• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে জিনপিংকে নিষেধ করলেন বাইডেন
তাইওয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। সান ফ্রান্সিসকোতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন একথা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শি-এর উদ্দেশে বলেন, আমি আশা করছি তাইওয়ানের নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করবে না। খুব দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সামরিক যোগাযোগ আবারও শুরু হবে। বাইডেন বলেন, ভুল-বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই আমরা আবারও সরাসরি যোগাযোগ শুরু করতে যাচ্ছি। তাইওয়ান ইস্যুতে শি-এর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বাইডেন বলেন, শিয়ের সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাইওয়ানের সঙ্গে বর্তমানে যে সম্পর্ক রয়েছে তা পরিবর্তনের ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের।  তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সংঘাত নিয়েও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা হয়েছে। যেসব অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে চীনের প্রেসিডেন্টকে আবারও স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত করেন বাইডেন বলেন, দেখুন, তিনি এমন একটি দেশ পরিচালনা করেন যা একটি কমিউনিস্ট দেশ। ওই দেশের সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই অর্থে তিনি একজন স্বৈরশাসক।   
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৯

‘উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্বে অবহেলা করলে বরখাস্ত’
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ করতে দায়িত্বরতদের ভূমিকা রাখতে হবে।  এক্ষেত্রে কারও বিরুদ্ধে দায়িত্বের অবহেলার অভিযোগ উঠলে বরখাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।  ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়েছে তার নিচে আমরা আর নামতে চাই না, বরং আরও ওপরে উঠতে চাই। আমাদের লক্ষ্য দেশে সব সময়ের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। এ ক্ষেত্রে সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।  এ সময় সভায় রাজশাহী বিভাগের জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৬

উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে ইসির নির্দেশনা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের জন্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। নির্দেশনাগুলো হলো-  (ক) কমিশন ভোটগ্রহণের তারিখের অন্যূন ১৫ দিন পূর্বে উক্ত চূড়ান্ত তালিকা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যে সকল এলাকার ভোটারগণ ভোটদান করবেন সেসব এলাকার নামও চূড়ান্ত তালিকায় উল্লেখ করতে হবে; তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরও, বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিশন যে কোনো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে। (খ) রিটার্নিং অফিসার প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটকেন্দ্রের ব্যবস্থা করবেন। (গ) সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয় এ রূপ স্থানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে না। (ঘ) পুরুষ ও নারী ভোটাররা যাতে পৃথকভাবে ভোট প্রদান করতে পারেন তার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট কক্ষের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং প্রতিটি ভোট কক্ষে ভোট চিহ্ন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্থান রাখতে হবে। (ঙ) কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না। (চ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের পর কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়ে থাকলে কমিশন তা পরিবর্তন করতে পারবে। (ছ) প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ভোট কক্ষে ভোট চিহ্ন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গোপন কক্ষ থাকবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি। মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮ মে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল।  নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক। মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। 
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫২

