• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘আরটিভি আলোকিত কোরআন ইউএসএ’ গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত
বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পবিত্র কোরআন নিয়ে রয়েছে এক অকৃত্রিম অনুভূতি। প্রবাসী বাঙালি মুসলিমরাও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রবাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের সব বয়সী মানুষ নিয়মিত কোরআন চর্চা করে থাকেন। তাদের সে কোরআন চর্চা ও তেলাওয়াতকে আরও প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে ‘সুন্দর জীবনের জন্য কোরআন’ এই শিরোনামে নর্থ আমেরিকায় বসবাসরতদের নিয়ে প্রথমবারের মতো আরটিভিতে পহেলা রমজান থেকে শুরু হয়েছিল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ‘আরটিভি আলোকিত কোরআন ইউএসএ-২০২৪।’  নর্থ আমেরিকায় বসবাসরতদের মধ্য থেকে হাজার হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল এই প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে নানান ধাপে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৭০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগিতা। সাতটি রাউন্ডে প্রতিযোগীরা তাদের সেরাটা উপস্থাপন করে দর্শকের মন জয় করেছেন। সেই সঙ্গে গ্র্যান্ড ফিনালেতে সেরা ৫ প্রতিযোগী তাদের তেলাওয়াত করে শোনান এবং বিচারকদের দেওয়া সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. নাঈম কিবরিয়া সাহেদ। এ ছাড়া ফার্স্ট রানার-আপ হয়েছেন মুহতাসিম আহমেদ, সেকেন্ড রানার-আপ হয়েছেন সাফওয়ান ইসলাম, চতুর্থ হয়েছেন সারাবান তহুরা ভূঁইয়া এবং পঞ্চম হয়েছেন হাফেজ হাবিবুল ইসলাম। পুরো অনুষ্ঠানটি নিউ ইয়র্কের আবদুল্লাহ বেনকুইট হলে ধারণ করা হয়। আয়োজনটিতে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল গোল্ডেন এজ ও সাপ্তাহিক আজকাল। পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর- আশা হোম কেয়ার। প্লাটিনাম স্পন্সর- ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ব্যাকডাইস। গোল্ড স্পন্সর- মঈন চৌধুরী (এ্যাটর্নী অ্যাট ল), জিএফবি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ও খলিল’স ফুড। সাপোর্টেড বাই- বাংলা ট্রাভেলস, ফয়সাল আহমেদ, শেলটন টোবাকেএনপিজি রিয়েল স্টেট, স্পেকট্রম, শাহিন কবির ও আব্দুল্লাহ বেনকুইট হল।    
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৯

পবিত্র শবে কদর / মসজিদে মসজিদে ইবাদতে মগ্ন মুসল্লিরা
পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ। রমজানুল মুবারকের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতটি আমাদের দেশে শবে কদর হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। লাইলাতুল কদরের মহিমাম্বিত রাতে মসজিদে মসজিদে সারা রাত জেগে মুসল্লিরা আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন রয়েছেন। জেগে নফল নামাজ, জিকির-আসগার, কোরআন তিলাওয়াত, তওবাহ-তাহলিল ও দ্বীনি আলোচনায় মশগুল থেকে পার করবেন পুরো রাত। চোখের পানি ফেলে রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শবে কদর উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানী প্রায় প্রতিটি মসজিদেই মুসল্লিদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সারাদেশের মসজিদগুলোতেই এদিন বাড়তি ভিড় থাকে। এশার আজানের আগ থেকেই মুসল্লিরা মসজিদে আসা শুরু করেন। পবিত্র রমজানে যেসব মসজিদে খতমে তারাবি হচ্ছে সেগুলোতে কোরআনে পাকের খতম সম্পন্ন হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই রাতের ইবাদত উত্তম বলে কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। লাইলাতুল কদর রাতে করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বাসা-বাড়ি ও মসজিদে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন। সারাদেশের মুসলমানরা আজ নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র এই শবে কদরের রজনী কাটাবেন। এদিকে পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। শবে কদর উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটি থাকবে। এদিকে পবিত্র শবে কদর ১৪৪৫ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় (বাদ মাগরিব) ‘পবিত্র শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য’শীর্ষক এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী জামেয়া ইসলামিয়া জামে মসজিদের মুফতি মাওলানা সাকিবুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮

আজ পবিত্র শবেকদর
পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর আজ। শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ রাতটি পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন। মহান আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানেরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন। পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এ উপলক্ষে আগামীকাল রোববার সরকারি ছুটি থাকবে। সূত্র : বাসস
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭

