• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা  
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। রবীন্দ্রসংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা দিয়েছে ভারত সরকার।    সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তিনি।  এদিন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়সহ বিশিষ্টজনেরা। জানা গেছে, চলতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন গুণী ব্যক্তিত্বকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ ও ১১০ জনকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। তাদের মধ্যে ৩০ জন নারী, ৮ জন বিদেশি এবং ৯ জন মরণোত্তর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিও রয়েছেন। গেল ২৫ জানুয়ারি ভারত সরকার ২০২৪ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। সোমবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সম্মাননা সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ২০১৭ সালে  ‘বঙ্গভূষণ’ পদক পান তিনি। এ ছাড়াও বহু পুরস্কার পেয়েছেন এই গায়িকা। ‘পদ্মশ্রী’ ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি। প্রতি বছর ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মশ্রী’ নামে তিনটি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।   সূত্র : এএনআই  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০

বড়লোকের বেটি লো'র স্রষ্টা রতন কাহার পদ্মসম্মানে ভূষিত
বড় লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল একটি জনপ্রিয় বাংলা পল্লীগীতি। যা বছর কয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়। সবার মুখে মুখে ছিল এই গানটি। এবার পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানের স্রষ্টা রতন কাহার। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয় শিল্পীকে। শিল্পীর পরিবার বলছেন এই সম্মান তাদের কাছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পাওয়ার মতো। চলতি বছর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বমোট ৩৪ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করার জন্য। এই ৩৪ জনের মধ্যে জায়গা পেয়েছেন বীরভূমের ভাদু লোক সংগীত গায়ক রতন কাহার। রতন কাহারকে পদ্মশ্রী সম্মানের জন্য বেছে নেওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়তেই লাল মাটির জেলা বীরভূমের বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দের সীমা নেই। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে প্রশাসনিক পর্যায়ে তার নামের জয়জয়কার। অনেকেই বলছেন অবশেষে রতন কাহার জীবনের সন্ধিক্ষণে এসে যোগ্য সম্মানটুকু পেলেন। ৮৮ বছর বয়সী রতন কাহারকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করার পর রতন কাহার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি খুব আনন্দিত, আমি খুব গর্বিত।’ তিনি আরও বলেন, পদ্মশ্রী পদক পাওয়া আগে তিনি সাধারণ মানুষ ছাড়া সেই ভাবে কারো কাছে সম্মান পাননি।  রতন কাহারের জীবনে পদ্মশ্রী সম্মান নতুন এক অধ্যায় তৈরি করল বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজনেরা। রতন কাহার একজন ভাদু, টুসু, আলকাব, ঝুমুরের মতো গান নিয়ে সংগীত রচনা এবং পরিবেশন করে থাকেন। তবে তার জীবনে সবচেয়ে বড় আলোচনার গানটি হল ‘বড়লোকের বিটি লো’। এই গানটির রিমেক নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক চরমে উঠে। গানটি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন জনপ্রিয় ভারতীয় র‍্যাপ গায়ক বাদশা। তিনি রতন কাহারের অনুমতি ছাড়াই এই গান ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। যদিও পরবর্তীতে বিষয়টি তার কানে গেলে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন এবং রতন কাহারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিলেন। এদিকে এবার মোট ১৭ জনকে পদ্মভূষণে ভূষিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রেজ ওয়ানা চৌধুরী বন্যা পেয়েছেন এই সম্মান। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনজন। শিল্প বিভাগে পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং উষা উত্থুপ। আর মরণোত্তর পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪১

পদ্মশ্রী সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস নোটে এবার পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন। এরপর রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর ভারত সরকার ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পাচ্ছেন। এবারের পদ্মশ্রী প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ভারতের প্রথম নারী মাহুত পার্বতী বড়ুয়া, আদিবাসী পরিবেশবিদ এবং নারী উন্নয়নকর্মী চামি মুর্মু, ছত্তিশগঢ়ের জশপুরের আদিবাসী উন্নয়নকর্মী জগেশ্বর যাদব, দিব্যাঙ্গ সমাজকর্মী গুরবিন্দ্র সিংহ, সমাজকর্মী সংথানকিমা, কৃষক সত্যনারায়ণ বেলেরি ও প্রাচীন ওষধি চিকিৎসক হেমচাঁদ মাঞ্জি। এ ছাড়া রয়েছেন, অরুণাচল প্রদেশের ভেষজ ওষুধ বিশেষজ্ঞ ইয়ানুং জামো লেগো, ছৌ নাচের মুখোশ তৈরিকারক নেপালচন্দ্র সূত্রধর, কলকাতার কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল, আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু, দক্ষিণ আন্দামানের জৈব কৃষক কে চেল্লাম্মাল, মাইসুরুর আদিবাসী উন্নয়নকর্মী সোমান্না, আসামের আদিবাসী কৃষক সর্বেশ্বর বসুমাতারি, বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক প্রেমা ধনরাজ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইয়াজদি মানেক্সা ইটালিয়া, ক্রীড়াবিদ উদয় বিশ্বনাথ দেশপান্ডে। তালিকায় আরও রয়েছেন, শিল্পী দম্পতি শান্তিদেবী পাসওয়ান, শিবান পাসওয়ান, পট শিল্পী অশোক কুমার বিশ্বাস, নৃত্যশিল্পী বালকৃষ্ণান সদানম পুথিয়া ভিটিল, ওড়িশার লোকশিল্পী ভগবত প্রধান, ত্রিপুরার শাল তাঁতি স্মৃতিরেখা চাকমা, ওমপ্রকাশ শর্মা, কুন্নুরের লোকশিল্পী নারায়ণ ইপি, বাঁশ শিল্পী জর্ডন লেপচা, মণিপুরের মচিহান সাসা, তেলঙ্গানার গড্ডাম সাম্মাইয়া, রাজস্থানের বহুরূপী শিল্পী জানকীলালও। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ‘শিল্প’ বিভাগে এই সম্মাননা পাচ্ছেন। এর আগে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সন্‌জীদা খাতুন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীককে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করেছিল ভারত সরকার। তার আগে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননা পেয়েছিলেন। আর ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক ও সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরী। সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান তিনি।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়