• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতাকে নির্যাতন, জেলা সভাপতির বহিষ্কার দাবি
আবারও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্বয়ং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশাল মানববন্ধন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে রাস্তা থেকে তুলে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন তিনি। নানা ঘটনায় বিতর্কিত সদর উদ্দিন খানকে নিয়ে আতঙ্কিত দলটির শত শত নেতাকর্মী বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধনে অংশ নেন বলে জানান। শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্টান্ডে এ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।   এদিকে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসার শমসপুর বাজারের পাশের রাস্তা থেকে কয়েকজন মিলে থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।  এ বিষয়ে আলমগীর হোসেন জানান, জোর করে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের শমসপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সদর খান তাকে বেতের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। সদর খানের ভাই রহিম খানের পক্ষে উপজেলা নির্বাচনে ভোট করতে অস্বীকার করলে তার বুকের ওপর পা তুলে মুখে অস্ত্র ঢুকিয়ে নির্যাতন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।  বৃহস্পতিবার বিকেলেই সদর খান, তার ভাই রহিম খান ও রহিম খানের ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আলমগীর হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন।  বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেন থানা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্টান্ডে সদর উদ্দিন খান ও রহিম খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশাল মানববন্ধন করেছেন নেতাকর্মীরা। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাসস্টান্ডে আসেন।  খোকসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম এমদাদ হোসেন বলেন, কয়েকবার দল ও দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াসহ নানা কারণে বিতর্কিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানকে দল থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা। এতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সহযোগী সংগঠনসহ ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার বলেন, গেল জাতীয় নির্বাচনেও খোকসা কুমারখালী আসনে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন সদর খান। তার বিরুদ্ধে গেলেই দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালান তিনি।  এ সময় দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। বাদী পক্ষের অভিযোগ, থানা থেকে সদর খানের নাম মামলায় বাদ দিতে বলা হয়েছে।  এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। কোনো আসামিকে বাদ দেওয়া বা যোগ করার ব্যাপার নেই। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই মামলা নেওয়া হবে। ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৬

যশোরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে জিল্লুর রহমান শিমুল (৪৮) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা সদরের চূড়ামনকাটি ইউনিয়নের গোবিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিমুল গোবিলা গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে। সে চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। নিহতের ভাই রাকিব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নোংরা রাজনীতির শিকার তার ভাই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিমুল মারা যান। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুজায়েত হোসেন বলেন, শিমুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানোর পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে, কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটন ও জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৪

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলের নাগারপুরে জাহিদ খান ঝলক নামের এক ছাত্রলীগে নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। জাহিদ খান ঝলক উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।  সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জাহিদ খান ঝলক তারাবি নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে, কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তার ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিন পূর্বে ঝলকের সঙ্গে গ্রাম্য সালিশকে কেন্দ্র করে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ছাত্রলীগ নেতা খুন হতে পারেন। এ বিষয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২২

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবকের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে ইফতারের পর কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকার বিআরটিসি মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম (৩০) ও একই ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাগর কুমার রায় (২৯)। আহতদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোমিনুল আশংকাজনক অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাগর সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রসঞ্জিত রায় সঞ্জিত বলেন, আহত মোমিনুল ও সাগর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেউজগাড়ি এলাকার বাসিন্দা। রেলওয়ে মার্কেট নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে এ হামলা হয়ে থাকতে পারে। প্রসঞ্জিত রায় সঞ্জিত আরও বলেন, ইফতারের আধাঘণ্টা পর বিআরটিসি মার্কেটের সামনে থেকে মোমিনুল ও সাগর মোটরসাইকেলে সেউজগাড়ি দিকে আসছিলেন। এই সময় পেছন থেকে প্রায় ১০ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের শজিমেক হাসপাতালে আনা হয়। আহত সাগরের হাতে ও মোমিনুলের মাথায় একাধিক আঘাত করা হয়েছে। বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, আহতদের মধ্যে মোমিনুলের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে শজিমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১২:১১

