• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে পণ্যের দাম কমছে : ভোক্তা ডিজি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে আগের চেয়ে দ্রব্যমূল্য এখন অনেকটাই কমছে। মনিটরিংয়ের কারণে বর্তমানে ৮০০ টাকার তরমুজ আজকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৫৯৫ টাকায় এবং ১০০ টাকার বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে, না হলে পাগলা ঘোড়ার মতো দাম বাড়তো। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার মনিটরিং ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের গুণগত মান নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন। ভোক্তার ডিজি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে উত্তরাঞ্চলে দ্রব্যমূল্য কেন বাড়ছে সেই বিষয়ে মনিটরিংয়ে আমরা এসেছি। তাছাড়া আমরা বাজারে আসলে দাম কমে, চলে গেলে আবার দাম বাড়ে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বাজার মনিটরিং করছি। অন্যান্য জেলায় এই মনিটরিং করা হচ্ছে।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন প্রমুখ।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৬

জলদস্যুদের সঙ্গে নয়, নাবিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি হওয়ার এক সপ্তাহ পার হলেও সোমালি জলদস্যুদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। তবে জাহাজটির মালিক কবির গ্রুপ জানিয়েছে, নাবিকদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এদিকে ইউরোপীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ক্রু সদস্যদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করার অনুমতি চেয়েছিল। সেই অভিযানে সহযোগিতা দিতেও প্রস্তুতি নিয়েছিল সোমালি পুলিশ গার্ড। সোমবার (১৮ মার্চ) সোমালিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপে রাজি হয়নি। জাহাজের মালিক এসআর শিপিংও ক্রুদের জীবনের সম্ভাব্য ক্ষতির ভয়ে এ ধরনের অপারেশনের পক্ষে মত দেয়নি। এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৩ জন নাবিকের জীবনরক্ষায় মুক্তিপণ দিয়েই এ ঘটনার সমাধান চায় তারা। ফলে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নাবিকদের উদ্ধারে জাহাজটিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানকে যৌক্তিক নয় বলে মনে করছেন জাহাজ মালিক এবং শিপিং খাত সংশ্লিষ্টরা। নাবিকদের উদ্ধারে মধ্যস্থতাকারী বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে মালিকপক্ষ। কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছি না। তাছাড়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে সহিংস অভিযান পরিচালনা করা যাবে না। তিনি বলেন, এখনও সোমালি জলদস্যুরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। নাবিকেরা জাহাজের দৈনন্দিন কাজগুলো সেগুলো করছেন। নাবিকদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এর আগে, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের নির্মূলে কাজ করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অপারেশন আটালান্টা’র পক্ষ থেকে আবদুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান খুরশেদ আলম এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। মেরিটাইম খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে সোমালি জলসীমার ভেতরে রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে যেকোনো দেশের ভূখণ্ড থেকে ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে প্রবেশ করতে হলে সে দেশের সরকারের অনুমতি নিতে হবে। একই সঙ্গে যে লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান পরিচালনা করা হবে, তার সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি নিতে হবে। সে হিসেবে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযান চালাতে হলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি লাগবে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, উন্মুক্ত সাগরে জলসদ্যুদের শক্তি একরকম। অন্যদিকে উপকূলে তাদের শক্তি বহুগুণে বেড়ে যায়। এমভি আবদুল্লাহর বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই সামরিক অভিযান পরিচালনার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানের জন্য জাহাজ মালিক এবং বাংলাদেশ সরকার আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি শতভাগ সঠিক সিদ্ধান্ত। এর ব্যত্যয় ঘটলে বড় ধরনের বিপর্যয় এমনকি নাবিকদের প্রাণহানি, জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি এবং কয়লা বিষ্ফোরণ হয়ে মারাত্বক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেন তিনি। গত ১২ মার্চ দুপুরে শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার। জাহাজটি ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিতে ২৩ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে জলদস্যুরা। জাহাজটি ওই সময় সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। কেএসআরএমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
২০ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৫

চলচ্চিত্রে নিয়মিত হতে চান সাফা কবির
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির। সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিরিজ ‘টিকিট’। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি। বর্তমানে ঈদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাফা। তবে নিজেকে শুধু ছোট পর্দায় আটকে না রেখে কাজ করতে চান চলচ্চিত্রেও।      সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নিজের কাজের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সাফা। এসময় চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি।   সাফার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিল্মে কবে দেখা যাবে আপনাকে? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ভালো গল্প ও এর ডিস্ট্রিবিউশনটা কেমন হবে, সেটা জেনে বুঝে তবেই ফিল্মটা শুরু করা উচিত। কারণ অন্য অনেক কাজ নিয়ে হয়তো আমার ভালো-মন্দ আলোচনা-সমালোচনা খুব বেশিদিন থাকে না।  ক্যারিয়ারে ফিল্মটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমার ব্যবসা কেমন হবে সেটা আমার দেখার বিষয় না। কিন্তু সিনেমাটির গল্প ও আমার চরিত্র নিয়ে দর্শকের মুগ্ধতা কুড়াতে চাই আমি। চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে তিনি বলেন, সিনেমায় কাজ করতে আমার কোনো আপত্তি নেই। বর্তমানে বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমার আদলও অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। যেটা শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাতেও আমরা দেখেছি। তাই সিনেমার গল্প ও নির্মাণটা আধুনিক হওয়া জরুরি।     সিয়াম বা রাজদের সিনেমাই হলে দেখতে যান কিংবা ফেসবুকে প্রমোশন করেন। কিন্তু বাকিদের চলচ্চিত্রের ক্ষেতে নীরব থাকে সাফা। এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, এটা মোটেই ঠিক না যে আমরা অন্যদের ছবি দেখি না। আসলে বিষয়টা হলো— সিনেমা দেখতে যাওয়া এখনকার লাইফ স্টাইলে অনেক বড় একটা বিষয়। সবকিছুর বাইরে আপনাকে আলাদা সময় বের করতে হবে। আর এ কারণে যে সিনেমা আমাকে টানবে আমি কিন্তু সেটাই দেখতে যাব। এটা ঠিক সিয়ামদের মুভি আমরা দলবেঁধে দেখতে যাই। বন্ধুদের জন্য এটুকু করাটাতো স্বাভাবিক। কবে নাগাদ চলচ্চিত্রে আসবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাফা বলেন, দিন তারিখ ঠিক করে বলাটা মুশকিল। তবে চলচ্চিত্রে নিয়মিতই হতে চাই আমি। কিন্তু সেটা যদি আমার পছন্দের নির্মাতাদের সিনেমা হয়। চলচ্চিত্র একটা বড় ক্যানভাস সেখানে নিজেকে দেখতে কে না চায় বলুন।     
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪

শিক্ষকরা অনিয়মিত, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যে বিদ্যালয়ে
যে বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে গাওয়া হয় না জাতীয় সংগীত, সে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে এই গানটিই আমাদের বাংলাদেশের পরিচয়। জাতীয় সংগীতেই শেষ নয়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না শিক্ষকরাও। কোমলমতি শিশুদের হাজিরাও ডাকা হয় বিকেলে। শিক্ষকদের এমন আচরণে শিশুরাই বা কি শিখবে!  খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরের ফাতেমা নগর এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়টি। পাহাড়ি-বাঙালির সংমিশ্রণে গড়া এই গ্রামটিতে ১৯৮০ সালে গড়ে উঠেছে বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় যে শিশুদের সুশিক্ষায় গড়ার প্রথম কারিগর সেটি হয়তো ভুলেই গেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের নানা অজুহাত আর অনিয়মেই ধ্বংস হচ্ছে শিশুদের মেধা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়েই পাঠদান শুরু হয়। অথচ এই বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হয় জাতীয় সংগীত ছাড়াই। যেখানে শিশুদের হাজিরা ডাকার কথা ক্লাসের শুরুতেই, সেখানে হাজিরা ডাকা হয় বিকেল ৩টায়। নানা অজুহাত আর ক্ষমতার বলে শিক্ষকরাও নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। বসে বসেই সরকারি অর্থ গুনছেন তারা। এতে নষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না বিদ্যালয়ে। আবার হাজিরা ডাকা হয় বিকেলে। এ ছাড়াও শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের একটি দল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাজির হয় বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তখন বিকেল ৩টা। বিদ্যালয়ে দেখা যায় ৬ শিক্ষকের মাঝে শুধুমাত্র ১ জন শিক্ষক উপস্থিত। তার কাছে বাকিদের কথা জানতে চাইলে জানান ১ জন এসে চলে গেছে, ২ জন ট্রেনিংয়ে, ১ জনের স্বামী অসুস্থ এবং বাকি ১ জন ডেপুটেশনে।  যাকে উপস্থিত পাওয়া যায়, তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলম। তিনি জানান, আমি সকালে আসি। এসে দাপ্তরির কাজও আমিই করি আবার শিশুদের পাঠদানও আমিই করি। কোনো শিক্ষক সকালে এসে আবার চলে যায় দুপুরের আগেই। তাদেরকে নিষেধ করেছি। ওরা ওদের মতো করে আসে আবার চলে যায়। একটি শ্রেণিতে ১ ঘণ্টায় ক্লাস হয়েছে ৫টি বিষয়ের ওপর। এমন মন্তব্যসহ শিক্ষকদের নানা অনিয়ম তুলে ধরে ওই এলাকার মো. আব্দুল জলিল জানান, এই বিদ্যালয়ের পাশেই আমার দোকান। আমি বহুদিন যাবৎ দেখছি যে কোনো শিক্ষক ৯টায় আসলে ১০টায় চলে যায়। আবার ১০টায় আসলে ১১টায় চলে যায়। তারা নিয়মিত স্কুলেও আসে না এবং যাওয়ারও কোনো নিয়ম থাকে না। বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে জাতীয় সংগীত হয় না, ক্লাসও ঠিকমতো হয় না। তারপর ১ ঘণ্টায় ১ জন শিক্ষক ৫টা ক্লাস নিছে। কীভাবে নিয়েছে তা আমার মাথায় ধরে না। এ ছাড়াও বিদ্যালয়েই রয়েছে পরিত্যক্ত এক ভবন। সেটি যেকোনো মুহূর্তেই ধসে পড়তে পারে বলে জানায় এলাকাবাসীরা। শিক্ষার এমন নাজেহাল অবস্থা আর কতোদিন। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান কোমলমতি শিশুদের স্বজনরা। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শুক্কুর আলী জানান, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। স্কুলে অনিয়ম হচ্ছে। শিক্ষকরা যে যার মতো করে চলে যায়। স্কুল যেন সঠিকভাবে চলে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পানছড়ি উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এডিন চাকমা জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরকারেরর নীতিমালায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

নিয়মিত স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেবে এই পাতা!