উপজেলা নির্বাচনে আপিল নিষ্পত্তি করবেন ডিসিরা
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসাররা। এ নির্বাচনে জেলা প্রশাসককে আপিল কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ-পড়া প্রার্থীদের ডিসিদের কাছে আবেদন করতে হবে।  নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আপিল শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসককে আপিল শুনানি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।  এর আগে ইসি জানায়, চার ধাপে দেশের ৬ বিভাগের ৩৪৪টি উপজেলার নির্বাচন হবে। ইসি ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রথম ধাপে ১০৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ১২১টি তৃতীয় ধাপে ৭৭টি ও চতুর্থ ধাপে ৩৮টি উপজেলায় ভোট হবে। এরমধ্যে প্রথম ধাপে আগামী ৪ মে রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়ার সারিয়াকান্দা, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁর ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোরের নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর ও বেলকুচি; পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া। রংপুর অঞ্চল : পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোরিয়া; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর; নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রামের রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি। খুলনা অঞ্চল : মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়ার খোকসা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা; ঝিনাইদহের ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ; যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর; মাগুরার মাগুরা সদর ও শ্রীপুর; নড়াইলের কালিয়া; বাগেরহাটের বাগেরহাট সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর। বরিশাল অঞ্চল : বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া। ঢাকা অঞ্চল : ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া; নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর; গাজীপুরের গাজীপুর সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, মধুখালী ও ফরিদপুর সদর; মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শিবচর ও রাজৈর; শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ; নরসিংদীর নরসিংদী সদর ও পলাশ; টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সিগঞ্জের মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া। ময়মনসিংহ অঞ্চল : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুরের জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ী; শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ মে রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি; বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি ও কাহালু; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ; নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর; রাজশাহীর পুঠিয়া, বাগমারা ও দুর্গাপুর; নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া; সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও তাড়াশ; পাবনার চাটমোহর, ভাংগুড়া ও ফরিদপুর। রংপুর অঞ্চল : পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ; ঠাকুরগাঁও সদর ও রাণীশংকৈল; নীলফামারীর সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা; দিনাজপুরের বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ ও বোচাগঞ্জ; লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও আদিতমারী; রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ; কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও কুড়িগ্রাম সদর; গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও গাইবান্ধা সদর। খুলনা অঞ্চল : মেহেরপুরের গাংনী; কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুর; চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা; ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড ও শৈলকুপা; যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শা; মাগুরার শালিখা ও মহম্মদপুর; নড়াইলের নড়াইল সদর ও লোহাগড়া; বাগেরহাটের ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী; খুলনার তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা; সাতক্ষীরার তালা, দেবহাটা ও আশাশুনি। বরিশাল অঞ্চল : বরিশালের বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারিপাড়া; পটুয়াখালীর দশমিনা, গলাচিপা ও বাউফল; পিরোজপুরের কাউখালী ও নেছারাবাদ; ভোলার বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর ও দৌলতখান; ঝালকাঠির ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি; বরগুনার বেতাগী ও বরগুনা সদর। ঢাকা অঞ্চল : ঢাকার সাভার ও ধামরাই; গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার; গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর; রাজবাড়ীর রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দি; মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর; ফরিদপুরের নগরবান্দা ও সালথা; মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার; শরীয়তপুরের শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা; নরসিংদীর বেলাবো ও মনোহরদী; টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, কালিহাতি ও ঘাটাইল; মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী; কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, নিকলী ও অষ্টগ্রাম। ময়মনসিংহ অঞ্চল : ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা ও গৌরীপুর; জামালপুরের বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর; শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও নকলা; নেত্রকোনার নেত্রকোনা সদর, পূর্বধলা ও বারহাট্টা। তৃতীয় ধাপে আগামী ১৮ মে রাজশাহী অঞ্চলের- বগুড়ার বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ; নওগাঁর আত্রাই ও রাণীনগর; রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর; নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম; সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও চৌহালী; পাবনার পাবনা সদর, আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী। রংপুর অঞ্চল : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ; নীলফামারীর নীলফামারী সদর, দিনাজপুরের দিনাজপুর সদর, খানসামা, চিরিরবন্দর; লালমনিরহাটের লালমনিরহাট সদর; রংপুরের রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া; কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী; গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ। খুলনা অঞ্চল : যশোরের যশোর সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া; বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; সাতক্ষীরার কলারোয়া ও সাতক্ষীরা সদর। বরিশাল অঞ্চল : বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা। ঢাকা অঞ্চল : মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া; ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা ও গোসাইরহাট; নরসিংদীর শিবপুর ও রায়পুরা; টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর; মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও শ্রীনগর; কিশোরগঞ্জের ইটনা, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও মিঠামইন। ময়মনসিংহ অঞ্চল : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ঈশ্বরগঞ্জ ও ত্রিশাল; জামালপুরের মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ; নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী। চতুর্থ ধাপে আগামী ২৫ মে রাজশাহী অঞ্চলের- বগুড়ার নন্দীগ্রাম, শেরপুর ও ধুনট; নওগাঁর নওগাঁ সদর ও মান্দা; রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা; সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ও রায়গঞ্জ। রংপুর অঞ্চল- দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ; রংপুরের তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ। খুলনা অঞ্চল- খুলনার রূপসা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা। বরিশাল অঞ্চল- বরিশালের মুলাদী ও হিজলা; পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী; ভোলার মনপুরা ও চরফ্যাশন; বরগুনার আমতলী ও তালতলী। ঢাকা অঞ্চল- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী; টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, বাসাইল ও সখীপুর; কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরব। ময়মনসিংহ অঞ্চল- ভালুকা, গফরগাঁও ও নান্দাইল এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলা।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের তপসিল ঘোষণা আজ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের তপসিল নির্ধারণ করতে সভায় বসতে যাচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।   বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় এ সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভার পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের তপসিল ঘোষণা করা হতে পারে। বুধবার (২০ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বৃহস্পতিবার কমিশন সভা আছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা গেজেট হয়ে গেছে। অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিধিমালায় ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরের বিষয়টি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রার্থীদের জন্য উপজেলা ভোট করতে সহজ হবে। সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের বিষয়টি বাদ দিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) কোনো পরিবর্তন করবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংশোধিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা-২০১৩ এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। 
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৭