পবিত্র লাইলাতুল কদর শনিবার
পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর শনিবার (৬ এপ্রিল)। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে দেশব্যাপী দিনটি পালিত হবে। এদিন মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যদিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন। পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে রোববার (৭ এপ্রিল) সরকারি ছুটি থাকবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২২

রোজায় সহবাসে মানতে হবে যেসব বিধান
চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসটি হলো কোরআন নাজিলের মাস, সংযমের মাস ও ত্যাগের মাস। এ মাসটি হলো ইবাদত-বন্দেগির মাস। আর মহিমান্বিত এই মাসে আমরা অনেকেই জেনে না জেনে সহবাসে লিপ্ত হই। এতে করে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়। তাই চলুন, বরকতের এই মাসে সহবাস সংক্রান্ত বিধি বিধানগুলো জেনে নেই।     পবিত্র রমজান মাসে স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে সূরা আল-বাকারা’র ১৮৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, রোজার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করা তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ হালাল করা হয়েছে। আর পবিত্র কোরআনের এই আয়াত থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, রোজাদারের জন্য দিনের বেলা সহবাস হালাল করা হয়নি।  সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্যে তোমাদের স্ত্রীদেরকে বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্যে এবং তোমরাও তাদের জন্যে পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা তোমাদের নিজেদের সঙ্গে খিয়ানত করছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদেরকে মার্জনা করেছেন, সুতরাং এখন তোমরা তাদের সঙ্গে সংগত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন (অর্থাৎ সন্তান) তা অন্বেষণ করো। আর তোমরা আহার করো ও পান করো যতক্ষণ তোমাদের জন্যে (রাত্রির) কালো রেখা থেকে ফজরের সাদা রেখা স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায় তাদের সঙ্গে সংগত হয়ো না। এগুলো আল্লাহর (নির্ধারিত) সীমা, সুতরাং এর নিকটবর্তী হইও না। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্যে তার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা তাকওয়া বা আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করতে পারে।’ (সূরা বাকারাহ-১৮৭) শরিয়তে যৌন সম্পর্ক বলতে পুরুষাঙ্গের সঙ্গে স্ত্রী-অঙ্গের মিলনকে বোঝানো হয়েছে। এখানে বীর্যপাত শর্ত নয়। এই দুই অঙ্গ সংস্পর্শে আসলেই ভেঙে যাবে রোজা। এমনকি বীর্যপাত না ঘটলেও। তবে যৌন মিলনের দ্বারা কেউ রোজা ভাঙলে সেটি পরবর্তীতে কাযা করতে হবে এবং কাফফারাও দিতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে শারীরিক স্পর্শ বা শুধু চুমুর কারণে রোজা ভাঙবে না। তবে এর ফলে যদি বীর্যপাত ঘটে, সেক্ষেত্রে রোজা ভেঙে যাবে। তাই রোজার সময় এগুলো পরিহার করাটাই উত্তম। আবার, কেউ যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের বীর্যপাত ঘটান, সেক্ষেত্রে তার রোজা ভেঙে যাবে। যেমন- নিজে বা স্ত্রী কর্তৃক হস্তমৈথুনের মাধ্যমে যদি বীর্যপাত ঘটে, এক্ষেত্রে রোজা ভেঙে যাবে। ইচ্ছেকৃতভাবে বীর্যপাত ঘটালে রোজা ভাঙবে। এ বিষয়ে বুখারি শরিফের একটি হাদিসে বলা হয়, সে (বান্দা) আমার জন্যই খাদ্য, পানীয় ও কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করে। তবে এভাবে রোজা ভেঙে গেলে, কাযা করাই যথেষ্ট। সহবাসের ক্ষেত্রে যে কাফ্ফারা দিতে হয়, এক্ষেত্রে সেটি দিতে হবে না। তবে বীর্যপাত যদি স্বতঃপ্রণোদিত না হলে, সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না। যেমনঃ স্বপ্নদোষের ফলে রোজা ভাঙবে না। তাছাড়া, কোনো ব্যক্তির চিন্তায় যদি আচমকা যৌন ভাবনার উদয় হয় যা সে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মাথায় আনেনি। এবং যদি বীর্যপাত ঘটে, সে ক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না। তাই আসুন আমরা শরিয়াতের বিধি বিধান মেনে চলি। রোজা রেখে দিনের বেলায় সহবাস থেকে বিরত থাকি। শারীরিক ও মানসিক শুদ্ধির মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখি।   
২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৭

ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যেদিন থেকে বিক্রি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগামী ২৪ মার্চ থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। বুধবার (১৩ মার্চ) ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান ।  সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এবার ঈদে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। ঈদে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে সকালে আর পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে দুপুর থেকে। তিনি জানান, আগামী ২৪ মার্চ দেওয়া হবে ৩ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট, ২৫ মার্চ দেওয়া হবে ৪ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ মার্চ দেওয়া হবে ৫ এপ্রিলের টিকিট, ২৭ মার্চ দেওয়া হবে ৬ এপ্রিলের টিকিট, ২৮ মার্চ দেওয়া হবে ৭ এপ্রিলের টিকিট, ২৯ এপ্রিল দেওয়া হবে ৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট, ৩০ মার্চ দেওয়া হবে ৯ এপ্রিলের টিকিট। তিনি আরও জানান, এবার প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। নন-এসি কামরায় মোট আসনের এক-চতুর্থাংশের সমান দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করা হবে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৫

নতুন সূচিতে চলছে অফিস-আদালত ও ব্যাংক
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) থেকে নতুন সময়ে চলছে সরকারি অফিস-ব্যাংক-আদালত। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রোজা উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস চলবে। এরমধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। রমজানে সেহরি ও ইফতারের সময় বিবেচনায় দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য এ অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করে সরকার। এদিকে পুরো রমজান মাসে ব্যাংকে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এতদিন ব্যাংকে লেনদেন চলেছে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এ ছাড়া রমজানে ব্যাংকের অফিস সূচি হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত।এরমধ্যে বেলা ১টা ১৫ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত নামাজের বিরতি থাকবে। এতদিন অফিস চলছিল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রোজা শেষে ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। আদালতের সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। আপিল বিভাগের আদালতের কার্যক্রম চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত। তবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে আপিল বিভাগের অফিসের কার্যক্রম। হাইকোর্ট বিভাগের আদালতের কার্যক্রম চলবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। অফিস চলবে সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। অধস্তন আদালতের কার্যক্রম রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে। তবে দুপুর একটা ১৫ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১০:৪১

পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারের করণীয় ও বর্জনীয়