আ.লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করায় থানা ঘেরাও
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও কলেজ প্রভাষককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও জনসাধারণ। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে এনায়েতপুর-শাহজাদপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করা হয়। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জেলার এনায়েতপুর থানা ঘেরাও এবং সড়ক অবরোধের ঘটনাটি ঘটে। এর আগে রাতে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল হাসান রাশেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারপিটের এক মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের একজন রাশেদুল হাসান রাশেদকে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হয়। তার মুক্তির দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। অবরোধ ও অবস্থানকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে সরে যেতে বলা হয়েছে। আটক রাশেদসহ চারজনকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৪

দাড়ি ছেঁড়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ক্যানটিন মালিক বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে বলায় তাকে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত হোসাইন অভিকে হল থেকে বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই বহিষ্কারের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আপনি ক্যান্টিনে যেয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাকি খাতায় লিখে রাখতে বলেন। এ সময় ক্যান্টিনের ক্যাটারার মো. ফাহিম আপনার নিকট পূর্বের বাকি ২ হাজার ৬৫০ টাকা চাওয়ায় আপনি পরে পরিশোধ করবেন বলে জানান। পরে ক্যান্টিনের ক্যাটারার তার ম্যানেজারকে বলে পরবর্তীতে আপনাকে আর বাকি খাবার না দিতে। এতে আপনি মেজাজ হারিয়ে ফাহিমের কলার চেপে ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং চর থাপ্পড় দেন। এক পর্যায়ে আপনি ফাহিমের শার্টের কলার এবং দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেন। ছাত্ররা আপনাদের দুইজনকে আলাদা করে দিলে আপনি পরবর্তীতে ফাহিমকে ডেকে নিয়ে শাসান এবং এই ঘটনা নিয়ে কোনোরূপ বাড়াবাড়ি না করতে বলেন। এ ঘটনায় ক্যান্টিন ক্যাটারারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রদত্ত রিপোর্টে ও সকল সাক্ষ্য-প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে আপনি দোষী হিসেবে প্রমাণিত।  এ ছাড়া গত ২০২১ সালের বিএ (সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং এমএ শ্রেণিতে ভর্তি না হওয়ায় বর্তমানে আপনার ছাত্রত্বও নেই, তথাপি আপনি হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন, মর্যাদা ও আইনের পরিপন্থি। উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার বরাদ্দকৃত সিট বাতিলসহ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আপনাকে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হলো। ভবিষ্যতে আপনাকে হলে অবস্থান করতে দেখা গেলে আপনার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরাফাত হোসেন অভি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলে দ্বৈতাবাসিক ১৭৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা থানার আরামডাঙ্গা গ্রামের মো. জুলফিকার আলীর ছেলে। অভি হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। একই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে ছাত্রলীগ থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৩

এক নেতাকে কোপানোর জের, ফের সংঘর্ষে জড়ালো চবি ছাত্রলীগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির এক নেতাকে কোপানোর জেরে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষে জড়ানো এ দুটি পক্ষ হলো সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। এ দুটি পক্ষের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদফা সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৯ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর আগে গত বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রলীগের আরেক উপপক্ষ ‘বিজয়ের’ দুদফা সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই সমাঝোতায় আসেনি। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসলেও দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর রেশ ধরে রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে সিক্সটি নাইনের অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মাশরুর অনিককে কুপিয়ে জখম করেন সিএফসির কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এটি জানাজানি হওয়ার পর সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। এ দুটি হল পাশাপাশি। সংঘর্ষের সময় দুপক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সিক্সটি নাইনের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, তাদের একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজনা হচ্ছে।  জানতে চেয়ে সিএফসি উপপক্ষের নেতা সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ওই পক্ষের আরেক নেতা সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসেন বলেন, তাদের ২ জুনিয়রকে মারধর করা হয়েছে। পরে তারা এটি প্রতিহত করছেন। মাশরুর অনিককে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে জানতে চাইলে রমজান হোসেন বলেন, জুনিয়রকে মারতে গিয়ে ওই নেতা ব্যাথা পেয়েছে। তারা কাউকে মারেননি। জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদারসহ প্রক্টরিয়াল বডির আরও তিন সদস্যকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা সাড়া দেননি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমানে কমিটি নেই। চাঁদাবাজির অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনার পর গত বছর ২৪ এপ্রিল এ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ বিভক্ত। এর মধ্যে একটি পক্ষ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। এ দুটি পক্ষ আবার ১১টি উপপক্ষে বিভক্ত। এর মধ্যে বিজয় ও সিএফসি মহিবুল হাসানের আর বাকি নয়টি উপপক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

