• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল
সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে ১৯৯০ সালের অভিভাবকত্ব আইনে মাকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ১৯৯০ সালের অভিভাবকত্বের আইনে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মাকে স্বীকৃতি দিয়ে কেন নীতিমালা করা হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির নীতিমালা প্রকাশ
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিসংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর অক্টোবর মাসে অনলাইনে বদলি আবেদন করা যাবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বদলি নীতিমালা না থাকায় এবং বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিপত্র ও অফিস আদেশ যুগোপযোগী করার উদ্দেশ্যে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো। নীতিমালার আওতা বিষয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষার মাধ্যমিক স্তরের সরকারি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের  বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। সরকার জনস্বার্থে যেকোনো সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করতে পারবে। বদলির সময়কাল প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে আগ্রহী শিক্ষকদের বদলির আবেদন করতে পারবেন। এ সময়সীমা ছাড়া অন্যকোনো সময়ে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে অনিবার্য পরিস্থিতিতে শুধু সিনিয়র সচিব বা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বরাবর আবেদন করা যাবে। আবেদনের শর্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান কর্মস্থলে চাকরির সময়সীমা তিন বছর পূর্ণ হতে হবে এবং বদলির উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। শিক্ষকদের বদলি হবে শুধুমাত্র অনলাইনে। বছরের অক্টোবর মাসে এ বদলি আবেদন নেওয়া হবে। এ ছাড়া নতুন নীতিমালায় আর জানানো হয়, সমতলের কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে পার্বত্য অঞ্চল (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি)  এবং দুর্গম, চর ও হাওর অঞ্চলে বদলি করা হলে বদলিকৃত কর্মস্থলে এক বছর চাকরির পর তিনি পুনরায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তার আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।  এতে বলা হয়, মহানগরী ও জেলা সদরে কর্মরত কোনো শিক্ষকের কর্মকাল একই প্রতিষ্ঠানে একাধারে ৬ বছরের বেশি হলে তাকে নিজ জেলায় অথবা পাশের জেলায় বদলি করা হবে। তবে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি বা অন্যকোন অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাকে বদলি করতে পারবে। বদলির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়নে গুরুত্ব দেওয়া, সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ে শিক্ষক বদলি বা সহ পদায়ন করা হবে না। এতে আরো বলা হয়েছে, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে অন্য বিষয়ের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন করা যাবে না। অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার একবছর আগে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী অবসর ভাতা গ্রহণের সুবিধার্থে কোন সুবিধাজনক কর্মস্থলে বদলির আবেদন করলে তার আবেদন সর্বোচ্চ গুরুত্ব  সহকারে বিবেচনা করতে হবে। সূত্র : বাসস 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৭

‘অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন হবে’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণে নীতিমালা থাকা দরকার। অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।   মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। তিনি বলেন, বিগত দিনে যখন সামরিক শাসন ছিল ও সামরিক শাসন থেকে উদ্ভূত দল যখন এ দেশ শাসন করেছে এবং তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি ছিল সে সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে বাস্তবতা ছিল, সে জায়গা থেকে এখন আমরা কতটুকু এগিয়েছি, কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, সংখ্যাগত এবং গুণগত দিক থেকে এ তুলনামূলক বিষয়গুলো নিয়ে প্রকাশনা বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেশের মানুষ এবং বিশ্ববাসীর কাছে আরও কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এখন প্রযুক্তি অনেক অগ্রসর হয়ে গেছে। মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে অধিদপ্তরের কাজে নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করতে হবে। ‘ছাপাখানা প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩’ প্রয়োজনবোধে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগমসহ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৮

অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণে নীতিমালা থাকা দরকার। এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। বর্তমান সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। বিগত দিনে যখন সামরিক শাসন ছিল ও সামরিক শাসন থেকে উদ্ভূত দল যখন এ দেশ শাসন করেছে এবং তাদের সাথে বিভিন্ন সময় যখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি ছিল সে সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার যে বাস্তবতা ছিল, সে জায়গা থেকে এখন আমরা কতটুকু এগিয়েছি, কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, সংখ্যাগত দিক থেকে এবং গুণগত দিক থেকে, এ তুলনামূলক বিষয়গলো নিয়ে প্রকাশনা বের করতে হবে। মতবিনিময়কালে মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরো বলেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে আরো কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এখন প্রযুক্তি অনেক অগ্রসর হয়ে গেছে, মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে অধিদপ্তরের কাজে নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করতে হবে। ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩ প্রয়োজনবোধে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও মতবিনিময়কালে জানান প্রতিমন্ত্রী। এসময় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগমসহ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০০

নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টে রুল
নীতিমালা প্রণয়ন করা ছাড়া বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। 
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৯

মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না, হাইকোর্টে নীতিমালা
মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না জানিয়ে নতুন নীতিমালা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকসহ সবাইকে এ নীতিমালা মানতে হবে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) হাইকোর্টে এ বিষয়ে শুনানি রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না মর্মে নীতিমালা করে ছয় মাস আগে জমা দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদন জমা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার পরিচালক ডা. তাহমিনা সুলতানা।   স্বাস্থ্য সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজ কল্যাণ সচিবকে এ নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। নোটিশে তাদের তিন দিনের মধ্যে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে মাতৃগর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা-লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়। আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমাদের দেশে এখনো বেশির ভাগ মানুষের ছেলে সন্তানই আশা করেন। কারণ তারা মনে করেন, ছেলেরা বংশের ধারক, তারা আয় করে, বেশি শক্তিশালী। এমন কি অনেক নারীও মনে করে ছেলে সন্তান তাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা দেবে। এ অবস্থায় যদি পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানা যায় এবং তা মা-বাবার কাঙ্ক্ষিত না হলে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। মা যদি হতাশায় ভোগেন, তবে বাচ্চার মস্তিষ্ক গঠন/বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। চীন-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে গর্ভে থাকা শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, গর্ভবতী মা ও শিশুর কল্যাণের জন্য বা অনাগত সন্তানের সুস্থতা জানতে তারা যেকোনো পরীক্ষা করতেই পারেন। কিন্তু শুধু পেটে থাকা সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার উদ্দেশ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা বা রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কোনোভাবেই কাম্য নয়। মাতৃগর্ভের সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা সম্পর্কে এর আগেই আইনে নিষেধ করা হয়। তবে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার থেকে এটি তাদের নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করলো। এর আগে ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:১১

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে আসছে নীতিমালা
২০২৩ সালে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৯০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ১৫২ জনের। এ দুর্ঘটনার এক মাত্র কারণ অসচেতনতা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বিষয়টি দ্রুত শেষ করতে চায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের দেশে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে একটা জিনিস উপেক্ষা করতে পারি না। এখানে যেভাবে তিন চাকার গাড়িগুলো চলছে। ইজিবাইকসহ এই গাড়িগুলোর কারণে বেশিরভাগ অ্যাক্সিডেন্টগুলো হচ্ছে। অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে মোটরসাইকেলে। আমি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক নিয়ে, বিশেষ করে মোটর সাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নীতিমালা করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এর আগে কিছুটা কাজ হচ্ছিল নীতিমালা নিয়ে। এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয় সেই নির্দেশ দিয়েছি। মঙ্গলবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেন। দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তা ছাড়া আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা কম, এখানে জনবলেরও একটা ব্যাপার আছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নীতিমালা কার্যকর করতে হবে। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংক রোড সেফটির উপরে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি এই দুটি কাজ হয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে। ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সারাদেশে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত এবং ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময় রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনায় ৫১২ নিহত এবং ৪৭৫ জন আহত হন। নৌ-পথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত এবং ১৫২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চালক এক হাজার ৫২৬ জন, নারী ৬৪৭ জন, শিশু ৪৬৬ জন, শিক্ষার্থী ৪১৬ জন, শিক্ষক ৮১ জন, পরিবহন শ্রমিক ২৬০ জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৩ জন, সাংবাদিক ১৫ জন, প্রকৌশলী ৮ জন, আইনজীবী ৭ জন, চিকিৎসক ২২ জন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ৭৭ জন, সেনাসদস্য ১৬ জন, পুলিশ সদস্য ৪০ জন, বিজিবি সদস্য ৭ জন, নৌ-বাহিনীর সদস্য তিনজন, আনসার সদস্য তিনজন এবং ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য রয়েছেন। বিভাগভিত্তিক সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭১২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২০৫ জন, খুলনা বিভাগে ৭৬৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৩৭৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৬৪ জন, সিলেট বিভাগে ৪০৩ জন, রংপুর বিভাগে ৬২৬ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৭৯৩ জনের মৃত্যু হয়। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার বেশ কিছু কারণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৬

