• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পরিচয়ে ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিন-দুপুরে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে শহরের পাইকপাড়ায় সিলেট রোডে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিকেলে তিনি থানায় জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়।  ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুল হক জেলার নবীনগর উপজেলার বাঘাউড়া গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ট্রাভল এজেন্সির ব্যবসা করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ফজলুল হক বলেন, সম্প্রতি আমি ও আমার স্ত্রীর ভাই জমি বিক্রয় করেছি। জমি বিক্রির টাকা কয়েক দিন আমার বাসায় ছিল। আজ জমি বিক্রির ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে রিকশায় করে ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে পাইকপাড়ায় সিলেট রোডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসের কয়েকজন ডিবি পরিচয়ে আমার গতিরোধ করেন। এর মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা ছিল, একজন সিভিল ড্রেসে কোমরে পিস্তলের মতো ছিল আর ড্রাইভার ছিল। তারা বলে আমার কাছে অবৈধ মাল আছে এবং ডিবি অফিসে নিয়ে যাবে। একপর্যায়ে তাদেরকে সন্দেহ হলে চিৎকার শুরু করি। এ অবস্থায় আমার রিকশার পাশে অনেক মানুষ জড়ো হয় কিন্তু কেউ রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। তারা ধস্তাধস্তি করে আমাকে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়িতে নিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে পুলিশ লাইনের উত্তর দিকে নিয়ে টাকা রেখে আমাকে ফেলে দেয়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত জড়িতদের আটক করা যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগে

ডিবি পরিচয়ে সয়াবিন তেলভর্তি ট্রাক ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭
নরসিংদীর শিবপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে প্রায় ২১ লাখ টাকা মূল্যের ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেল ভর্তি ট্রাক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় লুট হওয়া ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেল, হ্যান্ডকাপ, ডিবি লেখা কয়েকটি স্টিকার, লেজার লাইট, হাতুড়ি, পুলিশ ক্যাপ, ওয়াকিটকি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি, লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রির নগদ ২ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।  এর আগে রোববার নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতিতে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার সোনাব এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে মো. নাদিম হোসেন আনিছ (২৯), রূপসী এলাকার মৃত নুরুল হক মীরের ছেলে মো. তোহা মীর শাওন (৩৮), নরসিংদীর মাধবদী থানার ছোট গদাইরচর এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. অন্তর (২৮), আলগী কান্দাপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন (২৫), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার পশ্চিম কেওঢালা এলাকার মো. ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে মো. মামুন (২৯), হবিগঞ্জ জেলার সৈয়দপুর এলাকার মৃত সমসু শামসু মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া (৩৫) ও ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার মালিহাটা এলাকার মোঃ আলী হোসেনের ছেলে মো. ইলিয়াছ (২৩)। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও বিভিন্ন অপরাধে মোট ২৪টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ মার্চ রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপসী এলাকার একটি তেল কারখানা হতে ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেল ভর্তি করে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। রাত ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের ঘাসিরদিয়া পুকুরপার এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার পেছন দিক থেকে সামনে গিয়ে পুলিশি সংকেত দিয়ে ট্রাকের গতিরোধ করে। এ সময় ৭-৮ জন ব্যক্তি ট্রাকচালক ও তার সহকারীকে ডিবি পরিচয় দেয়। পরে চালক ও তার সহকারীকে ট্রাকে অবৈধ মালামাল আছে বলে নামিয়ে হ্যান্ডকাপ পরায়। পুলিশ সুপার আরও জানান, এক পর্যায়ে চালক ও সহকারীসহ তেল ভর্তি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার পথে মাধবদী থানার ডাঙ্গা সড়কের পাশের একটি ইটভাটার সামনে হ্যান্ডকাপ খোলে গামছা দিয়ে হাত ও চোখ বেঁধে চালক ও সহকারীকে ফেলে রেখে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায় ডিবি পরিচয় দেওয়া ডাকাতরা। এ ঘটনায় তেল মালিক বিমল পাল গত ১৭ মার্চ শিবপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতিতে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৯

