• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুপার লিগ নিশ্চিত শাইনপুকুর ও প্রাইম ব্যাংকের
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের হাফ-সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ১৪১ রানের বড় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দিনের আরেক ম্যাচে ইরফান শুক্কুরের অপরাজিত ১০৬ রানের সুবাদে লিগের প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৬৭ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। রূপগঞ্জের বিপক্ষে শাইনপুকুরের জয়ে প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের সুপার লিগ নিশ্চিত হয়েছে। ১০ ম্যাচে মোহামেডানের ও ১১ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের ১৪ করে পয়েন্ট। নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেই শাইনপুকুর ও শেখ জামালের মতো ৮ জয় নিয়ে সুপার লিগে নামবে মোহামেডান। অন্যদিকে টানা ১১ জয়ে পূর্ণ ২২ পয়েন্ট নিয়ে অন্যদের চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আবাহনী। মুশফিকুরের ৬৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় সাজানো ৭১ রানের ইনিংসের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, জাকির হাসান ও আশিকুর জামান ৩৬ রান করে করেন। ওপেনার হিসেবে নেমে ১৫ বলে ২০ রান করেন তামিম ইকবাল। গাজী টায়ার্সের হয়ে শামীম মিয়া ৪১ রানে তিনটি এবং ইফতেখার সাজ্জাদ ও নুহায়েল সান্দিদ দুটি করে উইকেট নেন। জবাবে মাহেদি হাসান এবং হাসান মাহমুদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে ৩২ দশমিক ২ ওভারে ১২৮ রানে অলআউট হয় গাজী টায়ার্স। দলের পক্ষে আশরাফুল আলম আসিফ সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন।  মাহেদি ২৪ রানে চারটি এবং হাসান ২৯ রানে তিনটি উইকেট নেন। ১১ ম্যাচে মাত্র ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১২ দলের লিগে ১১তম স্থানে গাজী টায়ার্স।  আরেক ম্যাচে শুক্কুরের সেঞ্চুরিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় শাইনপুকুর। ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৮ বলে অপরাজিত ১০৬ রান করেন শুক্কুর। এ ছাড়া জিশান আলম ৪২ এবং মার্শাল আইয়ুব ৩৫ রান করেন। ২৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শাইন পুকুরের বোলারদের দাপটে ২৮ দশমিক ১ ওভারে ৯২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কিন্তু শেষ উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় হারের লজ্জা থেকে রক্ষা করেন রূপগঞ্জের শেষ দুই ব্যাটার আব্দুল হালিম ও আল আমিন হোসেন।  শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৮৯ রান করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৬৭ বলে অপরাজিত ৬০ রান করেন হালিম। ২২ রানে অপরাজিত থাকেন আল আমিন।  শাইনপুকুরের পেসার নাহিদ রানা তিনটি, নাইম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট নেন।
১৯ ঘণ্টা আগে

‘লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশে’
২০২৪-এর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের থিম ছিলো, ‘নারীতে বিনিয়োগ করুন: অগ্রগতি ত্বরান্বিত করুন’। এই বৈশ্বিক আহ্বানকে আমলে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের নারীদের জন্য বিনিয়োগের তাৎপর্য সম্পর্কে বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তিন প্রধান তাদের লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছেন। ইউএন-ওমেন-এর ওয়েবসাইটে এশিয়া-প্যাসিফিক সেকশনে প্রকাশিত সাক্ষাতকারে এই নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরেছেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং, আইএমএফ-এর বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে এবং বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক। জাতীয় লিঙ্গ সমতা নীতি এবং অগ্রাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারকে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। নারীদের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়াতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াগুলোতে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল নীতি ও অনুশীলনগুলোকে উৎসাহিত করে, এমন প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, জানিয়েছেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং। লক্ষ্যযুক্ত আর্থিক সহায়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে, এডিবি সমস্ত প্রকল্প জুড়ে জেন্ডার মূলধারায় সহায়তা করে। প্রকল্পের নকশা, বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণে লিঙ্গ সমতা বিবেচনাকে প্রতিষ্ঠানটি একীভূত করে, যার ফলে কার্যকর ফলাফল নিশ্চিত করা যায় বলে জানান এডিমন জিনটিং। লিঙ্গ-কেন্দ্রিক হস্তক্ষেপের কার্যকারিতা এবং স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য সুশীল সমাজ সংস্থা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করে এডিবি। লিঙ্গ বৈষম্যের মূল কারণগুলিকে মোকাবেলা করে এবং বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠিত করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এডিবি কীভাবে নারী নেতৃত্বের প্রচার করছে , জানতে চাইলে এডিমন জিনটিং বলেন, তার প্রতিষ্ঠান জলবায়ু কর্মকাণ্ডে নারীদের প্রধান ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে তাদের নেতৃত্ব প্রচার করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং প্রশমন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য নারীদের ক্ষমতায়ন করে, এমন উদ্যোগ সমর্থন করে এডিবি। সক্ষমতা-নির্মাণ কর্মসূচি এবং লক্ষ্যযুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে জলবায়ু-সহনশীলতা চর্চায় নারীদের দক্ষতা এবং জ্ঞান বাড়ানোর লক্ষ্য আছে প্রতিষ্ঠানটির। লিঙ্গ-সংবেদনশীল জলবায়ু অর্থায়নকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি এবং টেকসই কৃষি উদ্যোগের মতো প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াবে এডিবি, যা নারীদের সরাসরি উপকার করবে। প্রতিষ্ঠানটি নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য জলবায়ু অর্থায়নের সুযোগ বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন এডিমন জিনটিং। কীভাবে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতার জন্য অর্থায়নকে আইএমএফ এগিয়ে নিচ্ছে, জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে জানান, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি তার প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বোর্ড বাংলাদেশের সাথে ৪২ মাসের আর্থিক কর্মসূচি অনুমোদন করে। কর্মসূচীতে বৃহত্তর সামাজিক ও উন্নয়নমূলক ব্যয়, আর্থিক খাতকে শক্তিশালীকরণ এবং জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার জন্য ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর তৈরির লক্ষ্যে সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এগুলি স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামোতে বর্ধিত বিনিয়োগ, সামাজিক সুরক্ষা সম্প্রসারণ, বৃহত্তর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করে নারীর ক্ষমতায়নকে উপকৃত করবে বলে আশা করে আইএমএফ। জয়েন্দু দে জানান, আইএমএফ-এর বিশ্লেষণে বাংলাদেশের জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটিং অনুশীলনকে শক্তিশালী করারও আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে দেশের লিঙ্গ সমতা লক্ষ্য অর্জনের জন্য জনসম্পদকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায়। লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার জন্য কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নারীদের গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং গৃহস্থালির কাজ ও যত্নের পরিশ্রম কমাতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং অবকাঠামোতে (পরিবহন, স্যানিটেশন, শিশু যত্ন) বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। এই অর্থায়নের জন্য, বাংলাদেশকে তার কর আহরণ বাড়াতে হবে, করের দক্ষতা উন্নত করতে হবে এবং অপর্যাপ্ত ভর্তুকি কমাতে হবে বলে মনে করে আইএমএফ। তাছাড়া, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন দেখছে প্রতিষ্ঠানটি, যা বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করে এবং নারী ও পুরুষ উভয় উদ্যোক্তাদের সমর্থন করে।  বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতার জন্য অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক জানান, বাংলাদেশ প্রথম দিকে উপলব্ধি করেছে যে, বিনিয়োগকারী নারীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক চালক। নারীর ক্ষমতায়ন দেশের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ এবং বিশ্লেষণমূলক কাজের মাধ্যমে নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকে প্রসারিত করতে সরকারের সাথে সহযোগিতা করে। এটি বিশ্বব্যাংকের জেন্ডার স্ট্র্যাটেজি এবং কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের একটি ডেডিকেটেড জেন্ডার এবং সোশ্যাল ইনক্লুশন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি প্রকল্প অগ্রাধিকারমূলক লিঙ্গ ব্যবধান চিহ্নিত করে সেগুলি পূরণ করার জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়। লিঙ্গ সংবেদনশীল অভিযোগ প্রক্রিয়া, আচরণবিধি মানার বাধ্যবাধকতা এবং সমস্ত প্রকল্পের সুবিধাভোগী এবং প্রকল্প কর্মীদের নিয়মিত পরামর্শ প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি, যা ইতিবাচক ফলাফল দেয় এবং যৌন হয়রানি এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ঠেকায়। চলমান প্রকল্পগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি এনইইটি যুব, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মহিলা এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীর অন্তর্গত, যেমন নারী এবং প্রতিবন্ধী মেয়েদের দক্ষতার মাধ্যমে মহিলা শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের উন্নতির উপর ফোকাস করে৷  পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেসগুলোকে নিরাপদ করতে উদ্ভাবনী সমাধান বের করে বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ। এসব গবেষণা নারীদের জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, কর্মক্ষেত্র এবং পাবলিক স্পেসগুলিকে আরও নিরাপদ করার উপায় বের করে। শিশু যত্নের ব্যবস্থা করা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে আরও বেশি নারীকে আনার জন্য কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি, জানিয়েছেন আবদুলায়ে সেক।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৩

স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের পবিত্র কর্তব্য। তিনি বলেন, আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।  মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দারিদ্র্যের হার কমার পাশাপাশি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল ও মেট্রোরেল দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে। পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটের প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে আর্থসামাজিক ও বিনিয়োগধর্মী নানামুখী প্রকল্প, কর্মসূচি এবং কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ সংকট মোকাবিলায় আমাদেরকেও সম্পদ ব্যবহারে হতে হবে মিতব্যয়ী এবং ভোগবিলাসে কৃচ্ছতা অনুসরণ করতে হবে। আমি আশা করি, বিগত বছরসমূহে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রম এবং আর্থসামাজিক সূচকসমূহে সরকারের অভূতপূর্ব অর্জনের ওপর ভিত্তি করে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব। সাহাবুদ্দিন বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ বঙ্গবন্ধুর এ আদর্শ অনুসরণে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠাসহ আন্তর্জাতিক পরিমলেও আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত ১০ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। বাংলাদেশ যুদ্ধের বিভীষিকা দেখেছে, বাংলার মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছে। আমরা বিশ্বে আর কোনো যুদ্ধ চাই না। ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের যে সকল দেশে যুদ্ধ ও গণহত্যা চলছে আমরা তার নিন্দা জানাই। এ সময় তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য দেশে যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার নীতি-আদর্শকে মুছে ফেলার পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে চিরতরে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাঙালি বীরের জাতি। কোনো কিছুই বাঙালিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হলেন মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যু তাকে নিঃশেষ করেনি বরং বাঙালির চিত্তাকাশে আরোউজ্জ্বল ও মহিমান্বিত করেছে। নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুধাবন করতে হবে, আজ তারা যে পথ দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভবিষ্যতেও তার দেখানও পথই হবে উন্নয়ন ও অগ্রগতির সোপান। তিনি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে-মহান স্বাধীনতা দিবসে এ আমার প্রত্যাশা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। সূত্র : বাসস
২৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩০

যেসব ওয়েবসাইটে ঢুকলে বিপদ নিশ্চিত
কারণ ছাড়াই আমরা অনলাইন শপিং, অ্যাডাল্ট সাইট, বেটিং সাইটসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকি। আর এসব সাইটে আপনার জন্য ওত পেতে আছে ভয়ংকর ম্যালওয়্যার। তবে সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়্যারের শিকার হন ব্যবহারকারীরা পাইরেসি ওয়েবসাইট থেকে। রোববার (২৪ মার্চ) ‘ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেস’ এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইরেসি সাইটে ঢুকলে ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৫৯ শতাংশ, প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইট থেকে ৫৭ শতাংশ ও জুয়ার বিজ্ঞাপন থেকে ৫৩ শতাংশ। আর বিনোদন সেক্টরে ডিজিটাল প্রাইরেসি দেশের সাংস্কৃতিক পণ্যগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। এর মধ্যে সিনেমা, গান, টিভি শো, বই, সফটওয়্যার এবং অন্যান্য কপিরাইট নেওয়া সৃজনশীল কাজ রয়েছে। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পাইরেসি সাইটের মালিকদের আয়ের নতুন উৎস হয়ে উঠেছে কম্পিউটার বা মোবাইলে ম্যালওয়্যার হামলা। আর ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা এ হামলার বেশি শিকার হচ্ছেন। এসব সাইটে না ঢোকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:২২

চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী
চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটি’ ও ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’-এর সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এই কথা জানান। সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান দেওয়া যায় সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারে সরকার সেটাও নিশ্চিত করতে চায়। সরকারি অনুদানে যাতে রুচিশীল ও মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় সেটাই সরকারের লক্ষ্য। মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটি’ ও ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’-এর সদস্যদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা প্রদানকালে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটি প্রাপ্ত প্যাকেজ প্রস্তাবগুলো বাছাই করে গুণগত মানের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করবে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অনুদান প্রত্যাশীরা বাছাই কমিটির সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ সদস্যদের সামনে উপস্থাপনা প্রদান করবেন। উপস্থাপনার ভিত্তিতে বাছাই কমিটির সদস্যরা নির্ধারিত ক্ষেত্রে নম্বর প্রদানপূর্বক আরও সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে। এ সময় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ এবং অভিনেত্রী আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরমেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ এবং রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৫

এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে নিউজিল্যান্ড। যেখানে অজিদের কাছে প্রথম দুই ম্যাচেই হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে কিউইরা। এতে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ নিশ্চিত করেছে মাইটি অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের ৭২ রানে হারিয়েছে সফরকারীরা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কিউইদের ১৭৫ রানের লক্ষ্য দেয় অজিরা। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় স্বাগতিকরা। ইনিংসে প্রথম ওভারেই ৬ বলে ৬ রান করে আউট হন ফিন অ্যালেন। ৭ বলে ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন উইল ইয়োং। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি মিচেল স্যান্টনারও। ১৩ বলে ৭ রান করেন তিনি। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে ইনিংস মেরামোতে চেষ্টা করেন গ্লেন ফিলিপস। মার্ক চাপম্যান ৩ বলে ২ রান করে আউট হলে ফিলিপসকে সঙ্গ দেন জশ ক্লার্কসন। ৩৫ বলে ৪২ রান করে ফিলিপস আউট হলে উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা। জশ ক্লার্কসন (১০), অ্যাডম মিলনে (০), ট্রেন্ট বোল্ট (১৬) ও বেন সিয়ার্স ৬ রানে আউট হলে ১০২ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে পারেনি উইকেটরক্ষক ব্যাটার ডেভন কনওয়ে। এতে ৭২ রানের জয় পায় অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন অ্যাডম জাম্পা। দুই উইকেট নেন নাথান ইলিস। এ ছাড়াও জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও মিচেল মার্শ একটি করে উইকেট নেন। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই অজি ওপেনার স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেড। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি স্মিথ। ৭ বলে ১১ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হেড। ২২ বলে ৪৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে হেড আউট হলে ৪ বলে ৬ রান তাকে সঙ্গ দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর ২১ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মার্শ। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি জশ ইনগ্লিসও। ৩ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩ বলে মাত্র এক রান করে ম্যাথিউ ওয়েড। এরপর প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন টিম ডেভিড। টিম ডেভিড (১৭) এবং কামিন্স ২৮ রান করে আউট হন। শেষ দিকে অ্যাডাম জাম্পা (১) এবং জস হ্যাজেলউড শূন্য রানে আউট হলে এক বল হাতে থাকেতেই ১৭৪ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন লকি ফার্গুসন। এ ছাড়াও অ্যাডম মিলনে, বেন সার্স ও মিচেল স্যান্টনার দুটি করে উইকেট শিকার করেন।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৪

খুলনাকে কাঁদিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম
চলমান বিপিএলে সাদা-মাটা একটি দল গঠন করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলে বড় কোনো তারকা ক্রিকেটার না থাকলেও আসরে আলো ছড়িয়েছে বন্দর নগরীর দল। শেষ পর্যন্ত প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম। লিগ পর্বে শেষ ম্যাচে খুলনাকে ৫৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তামিম-শুভাগতরা। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা টাইগার্সকে ১৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাব দিতে নেমে ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা। এতে ৬৫ রানের বড় জয় পায় চট্টগ্রাম। এতে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তারা। অন্যদিকে প্লে-অফ থেকে অনেকটায় ছিটকে গেছে খুলনা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। ৮ বলে ৬ রান করে আউট হন পারভেজ ইমন। তৃতীয় উইকেটে শাই হোপকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেনি ‍দুজনের কেউই। ২৪ বলে ৩৫ রান করে আউট হন বিজয়, ২১ বলে ৩১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হোপ। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি ইভেন লুইসও। ৩ বলে ৬ রান করে রান আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। এরপর উইকেটে মিছিলে যোগ দেন আফিফ হোসেন (৬) এবং মাহমুদুল হাসান জয় (৭), ‍পার্নেল (২) ও নাসুম আহমেদ (৩)। কিন্তু এক প্রান্ত থেকে রান তুলতে থাকেন জেসন হোল্ডার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ দিকে মুকিদুল ৩ রানে আউট হলে ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা। এতে ৬৫ রানের বড় জয় পায় চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন শুভাগত হোম। দুই উইকেট নেন বিলাল খান। এ ছাড়াও সালাউদ্দিন শাকিল, শহিদুল ইসলাম, রোমারিও শেফার্ড ও নাহিদুজ্জামান একটি করে উইকেট শিকার করেন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেয় তানজিদ হাসান তামিম। ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৭ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সৈকত আলী। শেষ পর্যন্ত টম ব্রুসের ২৩ বলে অপরাজিত ৩৬ রানে ভর করে ১৯২ রানের বড় পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১১

চট্টগ্রামকে হারিয়ে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করল রংপুর
চলমান বিপিএলে হার দিয়ে আসর শুরু করেছিল রংপুর রাইডার্স। তবে আসরে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা জয় ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে সাকিবের দল। নিজেদের দশম ম্যাচে চট্টগ্রামকে ১৮ রানে হারিয়েছে রংপুর। এতে দশ ম্যাচ খেলে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে সাকিব-সোহানরা। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৮৮ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। এতে ১৮ রানের জয় নিয়ে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে রংপুর। অন্যদিকে এই ম্যাচ হেরে সুপার ফোরের সমীকরণ কঠিন করল চট্টগ্রাম। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন জশ ব্রাউন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সৈকত আলীও। ৭ বলে ৯ রান করেন তিনি। ১৬ বলে ১৩ রান ফিরে যান আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। পিটোরিয়াসের তৃতীয় শিকার হন তিনি। পঞ্চম উইকেটে শুভাগত হোমকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন টম ব্রুস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১৯ বলে ২১ রান করে শুভাগত আউট হলে, ২৪ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ব্রুস। ১৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন জিয়াউর রহমান। এরপর ব্যাট চালাতে থাকেন রোমারিও শেইফার্ড। শেষ ১৮ বলে চট্টগ্রামের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬২ রান। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন শেফার্ড। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ১৮তম ওভারে হাসান মাহমুদকে টানা তিন ছক্কা মেরে ২৩ রান তোলেন তিনি। শেষ ওভারে চট্টগ্রামের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান। কিন্তু প্রথম চার বলে দুটিতে রান তুলতে না পারায় ম্যাচ শেষ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। ৩০ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে জিতাতে পারেনি শেফার্ড। নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। এতে ১৮ রানের জয় পায় রংপুর। রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ডোয়েন পিটোরিয়াস। এ ছাড়াও শেখ মাহেদী দুটি এবং হাসান মাহমুদ এক উইকেট নেন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৫০ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। তবে দলের হাল ধরেন সাকিব। ব্যাট চালিয়ে ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী। ১৫ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যদিকে ৩৯ বলে ৬২ রান করে আউট হন সাকিব। শেষ পর্যন্ত হাসান মাহমুদের ২ বলে ৮ রান এবং শামীম হোসেনের ৯ বলে ১৭ রানে ভর করে ১৮৭ রানের বড় পুঁজি পায় রংপুর।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৯

অলিম্পিকে জায়গা নিশ্চিত ব্রাজিলের