যে কারণে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি, জানালেন রওশন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা, দল পরিচালনায় অনঅভিজ্ঞতা ও ভুল পদক্ষেপের কারণে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রওশন এরশাদ বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনের যে প্রভাব পার্টির ওপর পড়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টিকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এখন দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চলমান রাখতে সুসংগঠিত জাতীয় পার্টির একান্ত প্রয়োজন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এরশাদের জন্মদিনের শুভ মুহূর্তে- যারা একদিন তাকে ভালোবেসেছিলেন- তাদের সবার প্রতি আহবান- আসুন আমরা আবার জাতীয় পার্টির এক পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হই, পল্লীবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করি। রওশন বলেন, আমার কারও প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ নেই। পার্টির যারা দশম কাউন্সিলের বাইরে ছিলেন তারাও ফিরে আসুন জাতীয় পার্টির সঙ্গে। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টিকে জাতির সামনে উপহার দিতে চাই।
২০ মার্চ ২০২৪, ২০:১৩

উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সই লাগবে না ভোটারের, বাড়ল জামানত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী মে মাসে হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধিমালায় কিছু সংশোধন এনেছে। একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক সইসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধানও বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এসব সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে সংস্থাটি। আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর বাইরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।  সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিল প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ। এ ছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। বিধিতে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পস্ট করা হয়েছে। আগামী মে মাসে ৪ ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে ভোট হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৯

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও ‘বিপুল ভোটে’ জয়ী পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এবারের নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে তার পক্ষে। স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) বুথ ফেরত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। টানা তিন দিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষে তিনি রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।   রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের এত ভোট পাওয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী যুগে এটি রেকর্ড। এতে করে ৭১ বছর বয়সী রাশিয়ার এই নেতার আরও ছয় বছর ক্ষমতায় থাকা পাকাপোক্ত হল। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন।  এবারের ভোটে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা পরিচিত মুখ না হওয়ায় তারা ভোটের লড়াইয়ে ভালো করতে পারবেন না তা আগে থেকেই অনুমিত ছিল। ভোটের দিন দেশটির বিভিন্ন অংশে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেও তার অন্য তিন প্রতিযোগীর কারও ভোটের হার দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছেনি। তারা কেউ ৪ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) শুরু হওয়া ভোটের প্রাথমিক ফলাফল রোববার (১৭ মার্চ) প্রকাশ করা হয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার বরাতেও পুতিন বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে পুতিন ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হন। এতে করে ২০০ বছরের মধ্যে পুতিন রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নেতা হতে যাচ্ছেন। এরমধ্যে দিয়ে জোসেফ স্ট্যালিনকেও ছাড়িয়ে যাবেন। ভোটের শেষ দিনের পুতিনবিরোধী বিক্ষোভে ঠিক কত মানুষ উপস্থিত হয়েছিল তা ধারণা করতে পারেনি কারাগারে আলেক্সি নাভালনির রহস্যমৃত্যু নিয়ে সমালোচনার ঝড় এবং ইউক্রেইন যুদ্ধে রুশ সেনা নিহতের তালিকা দীর্ঘ হওয়া নিয়ে দেশের ভেতরে দানা বাঁধতে থাকা ক্ষোভের মধ্যেও নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের জয় একরকম নিশ্চিতই ছিল। কারণ, নির্বাচনে পুতিনের কোনও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আরও ছয় বছরের জন্য সুসংহত হবে তার ক্ষমতা।  টানা দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য ২০২১ সালেই আইন পরিবর্তন করেছিলেন পুতিন। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকছেন তিনি। এদিকে পুতিনের জয়ের সমালোচনা করেছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। এই নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছে জার্মানি। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পুতিন তার রাজনৈতিক বিরোধীদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছেন, আর অন্যদের তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়াতে বাধা দিয়েছেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৭