সংসার ভাঙার পর নতুন পরিচয়ে আসছেন এশা
সংসার জীবনে পা রাখার পরই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন এশা দেওল। কিন্তু সেই সংসারই টিকল না অভিনেত্রীর। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি। তবে সংসার ভাঙার পর এবার নতুন পরিচয়ে আসছেন এশা।    শিগগিরই রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন এশা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রীর মা বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী। গত ৩ বছর ধরে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। হেমা মালিনী জানান, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করার জন্য তাকে সবসময় সমর্থন করেন ধর্মেন্দ্র। অভিনেত্রীর ভাষ্য, পরিবার সব সময় আমার সঙ্গে থাকে। পরিবারের সমর্থনের কারণেই আমি এ কাজ করতে পারছি।   অভিনেত্রী আরও বলেন, ওরা মুম্বাইয়ে আমার বাড়ি দেখাশোনা করে। তাই আমি খুব সহজেই মথুরায় আসতে পারি। তাছাড়া আমি যা করি তাতেই ভীষণ খুশি হন ধর্মেন্দ্র। আমাকে বরাবরই সমর্থন করেন তিনি।  এশার রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়ে হেমা মালিনী বলেন, ও যদি চায় রাজনীতিতে আসতে পারে। রাজনীতিতে খুবই আগ্রহী সে। ভবিষ্যতে এই আগ্রহটা থাকলে ও অবশ্যই রাজনীতিতে যোগ দেবে।     সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৩

পুলিশ পরিচয়ে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে ছিনতাই
প্রাইভেটকার নিয়ে বাসস্ট্যান্ডসহ জনবহুল এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তোলেন গাড়িতে। কিছুক্ষণ পরেই প্রকাশ পায় চালক ও সহযাত্রীদের আসল চেহারা। তারা মূলত ছিনতাইকারী। নির্মম নির্যাতন করে আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা।  পুলিশ বলছে, শুধু রাতে নয়, দিনের বেলায়ও ছিনতাই করেন তারা। তাদের মূল বিচরণক্ষেত্র ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। এ রকম একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   প্রযুক্তি এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গার একটি এটিএম বুথ থেকে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলছেন যে ব্যক্তি এই কার্ডের প্রকৃত মালিক তিনি নন। একজনকে অপহরণ করে তার সঙ্গে থাকা এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলছেন তিনি। একই বছরের জুলাই মাসের ২০ তারিখে আরেকটি এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও টাকা তুলতে দেখা যাচ্ছে এই একই ব্যক্তিকে। এখানেও এই একই ঘটনা। বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা ব্যক্তির নাম আফজাল। তিনি মূলত একটি ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান। রাসেল আহমেদ গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আফজাল বাহিনীর হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন। ঢাকায় আসার জন্য তিনি দাঁড়িয়েছিলেন শ্রীনগরের ষোলঘর ইউনিয়নের একটি এলাকায়। একটি প্রাইভেটকার এসে থামে তার সামনে। ভাড়া মিটিয়ে তিনি উঠে পড়েন গাড়িতে। পরের ঘটনা শোনা যাক তার মুখেই। সেই রাসেল বলেন, তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পকেট থেকে ম্যানিব্যাগ, মোবাইল ও হাত থেকে ঘড়ি নিয়ে নেন। আমাকে বেধড়ক মেরেছে। কথা বলারও সুযোগ দেয়নি। আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে তারা বলেন যে, আপনার স্বামীকে রিসোর্ট থেকে মেয়েসহ ধরা হয়েছে। তাকে মারধর করা হচ্ছে। এই ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে তারা বলেন যে তারা পুলিশের লোক। তারা আমাকে সেভ করেছেন। আমাকে সোপর্দ করার কথা বলে আমার স্ত্রীকে এক লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এই মহাসড়কে রাসেলের মতো ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন আরও একাধিক ব্যক্তি। এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার কাছ থেকে মোবাইল, টাকা নিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। সেইসঙ্গে এটিএম কার্ড, বিকাশ ও নগদের পাসওয়ার্ড নিয়ে নেন তারা।   