• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
হাবিপ্রবিতে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ 
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানমসহ সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। ঈদ উপহার বিতরণ সম্পর্কে গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও ঈদ সামগ্রী ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খালেদ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ তাদের সংগঠন পরিচালনা করে থাকে। এখন সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। আর কিছুদিন পর আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে দরিদ্র ও অসচ্ছল কিছু পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো এবং ঈদ আনন্দে শামিল করার লক্ষ্যেই আমাদের এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন।
১৫ ঘণ্টা আগে

এক পা নিয়ে জন্ম নিলো শিশু, পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক শিশু। অস্বাভাবিক হওয়া শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবার। শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।  বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে বিরামপুর সিটি ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম দেন নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুড়িয়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক মাহফুজুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। দুটি সন্তানের মধ্যে একটি স্বাভাবিক হলেও অপর শিশুটি মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় শিশুটিকে কোনো কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। এদিকে শিশুটির সুস্থ্যতা কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছে পরিবার।   শিশুর নানি আক্তারা বেগম বলেন, বিকেলে বিরামপুরে সিজারের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে এক মেয়ে শিশু সুস্থ আছে। অপরটি শিশুটির একটি পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। পাশাপাশি তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা নেই। তাকে রাতে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশুটির সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি। এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফজলে রাব্বী বলেন, রাতে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন বর্তমানে সুস্থ আছে। কিন্তু তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় আপাতত কোন ধরনের খাবার দেয়া হচ্ছে না। শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যদি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো হয় তাহলে এনাল ওপেনিং সার্জারির মাধ্যমে মলদ্বার চালু করা সম্ভব হবে। ইতিপূর্বে এই হাসপাতালে সার্জারির মাধ্যমে বহু মলদ্বার চালু করা হয়েছে। কিন্তু শিশুটির প্রসাবের রাস্তা চালুর বিষয়ে সংশয় রয়েছেন তিনি।  এদিকে বুধবার রাতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। ভবিষ্যতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, শিশুটির জন্মের পর পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিশুর পরিবারকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শিশুর সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।   
২৩ ঘণ্টা আগে

পরিবারের খোঁজ নিতে কারাবন্দি নীরবের বাসায় রিজভী
পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে কারাবন্দি যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের বাসায় গেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নীরবের গুলশানের নিকেতনের বাসায় যান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলা ও জামিনের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ নেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রিজভীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:১১

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৪ 
ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর এলাকায় গ্যাস সিলেন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছেন।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামটোলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন নুরুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী (২১) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৮)। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ধামরাই থেকে দগ্ধ অবস্থায় চারজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে নুরুল ইসলামের শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের ৮০ শতাংশ, সোহাগ হোসেনের ৩৮ শতাংশ ও নিশরাত জাহান সাথীর ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে, দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লিকেজ থেকে তিন কক্ষের ফ্ল্যাটটিতে গ্যাস জমে ছিল। ভোরের দিকে রান্না করতে উঠে আগুন জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকে তিনটি কক্ষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।  ধামরাই থানার এএসআই হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, আগুনে দগ্ধ চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছে। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৮

বাঁচানো গেল না সোনিয়াকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের সবার মৃত্যু
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবা-মা ও তিন ভাই-বোনের পর এবার মারা গেল শিশু সোনিয়া আক্তারও (১২)। বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরের দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়।  সোনিয়া গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। মঙ্গলবার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনও মারা যান। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সোনিয়াই বেঁচে ছিল। সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মামা আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা পূর্ব গোয়ালবাড়ীর বাসিন্দা এস এম জাকির বলেন, সোনিয়াকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪২

