• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  দলটির যুগ্ম-মহাসচিব সাদ এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কার করায় তাকে এ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। দ্রুত ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে। খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এসএম মাসুদুর রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নোটিশে মাসুদুর রহমান উল্লেখ করেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু দল থেকে বহিষ্কৃত। নতুন কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ দলের যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। নোটিশে তিনি আরও বলেন, জিএম কাদের দল থেকে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে বহিষ্কার করতে পারেন না। কারণ তিনি তো দলের চেয়ারম্যানই নন। তিনি দল থেকে অব্যাহতির কথা বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনসম্মুখে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের মানহানি করেছেন। দ্রুত ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করলে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেন আইনজীবী মাসুদুর রহমান। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জিএম কাদের অনুসারী মাহমুদ আলম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল জুবায়ের, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, শারমিন পারভীন লিজা, যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান ও যুগ্ম-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এদিকে দলটির পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আগেই জিএম কাদেরের নেতৃত্ব পরিহার করে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে পৃথক জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন অব্যাহতি পাওয়া এসব নেতা। কাউন্সিলে সাদ এরশাদ, সাহিদুর রহমান টেপা কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি নেতারা বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ‘গালা নাইট’ বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চলা ‘গালা নাইট প্রোগ্রাম-৩’ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া। লিগ্যাল নোটিশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে বিবাদী করা হয়। জনস্বার্থে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এ বিষয়ে ডাকযোগে সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই টার্ক নামক প্রজেক্টটি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তা না হলে রিট আবেদন করা হবে হাইকোর্টে। আইনজীবী বলেন, টার্ক নামক একটি অপ্রয়োজনীয় গ্রোগ্রাম বন্ধের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। তিনি বলেন, গত ১০ মার্চ সাভারের বিরুলিয়ায় কথিত টার্ক নামক ‘BRAC University Gala Night Program-3’ নামে একটি অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের অশ্লীল নৃত্য, বেহাল্লাপনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এ টার্কের নামে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়। অথচ তা শিক্ষার্থীদের বাস্তবিক কোনো কাজে আসে না। তাদের নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত এ টার্কের অশ্লীলতা প্রোগ্রামের নামে সামাজিক অনাচার উৎসাহিত করে। তাই এ নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এ অপ্রয়োজনীয় টার্ক নামক প্রজেক্টটি বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছি অন্যথায় জনস্বার্থে এবং দণ্ডবিধির ২৮৬ ধারা মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, সম্প্রতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি গ্রোগ্রাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
১২ মার্চ ২০২৪, ২১:০৬

সাময়িক বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা
রাজধানীর বেইলি রোডে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ-অননুমোদিত রেস্টুরেন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে ‘সাময়িক বন্ধ’ নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের খবর পেয়ে সকাল থেকেই খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকি সড়কের দুই পাশের শতাধিক রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছে মালিকপক্ষ। মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ৫৮৯/সি ঠিকানার ভবনটিতে ‘কাচ্চি ভাই’, ‘সিরাজ চুইগোস্ত’সহ পাঁচটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের মূল ফটকে তালা দেওয়া। ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়নকাজের জন্য প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ’ এমন একটি নোটিশ ঝুলানো। এতে ভবনটি আর পরিদর্শন করতে পারেননি ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরে সেখানকার বহুতল একটি ভবনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাত তলা ভবনটির প্রতিটি তলাতেই রেস্তোরাঁ ছিল। ভবনের দ্বিতীয় তলায় শর্মা কিং রেস্তোরাঁয় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক বা ব্যবস্থাপক ছিলেন না। তাদের মোবাইলে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া রেস্তোরাঁর কর্মীরাও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। একই ভবনের তৃতীয় তলায় পাস্তা ক্লাব নামে আরেকটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে মালিককে পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভবনটি অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যাধিক ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা। পরে সাততলা এ ভবনটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অগ্নিঝুঁকি থাকায় ভবনটি আপাতত বন্ধ থাকবে। ভবন মালিক এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর মালিকরা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সকালে রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘নবাবী ভোজ’ নামে বেইলি রোডের আরেকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন বলেন, রাজউক নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। শুধু রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে না। যেখানে সমস্যা বা কোনো ব্যাত্যয় পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ভয়াবহ এই ঘটনার পরেই অবৈধ-অননুমোদিত রেস্টুরেন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযানে নামে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৯

