• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পছন্দের এপিএস পেলেন ডেপুটি স্পিকার ও মাশরাফী
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামছুল হক টুকু ও সংসদের হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী এপিএস নিয়োগ দেওয়া হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। একটি প্রজ্ঞাপনে ডেপুটি স্পিকার মো. শামছুল হক টুকুর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মো. আমজাদ হোসেনকে। তার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। অন্য প্রজ্ঞাপনে জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার এপিএস হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. জামিল আহমেদ। তার বাড়ি রাজধানীর পল্লবীতে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুজন এপিএসকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী, ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতন স্কেলে (নবম গ্রেড) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা যতদিন এ পদ অলংকৃত করবেন অথবা তাদের জন্য পদায়নকৃত এপিএসদের উক্ত পদে বহাল রাখার অভিপ্রায় পোষণ করবেন, ততদিন এ নিয়োগ আদেশ কার্যকর থাকবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৬

গুচ্ছ ভর্তিতে আবেদন ৩ লাখের অধিক, কেন্দ্র পছন্দের শীর্ষে জবি
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের পছন্দের পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষস্থানে রয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) এসব তথ্য জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার।  উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।  তিনি আরও জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে শুধুমাত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন ৯০ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৫৩ হাজার ৮৩২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১৯ হাজার ৭৭০ জন, ‘সি’ ইউনিটে ১৭ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে। যা মোট আবেদনকারীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ।’ এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ১ মিনিট থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পান। পরবর্তীতে ভর্তির আবেদন চলাকালীন সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে একদিন আবেদন কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার্থে আবেদনের সময়সীমা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত একদিন বৃদ্ধি করা হয়। এদিকে গুচ্ছ ভর্তিতে প্রাথমিক আবেদনের সময় আর বাড়ানো হবে না বলে ভর্তি কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন। জিএসটি গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এবছর আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। নতুন করে এখন আর আবেদনের সময় বাড়ানো হবেনা। এখন আমরা পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু করবো। আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ঠিক করা হয়। তন্মধ্যে শিক্ষার্থীদের যেকোনো একটি কেন্দ্র নির্বাচন করতে হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে না বলেও কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এর আগে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে তিনটি ইউনিটে সর্বমোট ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩১টি আবেদন জমা পড়ে। গুচ্ছভুক্ত ২৪টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
০২ মার্চ ২০২৪, ১২:৫১

পছন্দের কোম্পানির ওষুধ না লেখায় চিকিৎসককে মারধর, আ.লীগ নেতা হাজতে
পছন্দের কোম্পানির ওষুধ না লেখায় এক নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার মামলার আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবর ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শরীয়তপুরের ডামুড্যা বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত জুলহাস মাদবর ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও তার ভাগনে শহিদুল ইসলাম মৃধা ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রোমোশন অফিসার। ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর সঙ্গে কিছুদিন আগে ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রোমোশন অফিসার শহিদুল ইসলাম মৃধার পছন্দের ওষুধ লেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। বিষয়টি শহিদুল ইসলাম মৃধা তার মামা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান সম্পাদক জুলহাস মাদবরকে জানান। এরপর গত বুধবার রাতে চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর বাড়ির কাছে তার পথরোধ করে হামলা চালান জুলহাস মাদবর, তার ছেলে ডামুড্যা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি লিখন মাদবর ও শহিদুল ইসলাম মৃধা। এ সময় নুসরাত তারিন তন্বীর চিৎকারে বাসা থেকে তার মা মাসুমা খাতুন ও চিকিৎসক স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় নুসরাত তারিন তন্বী ও মাসুমা খাতুনকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নুসরাত তারিন তন্বীর স্বামী মঞ্জুরুল ডামুড্যা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই দিন দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর ও শহিদুল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বী বলেন, ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম বারবার তার কোম্পানির ওষুধ লিখতে আমাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। আমি তার দাবি না মানায় সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গতকাল রাতে শহিদুল, স্থানীয় জুলহাস মাদবর, তার ছেলে লিখন মাদবরসহ বেশ কয়েকজন লোক আমার ওপর হামলা চালায়। তারা ধাতব পদার্থ দিয়ে আমার মুখে আঘাত করলে আমি জখম হই।  পরে আমার চিৎকার শুনে আমার মা আর স্বামী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। আমি বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমরা সরকারি চাকরি করতে গিয়ে গ্রামে সেবা দিতে আসছি, কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এমন হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর বিচার দাবি করছি। নারী চিকিৎসক নুসরাত তারিন তন্বীর স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ওরা চেয়েছিল ওদের কিছু মানহীন ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখতে। কিন্তু একজন চিকিৎসক হিসেবে একটি কোম্পানির ওষুধ ঢালাওভাবে লেখার সুযোগ নেই, তাই আমার স্ত্রী তাদের কথায় রাজি হয়নি। ওরা স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কাল রাতে আমার স্ত্রী ও আমাদের ওপর হামলা চালায়। চিকিৎসকেরা  সেবা দিতে গ্রামেগঞ্জে কাজ করে, এভাবে আমাদের ওপর হামলা হলে কেউ আর চিকিৎসা সেবা দিতে গ্রামে আসবেন না। আমরা এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।  আহত মাসুমা খাতুন বলেন, আমি আমার মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে এগিয়ে যাই। পরে গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। একজন নারী চিকিৎসক এখানে নিরাপদ না। আমরা কীভাবে থাকব। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবরের মামাতো ভাই এনামুল হক ইমরান বলেন, আমার ভাই কারও ওপরে হামলা করেনি। জুলহাস ভাইয়ের সঙ্গে চিকিৎসক ও তার মায়ের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পড়ে গিয়ে উনি আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ল্যাবএইড ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি শহীদ ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক তন্বীর ওপরে হামলা চালিয়েছে। এতে তিনি ও তার মা আহত হয়েছেন। তন্বীর মুখমণ্ডলে জখমের আঘাত রয়েছে। বর্তমানে উনি তার মা’সহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, একটি কোম্পানির ওষুধ না লেখা নিয়ে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৫

এবারও পছন্দের পিএস পাচ্ছেন না মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
গতবারের মতো এবার নিজেদের পছন্দের একান্ত সচিব (পিএস) পাচ্ছেন না নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। তবে তারা পছন্দের ব্যক্তিকে সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগ দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ২০১৯ সালের আগে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পছন্দের ব্যক্তিকে পিএস হিসেবে পেতেন। কিন্তু ২০১৪-১৮ মেয়াদে অনেক পিএস-এপিএসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরামর্শে ব্যাচভিত্তিক বিসিএস কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে পিএস নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এবারও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। তবে এপিএস হিসেবে নিজেদের পছন্দে যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তবে এপিএস যিনি হচ্ছেন, তার প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পছন্দের ব্যক্তিকে পিএস নিয়োগ দিলে অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ পাওয়া যায়। এজন্য গতবারের মতো এবারও এমন সুযোগ দেওয়া হবে না। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয় বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এবার প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। এরমধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। এখন মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য পিএস এবং এপিএস নিয়োগ দেবে সরকার। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসনে জয় পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর স্বতন্ত্র ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও অন্যান্য দল ৩টি আসনে বিজয়ী হয়।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়