• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নদী রক্ষার বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি : নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী রক্ষার সঙ্গে জলবায়ু পরিবেশ সবকিছুই যুক্ত। তাই নদী রক্ষার বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠ কার্য অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের যে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলোর পরিচালক থাকে। এর বাইরে জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় প্রশাসনও যেন সেগুলো দেখভাল করেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী গতকাল (রোববার) একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আজকের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রকল্প নিয়ে নেই। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক সময় স্থানীয়ভাবে প্রশাসন সেখানে সমস্যার মধ্যে পড়ে। এটার যেন সমন্বয় হয় এমন একটি বিষয় ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ডিসিরাও সমস্যায় পড়ে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন তো ডিসিরা করেন না। বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা জেলা প্রশাসককে সেটি দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিসিরা স্থানীয় পর্যায়ে অনেকগুলো কাজ করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখবেন তারা। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প পরিচালক আছে এবং বাস্তবায়নের জন্য একটা টিম থাকে তারা বাস্তবায়ন করে। সেখানে প্রকল্পটির সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটা জেলা প্রশাসকরা ক্রস চেক করবে। যেমন- প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের দুর্বলতা দেখাচ্ছে কিনা এটা যেন স্থানীয় প্রশাসন দেখভাল করে। বিভিন্ন জায়গায় নদী দখল বড় সমস্যা যা স্থানীয় রাজনীতিবিদ বা প্রভাবশালী যারা আছেন তাদের প্ররোচনায় হয় এবং কখনও কখনও প্রশাসনের কিছু করার থাকে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা তো অতীত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকেই তো দখল করে ফেলা হয়েছিল। বাংলাদেশের গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশকে আমরা পেয়েছিলাম ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে সেক্ষেত্রে নদীও রক্ষা পায়নি। কাজেই সে জায়গা থেকে আমরা নতুন একটি সম্ভাবনার জায়গায় এসেছি। নদী দখল করার যে চিন্তা-ভাবনা মানুষের ছিল; সেখান থেকে দূরে সরে গেছে।  তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণে এই আমূল-পরিবর্তন হয়েছে। সেখানে আপনারা গণমাধ্যম আমাদের সঙ্গে ছিলেন। গণমাধ্যমের সহায়তা পেয়েছি এবং আমাদের এই কঠোর অবস্থানটা এখনও চলমান আছে। এই জায়গায় আমরা কোনও ধরনের কম্প্রোমাইজ করব না।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৪

দেশ বিক্রির চুক্তি আমরা করিনি, করবও না : নৌপ্রতিমন্ত্রী
দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা করিনি, করবও না জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের স্বার্থ, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়, এমন কিছু শেখ হাসিনার সরকার করবে না। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেট সংলগ্ন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংযোজিত রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী কন্টেইনার স্ক্যানার স্থাপন ও হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে এবং আরও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা টার্মিনাল অপারেশনের জন্য সৌদি আরব বিনিয়োগ করেছে। আরও কয়েকটি দেশ বিনিয়োগের জন্য পাইপলাইনে আছে। এসব বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও বেশি শক্তিশালী হবে। বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। কারণ তারা জানে বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করলে এর ফল পাওয়া যাবে। দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা করিনি, করবও না। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে শেখ হাসিনা কিছু করবেন না। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আইএসপিএস কোড কমপ্লায়েন্স চট্টগ্রাম বন্দরের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আন্তর্জাতিক মহলে নিরাপদ হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্য আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি চট্টগ্রাম বন্দরে স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া মোংলা, পায়রা এবং অন্যান্য স্থল বন্দর ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে। সেখানেও স্ক্যানার বসানো হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের গৃহীত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বহরে যুক্ত হয়েছে রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানার। এটি রপ্তানি পণ্যের জাহাজীকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে, বন্দরের কন্টেইনার জট হ্রাস করবে, বৈধ বাণিজ্য সহজতর করবে, অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের রপ্তানি নিবৃত্ত করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বন্দর নিরাপত্তা সংস্থা এবং রপ্তানি সহযোগী দেশের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও কার্যকর ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সহায়তা করবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৯

টেনিস খেলার জনপ্রিয়তা কমেনি : নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, টেনিস এখনো প্রাইমারি লেভেলে। আগে প্রাইমারি লেভেলে ছাত্ররা (টেনিস খেলোয়াড়রা) ঝরে পড়ত; সেকেন্ডারি লেভেলে যেতে পারত না। এখন প্রাইমারি লেভেলে থাকলেও ঝরে পড়ছে না, এটা বড় প্রাপ্তি। টেনিসের প্রতি বর্তমানে অভিভাবক ও বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা আগ্রহ দেখাচ্ছে। আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখা যাচ্ছে। টেনিসের প্রতি আগ্রহ, এটা ভাল দিক। টেনিসের একজন প্লেয়ার দরকার। সেখান থেকে ১০০/১০০০ খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে। আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিল। সেখান থেকে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি উজ্জীবিত। আমরা টেনিসের উন্নয়নে কাজ করছি। জানি না কখন সূর্য উদিত হবে। টেনিস ফেডারেশনের কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে; সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে। টেনিস খেলার জনপ্রিয়তা কমেনি। মানটা বড় কথা। আমাদের টেনিসের সেলিব্রেটি তৈরি করতে হবে। তাহলে তার খেলা দেখার জন্য গ্যালারী ভরে যাবে। প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকায় টেনিস ফেডারেশনের সম্মেলন কক্ষে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাথে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী দ্বিতীয় মেয়াদে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।  এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার, সহ-সভাপতি নিয়াজ আহমেদ, মো. মোতাহার হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম, মো. মাসুদ করিম, কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদসহ কর্মকর্তারা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক প্রত্যাশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নাজমুল হাসান পাপন সাহেবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ৪০ বছর পর ক্রীড়াক্ষেত্রে একজন কেবিনেট মন্ত্রী পেলাম। তিনি পারবেন। তিনি ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকায় বেড়ে ওঠা। ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে তিনি অন্যান্য ফেডারেশনের ন্যায় টেনিস নিয়ে ভেবেছেন। টেনিসসহ ক্রীড়াঙ্গনের হারানো গৌরব তার নেতৃত্বে ফিরে আসবে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়