• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ময়মনসিংহে ২ বাসের সংঘর্ষ : নিহতদের পরিচয় মিলেছে  
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বেপরোয়া গতির কারণে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক বাস হেলপার ও এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ যাত্রী।   মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দুর্ঘটনাকবলিত রাজ সুপার বাসের হেলপার শেরপুর জেলার সদর উপজেলার রাজভল্লবপুর গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে মো. শহিদ মিয়া (২৬) এবং নকলা উপজেলার মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে সুইটি আক্তার (২০)।  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী।  প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি বলেন, শেরপুর থেকে ঢাকাগামী ইভা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের ঘটনাস্থল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির রাজ সুপার বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রাজ সুপার বাসের হেলপার শহিদ মিয়া ও ইভা পরিবহনের যাত্রী সুইটি আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৫ জন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় মমেক হাসপাতালে অন্তত ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ‍্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এ ঘটনায় আহত আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান ওসি ওয়াজেদ আলী।  তিনি আরও বলেন, নিহতদের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন‍্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  এ দিকে দুর্ঘটনা কবলিত সড়কে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

ফরিদপুরে দুর্ঘটনা : নিহতদের ৫ জন একই পরিবারের
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৩ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছেন। রফিক মোল্লা নামের এক লিফটম্যান তার মা, স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনায় পরিবারসহ নিহত হন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে এ দুর্ঘটনায় রফিকসহ পরিবারের সকলেই মারা যান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই পরিবারের নিহত পাঁচজন হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬), হাবিব মোল্লা (৩) ও রফিক মোল্লার মা। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পুলিশ জানায়, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়। রফিক মোল্লার পরিবার ছাড়াও নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মর্জিনা বেগম। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।’
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৪

বেইলি রোডে নিহতদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।  রোববার (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান তুষার ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী প্রত্যেকের জীবনধারণের অধিকার রয়েছে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৬ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাফেরার অধিকার রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা না-করায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা না-নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঘটছে এবং ৪৬ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কোনোক্রমেই তাদের দায় এড়াতে পারে না।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবরে ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, ‘যেহেতু কর্তৃপক্ষ ভবন মালিককে তিনবার সতর্কতা নোটিশ দিয়েছিল কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি, সেহেতু কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা রয়েছে। নোটিশ গ্রহীতাদের ব্যর্থতার কারণেই বেইলি রোডের ওই ভবনটিতে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৭

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ভোলার চার জন
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অন্তত চার জনের বাড়ি ভোলা জেলায় বলে জানা যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চার তরুণের মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। বেইলি রোডে নিহতদের মধ্যে একজনের নাম হলেন জুনায়েদ। তিনি ভোলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএভিএস সড়কের বাসিন্দা এবং ঢাকার একটি 'ল' কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। শোকে পাথর হয়ে গেছে জুনায়েদের পরিবারও। স্বজন হারিয়ে দিশেহারা তারা। জুনায়েদের বাড়ি ভোলা হলেও তারা পরিবারসহ ঢাকায় থাকতেন। তবে তার মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে বিষাদে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস।   নিহতদের আরেকজন নয়ন। ভোলা সদরের উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চর কুমুরিয়া গ্রামে দিনমজুর সিরাজ উদ্দিনের ছেলে তিনি। দুর্ঘটনা কবলিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে বয়ের কাজ করতেন তিনি। নিহত নয়নের পরিবারের সদস্যরা জানান, পাঁচ দিন আগে বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা গিয়েছিলেন। তিন দিন আগে চাকরি পান তিনি। ভাগ্যের নির্মমতায় এই কর্মস্থলেই তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। নয়নের মা নাজমা বেগম জানান, ছেলে ফোনে জানিয়েছি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার তো আর ফেরা হলো না। তার চাচি জুয়েনা আক্তার বলেন, পরিবারটি খুবই দরিদ্র। কাজের জন্য ঢাকা গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে অভাবের কারণে আর পড়া হয়নি নয়নের। বাধ্য হয়েই ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করেছিল। তার মর্মান্তিক এমন মৃত্যুতে শোকে স্তব্দ পুরো পরিবার। বেইলি রোডের আগুনে ভোলার আরও দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন দোলা ও মাহী। তাদের বাড়ি দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গুপ্তগঞ্জ বাজারে। তবে তারা ২০ বছর আগে ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ঢাকার গাজীপুরে তারা বসবাস করে আসছিলেন। দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামিন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন রয়েছে। যে কোনও প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩

নিহতদের দাফনে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা
রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।   শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দাফন সহায়তার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভারও সরকার বহন করবে। এই মুহূর্তে যা যা প্রয়োজন সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করা হচ্ছে। মহিববুর রহমান বলেন, আগুনের ঘটনা সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।  এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।  ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নি নিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। এদিকে, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৩

বান্দরবানে চাঁদের গাড়ি খাদে : নিহতদের একজন ঢাবি শিক্ষার্থী
বান্দরবানে পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীসহ দুই পর্যটক মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) রুমা-বগালেক-কেওক্রাডং সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই নারী। ‘ভ্রমণ কন্যা’ নামের একটি সংগঠনের হয়ে তারা কেওক্রাডং ভ্রমণে গিয়েছিলেন। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  তিনি জানান, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। গাড়িতে পর্যটক ছিলেন ১৩ জন। দুজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। নিহত দুজনের মধ্যে ফিরোজা বেগম (৫৩) প্রথম আলোর সহসম্পাদক সজীব মিয়ার শাশুড়ি। অন্যজন জয়নাব খাতুন (২৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী। আহতরা হলেন রাফান (১২), উষসী নাগ (১৫) ও  জবা রায় নাগ (৪৫), মাহফুজা ইসলাম (৪৫), আমেনা বেগম (৬০), তাহমিনা তানজিম তালুকদার (১৯), তাননিম, রিজভী (৩৪), আঞ্জুমান হক (৩৫), ইতু (১৬) ও স্বর্ণা (২৩)।  তিনি জানান, হতাহতদের সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। গাড়ির চালক পলাতক রয়েছেন। পর্যটকদের গাইড মুনথাং বম জানান, ‘ভ্রমণ কন্যা’ নামের এই পর্যটক দলটি ক্রেওক্রাডং দেখে ফিরছিলেন। এ সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাতে পড়ে উল্টে যায়। হতাহতদের প্রথমে স্থানীয় লোকজন ও সঙ্গে থাকা পর্যটকেরা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) মো. আব্দুল্লাহ আল হাছান বলেন, দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রথমে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩২

ট্রেনে আগুনে নিহতদের মধ্যে দুই জন শিশু
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনই শিশু। বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে গোপীবাগে রাত ৯টার দিকে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। ট্রেন থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।  তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে মা ও শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হলো।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়