• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় পকেটে হাত, অধ্যক্ষের ছবি ভাইরাল
মহান জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবসে নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পকেটে দুহাত ভরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় ভিন্নভাবে সম্মান প্রদর্শন করেছেন। এমন দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  ছবি দুটিতে দেখা গেছে, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ্বজিৎ কুমার ভৌমিক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় পকেটে দুহাত ভরে রেখেছেন। আর অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় পতাকাকে স্যালুট দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করছেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। পরে অধ্যক্ষের হোয়াটসঅ্যাপে ছবি দুটো পাঠানো হলে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়ে গেছে। এটা নিউজ কইরেন না, পরে প্রয়োজনীয় পজেটিভ নিউজ কইরেন।  এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকাকে স্যালুট দিতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে পকেটে হাত রাখা শোভনীয় নয়।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৩

স্কুলে পতাকা টানাতে গিয়ে প্রাণ গেলো শিক্ষার্থীর
স্কুলের পতাকা টানানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রিয়ান বাদশা (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর কদমতলীর পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়ান ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বনগ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক ফারুকের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে পলাশপুর ৫ নম্বর রোডে থাকতেন।  ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি ও জাকির হোসেন জানান, পতাকার স্টিলের পাইপটি পাশের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংস্পর্শ হয়। এ সময় রিয়ান পতাকা টাঙাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে অচেতন হয়ে পড়ে সে। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা পৌনে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি কদমতলী থানায় জানানো হয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৫

জাবিতে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের কালো পতাকা মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিল করেছে ছয় হলের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নতুন কলাভবন হয়ে শহিদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ছয় হলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।  এ সময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে নেতাকর্মীদের ‘এক দফা এক দাবি, লিটন তুই কবে যাবি’; ‘অবাঞ্চিত সেক্রেটারি, মানি না মানব না’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।  বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুজ্জামান শাকিল বলেন, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হল কমিটি দিতে ব্যর্থতা, জমি দখলের মতো অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু এর মাঝেও গত ৩১ জানুয়ারি অন্যান্য নেতাকমীর্দের সাথে সমন্বয় না করেই হল কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এটা করা হয়েছে। এখন আমাদের দাবি একটাই। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার বলেন, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তাতে তার পদে থাকার কোন অধিকার নেই। সে ছাত্রলীগের কেউ হলেও আমরা তাকে বর্জন করবো। সহ-সভাপতি সাজ্জাদ শোয়াইব বলেন, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ১০ দিন পর তারা প্রতিবেদন জমা দিবে। তদন্ত প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নিধার্রণ করবো। এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি লিটনের বিরুদ্ধে হল কমিটি দিতে ব্যর্থতা, কর্মীদের সময় না দিয়ে জমি দখলে মনোনিবেশ ও অন্য হলের নেতাকর্মীর সঙ্গে অশোভন আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ছয় হলের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। চলমান এ বিদ্রোহে বিশ্ববিদ্যালয়ের কামালউদ্দিন হল, রবীন্দ্রনাথ, রফিক-জব্বার, আলবেরুনি হল, মীর মশাররফ, সালাম-বরকত হলের সাধারণ সম্পাদকের প্যানেলের নেতাকর্মীরা যোগ দেয়। একই দাবিতে গত ৩১ জানুয়ারি রাতে হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে মিছিল করে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন ছয়টি হলের নেতাকর্মীরা।  এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, কালো পতাকা মিছিল বা এ ধরণের কর্মসূচির কথা শুনিনি। কেন্দ্র ইতোমধ্যে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কেন্দ্র যে নির্দেশনা দেয় আমি সে অনুসারে চলবো। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা দিবে আমি তাই মেনে নেব।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৪

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের কালো পতাকা মিছিলে বাধা
সুপ্রিম কোর্টে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কালো পতাকা মিছিল বের করলে বাধা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ জনিুয়ারি) দুপুর ১টায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কালো পতাকা মিছিল বের করে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। এ সময় তারা কোর্টে প্রবেশের চেষ্টা করলে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। বাধা পেয়ে বিক্ষোভকারীরা গেটের সামনে অবস্থান নিয়েই বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে আইনজীবীরা মাজার গেটেই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিনে সারা দেশে ‘কালো পতাকা’ মিছিলের ডাক দেয় বিএনপি। ঢাকায় সাতটি জায়গায় এই মিছিলের চেষ্টা করে। ‘অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে’ বিএনপি এই কর্মসূচি দেয়। একই দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন দল ও জোট পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করে। এর আগে বিএনপি জানায়, দেশের সব উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিল হবে। ৭ জানুয়ারির ‘ডামি সংসদ’ বাতিল এবং ‘ডামি সরকারের’ পদত্যাগের দাবিতে ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল সফল করতে নেতাকর্মীদের প্রতি দলের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ঢাকার কর্মসূচিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের থাকতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনকে ডামি ও প্রহসন বলে বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল (নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত) বর্জন করে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪১