জামালের অভিযোগে আর্জেন্টিনার ক্লাবকে ফিফার নোটিশ
গত বছর শেখ রাসেলের সঙ্গে অনেকটা লুকিয়ে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল দেপোর্তিভো সোল দে মায়োর সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। প্রথম বাংলাদেশি ফুটবলারকে আর্জেন্টাইন দল বরণ করেছিল মহাসমারোহে। তবে এবার সেই ক্লাবের বিরুদ্ধেই ফিফার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আর্জেন্টিনার ক্লাবে যোগ দিয়ে বেশি সুবিধা করতে পারেননি জামাল ভূঁইয়া। গত বছর আগস্টে যোগ দিয়ে নভেম্বরেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এবার বিপিএলের দ্বিতীয় লেগে খেলবেন আবাহনীর হয়ে। আকাশি-নীলদের সঙ্গে চুক্তি করেই ফিফার কাছে নালিশ করেছে সোল দে মায়োর বিরুদ্ধে। সোল দে মায়োর সঙ্গে জামালের চুক্তি ছিল দেড় মৌসুমের। দলটির হয়ে এরই মধ্যে আধা মৌসুম খেলেছেন জামাল। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ১২ হাজার ডলার পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ অধিনায়কের। ফিফার কাছে জামাল যে নোটিশ পাঠিয়েছেন, তাতে বলা আছে সোল দে মায়োর কাছ থেকে এক মাসেরও পারিশ্রমিক পাননি তিনি! জামালের আবেদনে সোল দে মায়োকে নোটিশ পাঠিয়েছে ফিফা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বিষয়টি নিয়ে শুধু এতটুকুই বললেন, এটি কেবলই এক অভিযোগ।’ আবাহনীর হয়ে চুক্তি করলেও জামালের মাঠে নামা নিয়ে ঝামেলা আছে। আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত আকাশী-নীল জার্সিধারিদের হয়ে খেলতে পারবেন না তিনি।  আর্জেন্টিনা ক্লাব থেকে নিজেই যেহেতু সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সেক্ষেত্রে তা পাওয়া সহজ নাও হতে পারে। তবে ফিফার হস্তক্ষেপে সেটি দ্রুত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৬

বেইলি রোডে নিহতদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।  রোববার (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান তুষার ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী প্রত্যেকের জীবনধারণের অধিকার রয়েছে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৬ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাফেরার অধিকার রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা না-করায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা না-নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঘটছে এবং ৪৬ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কোনোক্রমেই তাদের দায় এড়াতে পারে না।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবরে ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, ‘যেহেতু কর্তৃপক্ষ ভবন মালিককে তিনবার সতর্কতা নোটিশ দিয়েছিল কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি, সেহেতু কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা রয়েছে। নোটিশ গ্রহীতাদের ব্যর্থতার কারণেই বেইলি রোডের ওই ভবনটিতে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৭

বেইলি রোডে আগুন / ভবন কর্তৃপক্ষকে ৩ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ওই ভবনের কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। মাইন উদ্দিন বলেন, ওই ভবনে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। ভবন কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একই কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই ভবন কর্তৃপক্ষকে এর আগে অগ্নি নিরাপত্তাসংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল নিচ তলা থেকে। প্রাথমিকভাবে ধারণা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্তে করে সবকিছু দেখা হবে।  এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। এদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

পুরো রমজানে স্কুল বন্ধ রাখতে আইনি নোটিশ
আসন্ন রমজানের পুরো মাসজুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ নাগরিক মুসলিম, সংবিধান ২ক অনুযায়ী ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এবং ৩১ অনুচ্ছেদে আইন ছাড়া কিছুই করা যাবে না, অনুচ্ছেদ ১৫২(১) আইন অর্থ ‘বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতা সম্পন্ন যেকোনো প্রথা ও রীতি’ বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, এটিই আইন প্রথা ও নীতি এবং ওইভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রমজান মাসে বন্ধ থাকে। তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রমজান মাসে খোলা রাখার সরকারের তর্কিত সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। আইনজীবী ইলিয়াছ আলী মণ্ডল বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসন্ন রমজান মাসে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, কিন্তু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রমজান মাসে খোলা রাখার সাম্প্রতিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বৈষম্য মূলক ও সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, রমজান মাসে শিক্ষকরা রোজা রেখে ক্লাসে লেখাপড়া শেখান। তাই শিক্ষার্থীরা বিষয়টিতে মনোযোগী হয় না। এছাড়া, অভিভাবকরা রোজা রেখে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর হবে। এ অবস্থায় স্কুল খোলা না রাখার নির্দেশনার জন্য এই আর্জি করছি। স্কুল খোলা রেখে বাচ্চাদের ওপর এত শারীরিক ও মানসিক চাপ, অত্যাচার অমানবিক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রমজান মাসে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকত। সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদে সাংঘর্ষিক, তাই ওই সিদ্ধান্ত বাতিল ও পবিত্র মাহে রমজানে স্কুল বন্ধ রাখার জন্য এই আর্জি করছি। নোটিশে আরও বলা হয়, পবিত্র মাহে রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্কুল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সরকারের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা এবং পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা না হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪

মুশতাক-তিশার ভিডিও সরাতে নোটিশ
খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে জ্ঞানপাপী, ভণ্ড, কু-শিক্ষিত, সমাজ বিরোধী, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসকারী, প্রতারক ও সভ্যতা বিরোধী লোক বলে মন্তব্য করে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই সমাজের হাজার বছরের ঐতিহ্য, কৃষ্টি কালচার ও সভ্যতাকে কলঙ্কিত করে বয়সের বড় ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও, বিয়ে-শাদী করে একসঙ্গে বিয়ের পূর্বের অসামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন কনটেন্ট/ভিডিও তৈরি করছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ছাড়াও প্রিন্টিং ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার করছেন। এতে তরুণ প্রজন্মকে অসামাজিক, নোংরা ও যৌন উত্তেজক কর্মকাণ্ডে প্রলুব্ধ করছে, যা এই দেশের ফৌজদারি আইনে অপরাধ বলে যোগ করেন তিনি। দৃশ্যমান এসব প্রকাশনা, ভিডিও ও সাক্ষাৎকার রয়েছে তা তুলে নিতে কিংবা ডিলিট করতে বলা হয়েছে। ডিলিট না করা হয় এবং ভবিষ্যতে মুশতাক-তিশা দম্পতির এরূপ অসামাজিক, যৌন উত্তেজক, নোংরা কনটেন্ট/ভিডিও/সাক্ষাৎকার প্রকাশ করলে সাইবার সিকিউরিটি আইন, ২০২৩ ও দেশের প্রচলিত সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাকির হোসাইনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. তানভীরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন। খন্দকার মুশতাক আহমেদ ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য এবং ওই প্রতিষ্ঠানটির একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৭

জাপার প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি বাতিল চেয়ে নোটিশ
জাতীয় পার্টিকে সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, তা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ এই নোটিশ পাঠান। তিনি জানান,  গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। দলটির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বানানো হয়েছে বিরোধী দলের উপনেতা। এবারের সংসদে জাতীয় পার্টির ১১ জন সংসদ সদস্য। কোন আইন ও কর্তৃত্বের বলে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বেতন ভাতা দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে আইনি নোটিশে। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের উদ্যোগ নিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে নোটিশে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে। নোটিশে আরও বলা হয়, এই নিয়োগের ফলে সরকারের গাড়ি-বাড়ি ও অর্থ অপচয় হয়। জাতীয় পার্টি ১০ শতাংশ আসনও লাভ করেনি। ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩০টি আসনে সংসদ সদস্য (এমপি) থাকলে বিরোধী দলের নেতা হবে. এমন আইন থাকা অতি জরুরি। ভারতের লোকসভায় ১০ শতাংশ সদস্যসহ দ্বিতীয় স্থানে না থাকলে বিরোধী দলের নেতার পদ খালি থাকে, এমন আইন আছে। কিন্তু, আমাদের দেশে নিয়োগেরও আইন নেই, কত সংখ্যক এমপি থাকলে বিরোধী দলের নেতা হতে পারবে তাও উল্লেখ নেই। আইনি নোটিশে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ আরও বলেন, কতজন সংসদ সদস্য থাকলে বিরোধী দলীয় নেতা হতে পারবে সে বিষয়ে সংসদে আইন করতে হবে। আইন না করা পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ ভারতের মতো খালি থাকবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৪

লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রায়হান গাজী নামে এক আইনজীবী এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা শহরসহ সারাদেশের জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন পরিষদে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল চিকিৎসা বিষয়ের সনদ ব্যতীত অর্থাৎ লাইসেন্সবিহীন নামধারী ভুয়া হাতুড়ি ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফসহ লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ভুয়া চেম্বারে সাধারণ সেবা প্রত্যাশী মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র অসহায় সহজ-সরল ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে ব্যাপক শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্সবিহীন ভুয়া ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফ এবং লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ এবং আদালত ও অন্যান্য প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় রিট পিটিশন অথবা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়