• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি ভর্তি নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে এক শ্রেণিতে যেন ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা না হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাভারের ব্র্যাক সিডিএম-এ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ স্কিম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার এখনই সময়। এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের চেয়ে বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে, আগামীতে আরও বাড়ানো হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে যে-প্রশ্ন রয়েছে, শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে যে উদ্বেগ রয়েছে, আমাদের সবাইকে এই নতুন ভাবনা সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করা জরুরি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিম এর স্কিম পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন) এবং এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।  
৯ ঘণ্টা আগে

যে কারণে প্রদর্শনের উপযোগী নয় রাফির ‘অমীমাংসিত’
সেন্সরবোর্ডে আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’ সিনেমা। সিনেমাটির চুলচেরা বিশ্লেষণে বোর্ড বলছে, এতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তুর সঙ্গে বাস্তবতার মিল রয়েছে। যে কারণে তা জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়। বুধবার (২৫ এপ্রিল)  সিনেমাটির প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চুকে দেওয়া সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিনেমাটির টিজার সামনে এলে দর্শকদের কেউ কেউ বলছিলেন, সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানিয়েছেন রাফী। কেউ আবার আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পান। যদিও সিনেমা সংশ্লিষ্ট কেউ কিংবা সেন্সর বোর্ডও সরাসরি সাগর-রুনির নাম বলেননি। সেন্সর বোর্ড বলছে এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। চলচ্চিত্রটির কাহিনী/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সেন্সর বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, গত ৩ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটি পরদিন ৪ মার্চ সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা করেন। এরপর সেটি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২২ এপ্রিল বোর্ড সদস্যরা পুনরায় পরীক্ষা করেন। পুনরায় যাচাই শেষে বোর্ড সভায় চলচ্চিত্রটির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেন্সর বোর্ডের সদস্যদেও মতে, ‘দি কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫ এর ১ এর প্রথম, পঞ্চম ও সপ্তম দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ বিদ্যমান থাকায় ‘অমীমাংসিত’ চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়।ফলে ‘দি বাংলাদেশ সেন্সরশিপ অব ফিল্মস রুলস, ১৯৭৭’ এর বিধি ১৬ (৫) অনুযায়ী চলচ্চিত্রটির সেন্সরপত্রের আবেদন বাতিল বা সেন্সরপত্র দিতে অস্বীকারের কথা জানায় সেন্সরবোর্ড। তবে সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চাইলে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন।
৯ ঘণ্টা আগে

‘আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি রমজানে কতগুলো ইফতার পার্টি করেছে তা গণনার জন্য সরকার লোক নিয়োগ করেছে। বিএনপি রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখতে ইফতার মাহফিলে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিএনপি বিশ্বাসী নয়।  ‘বিএনপি রমজানে এক হাজার ইফতার পার্টি করেছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জাবাবে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, ঈদ মানে আনন্দ-খুশি। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি। উন্নত মানের খাবার কেনার সঙ্গতি ছিল না। অত্যন্ত কষ্টে দিন যাপন করছে দেশের মানুষ। অথচ, আওয়ামী লীগ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তাদের নেতাকর্মীদের আনন্দের শেষ নেই। বিএনপির এই নেতা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। হতাহত হয়ে মৃত্যু শোক যেন ঈদের খুশির আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। মানুষ আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে ও সড়ক দুর্ঘটনায় মরলেও সেতুমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব ও বাকি মন্ত্রীদের মনে স্বস্তি থাকলেও সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি নেই। রিজভী বলেন, বিএনপির জনগণের স্বার্থের দিকে দৃষ্টি দেওয়া একটি রাজনৈতিক দল। তাদেরকে এতো নিপিড়ন ও নির্যাতন করার পরেও তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। যতই নির্যাতন ও হুমকি আসুক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে আছে এবং থাকবে।  
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০০

