• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রেমিট্যান্সে শীর্ষে ঢাকা, পাঁচ নম্বরে নোয়াখালী
প্রতি মাসে বিদেশ থেকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, তার বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে। রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এরপরই রয়েছে সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী। বাংলাদেশ ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর গত ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, যা নভেম্বরে ছিল ১৯৩ কোটি ডলার। তথ্যমতে, আট মাসে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ডলার ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসে। এই সময়ে সিলেট জেলায় ৮৭ কোটি, কুমিল্লায় ৮১ কোটি ও নোয়াখালীতে ৪৬ কোটি ডলার এসেছে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ও নরসিংদীতে ২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ২০২৩ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে যা ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে প্রায় ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। 
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৭

নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের (এনজেএফ) ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার (৩০ মার্চ ) রাজধানীর বাংলামোটরে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। এনজেএফ-ঢাকার সভাপতি শাহাদৎ হোসেন নিজামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম ফয়েজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত  ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানন আরা বেগম,খিলগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন লিয়ন, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার সহকারী ভূমি কমিশিনার শাহাদাৎ হোসেন, নোয়াখালী ক্লাব ঢাকা লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক, আবদুল হাই। উপস্থিত ছিলেন এনজেএফ সহ সভাপতি শফিক বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসকে সৌরভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোঃ শহিদুল, ক্রীড়া সম্পাদক, ইসমাইল হোসেন টিটু, দপ্তর সম্পাদক, এফ আই মাসুদ,সংস্কৃতি সম্পাদক ইমরানু্ল আজিম ইমু, স্বাস্থ্য বিষয় সম্পাদক, সাদ্দাম হোসাইন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফ আহমাদসহ প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর হায়দার লেনিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মাওলা হিরণ, এজেআর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ রিয়াদ, শহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এনজেএফের সুন্দর এ আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, এমন আয়োজন একে-অপরের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করবে। নোয়াখালীর মানুষ ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে কাজ করবে এই ফোরাম। ইফতার পরবর্তী আড্ডায় বিশিষ্টজনরা পারস্পরিক কুশল বিনিময় ছাড়াও নোয়াখালীর উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বদানকারী রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা পালনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় এনজেএফকে সবসময় সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা। পাশাপাশি সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে ফোরামের সদস্যদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:০২

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে করে পড়াশোনায় ব্যাঘাত, ঘুমে সমস্যা ও পানি সংকটসহ নানান সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে দিন পার করছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ভোগান্তি হতে মুক্তি পেতে ২৪ ঘণ্টা জেনারেটর সুবিধা দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।  জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দুটি ও মেয়েদের তিনটি হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিত্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধের দিনে এ ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। রমজান মাসে প্রায় সবগুলো বিভাগে ক্লাস ও কিছু কিছু বিভাগে সেমিস্টার চলায় এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বিঘ্নে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। হলগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ছে বলে জানা যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিডি দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অর্ডারের একটি নির্দিষ্ট সময় জুড়ে জেনারেটর সুবিধা চালু রাখা হয়। অফিসিয়াল অর্ডারের চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে এবং অনুমতি পেলে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন তারা। দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের এক আবাসিক ছাত্রী আরটিভিকে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখি কারেন্ট নাই। রুমমেট এর থেকে শুনলাম আরও ঘণ্টা খানেক আগে কারেন্ট গিয়েছে। গরমের মধ্যে শরীর অনেক খারাপ করে। সন্ধ্যার সময় কারেন্ট আসে। মাঝখানে ১০ মিনিটের জন্য এমনি এসে আবার চলে যায়। পরদিন নেক্সট এক্সিমের প্রিপারেশন এর জন্য ল্যাপটপ অন করে বসি। কারেন্ট আবার চলে যায়। ওয়াইফাই  না থাকলে মোবাইল ডাটা দিয়ে তো এতক্ষণ চলা সম্ভব না। অনেককিছু সার্চ করা লাগে। ল্যাপটপ এর চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ ও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রচুর বিরক্তি কাজ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, গতবছর পরীক্ষার সময় আমরা পড়াশোনা করেছি তখন লোডশেডিং ছিল না যেটা এই বছর দেখা যাচ্ছে। পাঁচ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসে আর যায়, যার কারণে আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না। পরীক্ষা থাকায় উপায় না পেয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আমাদের পড়তে হচ্ছে যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য দুঃখজনক। বঙ্গমাতা হলের এক আবাসিক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথমত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে অসহ্য গরম লাগে, হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। পানি সরবরাহের সমস্যা হয়, ফলে পানি সংকট দেখা দেয়। এছাড়া ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে চার্জ থাকে না, ফলে রমজানের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। ওয়াইফাই সুবিধা ও থাকে না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে পানির সমস্যাতেও ভোগান্তি হচ্ছে উল্লেখ করে বিবি খাদিজা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, খাদিজা হলের পানির লাইনগুলো এমনভাবে করা যে পানি আগে সামনের ব্লকে যায় এরপর পিছনের ব্লকে আসে। দেখা যায় সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় পানি নাই আবার দুপুরে এসেও পানি নাই। মাঝে যেই সময় হঠাৎ অল্প একটু আসে তখন যারা থাকে তারা পায় বা অনেক সময় দেখা যায় জানেও না। গতবছর পুরো গ্রীষ্মকাল এইভাবেই গেছে। সব হলে পানি থাকলেও খাদিজা হলের পিছনের ব্লকে দেখা যায় নাই। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ তো সরকারের হাতে, তারা কতক্ষণ দিবে না দিবে এটার ওপর আমাদের হাত নেই। বিদ্যুৎ সরকারের হাতে থাকলেও জেনারেটর সুবিধাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। তবে কেন এ সুবিধা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় দেয়া হচ্ছে না। এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের অফিসিয়াল একটা অর্ডার আছে কয়টা থেকে কয়টা জেনারেটর চালু রাখবো বা কতক্ষণ চালু থাকবে। আর এর চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে অর্থের ব্যাপার আছে। ভিসি স্যার বা ট্রেজারার স্যার হচ্ছেন এটার অথোরিটি। উনারা যদি অনুমতি দেয় অতিরিক্ত সময় চালানোর তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমাদের একটা জেনারেটর নষ্ট। ঐটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা অফডেতে হল এবং আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় জেনারেটর এর ব্যবস্থা করছি। দিনের বেলায় জেনারেটর থাকবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলে দেওয়া হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮

নোয়াখালী থেকে দুটি গ্রেনেড উদ্ধার
নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি টিয়ার গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ।   শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলের দিকে জেলা শহর মাইজদীর নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের দেয়াল সংলগ্ন পরিত্যক্ত জায়গা থেকে গ্রেনেড দুটি উদ্ধার করা হয়। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের দেয়ালের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় দুটি টিয়ার গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ১টি গ্রেনেড বিকেল ৩টা অন্যটি বিকেল ৫টার দিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।     ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আরও বলেন, গ্রেনেডের গায়ে লেখা রয়েছে টিয়ার গ্যাস হ্যান্ড গ্রেনেড বিপি কানো। এ ধরনের গ্যাস গ্রেনেড পুলিশের ট্রেনিং কাজে ব্যবহৃত হয়। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। যেহেতু নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে গ্যাস গ্রেনেড দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা হবে তাদের স্টক ঠিক আছে কিনা। এটি তাদের অব্যবহৃত কিনা।       
১৬ মার্চ ২০২৪, ২২:১১

নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সাথে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিপ্লব মল্লিক এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম সেলিম সংবাদ সম্মেলনে এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বুধবার (১৩ মার্চ) পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জনৈক এক ছাত্রনেতার শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে বাধা দেওয়ায় ঐ শিক্ষার্থী হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পর, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কতিপয় ছাত্রনেতা হল-পর্যবেক্ষক একজন শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তী সময়ে, ঐ শিক্ষক, পরিচালক (ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ), প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এবং উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলতে থাকে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।  বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের পদধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলসমূহে নিয়মবহির্ভূত হস্তক্ষেপ করছে এবং কর্তব্যরত শিক্ষকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে আসছে। প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক সমিতি বদ্ধ পরিকর। কিন্তু মুষ্ঠিমেয় শিক্ষার্থীদের এরূপ অছাত্রসুলভ আচরণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং পরীক্ষার হলসমূহে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এরূপ কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শিক্ষক সমিতি কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান বলেন, শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেনি। বিপ্লব মল্লিক স্যার নিজেই দায়িত্বরত ম্যাডামকে স্যারের রুমে নিয়ে বসিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার ফোনও অফ ছিল কিন্তু দায়িত্বরত ম্যাডামের ফোন এবং ল্যাপটপ দুটোই চালু ছিল। আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ইউজ করতে পারবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কি বলে? আমি দোষীদের পক্ষ নিচ্ছি না। শিক্ষার্থী যদি দোষী হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে ম্যাডাম ও দোষী। শাস্তি ২ জনেরই হওয়া উচিত। নকল করলে তাকে শাস্তি দিবে এটাতে আমার কোনো দ্বিমত নাই। কিন্তু বিনা অপরাধে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার তো দরকার নেই।   
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