দ্বাদশ সংসদ বাতিলের দাবিতে এলডিপির কালো পতাকা মিছিল
অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে কালো পতাকা মিছিল করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন এলডিপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা মিছিল করেন।   রাজধানীর বিজয়নগর থেকে দুপুর ১২টায় মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড়, বিজয়নগর, পল্টন ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এলডিপি নেতারা বলেন, ‘এই ডামি সরকার বাংলাদেশের জনগণের সরকার না। আজ আমাদের এই লড়াই শুধু ভোটের লড়াই নয়, আমাদের গণতন্ত্রের লড়াই, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের লড়াই। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এই ডামি সরকারকে বিদায় নিতে হবে। আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে থাকব। এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আমাদের চলতেই থাকবে।’ মিছিলে এলডিপির উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদি হাসান মাহবুব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর বাবু, সহ-দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, মহানগর পূর্বের সভাপতি সোলায়মান, দক্ষিণের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি নূরে আলম, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সভাপতি এফএমএ আল মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৫

বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি গভীর ষড়যন্ত্র : কাদের
বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি গভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়রি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, বিএনপি কেন কালো পতাকা মিছিল করবে? তাদের ব্যর্থতার জন্য তো আমরা দায়ী না, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা দায়ী নয়। এ ধরনের কর্মসূচি গণবিরোধী। কালো পতাকা কর্মসূচি গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। এ ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তা না হলে এ ধরনের কর্মসূচির নামে সহিংসতা করা হলেও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সংঘাত সহিংসতা থেকে বিরত থাকে। আজকে (মঙ্গলবার) আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় সেটা স্থগিত করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের বিবৃতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুল তথ্যের ওপর নির্ভর করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা (বিএনপি) অপরাধ করলে বিনা বিচারে ছেড়ে দিতে হবে? আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশ নিয়ে কাদের বলেন, বিদেশি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দেবেন সংসদ সদস্যরা। আজকের দিনটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী শুভ দিন। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন প্রতিযোগীতামূলক হয়নি বলা যাবে না। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। বিএনপি আসলে হয়তো আরও প্রতিযোগিতামূলক হতো। তবে সরকারের ওপর অপবাদ দেওয়া যাবে না।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭

সংসদের শুরুর দিনে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর হচ্ছে আজ। এইদিনে সারা দেশে ‘কালো পতাকা’ মিছিল করবে বিএনপি। রাজধানীর ঢাকায়ও সাতটি জায়গায় এই মিছিল হবে। ‘অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে’ বিএনপি এই কর্মসূচি দিয়েছে। একই দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন দল ও জোট পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করবে। বিএনপি সুত্র জানায়, দেশের সব উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিল হবে। ৭ জানুয়ারির ‘ডামি সংসদ’ বাতিল এবং ‘ডামি সরকারের’ পদত্যাগের দাবিতে ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল সফল করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি দলের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার কর্মসূচিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের থাকতে বলা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগর উত্তরের তিনটি ও দক্ষিণের চারটি জায়গা থেকে কালো পতাকা মিছিল বের হবে। এর মধ্যে বিএনপি মহানগর উত্তর মিছিল বের করবে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর, মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ড ও শাহজাদপুরের সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে। আর মহানগর দক্ষিণে মতিঝিলের পীরজঙ্গি মাজার, যাত্রাবাড়ীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, সূত্রাপুরের দয়াগঞ্জ মোড় ও ধানমন্ডির নিউমার্কেটের সামনে থেকে মিছিল করবে বিএনপি। দুপুর দুইটায় এসব মিছিল বের হওয়ার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তরায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও মিরপুরে সেলিমা রহমান, শাহজাদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া মতিঝিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নিউমার্কেট এলাকায় নজরুল ইসলাম খান, দয়াগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যাত্রাবাড়ীতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২–দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, এলডিপি, গণ অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, লেবার পার্টি ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) যুগপৎভাবে কালো পতাকা মিছিল করবে। বিকেলে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকা থেকে এসব মিছিল হবে। প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনকে ডামি ও প্রহসন বলে বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল (নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত) বর্জন করে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৫৬

