• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পরও কমেছে দাম
গত ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারত। তবে নিষেধাজ্ঞার পরও দেশের বাজারে কমেছে পণ্যটির দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা থেকে কমে ৫২ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৭ থেকে ৫৩ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫২ টাকায়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, কারওয়ান বাজার এবং শেওড়াপাড়ার কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ কিনেছে। তাই বাজারে পণ্যটির চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের মৌসুম হওয়ায় ইতোমধ্যে খেত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমে গেছে। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পেঁয়াজ চাষি আশরাফ সরকার জানান, তিন দিন আগে তিনি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪২ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৩৭ টাকায়। তিনি বলেন, সাঁথিয়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতাম। তারা দাম কম দেওয়ায় কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে যাই। পরিবহনের জন্য বাড়তি টাকা খরচ হয়েছে। সবমিলিয়ে লাভ হয়নি। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর পেঁয়াজের দাম দুইদিন বেশি ছিল উল্লেখ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুলতানা নাসিরা বলেন, পেঁয়াজের মৌসুম হওয়ায় বাড়তি দাম স্থায়ী হয়নি। বাজারে দেশি পেঁয়াজ চলে আসায় দাম কমে গেছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে এর মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আর চলতি বছরের ২৩ মার্চ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তখন দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কিছুটা বাড়লেও, দুইদিন পর থেকে কমতে শুরু করে।  
২৩ ঘণ্টা আগে

বুধবার থেকে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল 
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটার জন্য রাজধানীবাসীর চলাচল নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল। আর এজন্য বাড়ানো হবে ট্রেনের সংখ্যাও।  মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, ১৬তম রোজার দিন মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। আর রমজান উপলক্ষে নতুন শিডিউলে চলবে ১৯৪ বার। তবে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলে দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি চার মিনিট পরপর ট্রেন চালাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ২৪ সেট মেট্রোরেল আছেও। তবে, এখনও পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালু করতে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাচ্ছে ডিএমটিসিএল।  বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে মেট্রোরেল। যার মধ্যে পিক আওয়ারে সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতি ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করে। আর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, রোজা শুরুর আগের ১৫ দিন প্রতিদিন গড়ে পৌনে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে। কিন্তু রোজা শুরুর পর দিনে গড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, রোজার শেষ অর্ধে যাত্রীর চাপ বাড়বে। এ ছাড়া চলাচলের সময় বাড়ানোর ফলে যাত্রীসংখ্যা আগের জায়গায় চলে যাবে বা এর চেয়েও বেশি হবে। আর ঈদের পর বাড়তি যাত্রী অব্যাহত থাকলে এপ্রিলেই দুই ট্রেনের মধ্যে চলাচলের যে সময় নির্ধারিত আছে, তা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। সক্ষমতা থাকার পরও পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতায় ট্রেন চালুর বিষয়ে অপেক্ষা কেন, এমন প্রশ্নে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক জানান, মেট্রোরেল চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন তারা। প্রয়োজন অনুসারে দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনছেন। মূলত নিজেদের আয়ে পরিচালিত হচ্ছে মেট্রোরেল। সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। তাই যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২০

‘এত উন্নয়নের পরও শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’
এত উন্নয়ন করার পরও একটি গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নবনির্বাচিত নেতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে হতদরিদ্র দেশ থেকে আজকের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ আজ বাংলাদেশকে দেখে বিস্ময় চোখে তাকিয়ে থাকে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। তার কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এত উন্নয়নের পরও একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’ তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা দেশবিরোধী অপশক্তি। তারা দেশের মানুষকে শান্তি দিতে জানে না। দেশের মানুষের মুক্তি, শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা কোনো কাজ করে না। শেখ হাসিনা মানুষের জন্য যে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তার এ চলার পথকে তারা বাধাগ্রস্ত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চায়। তারা বারবার আমাদের অর্থনীতির ওপর আঘাত করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সজাগ থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক চেতনায় সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিশ্বাস করে তাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকব। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ শক্তি আমাদের আরও শক্তিশালী করবে।’ বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘কেউ যদি অপ্রয়োজনে অথবা নিজের স্বার্থের জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শক্তিকে পরাজিত করে আত্মতৃপ্তি পায়, তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে তাদের পক্ষের শক্তি থাকবে না। যাদের অসৎ উদ্দেশ্য থাকে তারা সবসময় পরাজিত হয়।’
