• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
যেসব জিকিরে সহজ হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ
জিকির মানে আল্লাহ তা'আলার স্মরণ। আর আল্লাহকে স্মরণই হচ্ছে যাবতীয় ইবাদতের প্রধান ও অন্যতম লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'আলা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন। ’ -সূরা আনকাবুত ৪৫ পবিত্র কোরআনে কারিমের অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা আরও ইরশাদ করেন, ‘এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী- এদের জন্য আল্লাহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহা প্রতিদান। ’ -সূরা আহজাব ৩৫ তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত বেশি বেশি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের জিকির করা। জিকির বিষয়ে অভিজ্ঞ আলেমরা বলেছেন, নিম্নে উল্লেখিত জিকিরগুলো নিয়মিত আদায় করলে মৃত্যুর পর জান্নাতপ্রাপ্তি ও আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন সহজ হয়। জিকিরগুলো হলো- এক. প্রতিদিন ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করলে ১ হাজার সওয়াব লেখা হয় এবং  ১ হাজার গুনাহ ক্ষমা করা হয়। -সহিহ মুসলিম ৪২০৭৩ দুই. ‘আলহামদুলিল্লাহ’র জিকির মিজানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং এটা সর্বোত্তম দোয়া। - তিরমিজি ৫৪৬২ ও ইবনে মাজা ২১২৪৯ তিন. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম জিকির। -তিরমিজি ৫৪৬২ ও ইবনে মাযা ২১২৪৯ চার. ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ; ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’ এই বাক্যগুলো আল্লাহতায়ালার নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের তুলনায় আমার নিকট অধিক প্রিয়। -সহিহ মুসলিম ৩১৬৮৫ ও ৪২০৭২ পাঁচ. যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ (সগিরা) গুনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। -সহিহ বোখারি ৭১৬৮ ছয়. নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লিল আজিম’ এই কালেমাগুলো উচ্চারণে খুব সহজ, মিজানের পাল্লায় ভারী ও দয়াময় আল্লাহতায়ালার নিকট অতি প্রিয় । -সহিহ বুখারি ৭১৬৮ সাত. যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিমি ওয়াবিহামদিহি’ পাঠ করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতি) খেজুর গাছ রোপন করা হবে । -তিরমিজি ৫৫১১ আট. নবী করিম (সা.) বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। -সহিহ বুখারি ১১২১৩ নয়. নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’- এই কালেমাগুলো হচ্ছে অবশিষ্ট নেকআমলসমূহ। -আহমাদ ৫১৩ দশ. হজরত নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, দরুদের মধ্যে সর্বোত্তম দরুদ হচ্ছে দরুদে ইব্রাহীম (সালাতের মধ্যে যে দরুদ পাঠ করা হয়)। এছাড়া ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পাঠ করলেই দরুদ পাঠের বরকত পাওয়া যায়। নবী করিম (সা.) আরও বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ পাবে। -আত-তারগিব ওয়াত তারহিব ১২৭৩ ওপরে বর্ণিত ফজিলত ও প্রতিশ্রুত পুরস্কারসমূহ অর্জন করার অভীষ্ট লক্ষ্যে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত উল্লেখিত জিকিরগুলো নিয়মিত আদায় করা।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩২

বেইলি রোডের আগুন / অন্যদের বের হওয়ার পথ করে দিয়ে পুড়ে মরলেন দুই রেস্টুরেন্ট কর্মী
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগার পর অন্যদের বের হওয়ার পথ করে দিলেও ভেতরে আটকা পড়ে মারা গেছেন এক রেস্টুরেন্টের দুইজন কর্মী। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।  ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  মোহাম্মদ আলতাফ নামে এক রেস্টুরেন্ট কর্মী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তার দুই সহকর্মী নিহত হয়েছেন। তারা অন্যদের ভবন থেকে বের হতে সাহায্য করেছিলেন। তাদের চেষ্টায় অন্যরা বের হয়ে যেতে সমর্থ হলেও তারা নিজেরা বাঁচতে পারেননি। আলতাফ আরও বলেছেন, ‘যখন সামনে আগুন লাগে এবং কাঁচ ভেঙে যায়, আমাদের ক্যাশিয়ার এবং ওয়েটার সবাইকে বের হতে সাহায্য করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা দুজনই মারা যায়। আমি রান্নাঘরে যাই এবং একটি জানালা ভেঙে লাফ নিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাই।’ এদিকে, বহুতল ভবনের একটি ফ্লোরে থাকা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। রেস্টুরেন্টে আসা শতাধিক মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকে। তাদের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভবনে আটকা পড়ে যায় খেতে আসা মানুষরা। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ১৩টি ইউনিট। তবে, এই সময়ের মধ্যেই দগ্ধ হন বহু সংখ্যক মানুষ। আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।    এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন জানান, আগুনের সূত্রপাত কোনও চুলা অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে। কারণ ভবনটি খুবই বিপজ্জনক ছিল। ভবনের সিঁড়িসহ সব জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার ছড়ানো-ছিটানো ছিল।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:০৩

৯৯৯-এ ফোন, সুন্দরবনে পথ হারানো ৩১ পর্যটককে উদ্ধার
সুন্দরবনে পথ হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ৩১ পর্যটককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত পর্যটকদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায়। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।   সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাগেরহাটের চিতলমারীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৩১ জনের একটি দল সোমবার সকালে সুন্দরবনের করমজলে ভ্রমণে যায়। সেখান থেকে বনে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরেই তারা পথ হারায়। কিশোরদের মধ্যে ফেরদৌস তার মোবাইল থেকে ৯৯৯-এ খবর দেয়। সেখান থেকে তারা সরাসরি মোংলা থানায় যোগাযোগ করে। তিনি আরও জানান, ফেরদৌস জানান তার ফোনে চার্জ নাই তাই আমি আরও দুটি মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি। এরপর দফায় দফায় মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে বিকেলে তাদের সন্ধান মেলে। তারা লোকালয় থেকে গভীর বনে ঢুকে পড়েছিল। তাদের নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। কিশোর ফেরদৌস জানান, তার মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল না। কিন্তু সে জানতো ব্যালেন্স না থাকলেও ৯৯৯-এ ফোন করা যায়। তাই সে ফোন করে সহযোগিতা চায়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৫

নির্যাতিত মানুষদের পথ দেখিয়েছে ইরানের ইসলামী বিল্পব : মোজাম্মেল হক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিশ্বের নির্যাতিত বঞ্চিত মানুষদের পথ দেখিয়ে চলেছে ইরানের ইসলামী বিল্পব। ইরানের ইসলামি বিপ্লব দুনিয়ার মুসলমানের কাছে, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সমগ্র মানবতার কাছে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। ঐতিহাসিক এই বিপ্লবের ৪ দশকের সাফল্য আজ চোখে পড়ার মতো। দশকের পর দশক ধরে চলমান নানা ষড়যন্ত্র ও কঠিন অবরোধের মধ্যেও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশটি। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে শক্তিশালী অবস্থান বলে দিচ্ছে দেশটি কতটা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন নেতৃস্থানীয় দেশের তালিকায় রয়েছে ইরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।  ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘ইরানের ইসলামি বিপ্লব ও এর নয়া বার্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মাদী, ইরানের আল-মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আলী আব্বাসী, বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মাওলানা ড. মোহাম্মদ কফিলুদ্দিন সরকার সালেহী। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, আজকের ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বিশেষ করে আবিষ্কার ও উদ্ভাবন, ন্যানো প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজ শিল্প, এ্যারোস্পেস, সামরিক ও বেসামরিক বিমান শিল্প, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ সংক্রান্ত প্রযুক্তি, চিকিৎসা এবং কৃষিতে বিশ্বসেরা ১০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে ইরানের ইসলামী বিপ্লব রেজাশাহ পাহলাভির দু:শাসন থেকে দেশটির জনগণকে মুক্ত করেছিল। কিন্তু এই বিপ্লবের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ষড়যন্ত্র হয়েছে, মিথ্যাচার হয়েছে এবং এখনও এসব ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার চলছে। তবে শত্রুদের এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮

পথ হারিয়েছে আমেরিকা : ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র তার পথ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর জন্য বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিকেই দায়ী করেছেন তিনি।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) নেভাদায় এক সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি জাতি, যারা খুব সহজে পথ হারিয়ে ফেলেছি। এই ভয়াবহ অবস্থা আমরা চলতে দিতে পারি না। এ সময় বাইডেনকে গণতন্ত্রের জন্যে হুমকি এবং অযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাইডেন প্রশাসন আমাদের দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোটের মাঠে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখোমুখি হচ্ছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কারণে ইতোমধ্যে আসন নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সমর্থন হারিয়েছেন বাইডেন।  
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭

ফের দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী, পথ সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
ফের পথ দুর্ঘটনার কবলে মুখ্যমন্ত্রী৷ দ্রুতগতির গাড়ি ঢুকে পড়ে তার কনভয়ে৷ সামান্য চোট পেয়েছেন তিনি৷ প্রশ্ন উঠেছে পথ নিরাপত্তা নিয়ে৷ বুধবার পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেখান থেকে হেলিকপ্টার যাত্রা বাতিল করেন তিনি৷ তার বদলে সড়কপথে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন৷ দুর্ঘটনায় মমতা কলকাতায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী৷ একটি গাড়ি খুব দ্রুত গতিতে তার কনভয় ঢুকে পড়ে৷ তার জেরে দুর্ঘটনা৷ বর্ণনা দিতে গিয়ে মমতা বলেন, একটা গাড়ি আমার গাড়ির সামনে আচমকা চলে আসে৷ ২০০ কিলোমিটার বেগে ওই গাড়িটা যাচ্ছিল৷ আমার গাড়ি গলি দিয়ে বেরোচ্ছিল৷ আমার চালক বুদ্ধিমানের মতো জোরে ব্রেক কষে৷ পুরো ড্যাশবোর্ডটা এসে আমার মাথায় লেগেছে৷ একটু রক্তও পড়েছে৷ এখন ফুলে আছে সামান্য৷ মুখ্যমন্ত্রীর চোট গুরুতর নয়৷ তার কপালের বাঁদিকে একটা টেপ লাগানো ছিল৷ তিনি বলেন, আমার গাড়ির কাঁচ খোলা ছিল৷ যদি কাঁচ বন্ধ থাকত, আমার মৃত্যু হতে পারত৷ মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে গিয়েছি৷ পুলিশকে এই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেন মমতা৷ শহরে ফিরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা৷ রাজভবন থেকে বেরিয়ে জানান, তিনি হাসপাতালে যাবেন না৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাথাটা এখনও টনটন করছে৷ তাই নিয়েই কাজ করলাম৷ আমার মনে হচ্ছে জ্বর আসছে৷ গা গোলাচ্ছে৷ হালকা ঠান্ডাও লাগছে৷ প্রশ্নে নিরাপত্তা মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছাকাছি দ্রুতগতির গাড়ি চলে আসায় ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ কী করে একটি গাড়ি এভাবে কাছাকাছি এসে পড়ল? কে ছিলেন সেই গাড়ির চালক? বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের কাছে যদি গাড়ি এসে পড়ে, তিনি দুর্ঘটনায় পড়েন, তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব তো পুলিশের৷ এই দপ্তর মুখ্যমন্ত্রী দেখেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক সময়ে অনেকে অন্য কারও গাড়ি ব্যবহার করে৷ সে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখুক৷ আইনের হাতে ছেড়ে দিচ্ছি৷ এটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না৷ পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, কোন গাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ঢুকে পড়েছে, আমরা তদন্ত করে দেখা হছে৷ অতীতে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে গাড়িতে বসেই আহত হয়েছিলেন৷ প্রচণ্ড ভিড় তার গাড়ির উপরে হামলে পড়ে৷ মমতার পায়ে গুরুতর চোট লাগে, যার চিকিৎসা চলছে দীর্ঘদিন ধরে৷ দুর্ঘটনার পর তিনি হুইলচেয়ারে বসেই ২০২১ সালের ভোটের প্রচার করেছিলেন৷ গত জুনে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফেরার সময় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে গোলযোগ হওয়ায় জরুরি অবতরণ করাতে হয়৷ সেই সময় হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পা ও কোমরে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতার চলে আসা ভিড় বা দ্রুতগতির গাড়ি কিংবা ত্রুটিযুক্ত হেলিকপ্টারে সফর, এ সবই যে কোনো ভিভিআইপির নিরাপত্তা নিয়ে গাফিলতিকে সামনে