• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের ৩০ জন নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে এ দুটি মামলায় ৩২ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে দুজনের জামিন মঞ্জুর করা হয় আর বাকিদের জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর দায়রা জজ আদালতের বিচারক যাবিদ হোসেন এ নির্দেশ দেন। জামিন না পাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মিয়া, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম রেজা, ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদ পারভেজ, উপজেলা জামায়াতের আমির মোফাসায়ের ইসলাম মোল্লা, পৌর জামায়াতের আমির সেলিম মিয়া, গোলাম রব্বানী, আব্দুর রহিম, আলমগীর হোসেন, মাহফুজুর রহমান লাভলু, মনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান মিঠু সিদ্দিক, ইবাদুর রহমান ইদুয়ার, আব্দুল মান্নান মন্ডল, সাইফুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, আনোয়ার হোসেন, খোরশেদ আলম, মনিরুল ইসলাম, মিঠু, চান মিয়া, মাহফুজুর রহমান, তোজাম্মেল হক, আতিয়ার রহমান, শাহারুল ইসলাম, শাহিন মিয়া, পলাশ, হাছিবুল ইসলাম ও আল রাজিব। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর এবং একই সালের ১২ নভেম্বর আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতার চেষ্টা করেন। ওই সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে ও নাশকতার জন্য ব্যবহৃত লাঠিসোঁটা ও বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।  
২৩ ঘণ্টা আগে

ফখরুলসহ বিএনপির ২৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী জেলে : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শুধু ক্ষমতায় থাকতে বারবার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কেন ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার করেছে? এই সময়ে বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে কেন ১১ জন কর্মীকে কারাগারে হত্যা করেছে?  বুধবার (৭ জানুয়ারি) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই নিহিত, দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আত্মত্যাগ, তথা সার্থকতা। কারণ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে এবং শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচিতে, বিএনপি মোকাবিলা করে চলেছে সহিংস শেখ হাসিনা সরকারকে। অন্যদিকে ক্ষমতার মোহে অন্ধ আওয়ামী লীগ, একটি দানবীয় অপশক্তিতে পরিণত হয়ে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ধারণ করেছে ঘৃণ্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে। গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের ওপর নৃশংস অত্যাচার-অবিচার হয়ে আসছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অজস্র প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হওয়ার অপরাধে, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস না করার অজুহাতে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী তাদের নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মী প্রতিদিন পুলিশি নিপীড়ন ও বিচার বিভাগের অবিচারের শিকার হচ্ছে। গায়েবি মামলায় কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই বিএনপি ও সব অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলেও অভিযোগ করেন তিনি বলেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধ্য করা হচ্ছে হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। বাবা-মা’র জানাজায় অংশ নিতে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে ছাত্রলীগ-পুলিশের যৌথ অভিযান ও হামলা। লুটে নিচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্থাপনা-সম্পদ। তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতি জনগণের যে সমর্থন এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের অনুধাবন, একটি অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে দেশের প্রায় সব আসনে ধানের শীষের কাছে নৌকার অবশ্যম্ভাবী পরাজয়ের পাশাপাশি, গোপালগঞ্জে খোদ শেখ হাসিনাও হেরে যেতে পারে। এই কারণে তাকে আরও বেশি জনবিদ্বেষী করে তুলেছে, বাড়িয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা। রাজপথে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শিগগিরই সরকারের বিদায় হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করা হবে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯

নির্বাচনের পরও থামছে না সহিংসতা, আত্মগোপনে অনেক নেতাকর্মী 
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অুনষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের আগে থেকেই পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের মহিপুরের কয়েকটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পরে উত্তেজনা। নির্বাচনের ১৩ দিন পার হলেও থামছে না সহিংসতা। এখন পর্যন্ত অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন। মারধরের ভয়ে এখনও বাজার ঘাটে উঠতে পারছেন না অনেকে। আত্মগোপনে চলে গেছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা। মামলা করতেও সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। যার ফলে কোণঠাসা হয়ে পরেছে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত আওয়ামী লীগের নেতারা। এতে ঝিমিয়ে পড়েছেন মাঠ পর্যায়ের সাধারণ কর্মীরা।      সর্বশেষ গত শুক্রবার সন্ধ্যায় লতাচাপলী ইউনিয়নের ডংকুপাড়া গ্রামের বটতলা নামক স্থানে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন বরিশাল বিএম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আসাদ মোল্লা। নৌকার প্রতীকের কর্মী আব্দুর রহিম মুসুল্লী ও তার ছেলে রাব্বী মুসুল্লী কুপিয়ে আসাদ মোল্লাকে রক্তাক্ত জখম করেছেন। তার মাথায় ছয়টি ও হাতে একটি কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত আসাদ বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আসাদ মোল্লা লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা এবং কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার ভাতিজা। তার বাবার নাম ফারুক মোল্লা। এ ঘটনায় আসাদ মোল্লার মামা নাসির গাজী বাদী হয়ে মহিপুর থানায় চারজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।   এ প্রসঙ্গে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, শুক্রবার রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।       শুক্রবার একই সময় আলীপুর থ্রিপয়েন্ট এলাকায় হামলার শিকার হন ইসমাইল ফরাজী নামের এক যুবক। নৌকার কর্মীরা হাতুরি দ্বারা পিটিয়ে ইসমাইল ফরাজীর দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত থেতলে দিয়েছেন। ইসমাইল ফরাজী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সে লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের পান্না মিয়া ফরাজীর ছেলে।  এর আগে নির্বাচনের পরদিন আলীপুর চৌরাস্তায় নৌকার কর্মীদের হামলার শিকার হন মোশাররফ মোল্লা। তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত থেতলে দেয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় আনা হয়েছে। হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানের ক্ষত ভালো হলে দু’পায়ের অপারেশনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন চিকিৎসক। মোশাররফ মোল্লা লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা এবং কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার ছোট ভাই।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি (রোববার) রাতে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) পর্যন্ত পটুয়াখালী-৪ আসনের মহিপুরের লতাচাপলী, মহিপুর, ধুলাসার, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌর এলাকায় অন্ততপক্ষে অর্ধশত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের সমর্থক বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারছেন না। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া পরিবহন কাউন্টার ও শ্রমিক সংগঠনগুলোতে এসেছে নতুন নেতৃত্ব।   লতাচাপলী ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান তালুকদারের আলীপুরস্থ নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, প্রদীপ ও স্বপন নামের ২ জন সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়ছে। এছাড়া আলীপুরের বাজার পাহারাদার আব্দুর রহিম, ভ্যানচালক হাচান প্যাদা, মুরগী ব্যবসায়ী আলী হোসেন, মাছ ব্যবসায়ী সোহাগ, ইউপি সদস্য মিজান মুসুল্লী হামলার শিকার হয়েছেন। এখনো দোকান খুলতে পারছেন না অপু গাজী, আবু বক্কর মল্লিক। এমন অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লাসহ অনেক নেতারা। এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রতিনিয়ত আমার হাত, পা কেটে ফেলার বিভিন্ন হুমকি ধমকি আসছে। আমি চাই এই প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হোক। সুষ্ঠু ধারায় রাজনীতি চলুক। লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়গুলো উপজেলা নেতাদের অবহিত করা হচ্ছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।  এদিকে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থাকা  নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস পৌর আ’লীগের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানিয়েছেন পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার। তবে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ লাভ করতে পারেন নি। কুয়াকাটা পৌরসভায় দু’টি দলীয় কার্যালয় হওয়ায় বিভ্রান্তিতে পরেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা।    এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করার জন্য বর্তমান মেয়র নির্বাচনী অফিস দলীয় কার্যালয় বানিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য পদ পাননি। বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন।  এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় একটি। মেয়র আনোয়ার হাওলাদার যেটি করেছেন ওটি নির্বাচনী অফিস।  তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পরবর্তী যারা সহিংসতা করছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  নির্বাচনী পরবর্তী কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা রোধে মহিপুর থানা পুলিশ সবসময় সতর্ক আছে। যারা সহিংসতা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   উল্লেখ্য, পটুয়াখালী-৪ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে টানা দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মহিববুর রহমান মহিব। তিনি বর্তমানে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান তালুকদার। হেভিওয়েট এ দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা জড়িয়ে পরেছেন নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায়।   
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৭

চাঁদপুরের হাইমচরে বিএনপির ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে হাইমচর থানা পুলিশ তাদের আটক করে।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নতুন মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হাইমচর উপজেলা বিএনপি সদস্য আক্তার হোসেন মিলন, সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম, যুবদল নেতা মো. জুয়েল মিজি, ২ নম্বর আলগী উত্তর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মো. জুয়েল হোসাইন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. দুলাল বেপারী, যুবদল ওয়ার্ড যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন, হাইমচর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান, ২ নম্বর আলগী উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রদল সদস্য হোসেন ছৈয়াল ও উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. জাকির হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন জানান, বিএনপির বিভিন্ন পদধারী ৯ জনকে মহজমপুর মিলনের বাড়ি থেকে একসঙ্গে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট, প্লে কার্ড এবং লাঠি পাওয়া গেছে। পরে নাশকতার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করার পর আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়