• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে
লালমনিরহাটে শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন এ নির্দেশ দেন। পরে বিকেলেই পুলিশ পাহারায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়া নেতারা হলেন সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর আলম সুজন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ পাটোয়ারী ও ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন। এর আগের দিন মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম মমিনুল হক এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর খান লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদলতের বিচারক মিজানুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এদিকে আবার বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপি নেতাদের কারামুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি। শহরের বিডিআর রোডে জেলা বিএনপির কার্যালের সামনে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট  জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুসহ অন্য নেতারা। উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালে উভয় দলের সংঘর্ষের সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর। এ ঘটনার ৩ দিন পর লালমনিরহাট সদর থানায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার কারাগারে পাঠানো আসামিরা এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগে

বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির আরও এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। ওইদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের সরে দাঁড়াতে বললেও অনেকে নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় বহিষ্কার শুরু করেছে বিএনপি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৪

উপজেলা নির্বাচনে মাঠে আছেন বিএনপির অন্তত ৩০ নেতা 
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলটির বহিস্কার আদেশের ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে আছেন অন্তত ৩০ নেতা কর্মী। নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করেই মাঠে থাকছেন তারা। তবে কেউ কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা ভাবলেও অধিকাংশই নির্বাচন করার কথা জানিয়েছে। আর কেন্দ্র বলছে, যারা দলীয় পদে নেই তারা নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির কিছু করার নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ। বহিষ্কারের আদেশে বলা হয়েছে, এই দুই নেতাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক ও বর্তমান মিলে অন্তত ৩০ জন নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়া নেতাদের বিএনপি জানিয়েছে, এই অবৈধ সরকারের নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার অবস্থান থেকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।  তবে বেশির ভাগ নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটে থাকার কথা জানিয়ে বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। রাজনীতি হচ্ছে জনগণের জন্য আর জনগণের জন্য কাজ করতে ভোটে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে বিএনপির সাবেক নেতার সংখ্যাই বেশি। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে অনড়। তারা বলছেন, দলীয় পদ না থাকায় তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। আর পদধারী কয়েকজন নেতা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও দায়িত্ব না নিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপরও তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও দলের অনেক নেতা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদেরকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবারও অনেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। তাদের নির্বাচনে অংশ না নিতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা বলা হয়।   দলীয় নির্দেশনা সত্ত্বেও ভোটে থাকতে চান সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন মাস্টার, ফরিদপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রউফ উন নবী ও যুবদলের সাবেক নেতা কে এম নাজমুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি নগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, রাজশাহীর গোদাগাড়ী জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রমিজ উদ্দিন, নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের সাবেক বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন ও ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবর আলী বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, পিরোজপুর ইন্দুরকানি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফায়জুল কবির তালুকদার, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা সফিক উদ্দিন, ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শামসুর রশিদ, ফুলপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান ও হালুয়াঘাটে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল হামিদ। অন্যদিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেও দলীয় সিদ্ধান্তের কথা মাথায় রেখে মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ওমরাও খান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সারওয়ার হোসেন ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গৌছ খান। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবদুস সালাম জানান, যারা দলীয় পদে নেই তারা নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির কিছু করার নেই। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। জয়-পরাজয় তো পরের কথা, কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ভোট করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যাদের বিএনপির পদ নেই-তারা নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা তো বিএনপির কেউ না।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬

লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে
লালমনিরহাটে আলোচিত শ্রমিকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মমিনুল হক এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর খানকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা দায়রা জজ মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুরে লালমনিরহাটে অতিরিক্ত দায়রা জজ মিজানুর রহমানের আদালতে শ্রমিকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত বিএনপি ৯ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে দুই জনের জামিন না মঞ্জুর করেন আদালত। জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালে উভয় দলের সংঘর্ষে আহত হন শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীরসহ অনেকে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনার ৩ দিন পর লালমনিরহাট সদর থানায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে বিএনপি নেতা মিন্টু
প্রচণ্ড বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু । শনিবার (২০ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।   তিনি আরও বলেন, আজ দুপুরের পর তার শারীরিক পরীক্ষা শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।    আবদুল আউয়াল মিন্টুর সুস্থতা কামনা করে দোয়া চান শায়রুর কবির খান।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৪

হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
একমাত্র ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ বিন সিয়ামের বিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে বউ নিয়ে আসলেন বাবা-মা। সিয়াম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আব্দুল্লাহ বিন সিয়াম হেলিকপ্টারে নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় বংশাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন তারা। এ সময় সেখানে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।  সিয়াম আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের ইটভাটা মালিক হাবিবুর রহমান হবির ছেলে। জানা গেছে, ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে সিয়ামের বিয়েটাকে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে বউ আনার পরিকল্পনা ছিল। পার্শ্ববর্তী লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের আলমাস মাস্টারের একমাত্র মেয়ে আফরিন আক্তারের সঙ্গে শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য হয় সিয়ামের। এর আগে সিয়াম বেলা আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে করে লতিফপুর একতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামেন। এ সময় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হন। বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে নিয়ে বংশাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নামেন সিয়াম। লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি বলেন, হেলিকপ্টারে বরযাত্রী আসা আমাদের এলাকায় এবারই প্রথম। বিয়ের অনুষ্ঠানটি এলাকায় আলোচনার খোরাক হয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৪

লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু 
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় চারদিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ ৪ জন আহত হয়। অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে গুলিও করা হয়েছে।  সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন।  সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।  এ দিকে হামলার ঘটনায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।  এ ঘটনায় সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।  এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা।  একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের ৭০ নেতা
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা ভোটে অংশ নিচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অন্তত ৪৫ জন নেতা মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর জামায়াতে ইসলামীর  ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ছিল প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ১৫০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতা আছেন কমবেশি ৪৫ জন।আর জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। প্রার্থী হওয়ার বিএনপির নেতারা বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। তাই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। জনগণের জন্য কাজ করতে ভোটে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই।  যেসব বিএনপি  নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ উপজেলায় মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল; নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।  একইভাবে নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে আরও অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন।  এছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা। জামায়াতের যেসব নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন-: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। এবার মোট চার ধাপে ৪৮০টি উপজেলা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে দুটি উপজেলার (নারায়ণগঞ্জ সদর ও কুমারখালী) ভোট স্থগিত করা হয়। প্রথম ধাপের মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোট গ্রহণ ৮ মে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৫

স্থায়ী জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
নাশকতার ১২ মামলায় স্থায়ি জামিন পেয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) এসব মামলার শুনানি শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নাশকতার এসব মামলায় ইশরাক হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। আজ (সোমবার) জামিন শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন তিনি। নাশকতার ১২টি মামলার মধ্যে পল্টন থানার সাতটি, রমনা থানার তিনটি ও মতিঝিল থানার দুটি মামলায় ইশরাকের জামিন হয়।  উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের ধারাবাহিক মামলার অংশ হিসেবে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়