• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরী-বুবলীর ভার্চুয়াল যুদ্ধে এবার অপুর পদার্পণ
নায়িকা শবনম বুবলীর সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন আজ (২১ মার্চ)। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় ৫ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে। এদিকে বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরেই নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। তবে পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন না করলেও পরোক্ষভাবেই তাকেই নিশানায় রেখেছেন তিনি। পরীমণির দাবি, তাকে ‘কপি’ করেই বানানো হয়েছে বুবলীর প্রকাশিত সেই ভিডিওটি। বুবলীকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে পরীমণি লেখেন, আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা! বুবলীও চুপ থাকেননি। পরীমণির সেই খোঁচার কড়া জবাব দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকাও। বুবলীও এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পাশের দেশে টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কয়েক বছর ধরে মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে। যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর-কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে। পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে অনেক মিলে যায়। কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে, এরকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। বুবলীর ওই স্ট্যাটাসের পর ফের খেপেছেন পরীমণি। তিনি বুবলীর স্ট্যাটাসের পেক্ষিতে তার ফেসবুকে লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরি (ছাগল) গরুর রচনা! কী লিখতে কী লিখতেছে বেচারি। চিপায় আটকাইলে মানুষ আবল-তাবল লজিক দিতে থাকে বুঝলাম। কিন্তু তাই বলে এই রকম আউলা বাউলা কী কী সব লিখল ভাই! তিনি লেখেন, পরে কখনও নিজে পড়ে নিজেই বুঝবে না যে কি লিখছিল। আমি শিওর। বুবলী-পরীমণির এমন সাইবার যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যে দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে দুই নায়িকার ভক্তরা।  পরী-বুবলীর এই ‘সামাজিক লড়াই’য়ে এবার যোগ দিলেন অপু বিশ্বাসও। নীরবতা ভেঙে দিলেন স্ট্যাটাস। নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি ফেসবুকে লেখেন, উফ কি সুন্দর ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে। এই স্ট্যাটাস বুঝতে বাকি নেই কারও। কেউ কেউ বলছেন, বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু! এরকম বহু মন্তব্যই দেখা যাচ্ছে সোশ্যালে। সেইসঙ্গে অপুর পোস্টটি শেয়ার করছেন অনেকেই। 
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৮

৩৪ বছরে পদার্পণ করেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়
৩৩ পেরিয়ে ৩৪ বছরে পদার্পণ করেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ৩৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন-২-এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে হ্যান্ডবল মাঠে এসে শেষ হয়। এরপর বেলুন উড়িয়ে এবং কেক কাটার মাধ্যমে ৩৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তার শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানব সমাজকে এ বার্তা দিয়ে আসছে যে, এ বিশ্ববিদ্যালয় উত্থিত হয়েছে মানব সমাজের প্রত্যাশা পূরণ ও দেশকে অধিকতর আধুনিকরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।  তিনি আরও বলেন, আজ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সফলতার বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। এ সফলতাকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য আমরা সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে একজন ডিস্টিংগুইশ অধ্যাপক নিয়োগ দিয়েছি। তাতে আশা করছি আগামী ২ বছরের মধ্যে শাবিপ্রবি বিশ্বের সেরা ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিবে। উদযাপন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও  বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৩

ডিজিটাল নথির যুগে পদার্পণ করলো নোবিপ্রবি
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল অফিসকে ডিজিটাল নথি (ডি-নথি) কার্যক্রমের আওতায় আনতে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-নথি যুগে পদার্পণ করলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। নোবিপ্রবি আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো. মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ মনির উল্লাহ ।   অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, আজ নোবিপ্রবির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ডি-নথি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি, আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ব্রিটিশ আমলের সেই লাল ফিতার দৌরাত্ম থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সময় বাঁচিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা। ডি-নথি প্রক্রিয়া বাস্তবয়নের মাধ্যমে কাগজ ও কলমের ব্যবহার কমিয়ে অপচয়রোধে এখন থেকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, দাপ্তরিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে ডি-নথির কোনো বিকল্প নেই। আমরা প্রথমত সংস্থাপন ও শিক্ষা শাখায় ডি-নথি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে সবগুলো দপ্তরেই এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ কাজে নোবিপ্রবি পরিবারের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘ডি-নথি’ হলো ডিজিটাল নথি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডি-নথি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কাজকে সহজ করা। কিন্তু আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে কাজ সহজ করতে গিয়ে যেনো জটিল না হয়ে যায়। এজন্য আমাদের ভালোভাবে জেনে-বুঝে ডি-নথি ব্যবহারে উদ্যমী হতে হবে। এক্ষেত্রে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আমরা সফলভাবে ডি-নথি বাস্তবায়ন করবো, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার ও ডি-নথি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ডি-নথি বাস্তবায়নের এই শুভক্ষণে আমি যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং যারা গ্রহণ করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। ডি-নথি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ ও দপ্তরকে তাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ইতোমধ্যেই যেসকল অফিসের কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের নিয়ে আজকের এ উদ্বোধনীর মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম শুরু করলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনির উল্লাহ বলেন, নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য মহোদয় দ্বিতীয় মেয়াদে এসেই ডি-নথি বাস্তবায়ন করছেন, এজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। ডি-নথি বিষয়ক কজের অগ্রগতির দিক থেকে নোবিপ্রবি শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রেরিত একটি নথি অনুমোদনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-নথির শুভ উদ্বোধন করেন।   উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট জনাব মো. মাঈনুদ্দিন ‘ডি-নথি কি এবং কেন’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়