থানা পুলিশের কাছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর ঠিক কি পরিমাণ ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এই এক্সপ্রেসওয়েতে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কারণ অনেকেই যারা ভুক্তভোগী অর্থাৎ ছিনতাই কিংবা ডাকাতির শিকার হয়েছেন তারা থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি কিংবা মামলা করেননি। তবে যেসব ঘটনায় মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরি হয়েছে সেগুলো তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একাধিক ডাকাত চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের পর তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও একই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। পুলিশ প্রযুক্তি এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করে আফজাল বাহিনীকে। মূলহোতা আফজালসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। পুলিশ বলছে, ১১ মামলার আসামি আফজালের দলে আছেন একাধিক সদস্য। প্রতিদিন তিন থেকে চারজনকে নিয়ে তিনি বের হন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে।   কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির গণমাধ্যমে বলেন, কবে কাজ করবে, কীভাবে করবে- আফজাল এসব পরিকল্পনাগুলো করতেন। তিনি পালাক্রামে একেকদিন ৪ থেকে ৫ জনকে নিয়ে নিয়ে কাজটা করতেন। আফজালের কাছ থেকে এই হাইওয়ে রোডে এ ধরনেরই আরও কয়েকটি গ্রুপের তথ্য পেয়েছি।  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, রাজধানীর তিনশো ফিট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ যেসব সড়কে বিরতিহীনভাবে যানবাহন চলাচল করে সাধারণত সেসব এলাকায় তাদের মূল বিচরণক্ষেত্র। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন কবির আরও বলেন, বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে খুব চতুরভাবে নিজেরাও যাত্রী সেজে চক্রটির সদস্যরা টার্গেট ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করতেন। সাধারণত যাত্রীরা মনে করেন যে বাসে করে গেলে বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে গেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হবে। প্রাইভেটকারে করে গেলে দ্রত পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। সামান্য একটু সময় বাঁচাতে গিয়ে তারা বিপদে পড়ে যান। পুলিশ বলছে, একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এতে পুলিশের মতে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বাঁচতে দরকার যাত্রী সাধারণের সচেতনতা।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯

নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৩ বিয়ে, বাদ যাননি প্রতিবন্ধী নারীও   
ময়মনসিংহে নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৩ তরুণীকে বিয়ে করার অভিযোগে মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুল (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার সহযোগী কুদ্দুস আলীকেও (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁঞা এসব তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার মোহাম্মদ আলীর আলীর ছেলে। সহযোগী কুদ্দুস আলী ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার নগুয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁঞা বলেন, মহিদুল ইসলাম নৌবাহিনীতে এমএলএস পদে চাকরি করতেন। সেখানে দুই বছর চাকরি করার পর বিভিন্ন কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে তিনি নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মানিকগঞ্জে তিন, টাঙ্গাইলে তিন, কিশোরগঞ্জে এক ও ময়মনসিংহে ছয়টিসহ মোট ১৩টি বিয়ে করেন। এক প্রতিবন্ধী নারীকেও বিয়ে করে ভাতার টাকা আত্মসাত করতেন মহিদুল ইসলাম। মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে একের পর এক বিয়ে করে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন তিনি। পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সময় পোশাক পরিহিত অস্ত্রসহ কিছু ছবি জব্দ করা হয়েছে। মহিদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের খবরে তার ছয় স্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই টাকা উদ্ধার ও মহিদুল ইসলামের কঠিন বিচার দাবি করেছেন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, হঠাৎ ধর্ষণ মামলা প্রেমিকার
