• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দেশের সার্বভৌমত্বের বড় শত্রু বিএনপি-জামায়াত : শেখ পরশ
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বাংলাদেশে সার্বভৌমত্বের সবচেয়ে বড় শত্রু বিএনপি-জামায়াত। ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। বিএনপি হচ্ছে সেই নিধিরামদের দল। শক্তি নাই, সমর্থ নাই বড় বড় কথা। শক্তি-সামর্থ্য নাই বলে নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। আন্দোলনেও বাতাস পাচ্ছে না। জমায়াতও পারছে না। এখন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে তাদের অনেক দুশ্চিন্তা। আমি শুধু তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এদেশে যতদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা বেঁচে আছেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। “কুমিরের কান্না” দিয়ে এ দেশের মানুষকে ধোঁকা দেবার চেষ্টা করবেন না। রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে, আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা জেলা শাখার উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরশ বলেন, মনে রাখতে হবে, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসরদের সামনে একমাত্র বাধা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ছলে-বলে-কৌশলে দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান হতে পারে। সেকারণে এই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এই নীলনকশার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (জিএস মিজান), সঞ্চালনা করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ আহমেদ, হাজী এইচ এম সেলিম, এরফান উদ্দিন আহমেদ।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৩

শেখ হাসিনা দুর্বল হলেই দেশবিরোধী শক্তির উত্থান হবে : শেখ পরশ
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসরদের সামনে একমাত্র বাধা শেখ হাসিনা, তাকে ছলে বলে কৌশলে দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান হবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল টি অ্যান্ড টি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এই নীলনকশার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার। সারাক্ষণ শেখ হাসিনার গণমানুষের সরকারকে ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী এবং আধিপত্যবাদী দানব সরকার বলে লেবেল করে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল সাহেবরা। শেখ পরশ বলেন, একজন পিতা হাজারো অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বিশ্বের বুকে আদর্শিক একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, আবার তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। স্বাধীন দেশকে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সবদিক থেকে বিশ্বের বুকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছেন তিনি। শেখ পরশ আরও বলেন, পিতা ও কন্যার সাফল্য, সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। দুই প্রজন্ম ধরে এমন কৃতিত্বের ফলে দেশের জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সংগঠন আওয়ামী লীগের গভীর বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, গত ১৫ বছরে এত অর্জন সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটা এ দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এ দেশের মেহনতি-কর্মজীবী মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মানিত অতিথি  ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০১

বিদেশি কোনো প্রভুর ইন্ধনে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : শেখ পরশ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে, তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে বিএনপি। নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে তারা। বুধবার (২৭ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (খাদ্য ও বস্ত্র) বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর ২টায় উত্তরা-১২নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে এসব উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য। সে কারণে এদেশের জনগণকে আমরা সবসময় আমাদের সাথে পাই। এ দেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিল এবং থেকে আসছে। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা নৌকার ভোটারদের টলাতে পারেনি। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত।  তিনি বলেন, জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে চারবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হয়, দেশের মানুষের প্রতি সহমর্মী হতে হয়, দুর্নীতি পরিহার করতে হয়, এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়। দক্ষতা নেই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই ওরা দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।  এই স্বাধীনতার মাসে ওরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাদের বেগম সাহেবরা ভারত যাচ্ছে ঈদের শপিং করতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে। নিশ্চয়ই অন্য কোন বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু লাভ হবে না, বেঈমানদের কেউই বিশ্বাস করে না, ইতিহাসও ক্ষমা করে না। স্বার্থ হাসিল করে ছুড়ে ফেলে দেবে, ক্ষমতায় বসাতে পারবে না যতদিন জনগণ শেখ হাসিনার সাথে আছে।       তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ। আমাদের প্রধান কাজ, জনগণের পাশে থাকা। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোন জনবিচ্ছিন্ন সুশীল সমাজের পূর্বনির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা জননেত্রী শেখ হাসিনা রচিত করেছেন ইতোমধ্যে, সেটা হচ্ছে মানবিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা। আজকে ওরা হত্যা, জেল-জুলুমের কথা বলে, আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরণের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘর আগুন দিয়েছিল, জেলা-জুলুম কোনো কিছুই বাদ ছিল না। ২১ বছর পর ১৯৯৬-তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে বিজয় মিছিলও করেনি যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই সংযমের প্রতিদান কি পেয়েছি আমরা? ২৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থকদের হত্যা করেছিল ওরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী-শিশু নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আদলে।  বিএনপি-জামায়াত সরকার এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এ দেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হতো। এ ভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে গঠিত সংগঠনের নেতারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। যাদের জন্মের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে। ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে। একজন স্বৈরাশাসকের পকেট থেকে যে দলের সৃষ্টি তারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। তাদের জন্মটা কোথায় এবং কীভাবে হয়েছে, তারা কি ভুলে গেছে? এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