বিএনপি এখন বলে, নির্বাচন করলেই ভালো হতো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মধ্যে এখন চরম হতাশা। তারা বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করলো, নির্বাচন করলেই ভালো হতো। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে কালো পতাকা দেখিয়েছে। আর বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয় নাই। বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়েছে। গতকালকে নাকি বিএনপি নেতারা বলেছে আমরা ভারত-রাশিয়া-চীনের সরকার। আমরা জনগণের সরকার, খেটে-খাওয়া মানুষের সরকার। এদেশের মানুষের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার। আমাদের সঙ্গে ভারত-রাশিয়া-চীনের যেমন ভালো সম্পর্ক তেমনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়নের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। তাই বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে হতাশাগ্রস্ত বিএনপি নেতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, তারেক জিয়াই বিএনপিকে ধ্বংস করেছে। এখন বিএনপির মধ্যে চরম হতাশা। তারা বলে তারেক রহমান সব শেষ করলো। আমরা নির্বাচন করলে ভালো হতো। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তো আমাদের দেখা হয় সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা হয়, ট্রেন স্টেশনে দেখা হয়, এয়ারপোর্টে দেখা হয়। তখন বলি ভাই কী ঘটনা, তখন বলে উনি সব শেষ করছে। উনি কে, উনি হচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, এই শীতে আমরা শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছি, শীতবস্ত্র বিতরণ করছি, বিএনপি কই, খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় যখন পেট্রোল বোমা মারে। আর জাতীয় পার্টি কই, তাদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা এখন রওশন এরশাদ আর জিএম কাদের এই দুইটা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। শুধু আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে আছে। শুধু আওয়ামী লীগ আজকে শীতবস্ত্র বিতরণ বলুন, মানুষের কাছে অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া বলুন, একমাত্র আওয়ামী লীগই করছে, মানুষের কাছে আছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের রাজনীতি, খেটে খাওয়া গণমানুষের কল্যাণের রাজনীতি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নেত্রী। দূর থেকে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী, যখন গিয়ে কথা বলবেন তখন মনে হবে উনি আপনার মা কিংবা বড় বোন। এমনই হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এখানেই হচ্ছে অন্যদের সাথে জননেত্রীর পার্থক্য। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকের সঞ্চালনায় ও সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্য়করী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৪

‌‌‘বিএনপির কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঠাট্টা করেছে আ.লীগ’
আমাদের কালো পতাকা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ ঠাট্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মঈন খান বলেন, আমাদের কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঠাট্টা করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বলেছে, ‘কালো পতাকা মিছিল তো শোকের।’ দলটি হয়তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছ। আওয়ামী লীগ এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এর চেয়ে আর বড় কোনো শোক নেই। তিনি বলেন, সন্ত্রাস নয়, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চায় বিএনপি। লগি বৈঠা নয়, শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বিএনপি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বিরোধীদলের ওপর কখনও দমন-পীড়ন করেনি। আওয়ামী লীগের আমলেই বিরোধীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। বন্দুকের নল দিয়ে গণতান্ত্রিক জনগণকে দমানো যাবে না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তবে তা হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি আর আওয়ামী লীগ ভিন্ন চরিত্রের দল। আওয়ামী লীগ যা করে বিএনপি তা করে না। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। গণতন্ত্র কিন্তু হাতের মোয়া নয়। আমরা এটার জন্য একটি রাষ্ট্রের শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। সেই শক্তি হলো বুলেট। সেজন্য আমাদের আজকের এই সংগ্রাম সহজ সংগ্রাম নয়। ১৫ বছরে লাখের বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। দলের নেতাকর্মীদের মনোবল অটুট রাখার আহ্বান জানিয়ে  ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই হবে। আওয়ামী লীগ এই গণতান্ত্রিক মানুষদের কোনো কিছুতেই কাবু করতে পারবে না। গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি প্রত্যাশা অনুযায়ী কিছু করতে না পারলেও হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো. বাবুল সরদার চাখারী, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মিয়া মসিউজ্জামান প্রমুখ।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৪

৩০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগেরও কর্মসূচি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি বিএনপি কালো পতাকা মিছিল ডেকেছে। সেদিন আওয়ামী লীগ শান্তি উন্নয়ন শোভাযাত্রা করবে। পাহারায় থাকবে। কোনো অপশক্তিকে রাজপথ ছেড়ে দেওয়া হবে না।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশে কাদের এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গয়েশ্বর বাবু আজ পল্টনে হাজির হয়েছেন, কোথায় ছিলেন এতদিন। বলেছিলেন, আমরা অলিগলি খুঁজে পাব না। এখন গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাচ্ছেন না। দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আছে আরও ৫ বছর। কবে হবে আন্দোলন। রোজার পর না ঈদের পর। মানুষ বাঁচে আর কয় বছর। এই আন্দোলন মানুষ মানে না। হরতাল ডাকে, অবরোধ ডাকে মানুষ আসে না।’  তিনি বলেন, কালো পতাকা শোকের মিছিল ভুয়া। ৩০ তারিখে ডাকছে। ভুয়া। নেতাকর্মীরা আর তারেকের কথায় কান দেয় না। নির্বাচনের খেলা শেষ। রাজনীতির খেলা হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এখন খেলা হবে আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা ভয় দেখায়। ৪১.৮ পার্সেন্ট ভোটারের ভোটে শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচিত করেছে। এটা জনগণের সরকার। কোনো বিদেশিদের সরকার না। বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার। তারা কালো পতাকা মিছিল করে। কালো পতাকা মানে কী, শোকের মিছিল। কালো পতাকা ভুয়া। এর আগে, দুপুর থেকেই সমাবেশস্থলে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল চারটার মধ্যে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা দলীয় স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখরিত করে রাখে।   সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, হান্নান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা রাখেন। 
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়