আনে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ভারতের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা অনেকটাই বেড়েছে৷ সারা দেশেই হচ্ছে৷ ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ৩০-৩৫ জন পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন৷ মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে৷ তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন৷ বুধবারের দুর্ঘটনার পর এআইসিসি নেতা জয়রাম রমেশ মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করে টুইট করেন৷ আজ, বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে৷ তার পদযাত্রায় নিরাপত্তার আয়োজন করেছে রাজ্য পুলিশ৷ মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনায় পড়ায় রাহুলের যাত্রা নিয়ে কংগ্রেসে উদ্বেগ রয়েছে৷ যদিও ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটে আসা যে গাড়ির কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সে ব্যাপারে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের মত, ২০০ কিলোমিটার গতিতে এখানে গাড়ি চলে না৷ দেশের খুব কম রাস্তাতেই এত জোরে গাড়ি চালানোর পরিকাঠামো আছে বলে আমার অনুমান৷ মুখ্যমন্ত্রী সেভাবে বলতে চাননি হয়তো৷ উনি সম্ভবত খুব দ্রুত গতি বোঝাতেই ২০০ কিলোমিটার বলেছেন৷ কতটা সুরক্ষিত গাড়ি? প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর মত ভিভিআইপিরা উন্নত মানের যে গাড়ি ব্যবহার করেন, তা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চালক ও আরোহীদের অনেকটাই রক্ষা করার গ্যারান্টি দেয়৷ কিন্তু বিভিন্ন ঘটনায় বার বার এই সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ বুধবার যে গাড়িতে করে মমতা বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন, সেই গাড়ি অনেক ভিভিআইপি ব্যবহার করেন৷ ৫০ লক্ষ টাকা দামের এই গাড়ি তার সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ফাইভ স্টার রেটিং প্রাপ্ত৷ শুধু রাজনীতিক নয়, উচ্চবিত্ত ও সম্ভ্রান্ত মানুষজনের কাছে পছন্দের বিশেষ ব্র্যান্ডের গাড়িটি৷ তাহলে মুখ্যমন্ত্রী সেই গাড়ির সওয়ার হয়ে সরাসরি সংঘর্ষ বা অন্য কোনো বিপদ ছাড়াই আহত হলেন কী করে? শুধু তার গাড়ির চালক বিপদ এড়াতে সজোরে ব্রেক কষাতেই এমন পরিস্থিতি হল যে, সামনের আসনে বসা মুখ্যমন্ত্রীর গুরুতর চোট লাগতে পারতো! এ ধরনের বহুমূল্য গাড়িতে এয়ারব্যাগ থাকে৷ এছাড়া জানলার কাঁচে থাকে বিশেষ প্রযুক্তি৷  সামনে বা পাশ থেকে আঘাত এলে এর সাহায্যে যাত্রী রক্ষা পেতে পারেন৷ তবে যাত্রীকে সিট বেল্ট পরা-সহ অন্যান্য বিধি মেনে চলতে হবে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতে পথ দুর্ঘটনায় এক লক্ষ ৬৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা চার লক্ষ ৬১ হাজার, যা ২০২১-এর তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি৷ অধ্যাপক বিশ্বাস বলেন, রাস্তা চওড়া হচ্ছে, মসৃণ ও উন্নত হচ্ছে৷ সফরের সময় কমানোর জন্য সেটা জরুরি৷ কিন্তু চালকদের সচেতন হতে হবে৷ যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে৷ দ্রুত সফর মানে নিরাপত্তার সঙ্গে আপস নয়৷ এই সচেতনতার অভাবেই আমাদের দেশে বেশিরভাগ পথ দুর্ঘটনা হয়৷
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৬

ফ্রান্সে রাস্তায় সবজি ছিটিয়ে পথ অবরোধ
ফ্রান্সে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। প্যারিসের কাছে এসে গেছেন তারা। রাস্তা অবরোধ করেছেন। হাইওয়েতে ছড়িয়ে আছে সবজি। রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। সরকারি বাড়িতে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে সার। সারি সারি ট্রাক্টরও দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ফ্রান্সের বড় শহরগুলির বাইরে কৃষক বিক্ষোভের এই ছবি দেখা গেল। সস্তায় জিনিস আমদানি, চাষের খরচ সমানে বেড়ে যাওয়া ও সরকারি লাল ফিতের দাপটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। মার্সেই ও লিয়ঁর মধ্যে সংযোগকারী হাইওয়েতে ছড়ানো ছিল টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি। কৃষকদের অভিযোগ এই সবজিগুলিই প্রতিবেশী দেশ থেকে কম দামে আমদানি করা হচ্ছে। প্যারিসের কাছে সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে ট্রাক্টরগুলি সড়ক দিয়ে ধীরে ধীরে চলছিল। এক কৃষক জানিয়েছেন, তারা ধীরে ধীরে প্যারিসের খুব কাছে এসে গেছেন। বুধবার রাতে কৃষকদের শক্তিশালী সংগঠন এফএনএসইএ সরকারের হাতে তাদের একশটি দাবি তুলে দিয়েছে। তারা কৃষিক্ষেত্রের