মান্না ভাইয়ের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয় : স্বাগতা
ঈদে মুক্তির তালিকায় আছে ডজন খানেক চলচ্চিত্র। সেই তালিকায় আছে শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী অভিনীত ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিটি। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর সিনেমায় ফিরেছেন জিনাত শানু স্বাগতা। সম্প্রতি সিনেমাটিতে কাজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি প্রয়াত নায়ক মান্নাকে স্মরণ করেন এবং স্মৃতিচারণা করেন।  এ সময় তিনি বলেন, মান্না ভাই অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তার মতো একজন মানুষ চলচ্চিত্রশিল্প থেকে চলে গেছেন, এটা অনেক বড় লস। তিনি চলে যাওয়ার পর আমরা অনেক বছর সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। মান্না ভাইয়ের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি লিজেন্ড। শাকিব খান মান্না ভাইয়ের জায়গা ধরেছেন, এটা আমি স্বীকার করছি না। কারণ, শাকিব খান মান্না ভাই বেঁচে থাকতেও শাকিব খানই ছিলেন। আমি বলব, মান্না ভাই চলে যাওয়ায় শাকিব খানের ওপর চাপ পড়ে গেছে বেশি। ইন্ডাস্ট্রিতেও চাপ পড়ে গেছে। শুধু একজন নায়ক থাকলে দর্শকের জন্য বিপদ, ইন্ডাস্ট্রির জন্যও বিপদ। শরীফুল রাজের সঙ্গে শাকিব খানের তুলনা করতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, এবারের ঈদে দারুণ ব্যাপার হলো শরীফুল রাজের তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে, শাকিব খানের একটি। তাই বলতে চাই, হয়তো আমরা এমন একজন নায়ক পেয়ে গেলাম, যার চলচ্চিত্র দেখতে গিয়ে উপচে পড়বে হল। শরীফুল রাজের তিনটি সিনেমা আসছে, হয়তো শাকিব খানের ওপর চাপ কমছে। মিশুক মনি পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমায় রাজ-বুবলী ছাড়াও সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, শাহাদাত হোসেন, সমাপ্তি মাশুকসহ  অনেকে।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০

ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয় : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্রসংগঠন। ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।  সোমবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিবৃতিতে এই কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ছাত্রলীগ সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে।   তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দখলদারিত্ব শুরু হয়। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। ক্ষমতা ও অর্থের প্রলোভনে মোহবিষ্টের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের আদর্শ বিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয়। জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।  তিনি বলেন, জিয়ার আমলে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রচলন করেন। এর প্রভাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে থাকে এবং তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ব্যহত করে। এই নীতি ও আদর্শ বিবর্জিত ধারার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নিরন্তর সংগ্রাম জারি রেখেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বোঝেন না যে এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখলে তারা জনগণ থেকে আরও দূরে সরে যাবেন। তারা ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগবিরোধী বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করেছেন এবং তা পরিপুষ্ট করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ও অভিন্ন বলে মন্তব্য করে কাদের বলেন, এখানে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বয়ান তৈরির অপচেষ্টা হলো ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। আর ইতিহাসের বিরুদ্ধে যে জাতি বা গোষ্ঠী অবস্থান নেয়, তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। ফলশ্রুতিতে আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশের মূল চেতনা হতে বিচ্ছিন্ন ইতিহাসবিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তাদের দোসররা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিলুপ্তির পথে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩০

প্রার্থী যতই প্রভাবশালী হোক কোনো ছাড় নয় : ইসি রাশেদা
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে প্রভাবশালী প্রার্থী, তা আমরা দেখব না। প্রার্থী যতই প্রভাবশালী হোক আইন মেনে চলতে হবে। আইনবহির্ভূত কাজ করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভাগের সব জেলা ও উপজেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসি রাশেদা বলেন, এর আগেও আমরা অনেক নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল করেছি। নির্বাচনের দিনেও প্রার্থিতা বাতিল করেছি। রাষ্ট্র আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা কঠোরভাবে পালন করব। তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠপর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বরত থাকবেন তাদেরকে বলব, আপনারা কোনো বেআইনি কাজে জড়িত হলে বরদাশত করা হবে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনোভাবে কোনো অনিয়ম আমরা মেনে নেব না। নির্বাচনে জামায়াত অংশ নেবে কি না, জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলগতভাবে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচন করা যাবে। এর ফলে কে জামায়াত বা কোন দল সেটা আমরা দেখব না, আমরা দেখব প্রার্থীকে। সব প্রার্থীকেই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। এ সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের কোনো উপজেলাতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকবে না বলে জানান ইসি রাশেদা সুলতানা। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান। এ ছাড়াও রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভাগের সব নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৬