নোবিপ্রবিতে যেন ময়লার ভাগাড়, দ্রুত অপসরণের দাবি শিক্ষার্থীদের
যত্রতত্র ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা, চারপাশে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নেই বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থাপনা। এমনই চিত্র দেখা গেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১০১-একরের ক্যাম্পাসে জুড়ে। প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পদচারণা উপকূলের এই বিদ্যাপীঠে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ বৃদ্ধির কারণে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করা যেন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সাকিব আল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে ময়লা ফেলার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিন দেখিনি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা দোকান থেকে কিছু খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট বা প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। পরে ময়লাগুলো ক্যাম্পাসের একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলে তারা বলে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং লোকবলের অভাবে ময়লাগুলো পরিষ্কার করা যায় না।  ইসরাত জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে ফেয়ারওয়েল, চড়ুইভাতি এবং যেকোনো প্রোগ্রাম শেষে ময়লাগুলো ক্যাম্পাসের আশেপাশেই ফেলা হচ্ছে। এগুলো পরিষ্কারের কোনো ব্যবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। ফলে দিন দিন আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। ক্যাম্পাসটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এটিই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, প্রশান্তি পার্কের পাশে, পকেট গেটের সামনে, একাডেমিক ভবন-১ এর পেছনে, একাডেমিক ভবন-২-এর সামনে, লাইব্রেরি ভবনের সামনে, গ্যারেজের চারপাশে,শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমিটরির সামনে এবং শান্তিনিকেতনের পাশেসহ ১০১ একরের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে  স্তূপ করে প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। ধীরে ধীরে স্থানগুলো ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী জায়গায় রূপ নেয়। অনেক সময় পরিমাণ বেশি  হয়ে গেলে পুড়িয়ে ফেলা হয় বর্জ্যগুলো। পচা, দুর্গন্ধ ও আবর্জনা পোড়ার ধোঁয়া শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাধতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।  এ বিষয়ে নোবিপ্রবির ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভিন তানিয়া বলেন, নোংরা বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আমরা যেসব রোগে আক্রান্ত হই তা হলো, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, অ্যাজমা এবং ক্ষুধামন্দা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা, বিরক্তিকর পরিস্থিতি এবং টাইফয়েড জ্বরের দেখা দিতে পারে। এতে করে তাদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ ধীরে ধীরে চলে যাবে। মোট কথা নোংরা বা দূষণ পরিবেশে সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না। এদিকে ক্যাম্পাসের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দুইটি  কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে এবং কমিটিগুলো বর্জ্যের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাট ও হাউজিং শাখার প্রধান ডেপুটি রেজিস্টার মো. গোলাপ হোসাইন। তিনি জানান, কমিটির দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসে কী পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন জমা হয়। আমরা তিনটি মিটিং করে বর্জ্যের একটি পরিমাণ নির্ধারণ করেছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুপারিশও পাঠিয়েছি। সেই সুপারিশের আলোকে আরেকটি কমিটি করা হয়। যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক যে বর্জ্যগুলো হয় তা নোয়াখালী পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় করে যেখানে ময়লা সংরক্ষণ করা হয় সেখানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।  
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:২২

নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের একচেটিয়া জয়
নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সমমনা ইউনাইটেড লইর্য়াস ফ্রন্ট নীল প্যানেল সহসভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদে জয় পেয়েছে।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এ জেড এম ফারুক।   নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সমমনারা ১৫ পদের মধ্যে ১২টিতে জয় পেয়েছেন। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সাদা প্যানেল সভাপতি ও একটি সদস্য পদসহ দুটি পদে জয় পেয়েছে।সদস্য পদে একটি পদের ফলাফল এখনও স্থগিত রয়েছে।   ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সাদা প্যানেল সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী একেএম সিরাজুল ইসলাম ৩৩০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম পান ২৮৭ ভোট। বিএনপি ও জামায়াত–সমর্থিত সমমনা ইউনাইটেড লইর্য়াস ফ্রন্ট নীল প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট. নুরুল আমিন ২৩৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ মো. তাহের পান ১৭৯ ভোট ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাইফুল ইসলাম হারুন পান ১৬৮ ভোট।   এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সমমনা ইউনাইটেড লইর্য়াস ফ্রণ্ট নীল প্যানেল সমর্থিত নির্বাচিতরা হলেন সহসভাপতি পদে অ্যাডভোকেট এনামুল হক হাজারী, অ্যাডভোকেট সামসুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ইবনে ওয়ালিদ সুমন, সহসাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবু রশিদ ছায়েদুর রহমান রঞ্জু, ট্রেজারার পদে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ (লিটন), লাইব্রেরী ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মওদুদ আহমেদ চৌধুরী ইভান, আপ্যায়ন ও সমাজকল্যাণ সস্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবদুল্যাহ আল মামুন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন সুজন, সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আলা উদ্দিন বকশী, অ্যাডভোকেট মাইন উদ্দিন মানু, অ্যাডভোকেট আলী আহমেদ রোমান।   বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন ৬২৫ জন ভোটারের মধ্যে ৫৯৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।  
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়