• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অপবাদ দিয়ে স্কুলশিক্ষককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন
লক্ষ্মীপুরে মলমপার্টি অপবাদ দিয়ে ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলার্স স্কুলের শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই আটজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের লাহারকান্দি এলাকার মৃত লকিয়ত উল্যাহর ছেলে ও ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলার্স স্কুলের শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর আইয়ুব আলীর পুল এলাকায় তিনি ছোট ভাই মাসুদের বাড়িতে দাওয়াতে যান। ফেরার পথে পেঁচা সুমন, সাইমন হোসেন, অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন আলো, মমিন উল্যাহ ও সুমনসহ কয়েকজন আক্তার হোসেনকে মলম পার্টি অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এরপর তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে জনসম্মুখে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে শিক্ষককে বৈদ্যুতিক খুঁটিয়ে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মলম পার্টি বলে পেঁচা সুমন নামে এক যুবক লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি শিক্ষক আক্তারের পায়ে আঘাত করছেন। একইসঙ্গে সুমন বলছেন তোদের কারণে কত মাইনষে কাঁদে। এসময় শিক্ষক আক্তার আল্লাহকে ডেকে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। শিক্ষক আক্তারকে পেটাতে ব্যবহার করা লাঠিও ভেঙে কয়েকভাগ হয়ে যায়। শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু বলেন, ওই দিন আমার সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে তারা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে আমাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমি ওই বখাটেদের বিচার চাই। আক্তারের ভাই মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, আমার ভাইকে মলম পার্টি আখ্যা দিয়ে যারা নির্যাতন করেছে তারাই প্রকৃত মলম পার্টি। সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ বলেন, আক্তারের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে তার শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষকের ভাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৮

ছেলেদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ট্রাকের সামনে ঝাঁপ দিলেন বাবা
ঝালকাঠিতে ট্রাকের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মো. আলতাফ হোসেন মোল্লা (৬৫) নামের এক বাবা। ছেলেদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন। শনিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে জেলার নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে দপদপিয়ার জিরোপয়েন্ট থেকে জুড়কাঠি-মানপাশা সড়ক দিয়ে ভেকু মেশিন নিয়ে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। ট্রাকটি কুশঙ্গল ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় আসলে আলতাফ হোসেন মোল্লা নিজেই ট্রাকের সামনে ঝাঁপ দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।   প্রতিবেশীসূত্রে জানা গেছে, তিন ছেলে ও এক মেয়ের বাবা উপজেলার ফুলহরী গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার আচারণে ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতেও তাকে মারধর করা হয়। এ কারণেই নিজেই চলন্ত গাড়ির সামনে গিয়ে পড়েন।  নিহতের ছেলে বেল্লাল হোসেন বাবাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি গোসলের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে শুনি চলন্ত ট্রাকের সামনে নিজেই ঝাঁপ দিয়েছেন। সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন বলেন, আমি একটা স্কুলের অনুষ্ঠানে আছি। অনুষ্ঠান শেষ হলে তাদের বাড়িতে যাব। তবে শুনেছি ছেলেরা প্রায়ই ওই বৃদ্ধকে মারধর করতেন। ছেলেদের অত্যাচারে চলন্ত ট্রাকের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে এলাকার লোকজন বলাবলি করছে।  নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। ওই বৃদ্ধ মানসিকভারসম্যহীন বলেও জানিয়েছে তার পরিবার।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৯

যে কারণে কপালের টিপ সরিয়ে পরছেন তারা
সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নারীদের কপালের বাঁকা টিপের সেলফি। না, এটি কোনো ট্রেন্ড নয়। চলছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ‘Odd Dot Selfie’। বাঙালি নারীর সাজসজ্জায় টিপের ব্যবহার কারও অজানা নয়। নারীর চিরাচরিত এই টিপই এবার হয়ে উঠেছে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা #OddDotSelfie’ স্লোগানে চলছে এই অভিনব প্রতিবাদ যাতে সাড়া দিয়েছেন দেশখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সাররা।  সম্প্রতি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সেলফি পোস্ট করে এই প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। কপালের মাঝখান থেকে টিপ একটু সরিয়ে সেলফি তুলে #OddDotSelfie লিখে পোস্ট করেন নিজ নিজ ওয়ালে। তারা নারীদের আহ্বান জানান সেলফি ও হ্যাশট্যাগসহ প্রতিবাদে যোগ দিতে। এরপর এটি ছড়িয়ে যেতে থাকে সাধারণ মানুষের মাঝেও। ইনফ্লুয়েন্সার নাজিবা নওশিন বলেন, আমরা নারীরা মন ভালো থাকলে টিপ পরি। এটি আমাদের কালচার। কপালের সেই টিপ সরিয়ে দিয়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা এবার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী সারা যাকের বলেন, আমাদের দেশের নারীরা প্রতিদিন ঘরে বাইরে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে এটা নিয়ে কোনো প্রতিবাদই হচ্ছে না। সবাই মিলে সোচ্চার হওয়ার এখনই সময়। শুধু নিজের জন্য নয়, আশেপাশে কোনো নারীকে নির্যাতিত হতে দেখামাত্র প্রতিবাদ করা উচিত। পরিবারে নারীর প্রতি সহিংসতা যেমন বাড়ছে তেমনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে এই হয়রানির মাত্রা বেড়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। যেকোনো নির্যাতনের শিকার হলে নারীরা বেশির ভাগ সময় তা মুখ বুজে সহ্য করে নেন। কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা নারীরা মুখ খুললেই বন্ধ হবে। তাই আমি এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছি, জানান প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী নাট্যকর্মী ফৌজিয়া করিম অনু।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