স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের নতুন নীতিমালা প্রকাশ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশিকা জারি করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষক ও নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আওতা (প্রবেশ পর্যায়ের পদ) ব্যতীত অন্যান্য পদে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি কর্তৃক নিয়োগ প্রদান করা হয়। এই নিয়োগে প্রতিষ্ঠানভেদে পদ্ধতিগত ভিন্নতা রয়েছে। এসব পদে নিয়োগ কার্যক্রমে অভিন্নতা ও স্বচ্ছতা আনতে এ নির্দেশমালা জারি করা হলো। শূন্য পদের চাহিদা নিরূপণ অনুসরণীয় নির্দেশমালা ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১’ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাই পূর্বক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শূন্য/নবসৃষ্ট পদের প্রাপ্যতা নিরূপণ করবে। শূন্যপদের ধরণ (কাঠামোভুক্ত / সৃষ্ট/অননুমোদিত সৃষ্ট / খন্ডকালীন/চুক্তিভিত্তিক) উল্লেখপূর্বক শূন্যপদের বিবরণী প্রণয়ন করবে। প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত গভর্নিং বডি/ব্যবস্থাপনা কমিটি বিদ্যমান না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগ করা যাবে না। প্রাপ্যতাবিহীন পদে কোন শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ করা হলে তার সমুদয় দায়ভার নিয়োগকার্যের সঙ্গে নিয়োজিত সকলের ওপর ব্যক্তিগতভাবে বর্তাবে। নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর শতভাগ বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহন করতে হবে। প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগকৃত কোন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রস্তাব প্রেরণ করা যাবে না। এরূপ প্রস্তাব প্রেরণ করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগের জন্য মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করা যাবে না।  শূন্য পদ পূরণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান শূন্য পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য বহুল প্রচারিত দুটি দৈনিক পত্রিকায় (১টি জাতীয় পত্রিকা এবং ১টি স্থানীয় পত্রিকা) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও সম্ভাব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির ব্যাপক প্রচার করতে হবে। ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১’ ও এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী শূন্যপদের ধরন (এমপিও নাকি নন এমপিও পদ), সংখ্যা, বিষয়, আবেদন ফি, প্রত্যেক পদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার আবশ্যকীয় শর্তাবলী, বেতন গ্রেড, আবেদন দাখিলের নিয়ম এবং আবেদন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ও সময় বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে। প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাই-বাছাই প্রাপ্ত আবেদনের সংক্ষিপ্ত তালিকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড/ ওয়েব সাইট-এ প্রকাশ করতে হবে।  প্রাপ্ত আবেদন পত্র যাচাই বাছাইয়ের নিমিত্ত ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির কর্তৃক রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে হতে তিন সদস্যের একটি ‘আবেদন পত্র যাচাই-বাছাই কমিটি’ গঠন করতে হবে। উক্ত কমিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী প্রত্যেকটি পদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার শর্তাবলী ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে বৈধ আবেদনকারির তালিকা প্রণয়ন করবে।  প্রাপ্ত আবেদন ও বৈধ আবেদন এর তালিকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জনবল কাঠামো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল এ কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১ এর পরবর্তী কোন সংশোধনী থাকলে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ব্যবস্থা নিবেন। পরীক্ষা কক্ষের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিত তালিকায় এবং পরীক্ষার উত্তরপত্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তার ইনডেক্স নম্বরসহ স্বাক্ষর থাকতে হবে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়