ছাত্রলীগ নেতাকে সালাম না দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি ও হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে যবিপ্রবির শহীদ মসীয়ূর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাঞ্জুরুল হাসান। এ ঘটনার পর তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল আহমেদ, ইসাদ হোসেন, আল আমিন, শেখ বিপুল হাসান ও মুশফিক, রাইসুল হক রানাসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও কয়েকজন।  লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী মাঞ্জুরুল হাসান উল্লেখ করেছেন, ‘শুক্রবার রাতে আমি শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০১ নম্বর কক্ষ থেকে বের হলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার সঙ্গে দেখা হয়। সেসময় তাকে সালাম না দেওয়া এবং লুঙ্গি পরে তার সামনে চলাচলের অভিযোগে পরে আমাকে আমার কক্ষ থেকে ডেকে ৩০৮ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সভাপতির নির্দেশে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমার চিৎকারে হলের অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।’ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যোগাযোগ করা হলে মাঞ্জুরুল বলেন, আমার চোখে সমস্যা, রাতে ঠিকমত দেখতে পাই না। ওই দিন রাতে আমি যখন লুঙ্গি পরে বাইরে যাচ্ছিলাম, তখন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ তার কর্মীরা আমার সামনে পড়ে যায়। পরে তারা আমাকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে আমি ক্ষমা চাই। এসময় ওদের মধ্যে একজন আমাকে বলেন- ভাইকে সালাম দিয়েছিস না কেন? কেন লুঙ্গি উঁচু করে পরেছিস? তারপর তারা আমাকে আবারও মারধর করেন। এ বিষয়ে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ছাত্রাবাসে কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়নি। এদিন রাতে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের কিছু ছেলে আমার কক্ষের সামনে জুনিয়রদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদেরকে বুঝিয়ে রুমে পাঠায়। ক্যাম্পাস রাজনীতির গ্রুপিংয়ের বলি হিসেবে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, এদিন রাতে ঘটনাটি শুনে সহকারী প্রভোস্টদের নিয়ে ছাত্রাবাসে এসে দেখি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে শনিবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১০

যশোরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় মুরাদ হোসেন নামে ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় নওয়াপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তরা তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে জখম অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর খুলনা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভয়নগর থানার ওসি আকিকুল ইসলাম। ওসি আকিকুল ইসলাম জানান, নিহত মুরাদ হোসেন নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রোববার রাতে নওয়াপাড়া বাজার থেকে হেঁটে তরফদার পাড়ার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন মুরাদ। পথে কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে তার ওপর হামলা করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি মারাত্মক জখম হন।  ওসি বলেন, মুরাদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও বলেন, মুরাদের মৃত্যুর সংবাদ তার স্বজনরা অবহিত করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত শুরু করেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৪

আ.লীগ নেতাকে হত্যা : ছাত্রলীগের ২ নেতা রিমান্ডে
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম সোহানকে (৪০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগের স্থানীয় ২ নেতাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম আমলি আদালত এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভীর কবির চৌধুরী বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম। আদালত দুজনকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে সোহানের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সোহান জেলা শহরের ঘোষপাড়ার আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। তিনি একই সঙ্গে কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য। উল্লেখ্য, শুক্রবার দিনগত রাত ১২টায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী বাদী হয়ে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ করেন। তার অভিযোগটি শনিবার মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মোট চারজনের নামোল্লেখ এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ২ ছাত্রলীগ নেতা ছাড়াও অন্য দুজন পলাতক আসামি হলেন স্বাধীন ও সৌরভ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়