রমজান মাসে যে রহমত নাজিল হয় তার তুলনায় অন্যান্য মাসের নাজিলকৃত রহমত, সমুদ্রের তুলনায় এক ফোঁটা পানির মতো। এ কারণে সব আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে রমজান মাসে। এই মাসে কোনো নফল করলে সেটা ফরজের সমান সওয়াব, আর কোনো ফরজ করলে সেটিরও ৭০ গুণ সওয়াব।  হাদিস শরিফে এসেছে, রসুলুল্লাহ দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌছিয়ে দিন।’ এ মাসটি কত বরকতময় যে তা পাবার জন্য আল্লাহর রসুল পর্যন্ত দোয়া করতেন। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআন মাজিদে বলেন– يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ   ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার (সুরাহ বাকারাহ : ১৮৩)। এই আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন, রোজা এই কারণে ফরজ করা হয়েছে যাতে আমরা পরহেজগার, মুত্তাকি হতে পারি। আর পরহেজগার হবার জন্য প্রথম গোনাহ পরিত্যাগ করতে হবে, তারপর নেকি বেশি বেশি করে করতে হবে। গোনাহ বর্জন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘অনেকে রোজার দ্বারা ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত ছাড়া অন্য কিছুই লাভ করে না। অন্য এক হাদিস শরিফে বলেন, ‘যে গর্হিত কথাবার্তা এবং পাপ কাজ পরিত্যাগ করতে পারে না, আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার তার খাবার এবং পানীয় ত্যাগ করায় কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, তার রোজা গ্রহণীয় নয়। সবরকম গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এর মধ্যে আর একটি ভয়াবহ গোনাহ হোলো গীবত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের যুগে দুই মহিলা রোজা রাখল। রোজায় তাদের এত কষ্ট হলো যে, তারা মৃত্যুর মুখোমুখি হলো। রসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিষয়টি জানানো হলে তিনি তাদের কুলি করতে বললেন। তারা কুলি করলে তাদের মুখ থেকে ছোটো গোস্তের টুকরা বের হলো। তারা আশ্চর্য হয়ে বলল, আমরা তো কোনো পানাহারই করিনি। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন, মূলত তোমরা রোজা রেখে অন্যের গীবত করেছ। আর গীবত হোলো মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাওয়া।  অন্যান্য গোনাহ আসুন এই রোজায় সমস্ত গোনাহ থেকে তওবা করে ফেলি। মনে করি এটাই আমাদের শেষ রোজা। যারা মোবাইলে গান শোনেন তারা অন্তত এই মাসটা গান বন্ধ রাখুন, এর পরিবর্তে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ, কাসিদা শুনুন। আশরাফ আলী থানভী (রহ.) বলেন, কেউ কি কখনও বলে এটা ছোট আগুন ওটা বড় আগুন। ছোট হোক, বড় হোক পুড়িয়ে ধংস করার জন্য এক শলতে আগুনই যথেষ্ট। তেমনি গোনাহ ছোট হোক বা বড় হোক সব ক্ষতিকর। নেককারদের আমল রমজান মাসে বিশেষ কিছু সুন্নত রয়েছে, যথা- বিশ রাকাত তারাবিহ সালাত আদায় করা, সেহরি খাওয়া, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা, ইফতার করা ও করানো, কোরআন করিম বেশি বেশি তিলাওয়াত করা এবং শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা।  রমজানে প্রতিটি ইবাদতের বিনিময় সত্তরগুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। একটি নফল পালন করলে একটি ফরজ পালন করার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। তাই রমজান মাসে নফল ইবাদত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাসের বিশেষ নফল আমলসমূহ হলো- কোরআন মাজিদ একাধিকবার খতম বা পূর্ণ পাঠ করা; কালিমা তৈয়্যবা বেশি বেশি পাঠ করা; দরুদ শরিফ বেশি বেশি পাঠ করা; তওবা ও ইস্তিগফার করতে থাকা; সর্বদা তসবি তাহলীল ও জিকির করতে থাকা; দীনী শিক্ষা ও দীনী দাওয়াতি কাজে মশগুল থাকা; ধর্মীয় বই-পুস্তক, তাফসির, হাদিস, ফিকাহ ও ইসলামি সাহিত্য পড়া ও অন্যকে পড়তে সাহায্য করা; দীনী মজলিশ ও মাহফিল আয়োজন করা; অধীনস্থ কর্মচারী ও শ্রমিকদের কাজের চাপ কমিয়ে দেওয়া এবং তাদের পূর্ণ মজুরি ও অতিরিক্ত সম্মানী প্রদান করা; বেশি বেশি দান খয়রাত করা; ইহসান তথা সদা আল্লাহর অস্তিত্বের উপস্থিতির ধ্যান করা ও আল্লাহর সঙ্গ বাস্তবে অনুভব করা অথবা আল্লাহর সার্বক্ষণিক নজরদারির চেতনা মনে জাগ্রত রাখা। (বুখারি: ৪৮)।  
১১ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৭