মায়ের ওপর নির্যাতন করায় বাবাকে হত্যা
ঝালকাঠি মায়ের ওপর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবা খলিলুর রহমান হাওলাদারকে (৫৫) পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে ছেলে রমজান হাওলাদারের (১৭) বিরুদ্ধে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের বারানী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। জানা গেছে, রমজান হাওলাদার স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তিন দিন আগে তার খলিলুর রহমান তার মাকে স্ত্রীকে মারধর করেন। মাদ্রাসা থেকে ফিরে রমজান এ বিষয়ে জানতে পারে। এরপর শনিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে তার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রমজান তার বাবা খলিলুরকে পিটিয়ে আহত করে। পরে খলিলুরের ভাই আবদুল কাদের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুরাদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নলছিটিতে পিতাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে রমজানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৮

জয়ার রিটে বন্ধ হলো হাতি নির্যাতন
হাতির সার্কাস, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‍্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদন কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। এবার এসব কাজে ব্যক্তি মালিকানায় লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাতির ওপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতা বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তি মালিকানা নতুন করে লাইসেন্স ও লাইসেন্স নবায়ন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অভিনেত্রী জয়া আহসান এ রিট দায়ের করেন। সেসময় আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, বাংলাদেশের ক্যাপটিভ হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ, হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানান কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এর মাঝে দুইবার বন ভবন ঘেরাও করেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা। এ সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উপযুক্ত জবাব আসেনি বিভাগটির পক্ষ থেকে। এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৩

হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধে হাইকোর্টে জয়া আহসানের রিট
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢালিউড-টালিউডে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়ানোর পর বলিউডেও বাজিমাত করেছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রাণীদের প্রতি তার ভালোবাসা চোখে পড়ার মতন। মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখে হাতিকে সার্কাসে ব্যবহার, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন এবং বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‍্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদনের কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রোববার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, বাংলাদেশের ক্যাপটিভ হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ, হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এর মাঝে দুইবার বন ভবন ঘেরাও করেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা। এ সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উপযুক্ত জবাব আসেনি বিভাগটির পক্ষ থেকে। এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য হাতিরা প্রায়শই নিজের ভেতরে থাকা ক্ষোভ ও যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ফলশ্রুতিতে লোকালয়ে তাণ্ডব ঘটিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকেরই প্রাণহানি ঘটিয়েছে। কতিপয় অসৎ ব্যক্তির অনৈতিক ব্যবসা ও বেআইনি চাঁদা বাণিজ্যকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে জনগণের জানমালের এ ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী হিসেবে এশিয়ান হাতি বর্তমানে মহাবিপদাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই হাতিকে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি মালিকানায় সার্কাসের কাজে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে প্রশ্নবিদ্ধ। সার্কাস ও চাঁদাবাজিতে বাধ্য করতে শৈশব থেকেই মা হাতির কাছ থেকে শাবককে ছাড়িয়ে নিয়ে নির্মম অত্যাচারের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। হাতির মাহুত চাঁদাবাজির সময় একটি ধাতব হুক হাতে নিয়ে বসে থাকে। যা দিয়ে সে হাতির শরীরের বিভিন্ন দুর্বল স্থানে আঘাত করে, চাঁদাবাজিসহ মানুষের ওপর চড়াও হতে বাধ্য করে। এই প্রক্রিয়াটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এবং প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ এর পরিপন্থি। আর এ কারণে হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধ, বিনোদনের কাজে এই মহা বিপদাপন্ন প্রাণীর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি বন্ধ করতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন রিটকারীরা। এর আগেও রাজধানীতে কুকুর অপসারণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন জয়া আহসান।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৭