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বসতঘরের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে জেলার জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফয়জুরের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয় স্বজনসহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা।  নিহতরা হলেন ফয়জুর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৪৫), তাদের বড় মেয়ে সামিয়া (১৬), মেঝো মেয়ে সাবিনা (১৩) ও ছেলে সায়েম উদ্দিন (৮)। এ ঘটনায় ফজজুরের ছোট মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে (৬) আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফয়জুর রহমান পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে একটি টিনের ঘরে ওই এলাকায় বসবাস করতেন। ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজ ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন গেছে। সেহরির আগে ও পরে ঝড়বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ঘরের চালে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়। গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, ফয়জুর তার পরিবার নিয়ে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। গুরুতর আহত সোনিয়া সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফয়জুরের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয় স্বজনসহ প্রতিবেশীরা। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এ বি এম মিজানুর রহমান জানান, লাইন স্থাপনের পর ঘরটি তৈরি করা হয়েছে। এখন লাইনটি সরানো হবে। আহত শিশুর চিকিৎসার বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন জানান, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৭

তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলী জয়পুর গ্রামে তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের ৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন- আমজাদ হোসেন, তার ছেলে রুহুল আমিন, পুত্রবধূ রূপসী বেগম ও নাতনি রাজিয়া আক্তার। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুহুল আমিন জানান, শনিবার (২৩ মার্চ) পরিবারটি একটি তরমুজ কিনে ইফতারে সবাই মিলে খান। এরপর পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার দুপুরে তারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কী কারণে এমনটি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৩

অবন্তিকার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ 
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এদিকে ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে কুমিল্লা পূবালী চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে জোহরের নামাজের পর কুমিল্লা সরকারি কলেজে অবন্তিকার জানাজার নামাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। পরে শাসনগাছায় অবন্তিকার বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।   এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা হলো না সাইফুলের
ব্যবসায়ী কাজে ফেনী এসেছিলেন সাইফুল ইসলাম (৩৫)। ফিরে গিয়ে পরিবারের সবার সাথে ইফতার করার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাক কেড়ে নিলো প্রাণ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অভিমুখী সিএনজি অটোরিকশাকে বিপরীত দিক থেকে এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ট্রাকের সঙ্গে। এতে ঘটনাস্থলেই সাইফুল ইসলাম নিহত হন। নিহত সাইফুল চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কালী আইশ গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে। পরিবারের অন্যদের সাথে থাকতেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। ব্যাটারি ব্যবসায়ী সাইফুল সেখানেই ফিরছিলেন। কথা ছিল পরিবারের সবার সাথে বসে ইফতার করবেন। এ ঘটনায় সিএনজিঅটোচালক মো. রাসেল (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুহুল মোহসেন সুজন এ ঘটনায় একজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫২

কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৭ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ তার পরিবারের সাত জন অচেতন হয়ে পড়লে শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য তাদের কুড়িগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।  অসুস্থ অন্যরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মা মজিরন বেওয়া, স্ত্রী চায়না বেগম, কন্যা আখি ও তিন বোন শাহেদা, শাহেরা, ছকিনা বেগম। ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, বুধবার (৬ মার্চ) সকালে বাড়িতে খাবার খেয়ে চেয়ারম্যান ভূরুঙ্গামারীতে যান। সেখানে দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তাকে বাড়িতে আনা হয়। এ সময় বাড়ির সকলকে অসুস্থ অবস্থায় দেখা যায়। আজ সকাল থেকে সবার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কেউ সারাদিন ঘুমে অচেতন আবার কেউ চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। চেয়ারম্যানও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কথা বলতে পারলেও চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। একা হাটতেও পারছেন না। সন্ধ্যায় অসুস্থ সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল জানান, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। এখানে বাড়ির ভিতরে কেউ ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকলেই অসুস্থ্যবোধ করছেন। হয়তো কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চেতনানাশক ছিটিয়েছেন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএসএম সায়েম জানান, খবর পাওয়া মাত্র তাদেরকে হাসপাতালে আনতে এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা দিলেই তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে থাকতে পারে অথবা ঘরে চেতনা নাশক ছিটাতে পারে।  কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০৮ মার্চ ২০২৪, ২২:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়