• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এক কবরে মিলল হাতকড়া পরানো ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ
টানা প্রায় চার মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এরই মধ্যে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে। কবরটিতে চোখ বাঁধা ও হাতকড়া পরানো পচন ধরে যাওয়া ৩০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ পাওয়া গেছে। কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিল সবকটা মরদেহ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। গণকবরটি পাওয়ার পর ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উত্তর গাজার হামাদ স্কুলের কাছে ‘কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে’ ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহগুলোর চোখ ও হাত বাঁধা ছিল। তাদের হত্যার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।   এ ঘটনাকে ইসরায়েলি ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া এ ‘গণহত্যার’ সত্যতা ও মাত্রা খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক তদন্ত দলকে গাজা পরিদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে।    প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, মৃতদের কালো ব্যাগে ভরার আগে চোখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারের কাজ করছিলাম। তখন স্কুলের আঙিনার ভেতরে ধ্বংসস্তূপ দেখতে পাই। পরে তার ভেতর বেশ কয়েকটি মরদেহ দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে যায় উপস্থিত সবাই।'  তিনি আরও বলেন, ‘কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ খুলতেই আমরা মরদেহ পাই, সেগুলো পচে গিয়েছিল। চোখ, হাত-পা বাঁধা ছিল তাদের।’   ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উচিত গণকবরের ডকুমেন্ট তৈরি করা।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৫

আসামিদের গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না : হাইকোর্ট
শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ আসামি ছাড়া আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আগামী ১১ মার্চ রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।    রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পড়ানো যাবে। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।   প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ১৩ জানুয়ারি বিকেলে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে বাবার জানাজায় অংশ নেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। নামাজের সময় হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। গত ১৬ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ চাওয়া হয়। ‘ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজা পড়লেন ছাত্রদল নেতা’ শিরোনামে গত ১৩ জানুয়ারি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। গত শনিবার বেলা তিনটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়