• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাবার কাঁধে ছেলের মরদেহ, নীরব কান্না
মানুষের মৃত্যুর কোন ধারাবাহিকতা নেই। বাবার আগে ছেলে, বাবার পরে ছেলের মৃত্যু এটাই স্বাভাবিক। তারপরেও কিছু মৃত্যু মানুষের জন্য শিক্ষাগ্রহণ উদহারণ হয়। তেমনি চাঁদপুর শহরের তালতলা এলাকার বাসিন্দা মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাছুমের কোরআনে হাফেজ ছেলে আজহারুল ইসলাম ফাহিমের (১৯) মৃত্যুর পর আবেগময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নামাজে জানাজা পড়িয়ে ছেলের মরদেহ কাঁধে করে পৌর কবরস্থানে দাফন করতে নিয়ে যান বাবা। পরে কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শহরের বাসস্টান্ড গৌর-এ গরিবা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ফাহিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিনগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসাতেই তার মৃত্যু হয়। মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাসুম চাঁদপুর সদরের বাগাদী আহমাদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক এবং শহরের আল-আমিন মডেল মাদরাসার অধ্যক্ষ। তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে ফাহিম ছিলেন দ্বিতীয়। ফাহিম শিশু শ্রেণী থেকে দাখিল দশম পর্যন্ত আল-আমিন মডেল মাদরাসায় পড়েন এবং একই মাদরাসা থেকে হিফজ সম্পন্ন করেন। নামাজে জানাজা পূর্বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফাহিমের বাবা ফখরুল ইসলাম মাছুম জানান, ছেলের মৃত্যুকে আল্লাহর ইচ্ছা বলে মেনে নিয়েছেন। ফাহিম এ বছর শহরের রেলওয়ে নূরানি জামে মসজিদে রমজান মাসে খতমে তারাবীহ পড়িয়েছেন। শুক্রবার জুমার দিনে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। মাগরিব নামাজ আদায় করেছেন এবং এশার নামাজের পূর্বেই নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়। ফাহিম এ বছর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। এদিকে কোরআনের এই হাফেজের জানাজায় চাঁদপুর শহর ও আশপাশের মাদরাসা এবং মসজিদের খতিব, ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ বহু আলেম-উলামা অংশগ্রহণ করেন। জানাযা ও দাফন শেষে পিতার নীরব কান্নার এই দৃশ্য সকলকে শোকাহত করে তোলে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৩

সুনসান নীরব বুয়েট ক্যাম্পাস, ক্লাসে নেই শিক্ষার্থী
ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসসহ ৬ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুয়েট ক্যাম্পাস একেবারেই সুনসান নীরব। কোনো শিক্ষার্থীর আনাগোনা নেই। দু-একজন শিক্ষার্থীকে দেখা গেলেও তারা ব্যক্তিগত কাজে এসেছেন বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, সকাল থেকে ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থী আসেনি। গত তিন দিন ধরে এই অবস্থা চলছে। ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসসহ ৬ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। রোববার বুয়েটের ২০তম ব্যাচের এক হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৪ জনই টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেননি বলে জানানো হয়েছে। গত ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ মার্চ) আন্দোলনে নামেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। পরে বুয়েটে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আংশিক দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল করা হয়। অন্যদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার দাবিতে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। এরপর সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি রিটটি দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়