• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেইলি রোড ট্র্যাজেডির জন্য বিপিএলে এক মিনিট নীরবতা
বিপিএলের দশম আসরের ফাইনালে বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে বরিশাল ও কুমিল্লা। এই ম্যাচের  শুরু আগে বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনে পুড়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশ করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন সবাই। শুক্রবার (১ মার্চ) ফাইনালে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বরিশাল। এদিন মাঠে নামার আগে ৬ টা ২৫ মিনিটে বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনে পুড়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশ করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন সবাই। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগে। মাত্র দুই ঘণ্টায় ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে ৪৩ জনের। আজ শুক্রবার সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। চার বছর পর পর আসে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ সে হিসেবে বিশেষ এক দিন। এমন দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রিয়জনদের নিয়ে অনেকেই গিয়েছিলেন রাজধানীর নাম করা রেস্টুরেন্টটিতে। কে জানতো, প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্ত নিমিষেই রূপ নেবে বিষাদে! মুখরোচক সব খাবারের রেস্তোরাঁয় ঠাসা ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যত সময় যাচ্ছে, লাশের সারি যেন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে স্বজনদের মাতমে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৯

নীরবতা ভেঙে শঙ্কার কথা জানালেন রওশন এরশাদ
অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও এরশাদপত্নী রওশন এরশাদ। দলের বহিষ্কার হওয়া নেতাদের ফেরানোর আহ্বানের পাশাপাশি এভাবে চললে দলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কার কথাও জানালেন তিনি। সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক বিবৃতির মাধ্যমে এসব কথা জানান তিনি। বিবৃতিতে রওশন এরশাদ বলেন, যেসব নেতাকর্মী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার বা অব্যাহতি প্রদান অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে তথাকথিত দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অজুহাত দিয়ে দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মী ও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত তাদেরকে দলে ফিরিয়ে এনে স্ব স্ব পদে বহালের আহ্বান জানাচ্ছি। বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, যে মুহূর্তে প্রয়োজন সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে নির্বাচনে বিপর্যয় এড়িয়ে দলকে শক্তিশালী করা, সেই মুহূর্তে নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের দল থেকে বের করে দেওয়া দলকে ন্যাপ মোজাফ্ফর, ন্যাপ ভাসানী ও মুসলিম লীগে রূপান্তরের সামিল। তাই দলের প্রয়োজনে পার্টির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি রওশন এরশাদ। সেই সঙ্গে তার পক্ষের শীর্ষ নেতারাও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এসব ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্নও হয়েও শেষ পর্যন্ত সুবিধা করতে না পেরে অনেকটা নীরব হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৪

নির্বাচনে ধরাশায়ী, দীর্ঘ সময়ের নীরবতা শেষে মুখ খুললেন মাহি
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী হলেও শেষ পর্যন্ত ৯ হাজার ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন এই নায়িকা।   এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দীর্ঘসময় কারও সঙ্গে কথা বলেননি মাহি। এমনকি চিত্রনায়িকার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কল রিসিভ করেননি তিনি। অবশেষে দীর্ঘ সময়ের নিরবতা শেষে মুখ খুলেছেন মাহি। শুধু তাই নয়, তানোর-গোদাগাড়ীর উদ্দেশে নতুন বার্তাও দিয়েছেন এই নায়িকা। মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে ভিডিও বার্তা দেন মাহি। এসময় প্রতিপক্ষের উদ্দেশেও কিছু কথা বলেন তিনি।  মাহি বলেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। সবাই হয়তো ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। হ্যাঁ, নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কিছুটা তো মন খারাপ। তবে অতোটা না। আর আমি প্রত্যেকটা পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। কারণ আমি জানি, নেগেটিভ কিছু হতেই পারে।    চিত্রনায়িকা বলেন, আমি আমার ইশতিহারে যে কথাগুলো বলেছিলাম যে, ঘরোয়াভাবে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি। এগুলো আমি বড় পরিসরে কতোটা করতে পারব সেটা জানি না। কারণ এই কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকারিভাবে যে উদ্যোগগুলো নেওয়া সম্ভব সেটা ব্যক্তিগতভাবে নিতে পারাটা একটু চ্যালেঞ্জিং।    তারপরেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করব আমি। আমার তো ভীষণ ইচ্ছা ছিল এবং প্রতিশ্রুতিও ছিল যে, তানোর-গোদাগাড়ীর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা নিয়ে। এখানকার রাস্তাঘাটের যে বেহাল অবস্থা। সারা দেশে যেখানে রাস্তাঘাট এতো উন্নত। বলা যায়, একদম বিদেশের মতো। সেখানে আমার তানোর-গোদাগাড়ীতে এখনও গরুর গাড়ি চালানোর মতো অবস্থায় আছে। এমনকি একটু বৃষ্টিতেই হাঁটু কাদা-পানি হয়ে যায়।    উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে মাহি বলেন, যিনি এমপি হয়েছেন, তার কাছে অনুরোধ—  তানোর-গোদাগাড়ীর রাস্তাঘাট এবং এই ভূমির পানির মটরের যে সমস্যা এই দুই বিষয়ে ফোকাস করে উন্নয়ন করার জন্য। গত ১৫ বছরে যেসকল উন্নয়নমূলক কাজগুলো আপনি করেন নাই। সেগুলো এই পাঁচ বছরে করবেন।  গত ১৫ বছরে আপনার যে জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল, সেটা যেন এই পাঁচ বছরে কাটিয়ে ওঠেন তিনি। তানা হলে আমি কিন্তু মাঠেই আছি। ইনশাআল্লাহ্‌, আমি পাঁচ বছর পর আপনার সঙ্গে আবারও নির্বাচনে দেখা হবে। আপনার তো জনপ্রিয়তা একদম জিরো। শুধু নৌকা প্রতীকের কারণেই জয়ী হয়েছেন আপনি। তাই আপনাদের খুশি হওয়ার এতো কারণ নেই।    প্রতিপক্ষের উদ্দেশে মাহি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আমার জন্য যে কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে এবং আমাকে উন্নয়নমূলক কাজ করতে সহায়তা করবে। তাদেরকে যদি আপনারা কোনো রকম বিরক্ত করেন, তাহলে আপনাদের সঙ্গে টক্কর দেয় যারা,  আমি কিন্তু তাদের মতো দুর্বল না।  আমার কর্মীদের যদি অল্প অপমানও করেন তাহলে তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে আমি নিজেই আপনাদের সঙ্গে লড়ব। প্রতিহত করব। যেই কর্মীরা এই নির্বাচনে আপনাদের বিপক্ষে গিয়ে আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের জন্য জানও দিয়ে দিতে পারি। 
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়