খলিলের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি সম্ভব নয় : ভোক্তার ডিজি
খলিলের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ব্যক্তিপর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি। ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, গত বছরের শেষদিকে খলিলের উদ্যোগে দেশের বাজারে কমতে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন এক মাসের জন্য ৬৫০ টাকা দাম বেঁধে দেয়ার পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। ভোক্তার ডিজি বলেন, রমজানের পর খলিল-নয়নদের দোকানে উপচেপড়া ভিড় ছিল। মাংস কিনতে ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ এসেছে তাদের দোকানে। সেখানে পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল। এর আগে খলিলকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল। রাজশাহীতে কম দামে মাংস বিক্রি করায় একজনকে খুন করা হয়েছিল। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে খলিল জানান, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করবো। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও, এখন আর সেটি সম্ভব নয়। এই সময়ে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ কেউই শঙ্কামুক্ত নয় : স্বাস্থমন্ত্রী
গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত রোগীদের বিষয়ে তিনি এই কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহতদের অনেকেই আমাদের এখানে এসেছে। এখন পর্যন্ত ৩২ জন রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। তিনি বলেন, আমরা রোগীদের দেখেছি। ডাক্তারসহ আমরা একটা মেডিকেল বোর্ড বসেছিলাম। ৫০ ভাগের বেশি বার্নের রোগী আছে ১৬ জন। ৮০ ভাগের বেশি পুড়ে যাওয়া রোগী ১০ জনের বেশি। রোগীদের অবস্থা এতোটাই খারাপ যে সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। মন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। বাকিটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে তাদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নয়। তাদের ছয় জন ইতোমধ্যে আইসিইউতে আছে। তাদের ৯০ ভাগের বেশি বার্ন। ডা. সামন্ত লাল বলেন, শিশুদের শরীরের ১০ শতাংশের বেশি এবং বয়স্কদের ১৫ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলেই তাদের জীবনের ঝুঁকি থাকে। যাদের শরীর এরচেয়ে বেশি পুড়েছে তাদের সবারই জীবন নিয়ে শঙ্কা আছে। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। যাদের অনেকেরই ৩০ ভাগের বেশি বার্ন। ১০ বছর বয়সের মধ্যে ৭ জন এবং ১১-১৮ বছর বয়সের মধ্যে ৬ জন রোগী রয়েছে। এই ১৩ জনের সবাই ১০ ভাগের বেশি পুড়ে যাওয়া। তিনি বলেন, কেউ আশঙ্কামুক্ত নয়। অধিকাংশের অবস্থাই খারাপ। যেকোনো বার্নের রোগী যতক্ষণ বাসায় না যায় ততক্ষণ তাদেরকে আমরা আশঙ্কামুক্ত বলতে পারি না।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৭

শিল্পাঞ্চল ছাড়া গ্যাসের লাইন নয় : নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল ছাড়া কোথাও গ্যাসের লাইন হবে না, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।  বুধবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি এলাকায় প্রিপ্রেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। বেইলি রোডের ঘটনায় চট্টগ্রামে যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বরোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবাসিক ভবনের অনুমোদন নিয়ে কেউ যদি হোটেল-কারখানা করেন, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এসব নজরদারি করা হবে, কর্মকর্তারা গাফিলতি করলেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় আগামী ৩ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামবাসীকে গ্যাসের প্রিপ্রেইড মিটারের আওতায় আনা হবেও বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৮

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নে তদন্তের নামে আর ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তদন্তের নামে আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ কমিটি করে তদন্ত হোক আর না হোক, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।  রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নির্দেশনা দেন।  শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি-নিপীড়ন নিয়ে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়ন নিরোধে কমিটি করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা আছেও। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্কুল-কলেজে কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়। সেখানে তদন্ত চলছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। এরপর তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের তদন্ত কমিটি তদন্ত করুক বা না করুক, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে এখন থেকে আর কোনো বাধা বা অজুহাত চলবে না।’ ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অধিবেশন শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ডিসিদের জানিয়েছি, দক্ষতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ডিসিরা সবাই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সৃষ্টি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ পাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। শিক্ষায় সরকারের এমন বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে বড় সফলতা আসবে বলেও তারা মতামত দিয়েছেন।’ অধিবেশন ও ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়