অফিস হোক বা বাড়ি, চিন্তা, দুশ্চিন্তা সবসময়ের সঙ্গী। দ্রুত এগিয়ে চলা জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলেই শুরু হয় উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা। আবার অনেকেই প্রতিদিনের টেনশন নিয়ে বাড়তি চাপ নিয়ে ফেলেন। ভোগেন স্ট্রেসের সমস্যায়। যা শরীরে নানা রকম ক্ষতি ডেকে আনে অজান্তেই। তাই হেসে-খেলে জীবন কাটাতে চাইলে যেন তেন প্রকারেণ উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা থেকে বের হতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে থানকুনি পাতা। জেনে নিন স্ট্রেস থেকে মুক্তিতে থানকুনি পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে - উৎকণ্ঠা দূরে পালাবে- গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পাতার অ্যান্টিঅ্যাংজাইটি এফেক্ট রয়েছে। এমনকী এই পাতার গুণে মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, নিউরোনইফ্লামেশনের মতো সমস্যাকেও অনায়াসে নিজের আয়ত্বে রাখা সম্ভব হবে। তাইতো স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির ফাঁদ কাটাতে নিয়মিত এই পাতা সেবন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যেভাবে খাবেন- প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েকটি থানকুনি পাতা পানি দিয়ে গিলে নিন। কিংবা এই পাতার রস করেও সেবন করতে পারেন। তাতেই মিলবে অনেক উপকার।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৮

‘বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে র‍্যাব’
দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে র‍্যাব ফোর্সেস নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র‍্যাব ফোর্সেস অতীতের মতো ভবিষ্যতেও মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে র‍্যাব ফোর্সেস নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, র‍্যাব ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। র‍্যাব এবং সাংবাদিকদের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে জঙ্গি দমন, মাদক উদ্ধার, হত্যাকারী, ডাকাত, অপহরণকারী ও চাঁদাবাজসহ যেকোনো অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের সুষম বিকাশ ও সমাজ গঠনে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সাহসী পথচলায় নিজেদের অবস্থান সমুন্নত রাখার জন্য র‍্যাব মহাপরিচালক নবনির্বাচিত কমিটিকে আহ্বান জানান। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে যেকোনো অপরাধের তথ্য প্রদান করে র‍্যাবকে সহায়তা করার আহ্বানও জানান তিনি।   এ সময় র‍্যাব মহাপরিচালক ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং নেতারাও ক্র্যাবের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত নজরদারির আহ্বান রাষ্ট্রপতির
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারি এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই; নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে। কারণ, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের আসলেই কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; তেমনি অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে দেহে নানাবিধ মরণব্যাধি বাসা বাঁধে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্যের পুষ্টিমানের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও বেগবান করা জরুরি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ। সে অনুযায়ী সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্তি, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। মেধা ও মননে একটি উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হবে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে আমাদের সবার অঙ্গীকার। পরিশেষে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮

ট্রল তো আমার নিয়মিত সঙ্গী : মাহি
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী হলেও শেষ পর্যন্ত নয় হাজার ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন মাহি। আর প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে এই নায়িকার। আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সিনেমায় শাহরুখ খান!   রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে নৌকায় ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। এ আসনে ১৫৮ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩, ভোটের হার ৪৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বৈধ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৬, বাতিল হাওয়া ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৯৭। নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার ট্রাক প্রতীকে ভোট চান। প্রচারণার সময় ‘সিনেম্যাটিক’ স্টাইলে বক্তব্যও দেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, চৌধুরী সাহেবের হয়তো অনেক টাকা আছে, কিন্তু তার মন নেই। এদিকে ভোটের দিন রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে নায়িকা মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ফলাফল যা হওয়ার হবে, আমি হারি আর জিতি কালকে (সোমবার) পুরো এলাকায় একটা শোডাউন দেব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেব, আমি তাদের সঙ্গে আছি। তবে শেষ পর্যন্ত কথা রাখেননি মাহি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) নিজের নির্বাচনী এলাকায় কোনো শোডাউন দেননি তিনি। আরও পড়ুন : কেজিএফ’র যশের জন্মদিনে ৩ ভক্তের মৃত্যু   জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাসা থেকেই বের হননি নায়িকা মাহি। ঠিকভাবে কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না। দূরত্ব তৈরি হয়েছে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে। সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে গেছেন তিনি। গণমাধ্যমে আপাতত কোনো কথা বলতে চাইছেন না ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ নায়িকা। এদিকে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে মাহি বলেন, ট্রল তো  আমার নিয়মিত সঙ্গী । এগুলো নিয়ে নতুন করে আর কী বলব। শুধু একটা কথাই বলব, মানুষকে এভাবে ট্রল করা ঠিক নয়। একটা মেয়ে হয়ে আমি নির্বাচন করেছি। যারা বিভিন্নভাবে ট্রল করছেন তাদের উদ্দেশে এই নায়িকা বলেন, এভাবে কাউকে ট্রল করবেন না, প্লিজ। আপনাদের কাছের কেউ নির্বাচন করলে বুঝতে পারবেন এটা কতটা কঠিন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়