সাভারে সাবেক ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল রানা (৩০) নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের শাহরাইল থেকে সাভার মডেল থানা পুলিশ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল রানা সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি পাবনায়।  পুলিশ জানায়, সাভারের চাপাইনের লালটেক এলাকায় বাদী ও বিবাদী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছিলেন। তাদের উভয়েরই গ্রামের বাড়ি পাবনায়। বিবাদী সোহেল রানা হঠাৎ অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ কারণে স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করা নারী সোহেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।  এ বিষয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব সিকদার বলেন, এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। জানা গেছে, অভিযোগকারী নারীও ছাত্রলীগের একটি ইউনিটের কমিটিতে ছিলেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯

অতিথি পরিচয়ে বাসায় ঢুকে গল্প, অচেতন করে স্বর্ণালংকার লুট
ফেনী শহরের পশ্চিম ডাক্তারপাড়ায় ভাতিজির বান্ধবী পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে সবাইকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গজারিয়া পাড়ার হাসান সিকদারের মেয়ে তানিয়া আক্তার সাদিয়া (৩২), পিরোজপুর জেলার নতুন বাজার গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বাপ্পি হাসান নাহিদ (২৬) এবং ঢাকার আদাবর আলিফ হাউজিংয়ের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৪৫)। এ সময় চক্রের কাছ থেকে এক ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৮ জানুয়ারি) পৌরসভার পশ্চিম ডাক্তারপাড়া রফিক ম্যানশনের তৃতীয় তলায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাসার গৃহপরিচারিকা বাসা পরিষ্কার করছিলেন। তখন দরজা খোলা পেয়ে কৌশলে তানিয়া আক্তার সাদিয়া নামে এক তরুণী বাসায় ঢুকে নিজেকে অতিথি হিসেবে পরিচয় দেন। পরে রফিকের স্ত্রীর সঙ্গে গল্পের ছলে স্বর্ণালংকারের কথা জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে তাদের অচেতন করে আলমারি থেকে সাত ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওইদিন বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়ায় একটি বাড়িতে চুরি করতে গেলে এ চক্রের তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতারক তানিয়া আক্তার সাদিয়া ঘরে আসার পর নিজেকে আমার আমেরিকা প্রবাসী ভাতিজি বর্ষার বান্ধবী পরিচয় দেয় এবং তারা একসঙ্গে আমেরিকায় থাকেন বলে জানায়। তখন আমার স্ত্রী তাকে বসতে বলে। দুপুরে খাবার খেতে বাসায় এসে আমার স্ত্রীকে কিছুটা অসুস্থ দেখি। এ ছাড়া বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো, আলমারি ও গয়নার বাক্স খোলা অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রতারককে শনাক্ত করি। ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২৬

এসআই পরিচয়ে ৯ বিয়ে, অতঃপর...
নিজেকে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে একে একে ৯ নারীকে বিয়ে করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নাজমুল হক (৩০) নামের এক প্রতারক। অবশেষে বগুড়ায় বাড়ি ভাড়া নিতে এসে ধরা পড়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  জানা গেছে, নাজমুল হক পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলি ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়িতে নিজেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই পরিচয়ে বাসা ভাড়া চায় সে। সন্ধ্যায় মঞ্জু শেখের কাছে মোবাইল ফোনে ১০ হাজার টাকা ধার চায় নাজমুল। সন্দেহ হলে মঞ্জু মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। পরে কৌশলে মঞ্জু শেখের বাড়িতে তাকে ডেকে এনে আটক করা হয়। এরপর মঞ্জু শেখ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানুষের বিশ্বাস অর্জনে প্রতারক নাজমুল পুলিশের নকল আইডি বানায়, সেই সঙ্গে পুলিশের পোশাক-জুতা ও ওয়াকিটকিও কিনেছে সে। ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করে সে। এরপর চাহিদা মতো টাকা নেওয়া হলে ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় নাজমুল। এভাবে নিজ জেলা পাবনায় ৫টি এবং শিবগঞ্জে ৪টি বিয়ে করেছে সে। শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, নাজমুলের ফোনে পুলিশের পোশাক পরা অসংখ্য ছবি পাওয়া গেছে। সেগুলো ব্যবহার করেই প্রতারণা করতো সে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার নয়টি বিয়ের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। আজ দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়