• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।   কাদের বলেন, সারা বিশ্বই আজ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব সেটা মনে হয় আবারও নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল, আজকে গাজায় গণহত্যার নায়ক নেতানিয়াহু একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু জাতিসংঘ মানে না, হোয়াইট হাউজকে তোয়াক্কা করে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকররূপে আবির্ভূত হয়েছে। ইতোমধ্যে সে গাজায় ১৪ হাজার শিশুকে হত্যা করে ফেলছে।   আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ইরানের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ ইসরায়েলকে শান্ত থাকতে বলেছে। কিন্তু নেতানিয়াহু কারও কথা শুনছেন না। তিনি ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেতানিয়াহু আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন। যাকে ইচ্ছা ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। তার দাপট হিটলারকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের, দ্রব্যমূল্য সহনীয় অবস্থায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী যে এফোর্ট দিচ্ছেন, তা বিরল। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যক্রম চলমান থাকবে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩২

ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অপসারণের দাবি জানিয়ে পার্লামেন্টে চিঠি দিয়েছেন দেশটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।  ৪০ জনেরও বেশি সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা, খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা এই দাবি জানিয়েছেন। এতে ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের ‘অস্তিত্বের’ জন্য হুমকি মনে করছেন ওই নাগরিকরা। তাই দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে তারা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে সংশোধনী আনার বিতর্কিত প্রচেষ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করেছে দাবি করা হয়। এর ফলেই ৭ অক্টোবরের হামলা হয়েছে।   চিঠিতে বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, নেতানিয়াহু এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যার ফলে ১ হাজার ২০০–এর বেশি ইসরায়েলি এবং অন্যদের নৃশংস গণহত্যা, সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহত এবং ২৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি এখনো হামাসের হাতে বন্দি। এসব হতাহতের রক্ত নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে। চিঠিটি বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আইনসভা নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাকে  পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার চারজন সাবেক পরিচালক, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই সাবেক প্রধান এবং তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৯

১০০ দিনে ২৪ হাজার মৃত্যু, নেতানিয়াহু বললেন থামানো যাবে না 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১০০তম দিন আজ। হামাস নির্মূলের নামে নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার সেনারা। এরই মধ্যে গাজায় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরও থামার নাম নেই তাদের।সর্বশেষ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কণ্ঠেও শোনা গেল, ‘কেউই থামাতে পারবে না আমাদের।’ মার্কিন মদদে টানা ১৪ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের উপর নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্রটির সেনারা। প্রতি মিনিটেই কোনও না কোনও বোমা ফেলা হচ্ছে গাজার কোনও না কোনও অংশে, যার শিকার হচ্ছে মাতৃগর্ভে থাকা শিশুও। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে শতাধিক নিরপরাধ ফিলিস্তিনি। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও অভিযানে গাজায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ হাজারের কাছাকাছি।    আরও পড়ুন : হজযাত্রীদের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাক্সি’ চালু করবে সৌদি   কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার শনিবারের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া দখলদার বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৩ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন গত ৯৯ দিনে। যাদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। আর এই সময়ে আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩১৭ জন। পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে তাদের মরদেহ। যুদ্ধের শততম দিনে গাজার রাফাহ কুয়েতি হাসপাতালের চিকিৎসক সুহাইব আল-হামস সাংবাদিকদের বলেন, এই ১০০ দিন কীভাবে কেটে গেল? গাজাবাসী এই সময়গুলো তিক্ততার সঙ্গে, শহীদদের সঙ্গে, আহতদের নিয়ে সময় পার করেছে। প্রতিটা মূহুর্ত  নিষ্ঠুরতা আর বেদনার। শুধু বাড়িঘরই নয়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলেরও ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছি। ইসরায়েল বোমা হামলা করেছে হাসপাতাল, রাস্তা, মেডিকেল দল বা অ্যাম্বুলেন্স সবকিছুর ওপর। তারা কোনোকিছু বাদ দেয়নি।  এমন পরিস্থিতিতেই শনিবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘কেউ আমাদের থামাতে পারবে না -- দ্য হেগ (আন্তর্জাতিকঅপরাধ আদালত), অ্যাক্সিস অব ইভিল কিংবা অন্য কেউই নয়। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ যাবো। এটা জরুরী এবং আমরা সেটাই করব।’ আরও পড়ুন : জেন্ডায়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনে মুখ খুললেন হল্যান্ড   এমনকি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা শিগগিরই তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনে একটি সাধারণ কথা বলা আছে। আর তা হচ্ছে- আপনি কোনও এলাকা থেকে যদি জনসংখ্যাকে সরিয়ে দেন, তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত বিপদ থাকবে ততক্ষণ আপনি তাদেরকে ফিরে আসতে দেবেন না।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়