• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বিএনপি নেতারা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ  নেতারা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে গুলশানের খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৬

বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
ঝিমিয়ে পড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা করতে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন নিজ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের।  বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগত আড়াই মাসের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর তৃণমূলকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান তারা। ঈদের দিনগুলোতে নেতাকর্মীদের আবারও চাঙা করতে কাজ করছেন নেতারা। ঈদ আয়োজনের মধ্যেই দেওয়া হবে দলের নির্দেশনা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে ইতোমধ্যে তৃণমূলে ছুটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কারাগারে আটক কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর খোঁজ নিতে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাজামা-পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার দিতে টিম গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সারাদেশে অসহায়-দুস্থদের জন্য বস্ত্র ও খাবার বিতরণ কার্যক্রমও পালন করছেন দলটির নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজের গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন লন্ডনে। সেখানে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েও ঈদ পালন করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ঈদে কাটাবেন ঢাকায়। তবে ঈদের দিন নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুরে আসতে পারেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঢাকায় আরও থাকবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ ছাড়া সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারত এবং চিকিৎসার জন্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দেশের বাইরে ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীও ঢাকায় ঈদ করবেন। নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান ও বরকত উল্লাহ বুলু। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদ ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হয়। এর মাধ্যমে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো যায়, আবার জনমতও সৃষ্টি করা সম্ভব। বিএনপি সেটাই করবে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

আ.লীগ নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
উপজেলা নির্বাচনের আর মাসখানেক বাকি। ঈদের পরপরই শুরু হবে নির্বাচনী ডামাডোল। ঈদকে উপলক্ষ করে এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ছুটছেন এলাকায়। পছন্দের প্রার্থীদেরকে সমর্থন জানাতে রাজধানী ছেড়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরাও।  আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রমজান মাসজুড়েই মানুষের পাশে ছিলেন তারা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে ইফতার পার্টি না করে অসহায়, দুস্থ ও গরিব মানুষের মধ্যে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। সেই সঙ্গে ঈদ উপহারসামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস যেতেই স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনকে ঘিরে আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তৃণমূল নেতাদের। আর এবার এই তৃণমূল নেতাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করা বড় নেতাদের সামনে সুযোগ হয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর। বড় নেতারাও হারাতে চাচ্ছেন না এ সুযোগ। এবারের ঈদে নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিই। ঈদের টানা ছুটিতে এলাকায় গণসংযোগ ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পেছন থেকে কাজ করবেন তারা। বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ প্রচারণায় নামতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিরা। পাশাপাশি প্রার্থী ঘোষণাসহ কারো পক্ষে সমর্থন জানিয়ে প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপ না করার কঠোর নির্দেশনা আছে তাদের প্রতি। অবশ্য তথ্য আছে, স্বজন ও ঘনিষ্ঠরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় অনেক মন্ত্রী-এমপি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভেতরে ভেতরে প্রচারণা চালাবেন ঈদের দিনগুলোতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঈদ উপযাপন করবেন পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও ঈদ কাটাবেন চট্টগ্রামে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ঈদ উদযাপন করবেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ঈদে থাকবেন নরসিংদীর মনোহরদীতে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক থাকবেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঈদ কাটবে ফরিদপুরের মধুখালীতে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ঈদ করবেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদে থাকবেন দিনাজপুরের বিরলে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন নেত্রকোনায়, ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে, মাহবুব-উল-আলম হানিফ কুষ্টিয়ায়, বি এম মোজাম্মেল হক শরীয়তপুরে, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাটে, মির্জা আজম জামালপুরে এবং অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন পটুয়াখালীতে এবারের ঈদ কাটাবেন। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও ঈদ করবেন ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে। প্রতিবারের মতো ঈদের দিন আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিদেশি কূটনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঈদ করবেন ঢাকায়। তবে নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীর খোঁজখবর রাখছেন তিনি। সেইসঙ্গে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাড়ি যাচ্ছেন না এবারের ঈদে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ঈদ উৎসবটা সবার। মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা যারা মানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তারা চেষ্টা করেন উৎসবের আনন্দটা জনগণের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হবে না।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯

ঈদ ঘিরে জমজমাট তৃণমূলের রাজনীতি, কেন্দ্রীয় নেতারা এলাকায়
মাসখানেক বাদেই উপজেলা নির্বাচন। ফলে ঈদের পরপরই শুরু হচ্ছে নির্বাচনী ডামাডোল। ঈদকে উপলক্ষ্য করে এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ছুটছেন এলাকায়। পছন্দের প্রার্থীদেরকে সমর্থন জানাতে রাজধানী ছেড়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরাও। পাশাপাশি ঝিমিয়ে পড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা করতে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। সব মিলিয়ে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা এখন তৃণমূলমুখী, যার ফলে দেশব্যাপী জমে উঠেছে ঈদ রাজনীতি। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের নামে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন স্থানীয় নেতারা। ঈদের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোলাকাত করছেন জনসাধারণের সঙ্গে। আর ‘প্রভাব-প্রতিপত্তি’ ধরে রাখার জন্য তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গ দিতে নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপি ও ক্ষমতাসীন দলের বড় বড় নেতারা।   খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি গণসংযোগ ও মতবিনিময়ের কাজটাও সেরে নেবেন তারা। এলাকার দুস্থদের মধ্যে জাকাত ও ফিতরা বিতরণ করছেন সবাই। ঈদকার্ড ও এসএমএস পাঠানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যানার-পোস্টারের মাধ্যমে গণসংযোগ করছেন উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের সমর্থনকারী নেতারা। আবার ‘ঈদ বকশিশ’ বিলাচ্ছেন নির্বাচনের অনেক প্রার্থী। নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের জন্য ঈদের দিন ভোজের আয়োজনও করছেন অনেকে। অন্যদিকে তৃণমূলে নিজেদের নেতাকর্মীদের চাঙা করতে ঈদের লম্বা ছুটির সুযোগটা লুফে নিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন নিজ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের। এবার উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করার কথা জানিয়েছেন অন্য রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নেতাও। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রমজান মাসজুড়েই মানুষের পাশে ছিলেন তারা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে ইফতার পার্টি না করে অসহায়, দুস্থ ও গরিব মানুষের মধ্যে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। সেই সঙ্গে ঈদ উপহারসামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে।  জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস যেতেই স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনকে ঘিরে আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তৃণমূল নেতাদের। আর এবার এই তৃণমূল নেতাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করা বড় নেতাদের সামনে সুযোগ হয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর। বড় নেতারাও হারাতে চাচ্ছেন না এ সুযোগ। এবারের ঈদে নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিই। ঈদের টানা ছুটিতে এলাকায় গণসংযোগ ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পেছন থেকে কাজ করবেন তারা। বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ প্রচারণায় নামতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিরা। পাশাপাশি প্রার্থী ঘোষণাসহ কারো পক্ষে সমর্থন জানিয়ে প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপ না করার কঠোর নির্দেশনা আছে তাদের প্রতি। অবশ্য তথ্য আছে, স্বজন ও ঘনিষ্ঠরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় অনেক মন্ত্রী-এমপি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভেতরে ভেতরে প্রচারণা চালাবেন ঈদের দিনগুলোতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঈদ উপযাপন করবেন পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও ঈদ কাটাবেন চট্টগ্রামে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ঈদ উদযাপন করবেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ঈদে থাকবেন নরসিংদীর মনোহরদীতে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক থাকবেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঈদ কাটবে ফরিদপুরের মধুখালীতে।  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ঈদ করবেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদে থাকবেন দিনাজপুরের বিরলে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন নেত্রকোনায়, ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে, মাহবুব-উল-আলম হানিফ কুষ্টিয়ায়, বি এম মোজাম্মেল হক শরীয়তপুরে, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাটে, মির্জা আজম জামালপুরে এবং অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন পটুয়াখালীতে এবারের ঈদ কাটাবেন। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও ঈদ করবেন ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে। প্রতিবারের মতো ঈদের দিন আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিদেশি কূটনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঈদ করবেন ঢাকায়। তবে নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীর খোঁজখবর রাখছেন তিনি। সেইসঙ্গে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাড়ি যাচ্ছেন না এবারের ঈদে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ঈদ উৎসবটা সবার। মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা যারা মানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তারা চেষ্টা করেন উৎসবের আনন্দটা জনগণের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হবে না। এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগত আড়াই মাসের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর তৃণমূলকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান তারা। ঈদের দিনগুলোতে নেতাকর্মীদের আবারও চাঙা করতে কাজ করছেন নেতারা। ঈদ আয়োজনের মধ্যেই দেওয়া হবে দলের নির্দেশনা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে ইতোমধ্যে তৃণমূলে ছুটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কারাগারে আটক কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর খোঁজ নিতে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাজামা-পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার দিতে টিম গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সারাদেশে অসহায়-দুস্থদের জন্য বস্ত্র ও খাবার বিতরণ কার্যক্রমও পালন করছেন দলটির নেতারা।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজের গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন লন্ডনে। সেখানে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েও ঈদ পালন করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ঈদে কাটাবেন ঢাকায়। তবে ঈদের দিন নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুরে আসতে পারেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঢাকায় আরও থাকবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ ছাড়া সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারত এবং চিকিৎসার জন্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দেশের বাইরে ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীও ঢাকায় ঈদ করবেন। নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান ও বরকত উল্লাহ বুলু।  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদ ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হয়। এর মাধ্যমে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো যায়, আবার জনমতও সৃষ্টি করা সম্ভব। বিএনপি সেটাই করবে। এদিকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও গত রোববার থেকে সাত দিনের সফরে অবস্থান করছেন রংপুরে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৪

বিএনপি নেতারা নিজেদের মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি নেতারা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এখন অসংলগ্ন কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় ও সারাবিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করায় দলটির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আমীর খসরু সাহেবরা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এখন অসংলগ্ন কথা বলছেন। নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, তোপের মুখে। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত যেকোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সরকারকে ভারত, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ সব দেশ ও সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে, কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যারা নির্বাচনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল, নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল এসব দেখে তারা এখন চুপসে গেছে, তাদের চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে, এখন কী করবে দিশা পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপির উচিত সন্ত্রাসী অপতৎপরতা ও সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করা। এ সময় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন উপলক্ষে সব সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি যেখানে পৌঁছায় না, তারা সেখানে আলো ফেলে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের ঘর-সংসার, আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। সভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ বক্তব্য দেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯

বর্ধিত সভায় যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা 
আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারা ঢাকা এসেছেন। সকাল থেকে তারা গণভবনে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছে এ সভা। জানা গেছে, বিশেষ এই সভা থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের দুটি বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে। সেগুলো হচ্ছে- তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ মেটানো এবং আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি বলয় তৈরি না করা। এতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত হয়েছেন। এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশেষ বর্ধিত সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশেষ বর্ধিত সভা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী গণভবনে অনুষ্ঠেয় বিশেষ বর্ধিত সভায় আমন্ত্রিত নেতারা বিজয় সরণি দিয়ে জাতীয় সংসদের লেক রোড হয়ে গণভবনের ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করেন। সভায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি ডিএমপি পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র-সংলগ্ন মাঠ) পার্কিং করা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ নির্দেশনা মেনে চলার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়