পবিত্র রমজানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল 
রমজান মাস আল্লাহপ্রদত্ত এক বিশেষ ফজিলতের মাস। এই মাস সাওয়াব অর্জনের মাস। এ মাসেই কোরআন অবতীর্ণ হয়। এ মাসে প্রতিটা আমলে আল্লাহ ৭০ গুণ বেশি সাওয়াব দেন। এজন্য বিশেষ এই মাসে বেশি বেশি আমল করতে হয়। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল আছে, যেগুলো পালনের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সুগম হয়, আর জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। রোজার নিয়ত রোজার নিয়ত করা আবশ্যক। ভোর রাতে সাহরি খেয়ে মুসলমানরা রোজার নিয়ত করেন। বহুল প্রচলিত রোজার একটি নিয়ত রয়েছে। তাহলো- উচ্চারণ : ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদান মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী। বেশি বেশি ইসতেগফার পড়া- দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় ছোট-বড় বিভিন্ন ভুলে জড়িয়ে যাই আমরা। এ জন্য এসব ভুল থেকে ক্ষমা মার্জনার জন্য আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করা জরুরী। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা ইস্তিগফারসংক্রান্ত অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। কোনও আয়াতে আল্লাহ তা'আলা ইস্তিগফারের আদেশ করেছেন, কোথাও ইস্তিগফারকারীদের প্রশংসা করেছেন, কোথাও দ্রুত গতিতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার কথা বলেছেন।  যেমন সুরা বাকারার ১৯৯ নং আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন, ‘আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।  সুরা আল ইমরানের ১৩৩ নং আয়াতে তিনি বলেন, ‘এবং নিজ প্রতিপালকের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও সেই জান্নাত লাভের জন্য একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হও, যার প্রশস্ততা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীতুল্য। তা সেই মুত্তাকিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।’  সব নবী আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করতেন। সেসব নবীর ইস্তিগফারের কথা আল্লাহ তা'আলা কোরআনের অনেক আয়াতে বর্ণনা করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ৭০ বারেরও বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করে থাকি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩০৭) এমন দুটি ইস্তেগফার নিচে তুলে ধরা হলো : ১। আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম, আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আল-হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম ২। আলহামদুলিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরলি ইফতারের দোয়া ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোয়া পড়ে ইফতার শুরু করতেন বিশ্বনবি। হজরত মুয়াজ ইবনে যুহরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন- আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিযক্বিকা আফত্বারতু অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত) ইফতার করার পরও বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন বিশ্বনবী। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার শেষ করতেন তখন বলতেন- জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াব ও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত) কারও ঘরে মেহমান হয়ে ইফতার করলেও আছে বিশেষ দোয়া- আকালা ত্বাআমাকুমুল আবরারু, ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাতু, ওয়া আফত্বারা ইংদাকুমুস সায়িমুন (আবু দাউদ) তারাবিহ নামাজের নিয়ত রমজান এলেই অনেকে তারাবিহ নামাজের নিয়ত খুঁজতে থাকেন। নিয়ত আরবিতে করতে হবে এমন কোনও নিয়ম নেই। নিয়ত হলো নামাজ পড়ার জন্য মনের ইচ্ছা বা সংকল্প। এ ইচ্ছা বা সংকল্প আরবি কিংবা বাংলায় করা যায়। দুই দুই রাকাআতে তারাবিহ নামাজ আদায় করতে হয়। এভাবে নিয়ত করা যায়- তারাবিহ-এর দুই রাকাআত নামাজ কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য (জামাআত হলে- এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- আল্লাহু আকবার। তারাবিহ নামাজের দোয়া তারাবিহ নামাজের ৪ রাকাআত পর পর অনেকে একটি বহুল প্রচলিত দোয়া পড়ে থাকেন। যার অর্থও অনেক সুন্দর। তাহলো- সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ বহুল প্রচলিত এ দোয়াটি না পড়লে তারাবিহ নামাজ হবে না এমন নয়। যে কোনো দোয়াই পড়া যাবে। তবে এ সময়টিতে কুরআন-সুন্নাহর দোয়াগুলো পড়াই উত্তম। তারাবিহ নামাজের মুনাজাত তারাবিহ নামাজের বহুল প্রচলিত দোয়ার মতো অনেকে ৪ রাকাআত পরপর, অনেকে আবার নামাজ শেষ করে একটি নির্দিষ্ট দোয়া দ্বারা মোনাজাত করেন। মোনাজাতের এ দোয়াটি বহুল প্রচলিত। তাহলো- আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন রমজান মাসে চারটি আমল বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল (সা.)। হজরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘এ মাসে তোমরা চারটি কাজ বেশি পরিমাণে করো। দুটি কাজ এমন, যা দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। আর দুটি কাজ এমন, যা তোমাদের নিজেদেরই খুব প্রয়োজন। যে দুটি কাজ দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন করবে তা হলো-১. কালেমায়ে তাইয়্যিবার সাক্ষ্যপ্রদান অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের সাক্ষ্যদান ২. আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার করা অর্থাৎ নিজের গুনাহের জন্য তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। আর যে দুটি বিষয় তোমাদের নিজেদেরই অধিক প্রয়োজন তা হলো-১. তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে ২. আর জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইবে’ (ইবনে খুজাইমা : হাদিস ১৮৮৭; বায়হাকি : হাদিস ৩৬০৮)।  
১০ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৭

সৌদিতে রমজানের চাঁদ দেখতে মুসল্লিদের আহ্বান
পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখতে মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সৌদি আরবে শাবান মাসের ২৯ দিন শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। সে অনুযায়ী এদিন সন্ধ্যার আকাশে রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মুসল্লিরা খালি চোখ এবং দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার চেষ্টা করবেন। যদি কেউ চাঁদ দেখতে পান তাহলে নিকটস্থ কোর্টের কাছে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  এদিকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই মসজিদে ইফতারি খাওয়া নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব।  দেশটির ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব এ খবর জানায়। এতে বলা হয়, ইফতারি পণ্য নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মসজিদের পরিচ্ছন্নতার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ইফতারির জন্য মসজিদের উন্মুক্ত স্থানে একটি যথাযথ জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। তবে অস্থায়ী কোনো রুম বা তাঁবু স্থাপন করা যাবে না। সেই সঙ্গে ইফতারি ক্রয়ের জন্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা যেন কোনো অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না। মসজিদের ভেতর কোনো ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার বা ছবি না তোলা যাবে না। সেইসঙ্গে মসজিদের ভেতর ক্যামেরা স্থাপন করে তা সরাসরি সম্প্রচার না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়