন্ডারী) খেতে লুকিয়ে থাকে। রাত ১২ টার পর আসামিরা শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ওপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে। পরে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করে। পরে রান্না ঘরের দরজা খুলে বাহিরে এসে ঘরের পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ঘরের দরজার সিটকারী খুলে ঘরে প্রবেশ করে। আসামি রুবেল ও মিষ্টার এক সাথে শিমুর ঘরে প্রবেশ করে। শিমুল তাদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আসামি মিষ্টার সুইচ গিয়ার দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং বলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করব না, চিৎকার বন্ধ কর। তাদের কথা শুনে শিমুল চিৎকার বন্ধ না করলে মিস্টার গামছা দিয়ে শিমুলের মুখ চেপে ধরে। শিমুর ভাই আসামী রুবেল শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় শাহানাজ আক্তার সিমুর নখের আঁচড় লেগে আসামি রুবেলের বাম ও ডান হাতে জখম হয়।  শাহানাজ আক্তার সিমু তার ভাই রুবেলকে যেন চিনতে না পারে সেজন্য শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে মিস্টার। আসামি রুবেল শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। এসময় আসামী মিষ্টারের সাথে শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আসামি মিষ্টার শাহানাজ আক্তার সিমুর মুখে আঘাত করে তার বুকের ওপর বসে গলায় চেপে ধরে। শিমুর ভাই আসামি রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ তিন হাজার টাকা এবং শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে যায়। আসামি রুবেল ও মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেঁধে বাড়ির পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে যায়। পরদিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে জাজর ব্রিজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ১ লাখ ৫০ টাকা বিক্রি করে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে শাহনাজ বেগম শিমুকে হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পুলিশ ওইদিন সকালে লাশ উদ্ধার করে। শিমুর স্বামী দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

৮ মাসেই ২০৩ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম আট মাসে সরকার সুদ ও আসলসহ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ ৮০ দশমিক ৫৯ মার্কিন ডলার এবং আসল ১২২ দশমিক ৪০ কোটি ডলার। অথচ গত বছরের একই সময় অর্থাৎ প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ পরিশাধ করেছিল ১৪২ দশমিক ৪১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৮ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৬১ কোটি ডলার। সোমবার (২৫ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র দেখা গেছে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ঋণ পরিশোধের ব্যয় এতটা বাড়ার পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে, আট মাসে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৮০৬ মিলিয়ন)। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়, যার তুলনায় এটি দ্বিগুণ হয়েছে। ইআরডি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা এ সময়ে ৭২০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান তারা। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এডিবির কাছ থেকে। এ সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ২৬২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া জাপানের কাছ থেকে ২০২ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় হয়েছে ৪৯৯ দশমিক ৭ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এডিবি। এ সংস্থা অর্থছাড় করেছে ১৩০ কোটি ডলার। জাপান ছাড় করেছে ১০৪ কোটি ডলার। এরপরে বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া রাশিয়া ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে। গত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ২৬৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসেবে পরিশোধ করেছে ৯৩ কোটি ৫৬ লাখ, আর আসল পরিশোধ করেছে ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে পরিশোধ বেড়ে হবে ৩৫৬ কোটি ডলার। আগামী দুই অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪২১ কোটি এবং ৪৭২ কোটি ডলার।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

কুয়াকাটায় ন্যাশনাল লাইফের বীমা দাবি পরিশোধ
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড কুয়াকাটায় ৫ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ উপলক্ষে কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে হোমসের মাঠে কর্মী সম্মেলন, বীমা দাবি পরিশোধ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন গ্রাহকদের মাঝে বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজিম উদ্দিন বলেন, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স যথাসময়ে গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ করেন। তাই ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের প্রতি মানুষের আস্থা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বরিশাল বিভাগীয় প্রধান মোরশেদুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খসরু চৌধুরী, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কাসেম। এছাড়া বীমা কোম্পানিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, গ্রাহক সেবা আর আন্তরিকতার কারণে দেশের প্রথম শ্রেণির বীমা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়