হ্যাটট্রিক জয়ে প্যারিস অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। তৃতীয় ম্যাচের শুরুর দিকে পিছিয়ে পড়লেও ঠিকই জয় নিয়েছে মাঠে ছেড়েছে সেলেসাও যুবারা।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিলের যুবারা। তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে সেলেসাওরা। ‘এ’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই প্যারিস অলিম্পিকে যাচ্ছে র‍্যামন মেনেজেসের শিষ্যরা। আগের দুই জয়ে সেলেসাওদের পথটা সহজ থাকলেও ইকুয়েডরের জন্য এটাই ছিল শেষ সুযোগ। অলিম্পিক স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে তাদের সামনে জয়ের বিকল্প কোনো পথ খোলা ছিল না। এমন সমীকরণে ম্যাচের শুরুর দিকে কিছুটা নড়বড়েই ছিল ইকুয়েডরের তরুণরা। ম্যাচের শুরুর দিকে একপ্রকার খোলসবন্দি ছিল তারা। বিপরীতে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল সেলেসাওদের যুবারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। তবে আক্রমণ বিবেচনায় বেশ এগিয়ে ছিল ব্রাজিলই। ইকুয়েডরের গোলরক্ষক ভিলা লিওনের একক নৈপুণ্যে গোলবঞ্চিত থেকেছে সেলেসাওরা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। ক্লাভিয়ের মারকেডোর গোলে লিড নেয় তারা। তবে ঠিক ৬ মিনিট পরই সমতায় ফেরে ব্রাজিল। এন্ড্রিকের পাস থেকে দলকে সমতায় ফেরান মারলন গোমেস। এর মিনিট দশেক পরে জয়সূচক গোল পায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে গ্যাব্রিয়েল পিরানির গোলে অলিম্পিকে জায়গা নিশ্চিত করে ব্রাজিল। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ব্রাজিল। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ইকুয়েডরের ৭ পয়েন্ট। এ ছাড়া ৩ ম্যাচে স্বাগতিক ভেনিজুয়েলার ৫ পয়েন্ট। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয় পেলে তাদের পয়েন্ট হবে ৮। তাই পরের ম্যাচে সেলেসাওরা হারলেও তাদের বিপদের কোনো শঙ্কা নেই।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩

রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে : প্রধানমন্ত্রী 
বাংলাদেশ কাস্টমসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অর্থপাচার প্রতিরোধসহ রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পেশাগত দক্ষতা, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ও যৌক্তিক সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, মজবুত অর্থনীতির ভিত গঠন, অপবাণিজ্য রোধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অর্থপাচার প্রতিরোধসহ রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।’ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দিবসটির এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘মিলে নবীন-পুরনো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন’- সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে একাধারে সরকার গঠন করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়ে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির এই সংকটময় মুহূর্তেও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের সরকার সফল হয়েছে। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেলের স্বপ্ন জয় করেছি আমরা, মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছে দেশ।’ তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ অচিরেই সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের অক্সিজেন হলো রাজস্ব। ন্যায়ানুগভাবে রাজস্ব আহরণ করার লক্ষ্যে আধুনিক রাজস্বনীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল কাস্টমস সেবা, উন্নত তথ্য ভাণ্ডার নির্মাণ, ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদান, অংশীজনদের সঙ্গে আস্থা ও সহযোগী অংশীদারত্ব গঠনসহ উত্তম পেশাদারত্বের নানান উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কাস্টমস।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা জাতীয়করণের মাধ্যমে এসবের ওপর জনগণের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা গঠনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। ফলে দেশে রাজস্ব আদায়ের বহুমুখী খাত তৈরি হয় এবং সম্ভাবনা বাড়ে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিলো ৯১ মার্কিন ডলার। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে তা বাড়িয়ে ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। জাতির পিতার আমলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ অতিক্রম করে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে রাজস্ব সৈনিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’ প্রধানমন্ত্রী এসময় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৪ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।  সূত্র : বাসস
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়