আরো সুরক্ষা চেয়েছে। তাদের দাবি, বিদেশ থেকে সস্তায় সবজি এনে তাদের অন্যায় প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আর আমলাতন্ত্র তাদের উপর অনেক বেশি বোঝা চাপাচ্ছে। ফ্রান্সে কৃষকদের এই ইউনিয়ন খুবই প্রভাবশালী। তারা দাবি করেছে, কৃষকদের ট্রাক্টর ও গাড়ির ক্ষেত্রে ডিজেলে ছাড় দিতে হবে। অবিলম্বে ইইউ-র দেয়া কৃষি ভর্তুকি তাদের হাতে তুলে দিতে হবে, বিমার অর্থ দেয়ার গ্যারান্টি দিতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতি হলে তা পূরণ করতে হবে। সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ কৃষকদের এই বিক্ষোভ এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে তা শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই জার্মানির কৃষকরাও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ফ্রান্সের এই কৃষক বিক্ষোভের মোকাবিলা করা এখন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ দুই সপ্তাহ আগে নিয়োগ করেছেন। মাক্রোঁর আশা, প্রশাসনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার অর্থ, পরিবেশ ও কৃষিমন্ত্রীরা আলোচনায় বসেছিলেন। তারা শুক্রবারের মধ্যে কৃষকদের বিষয়ে একটা ঘোষণা করতে চান। তিন মন্ত্রী কৃষকদের সমস্যা, বিশেষ করে ডিজেল নিয়ে এবং পশুপালন ও কৃষিজ জিনিসের ন্যায্য দাম নিয়ে কথা বলেছেন। ফ্রান্সের সরকার একটি কৃষি আইন আনতে চাইছিল। আপাতত সেটা বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, তারা আগে কিছু ব্যবস্থা নিতে চায়। তারপর ওই আইন করা হবে। চিন্তিত মাক্রোঁ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন আসছে। এই অবস্থায় কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মাক্রোঁ চিন্তিত। কারণ, অতি দক্ষিণ পন্থিরা এই বিক্ষোভকে হাতিয়ার করতে পারে। তাদের অভিযোগ, সরকার ইইউ-র কৃষক-বিরোধী নিয়ম সমর্থন করছে। আর এই নিয়মগুলি সব দেশকে অনুসরণ করতেই হবে। অতি-দক্ষিণপন্থি নেতা লে পেন বলেছেন, মাক্রোঁ কৃষকদের কাঁধে হাত রেখে কথা বলেন, তারপর ছুরি দিয়ে তাদের পিঠে মারেন। কৃষকরাই সরকারের সবচেয়ে বড় শত্রু। ভালো খাবার চাইলে দাম দিতে হবে কৃষক ইউনিয়নের এক নেত্রী জানিয়েছেন, মানুষকে ভালো খাবার খেতে হলে, উপযুক্ত দাম দিতে হবে। তার দাবি, চাষ করে কৃষকরা আর নিজেদের অন্নসংস্থান করতে পারছেন না। তাই তারা হতাশ।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৪

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ছাড়া কোনো পথ নেই : নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, একদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিষ্পেষিত অবস্থায় আছে, অন্যদিকে কিছু মানুষ প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা পাচার করছেন। দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই জনগণের আজ এ বেহাল দশা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ছাড়া সামনে আর কোনো পথ নেই। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, ভোটের প্রয়োজন না হওয়ায় জনগণের কথা ভাবছে না এ সরকার। জনগণের কোনকিছুতে কর্ণপাত করছে না তারা। জনগণকে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। এর আগে রাজধানীর বনানীস্থ কবরস্থানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, মোনাজাত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির নেতারা। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ওলামাদলের আহ্বায়ক মাওলানা নেসারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, বিএনপি নেতা মো. আশফাকুল ইসলাম সরকার (মনু), জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তারেকুজ্জামান তারেক, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েলসহ অনেকে। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন আরাফাত রহমান কোকো। দুদিন পর তার লাশ দেশে নিয়ে আসা হয় এবং বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৮

নাগরিকত্ব অর্জনের পথ সহজ করল জার্মানি 