০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:২৬

শুল্ক ছাড়ের পরও নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার
আমদানি শুল্কে ছাড় ঘোষণার পরও নিয়ন্ত্রণহীন রয়ে গেছে নিত্যপণ্যের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে শাক-সবজি ও মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যেরই। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।   সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে শুক্রবার বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আরও আগেই শুল্ক কমানো উচিত ছিল। এখন কমিয়ে তেমন একটা কাজ হবে না। আর ক্রেতারা বলছেন, অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে শুধু আমদানি শুল্ক কমালেই চলবে না, তদারকি জোরদার করতে হবে এর পাশাপাশি।  এদিকে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম ঘাম ধরাচ্ছে ক্রেতা সাধারণের কপালে। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দা, ডাল-ছোলা, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের দাম। দাম নিয়ন্ত্রণে চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।    অথচ শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। ছোলার পাশাপাশি বাড়ছে অন্যান্য ডালের দামও। গত একমাসের মধ্যে এসব পণ্যের দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে।  অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও! এরই মধ্যে আকাশ ছুঁয়েছে খেজুরের দাম বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বরই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। বিক্রেতারা বলছেন, আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে চাহিদা বাড়তে থাকায় দামও বাড়ছে খেজুরের। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রাকিব জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা রাকিব জানান, দাম যা বাড়ার তা আগেই বেড়ে গেছে। মূলত রোজাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। আর তার প্রভাবই এখন পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারেও। গত এক মাসের ব্যবধানে এলাচ-লবঙ্গের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। গোলমরিচ ও দারুচিনির দামও বাড়তি। এর কারণ জানেন না খোদ বিক্রেতারাও। তাদের দাবি, আমদানিকারকদের কারসাজিতেই বাড়ছে দাম। নতুন করে ঝাঁজ লেগেছে পেঁয়াজের দামেও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আমদানিশুরু হলেও বাজারে দেখা নেই ভারতীয় পেঁয়াজের। উধাও পুরাতন দেশি পেঁয়াজও। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও সেগুলো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে, তাই ফের দাম বাড়ছে। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কম আসছে। এ ছাড়া বাজারে অন্য জাতের পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজও নেই। তাই দাম বাড়ছে।র তবে, সরবরাহ ঠিক থাকায় নতুন করে দাম বাড়েনি আদা ও রসুনের। কেবল মানভেদে দামে কিছুটা তারতম্য আছে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আলু ও মরিচ বাদে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের শাক-সবজির দাম। কেজিতে দাম বেড়েছে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি বেগুন জাতভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা, ক্ষীরাই ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কহি ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও পেঁয়াজের কলি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আকারভেদে প্রতিপিস ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও ব্রকলি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে কমেছে নতুন আলু ও কাঁচামরিচের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এদিকে, উভয় পর্যায়ে দাম কমে পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা ও লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যসব পণ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবারও দাম বেড়েছে মাংস ও ডিমের। প্রতি কেজিতে মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে।  বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। বাজারে আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। গত মাসে নিজেরাই গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দিলেও এখন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারিত থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিকেজি গরুর মাস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে আপাতত ৭০০ টাকা দরে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা। মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির কথা বললেও কেন ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ৭৫০ টাকায় ভালো মানের মাংস বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করে পোষাচ্ছে না তাদের। গত সপ্তাহের তুলনায় এখন ডজন প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে আজ। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মাছের বাজারের অস্থিরতাও থামছে না। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে দেশি মাছের দাম।  হাতে গোনা কয়েকটি চাষের মাছের দাম কমলেও তা নাগালের বাইরে বলে দাবি ক্রেতাদের। বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৬৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও তেলাপিয়া ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, বাইম ১ হাজার টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। আর প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকার ওপরে। কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী হরিপদ বলেন, মাছের সরবরাহ না বাড়ায় দামও কমছে না। এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, খাদ্য অধিদফতরসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা মাঠে নামলেও সুখবর নেই চালের বাজারে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে দাম যতটা বেড়েছে, তার তুলনায় কমেছে সামান্য। খুচরা পর্যায়ে চালভেদে কেজিতে কেউ কেউ এক-দুই টাকা কম রাখলেও বেশিরভাগ বিক্রেতা আগের বাড়তি দামেই চাল বিক্রি করছেন। কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইস এজেন্সির আল হাসিব বলেন, নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। তবে মিল-মালিকদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আবারও বাড়তে পারে চালের দাম। নিত্যপণ্যের এ অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা সাধারণের। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়। আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৯

ভালো শুরুর পরও পুঁজি বড় করতে ব্যর্থ দুর্দান্ত ঢাকা
চলমান বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। তবে পরের ম্যাচ থেকে হারের ধারা বজায় অব্যাহত রেখেছে রাজধানীর দলটি। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর পরও সিলেট স্ট্রাইকার্সকে মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ঢাকা। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দুর্দান্ত ঢাকার। ৪ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির হোসেন। তৃতীয় উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন নাঈম শেখ ও সাইফ হোসেন। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান।  ৩২ বলে ৪১ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। বেনি হাওয়েলের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। এরপর পিচে টিকতে পারেননি নাঈমও। ২৯ বলে ৩৬ রান করে সামিত প্যাটেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ওপেনার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অ্যালেক্স রোস। ৫ রান করে আউট হন এই অজি ব্যাটার। ১৩ বলে ১০ রান করে আউট হন সাইম আইয়ুব। ১০ বলে ৮ রান করে ফেরেন ইরফান শুক্কুরও। ভালো শুরুর পর শেষ পর্যন্ত লাসিথ ক্রসপুলের ১২ রান এবং তাসকিন আহমেদের ৬ রানে ভর করে ১২৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় দুর্দান্ত ঢাকা। সিলেট স্ট্রাইকার্সে হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রেজাউর রহমান রাজা। সামিত প্যাটেল নেন দুই উইকেট। এ ছাড়াও নাইম হাসান ও বেনি হাওয়েল একটি উইকেট শিকার করেন।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১২

আমদানি শুল্ক কমানোর পরও বাড়ছে চিনির দাম (ভিডিও)
আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পর এক টাকাও কমেনি চিনির দাম বরং বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে ৩৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়। আর খোলা চিনি ১৪০ টাকা। বিশ্লেষকদের দাবি, চিনি আমদানিতে মনোপলি সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দাম কমানো কঠিন। তথ্যমতে, চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণে গত বছরের নভেম্বরে আমদানি শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির প্রজ্ঞাপনে, অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি টনে শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে কমানো হয়েছে দেড় হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনির শুল্ক ৬ হাজার টাকা থেকে করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। শুল্ক ছাড় সুবিধা আমদানিকারকরা পাবেন আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বড় আকারের শুল্ক ছাড়ে ভোক্তারা কম দামে চিনি কিনতে স্বস্তি পাবেন, এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। দাম তো কমেনি বরং প্রায় প্রতি মাসে বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম বেড়েছে গড়ে ৩৫ টাকা। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির দাম একটু বেশি হলেও সংকট নেই। তবে, সরকার যদি আমদানি করে আমাদের মাধ্যমে সরবরাহ করে তাহলে দাম কিছুটা কমবে।  বিশ্লেষকরা বলছেন, চিনি আমদানি ও সরবরাহে মনোপলি সিস্টেম ভাঙতে না পারলে বাজারে স্বস্তি ফেরার সম্ভাবনা নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ট্র্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার পুরোপুরি চালু হলে তথ্যে কোন ঘাটতি থাকবে না। তখন মিলগেট থেকে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে কোন জেলায় কতটুকু পণ্য যাচ্ছে সেগুলো আমরা ট্র্যাক করতে পারব।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৮

সাইম ও নাঈমের দুর্দান্ত শুরুর পরও ঢাকার ছোট পুঁজি
বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। শুরুটা ভালো করতে পরের দুই ম্যাচেই হারের তিতো স্বাদ ভোগ করেছে রাজধানীর দলটি। চতুর্থ ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে খুলনা টাইগার্সকে ১৩১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তাসকিন-শরিফুলরা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ঢাকা দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও নাঈম শেখ। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে দলটি। তবে ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন নাঈম। ২১ বলে ৪১ রান করে আফিফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইভেন লুইসের তালুবদ্ধ হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। নাঈমের আউটের পর বিদায় নেন সাইম আইয়ুবও। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে দাসুন শানাকার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে অভিষেক করা ‍গুলবাদিন নাইব ও এসএম মেহরাব। ১২তম ওভারে মুকিদুলের দ্বিতীয় বলে ৬ বলে ৩ রান করে ক্যাচ আউট হন গুলবাদিন। এরপর এক বল পরেই আফিফের হাতে তালু বদ্ধ হন মেহরাব (৩)।  ভালো শুরু করেও ৯ রানের ব্যবধানে চার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে দুর্দান্ত ঢাকা। আশার যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন ইরফান শুক্কুর ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১৪তম ওভারে ৪ বলে তিন রান করে শুক্কর আউট হলে, ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন সৈকত। এরপর অ্যালেক্স রোস এক প্রান্ত আগলে রাখলেও উইকেট হারাতে থাকে বাকিরা। তাসকিন আহমেদ (৪) ও ওসমান কাদির (১)। ১৪ বলে ২১ রান করে আউট হন রোসও।  শেষ পর্যন্ত শরিফুল ইসলামের ৭ বলে ১ রান এবং আরাফাত সানির ১৪ বলে ১৫ রানের ভর করে নয় উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানের লড়াকু পুঁজি পেল ঢাকা। খুলনা টাইগার্সে হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ওয়াসিম জুনিয়র ও মুকিদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও  দাসুন শানাকা ও আফিফ হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৪

নির্বাচনের পরও থামছে না সহিংসতা, আত্মগোপনে অনেক নেতাকর্মী 
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অুনষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের আগে থেকেই পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের মহিপুরের কয়েকটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পরে উত্তেজনা। নির্বাচনের ১৩ দিন পার হলেও থামছে না সহিংসতা। এখন পর্যন্ত অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন। মারধরের ভয়ে এখনও বাজার ঘাটে উঠতে পারছেন না অনেকে। আত্মগোপনে চলে গেছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা। মামলা করতেও সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। যার ফলে কোণঠাসা হয়ে পরেছে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত আওয়ামী লীগের নেতারা। এতে ঝিমিয়ে পড়েছেন মাঠ পর্যায়ের সাধারণ কর্মীরা।      সর্বশেষ গত শুক্রবার সন্ধ্যায় লতাচাপলী ইউনিয়নের ডংকুপাড়া গ্রামের বটতলা নামক স্থানে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন বরিশাল বিএম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আসাদ মোল্লা। নৌকার প্রতীকের কর্মী আব্দুর রহিম মুসুল্লী ও তার ছেলে রাব্বী মুসুল্লী কুপিয়ে আসাদ মোল্লাকে রক্তাক্ত জখম করেছেন। তার মাথায় ছয়টি ও হাতে একটি কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত আসাদ বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আসাদ মোল্লা লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা এবং কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার ভাতিজা। তার বাবার নাম ফারুক মোল্লা। এ ঘটনায় আসাদ মোল্লার মামা নাসির গাজী বাদী হয়ে মহিপুর থানায় চারজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।   এ প্রসঙ্গে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, শুক্রবার রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।       শুক্রবার একই সময় আলীপুর থ্রিপয়েন্ট এলাকায় হামলার শিকার হন ইসমাইল ফরাজী নামের এক যুবক। নৌকার কর্মীরা হাতুরি দ্বারা পিটিয়ে ইসমাইল ফরাজীর দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত থেতলে দিয়েছেন। ইসমাইল ফরাজী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সে লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের পান্না মিয়া ফরাজীর ছেলে।  এর আগে নির্বাচনের পরদিন আলীপুর চৌরাস্তায় নৌকার কর্মীদের হামলার শিকার হন মোশাররফ মোল্লা। তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত থেতলে দেয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় আনা হয়েছে। হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানের ক্ষত ভালো হলে দু’পায়ের অপারেশনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন চিকিৎসক। মোশাররফ মোল্লা লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা এবং কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার ছোট ভাই।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি (রোববার) রাতে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) পর্যন্ত পটুয়াখালী-৪ আসনের মহিপুরের লতাচাপলী, মহিপুর, ধুলাসার, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌর এলাকায় অন্ততপক্ষে অর্ধশত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের সমর্থক বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারছেন না। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া পরিবহন কাউন্টার ও শ্রমিক সংগঠনগুলোতে এসেছে নতুন নেতৃত্ব।   