জাবিতে যৌন নির্যাতনবিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে যৌন নির্যাতন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির উদ্যোগে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ, লোকপ্রশাসন বিভাগ এবং ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জেবউননেছা। তিনি বলেন, শুধু মেয়েরাই যে হেনস্তার শিকার হয় তা না ছেলেরাও এর স্বীকার হতে পারে। তাই এ বিষয়গুলো সবারই জানা জরুরি। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই বছরে ১৩টি অভিযোগ পেয়েছি এবং ১৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সভায় অভিযোগ কমিটির সদস্য ও আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাস বলেন, আমরা চাচ্ছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টুডেন্ট এ সেবার আওতায় আসুক। আমরা সবসময় এ অভিযোগগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করে থাকি, যখন এ বিচার কার্যক্রম শেষ হয় তখন কে অপরাধী এটা সবাই জানতে পারে কিন্তু কে বা কারা এ অভিযোগ করেছে এটা কেউ জানতে পারে না। আর এই সেক্সুয়াল হয়রানি যে শুধু বিপরীত জেন্ডার থেকে আসতে পারে তা কিন্তু নয় এটা একই জেন্ডার থেকেও আসতে পারে, সহপাঠী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকেও আসতে পারে। সভায় যৌননির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সদস্য ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুরশেদা বেগম এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ইশিতা আখতার বক্তব্য রাখেন। যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সদস্য সচিব মাহতাব-উজ-জাহিদ জানান, ২০১০ সালের ১০ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই যৌন নির্যাতন অভিযোগ গ্রহণ, নিষ্পত্তি ও শাস্তির সুপারিশ করে আসছে এ কমিটি। এ পর্যন্ত মোট ৩০টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ২৮ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে, একটি রিপোর্ট সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, অন্য আরেকটির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, এখন রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৪

‘শিশু নির্যাতনের ৭৬ শতাংশ ঘটনাই যৌন নিপীড়ন’
ঢাকায় যত শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তার মধ্যে প্রায় ৭৬ শতাংশই যৌন নির্যাতন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশুর বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর। এদের একটি বড় অংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও নানান কারণে পুলিশের সহায়তা চায় না। ‘শিশু যৌন নির্যাতন : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে দায়েরকৃত মামলার ওপর একটি গবেষণা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটির জন্য ঢাকার অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজের ১০০ শিক্ষার্থী এবং ৫০ পথশিশুর ওপর জরিপ চালিয়েছে ডিএমপি। একইসঙ্গে ২৫টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া শিশুদের ৯০ জন অর্থাৎ ৬০ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ শতাংশ মানসিক, ৩ শতাংশ শারীরিক এবং ৭৬ শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নির্যাতনের শিকার এসব শিশুরা পরে খাবারে অরুচি, নিদ্রাহীনতা, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে না পারা, হতাশা, দুশ্চিন্তা, লজ্জা ও ভয়ের মতো মানসিক সমস্যায় ভোগে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের গত চার বছরের (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টম্বর) মামলা থেকে নির্যাতনের ২৫টি ঘটনার অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে ১৪ থেকে ১৬ বছরের শিশুরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই হার ৫৩ শতাংশের বেশি। ৩৯ শতাংশ শিশু অপরিচিত ব্যক্তির হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনেকে আবার পরিচিতজনদের মাধ্যমেও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। প্রায় ১২ শতাংশ শিশু চাচা–মামার মাধ্যমে, ৬ শতাংশ চাচাতো–মামাতো ভাইয়ের মাধ্যমে, ৯ শতাংশ দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে এবং ৪ শতাংশের বেশি শিশু বন্ধুর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের মাত্র ৩৪ শতাংশ থানায় গেছে। বাকি ৬৬ শতাংশ পুলিশের সহায়তা চায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাক্ষীর অভাব, অপর্যাপ্ত প্রমাণ, মেডিকেল প্রতিবেদন তৈরিতে দেরি ধর্ষণ মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিচারব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতিও ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট বাধা। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক।  তিনি বলেন, শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনুকূল পরিবেশে পরিপূর্ণ সম্ভাবনা নিয়ে একটি শিশুর বেড়ে ওঠা ও বেঁচে থাকার সুযোগ সমাজ ও রাষ্ট্রকে দিতে হবে। পারিবারিকমণ্ডলে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিশু কার সঙ্গে মেশে ও চাকরিজীবী মা-বাবারা কার কাছে সন্তান রেখে যান, সেদিকে নজর দিতে হবে। শিশুর সঙ্গে মা-বাবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে হবে, যাতে তারা যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে সংকোচবোধ না করে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়