নাগরিকত্বের আবেদনের শর্ত সহজ করে নতুন আইন পাস হয়েছে জার্মানিতে। নতুন আইন অনুযায়ী, জার্মানিতে টানা পাঁচ বছর বসবাসকারী বিদেশিরা দেশটির নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। আগের আইনে এ সম্পর্কিত সময়সীমা ছিল ৮ বছর। এ ছাড়া আগের আইনে দ্বৈতনাগরিক এবং সব দেশ থেকে আগত লোকজনকে নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করা হতো না। নতুন আইনে সেই বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্দেসতাগ নতুন এই আইনটি প্রণয়ন করেছে।  শুক্রবার বুন্দেসতাগে  নতুন আইনটি ভোটের জন্য উত্থাপনের পর সেটির পক্ষে ভোট দেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের নেতৃত্বাধীন বাম ও উদারপন্থী জোটের আইনপ্রণেতাসহ মোট ৩৮২ জন এমপি। আর সেটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩৪ জন এমপি। বিপক্ষে ভোট দেওয়া এমপিদের সবাই দেশটির রক্ষণশীল ডানপন্থী দলগুলোর সদস্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার নতুন আইনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, জার্মানির অভিবাসন সংক্রান্ত আইনগুলোর আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে নতুন এই আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বহুত্ববাদ জার্মান সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। যারা বছরে পর বছর ধরে জার্মানিতে বসবাস করছেন, এই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছেন, নতুন আইনের মাধ্যমে আমরা তাদের কাছে বার্তা দিতে চাই—জার্মানি আপনাদেরও দেশ।’ বর্তমানে জার্মানিতে বসবাসরত বিদেশিদের মধ্যে নাগরিকত্ব পাননি— এমন লোকের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ, যা জার্মানির মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। তাদের মধ্যে প্রায় ৫৩ লাখ মানুষ গত ১০ বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৫

ব্রাজিলকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখালেন নতুন কোচ
কাতার বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনালে হারের পর থেকে মাঠের খেলায় চেনা রূপে ফিরতে পারেনি ব্রাজিল। আসন্ন বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ভালো অবস্থানে নেই পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তার ওপর দেশটির ফুটবল ফেডারেশন সিবিএফের অস্থিতিশীল অবস্থা ব্রাজিলের ফুটবলকে ফেলেছে নিষেধাজ্ঞার হুমকিতেও। তবে শেষ সময়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে পার পেলেও মাঠের খেলায় এখনও ছন্দে ফিরতে পারেনি ব্রাজিল। এমন কঠিন সময়ে সেলেসাওদের দায়িত্ব পেয়েছেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বরণ করে নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফার্নান্দো দিনিজকে সরিয়ে সাও পাওলোর সাবেক কোচ দরিভালের সঙ্গে আগামী ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি করেছে ব্রাজিল। কোচ হিসেবে তার নাম ঘোষণার পরই ব্রাজিলের বর্তমান করুণ অবস্থা থেকে উত্তরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দরিভাল। দরিভাল বলেন, এখন আমি বিশ্বের সবচেয়ে বেশিবার শিরোপাজয়ীদের প্রতিনিধিত্ব করছি। যারা বিশ্বের অন্যান্য দেশকে অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছে। আরও একবার (শিরোপা) জেতা আমাদের বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কঠিন সময় কাটছে। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসাটা অসম্ভব নয়। আমাদের একটি নির্ভরযোগ্য জাতীয় দল নির্বাচন করতে হবে। যা আমাদের সকলকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেয়। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল খুবই শক্তিশালী। এটি নিজেকে নতুন করে জানছে। এটি যে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, মূলত তারা সেই সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার দল নয়। এটি একটি শিক্ষা হিসেবে নিন। যাতে আমরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার নতুন একটি পথ খুঁজে পেতে পারি। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হারের পর ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিতে। এরপর দিনিজকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় সিবিএফ। কারণ, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন আশায় ছিল ২০২৪ সালের মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে কার্লো আনচেলত্তির মেয়াদ শেষ হলে তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেবে। এ ভরসায় গত জুলাইতে ফার্নান্দো দিনিজের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে চুক্তি করে নিয়েছিল সিবিএফ। কিন্তু কয়েক দিন আগেই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হন আনচেলত্তি। এরপরই দারিভাল জুনিয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্রাজিল ফুটবল ম্যানেজমেন্ট।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়