লতাচাপলী ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান তালুকদারের আলীপুরস্থ নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, প্রদীপ ও স্বপন নামের ২ জন সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়ছে। এছাড়া আলীপুরের বাজার পাহারাদার আব্দুর রহিম, ভ্যানচালক হাচান প্যাদা, মুরগী ব্যবসায়ী আলী হোসেন, মাছ ব্যবসায়ী সোহাগ, ইউপি সদস্য মিজান মুসুল্লী হামলার শিকার হয়েছেন। এখনো দোকান খুলতে পারছেন না অপু গাজী, আবু বক্কর মল্লিক। এমন অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লাসহ অনেক নেতারা। এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রতিনিয়ত আমার হাত, পা কেটে ফেলার বিভিন্ন হুমকি ধমকি আসছে। আমি চাই এই প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হোক। সুষ্ঠু ধারায় রাজনীতি চলুক। লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়গুলো উপজেলা নেতাদের অবহিত করা হচ্ছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।  এদিকে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থাকা  নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস পৌর আ’লীগের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানিয়েছেন পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার। তবে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ লাভ করতে পারেন নি। কুয়াকাটা পৌরসভায় দু’টি দলীয় কার্যালয় হওয়ায় বিভ্রান্তিতে পরেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা।    এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করার জন্য বর্তমান মেয়র নির্বাচনী অফিস দলীয় কার্যালয় বানিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য পদ পাননি। বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন।  এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় একটি। মেয়র আনোয়ার হাওলাদার যেটি করেছেন ওটি নির্বাচনী অফিস।  তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পরবর্তী যারা সহিংসতা করছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  নির্বাচনী পরবর্তী কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা রোধে মহিপুর থানা পুলিশ সবসময় সতর্ক আছে। যারা সহিংসতা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   উল্লেখ্য, পটুয়াখালী-৪ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে টানা দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মহিববুর রহমান মহিব। তিনি বর্তমানে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান তালুকদার। হেভিওয়েট এ দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা জড়িয়ে পরেছেন নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায়।   
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৭

পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও অস্থির চালের বাজার
দীর্ঘদিন উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকার পর ফের অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও রাজধানীর পাইকারি বাজারে চিকন ও মোটা চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।  শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাবুবাজার ও বাড্ডা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।  সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও নতুন ও পুরনো চাল বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে মোটা ও চিকন চাল কেজিতে বেড়ে গেছে চার থেকে ছয় টাকা। মোটা চাল ব্রি-২৮ মানভেদে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। খুচরা বাজারে চিকন চালের মধ্যে মিনিকেট মানভেদে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল মানভেদে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।   এ বিষয়ে চাল ব্যবসায়ী ও চালকলের মালিকরা বলছেন, কৃষকের কাছ থেকে মিল মালিকরা এবার বাড়তি দামে ধান কিনেছেন। এতে তারা নতুন করে কিছুটা দাম বাড়িয়ে বাজারে চাল ছাড়ছেন। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজার নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে। নানা অজুহাতে চালকল মালিকরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারওয়ান বাজারের চালের এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, নির্বাচনের এক দিন পর মিলাররা হঠাৎ কারসাজি করে চালের দাম বস্তায় ২৫০ টাকার বেশি বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়েও চালের দাম বেড়েছে। সাধারণত যখন চালের দাম বাড়ে, তখন এক লাফে বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ে। কিন্তু এবার এক লাফে বস্তাপ্রতি প্রায় ৩০০ টাকার মতো বাড়িয়ে দিয়েছেন মিলাররা।  এ ব্যাপারে বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাড়তি দামে ধান কিনতে হয়েছে মিলারদের। এতে চালের দাম বাড়তি। মিলাররা বস্তাপ্রতি চাল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। বাড্ডা বাজারে চাল কিনতে আসা এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমন মৌসুম শেষ হতেই চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে সব পণ্যের দাম কয়েক দফা বাড়লেও চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। নতুন করে চালের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে গেল। বাজারে সরকারের নজরদারি নেই বলেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চালের দাম বাড়াতে সাহস পাচ্ছে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়