• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা ডব্লিউএফপি নির্বাহী পরিচালকের 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গত ১৫ বছরে অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মাধ্যমে স্কুল থেকে ঝরে পড়া হ্রাস এবং জলবায়ু বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা তৈরিতে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।  গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউএফপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।   এসময় ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামকে লেটার অব কমিশন উপস্থাপনকালে ডব্লিউএফপিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেন ডব্লিউএফপি প্রধান। এছাড়া তিনি মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিধন ও গণহত্যার কারণে মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মনিরুল ইসলাম কমিশন গ্রহণ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার উপলব্ধি বিনিময়ের জন্য ম্যাককেইনকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কার্যক্রম বহুমাত্রিক, দীর্ঘস্থায়ী ও অত্যন্ত কার্যকর উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ডব্লিউএফপি প্রধানকে বাংলাদেশের স্কুল ফিডিং এবং রাইস ফর্টিফিকেশন প্রোগ্রামে আর্থিক ও পরিচালনাগত উভয় অবদান সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ডব্লিউএফপির অভূতপূর্ব সমর্থন ও ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, আশ্বাসযুক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে নির্বাহী বোর্ডের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত ২০২২-২০২৬ মেয়াদে বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান (সিএসপি) অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সিএসপি বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউএফপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ২০৩০ সালের এজেন্ডা বাস্তবায়নে, বিশেষ করে এসডিজি-২ বাস্তবায়নে 'বিশ্বব্যাপী জীবন বাঁচানো ও পরিবর্তন করা'র ওপর নিবিড়ভাবে জোর দিয়ে বাংলাদেশ ও ডব্লিউএফপি উভয়ের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৬

রাবিতে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের সস্ত্রীক বিচার দাবি
গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিচারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনে ‘প্রীতি হত্যার বিচার চাই’, ‘শিশুশ্রম বন্ধ কর’, ‘জাস্টিস ফর প্রীতি উরাং’, ‘ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর বিচার চাইসহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান।  মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহবায়ক ফুয়াদুল ইসলাম রাতুল বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। অনেক নির্যাতনের ঘটনা আমাদের অন্তরালেই থেকে যায়। অর্থ ও সমোঝোতার মাধ্যমে নির্যাতনকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। আমাদের দেশের শিশুরা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়না। প্রীতি ওরাংকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা খুনি আশফাকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি এবং প্রীতি ওরাং এর মতো শিশুরা যাতে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ পায় সেই দাবি জানাই। নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক দ্বারা শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা কিভাবে সম্ভব? তারা নিজেরাই যেখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে, তারা কেনো শিশু শ্রমিককে কাজে লাগাবে এবং তার মৃত্যুর কথা ধামাচাপা দিবে!  বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের সামাজিক বৈষম্য চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটি পরিবার তার সন্তানকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে তখনি কাজ করতে দেয়, যখন তার অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যায়। কোনো বাবা-মা চায়না তার সন্তান পড়াশোনা বাদ দিয়ে অন্যের ঘরে কাজ করুক। বাংলাদেশে সামাজিক অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করছে। আমাদের শিশুরা আজ উপযুক্ত শিক্ষা পাচ্ছে না। কি দোষ ছিলো শিশু বাচ্চা প্রীতি ওরাং এর, তাকে কেন হত্যা করা হলো? প্রীতি ওরাং হত্যার দ্রুত বিচার করে খুনি আশফাককে আইনের আওতায় আনতে হবে। মানববন্ধনে রাবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা শামীম ত্রিপুরাসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৩

প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারপারসন করে একনেক পুনর্গঠন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চেয়ারপারসন এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে বিকল্প চেয়ারপারসন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পুনর্গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) এ কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গঠন করেছে।  ১৫ সদস্যের কমিটির কার্যপরিধি মোট সাতটি বিষয়ে বিভক্ত। এগুলো হলো সব বিনিয়োগ প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) বিবেচনা ও অনুমোদন, সরকারি খাতে ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে মোট বিনিয়োগ ব্যয় সংবলিত প্রকল্পগুলোর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার সুপারিশ বিবেচনা ও অনুমোদন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা, বেসরকারি উদ্যোগ, যৌথ উদ্যোগ অথবা অংশগ্রহণমূলক বিনিয়োগ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিবেচনা, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবীক্ষণ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারণী বিষয়সমূহ পর্যালোচনা ও বৈদেশিক সহায়তার বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনা ও অনুমোদন এবং এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কমিটির বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে সরকার সকল বিনিয়োগ প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে চায়। কমিটির মাধ্যমে সরকার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও নীতিনির্ধারণী বিষয়সমূহ পর্যালোচনা করতে পারবে। এ ছাড়াও কমিটির মাধ্যমে সরকার বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে পারবে। এছাড়া অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে আহ্বায়ক করে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে প্রধান করে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে সুনামগঞ্জ জেলায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদন করায় সুনামগঞ্জ জেলায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব নির্বাচিত করা হয়েছে। জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। আরও পড়ুন : ইতিহাসে আজকের এই দিনে   জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অসামান্য অবদান রাখায় জেলায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা। একই সঙ্গে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন একই উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন ও শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব নির্বাচিত হয়েছেন এই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অজিত কুমার রায়। আরও পড়ুন : ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ   সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, একই উপজেলার শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব জেলায় শ্রেষ্ঠ হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সম্মান জানানো হবে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়