প্রধানমন্ত্রীর নিষ্ঠা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান পরশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নিষ্ঠার সঙ্গে দেশকে পরিচালনা করছেন, যুব সমাজকে তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জনিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আহ্বান জানান তিনি। যুবলীগের চেয়ারম্যান এ সময় বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিটা আমরা এখনও পাইনি। এটা এই প্রজন্মের সময়ের দাবি। এটা পাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন এবং সোচ্চার হতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে এই অর্জনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা রাখবে। এটাই প্রত্যাশা। যে কোনো শোষণ, বঞ্চনার ক্ষেত্রে যুব সমাজের ভূমিকা অগ্রণী থাকবে, এই প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, যুব সমাজ ও তরুণ সমাজের কাছে প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধু যে প্রতিবাদী ও সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তা থেকে  অনুপ্রেরণা নিয়ে নতুন প্রজন্ম সামনের দিকে এগিয়ে যাবে ও ভূমিকা রাখবে। একাত্তরের গণহত্যার পরে বিশেষ করে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা করা খুবই সাহসী ও প্রতিবাদী পদক্ষেপ ছিল।  শেখ ফজলে শামস পরশ আরও বলেন, শেখ হাসিনা যেরকম নিষ্ঠার সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশকে লালন করছেন, সেখান থেকে শিক্ষা নিতে পারে যুব সমাজ। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৮

বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্য জনগণের ওপর অত্যাচার : শেখ পরশ
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে এদেশের দুঃখী-দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষদের আরও বঞ্চিত করেছে।  বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এদেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করা ও বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সোমবার (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবস উপলক্ষে পল্লবী, বাউনিয়াবাধ ঈদগা মাঠে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে গরীব ও অসহায় রোজাদারদের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত ২৫ মার্চের কালরাত। শুধু ১৯৭১ এর এই ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ওই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের উপর পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মানুষ হিসাবে ওরা সমগ্র জাতিকে কলঙ্কিত করেছে, ছোট করেছে। বাঙালি জাতিকে বিলুপ্ত করে দিতে এই গণহত্যা চালানো হয়েছিল এব্যাপারে সন্দেহ নাই। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সবধরণের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল। ভারতের পণ্য বর্জনের ঘোষণা যারা দিয়েছে তারা যেন রোজার সময় ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য না খায়। আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর এর সহসভাপতি মজিবুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে  এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন  আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

‌‘জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই অগ্নি-সন্ত্রাস চালানো হয়েছে, তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য এবং তাদের আটক নেতাকর্মীদের স্বীকারোক্তি থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পল্লবীর ইসলামিয়া স্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনও মানুষের মনে দাউদাউ করে জ্বলে। বিএনপি জানে তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে, মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছে। এই অপরাধী বিএনপিকে মানুষে কোনোদিনও ভোট দেবে না। সে অপরাধবোধ থেকে ভোট চাইতে মানুষের সামনে যেতে ভয় পেয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। পরশ বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখলে বোঝা যায়, যখনই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। তাতে প্রথমে ছিল, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সেই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রীসভার বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের তাগাদা দিচ্ছেন, কাজের তদারকি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের সমস্যা সমাধান করে জীবনমান উন্নত করা। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, বঙ্গবন্ধুকন্যার ওপর আস্থা রাখতে হবে। অচিরেই সংকট সমাধান করব। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যখনই মানুষের জীবনে উন্নতি হয়েছে, আরও অধিকতর উন্নতির সুযোগ রয়েছে, তখনই মানুষের ভাগ্য নিয়ে, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বিএনপি-জামায়াত। আজকেও এই কালো পতাকা মিছিল তাদের কু-মতলবের আভাস বহন করে। একটা অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করে। আবারও কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাঁয়তারা করছে কি না সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়