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে : মার্কিন দুই সংস্থা
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর তুলনায় সহিংসতা কম হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম)। রোববার (১৭ মার্চ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, চলাকালীন ও পরে সম্ভাব্য নির্বাচনী সহিংসতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে প্রেরণ করা মার্কিন দুই সংস্থা তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মিশন সদস্যরা অবগত হয়েছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময়কাল, প্রচারের সময়কাল, নির্বাচনের দিনসহ অন্যান্য সময়ে, পূর্ববর্তী নির্বাচন চক্রের তুলনায় শারীরিক এবং অনলাইন সহিংসতা কম হয়েছে। এটি হয়েছে প্রাথমিকভাবে দেশব্যাপী কার্যকর নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতির কারণে এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজর দেওয়ায়। তার পরও জানুয়ারির নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যেসব ঘটনার কারণে (এমন হয়েছে) তা হলো রাষ্ট্র, শাসক দল এবং বিরোধীদের সহিংসতা, সেই সঙ্গে একটি প্রাক-নির্বাচন পরিবেশ দ্বারা চিহ্নিত করা হয় শূন্য-সমষ্টির রাজনীতি, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহিংসতা, নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন, এবং বাক স্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার অবনতি।’ মিশনটি একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) অনুসরণ করে যা এনডিআই এবং আইআরআই গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালনা করেছিল।  এ প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে সহিংসতার ঝুঁকি প্রশমন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইআরআই ও এনডিআইয়ের তুলনামূলক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারের নির্বাহী ও আইন বিভাগ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের কাছে সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনডিআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ বলেন, ‘প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতে আরও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য একটি মূল্যবান রোডম্যাপ হিসেবে অবদান রাখবে। অহিংস রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নাগরিক সমাজসহ সামাজিক-রাজনৈতিক পরিমণ্ডল জুড়ে নেতাদের নির্বাচনী রাজনীতির নিয়ম, অনুশীলন এবং নিয়মগুলো সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে।’ আইআরআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি প্রধান প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশের নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক করতে হলে সব পক্ষকে অহিংস রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে।’ বাংলাদেশে অবস্থানকালে টিএএম-এর স্বীকৃত পাঁচজন দীর্ঘমেয়াদের বিশ্লেষক নির্বাচন ও সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মী, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ যুবক, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পিইএএম-এর পর্যবেক্ষণে কারিগরি মূল্যায়নের কাঠামো ও পরিধি সম্পর্কে অবহিত করা হয়, যা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে অনুমোদিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। উল্লেখ্য, আইআরআই এবং এনডিআই হলো নির্দলীয় বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে। ইনস্টিটিউটগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৭

‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন আছে বলেই নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি’
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এদেশের সব মানুষের অন্তরে আছে বলেই বিগত নির্বাচনে শক্তিধর রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রও সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাঙালি অস্তিত্বের উৎস বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, যে দলের জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, যে দলের অস্তিত্বের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধু, যে দলের উৎস হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর অসাম্প্রদায়িকতা, সেই দলকে কখনও ধ্বংস করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার এমনকি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অনুসারীদের হত্যা করলেও যে আদর্শ মানুষের অন্তরে আছে, সে আদর্শকে কখনই হত্যা করা যায় না। সেটির প্রমাণ হলো আজকে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, অর্থনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন টিকে আছে বলেই এখনও বাংলাদেশ টিকে আছে। এমনকি এ কারণে দেশে এখনও আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং অসাম্প্রদায়িকতা টিকে আছে। এরপর শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ টেনে ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের শিক্ষানীতি করার জন্য ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে কমিশন করেন বঙ্গবন্ধু। ড. কুদরত-ই-খুদা সেদিন যে শিক্ষানীতি দিয়েছিলেন যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং সেই শিক্ষানীতি যদি প্রয়োগ হতো তাহলে বাংলাদেশ আজকে যে অবস্থানে আছে তার বহু আগেই সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক যে স্থিতিশীলতা সেটি বাংলাদেশ অর্জন করতো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রেও সিঙ্গাপুরের যে অগ্রগতি, সেটি বহু আগেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র অর্জন করতো। কিন্তু ঘাতকরা সেটি হতে দেয়নি। ঘাতকরা চেয়েছে বাংলাদেশ হবে পাকিস্তানের মতো অনেকটা মৃত অকার্যকর রাষ্ট্রের মতো। সেই রাষ্ট্রের যে ধ্যান ধারণা ছিল সেই ধ্যান ধারণার মতো বাংলাদেশ চলবে। সেজন্যই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মীদের হত্যা করে এবং আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলকে হত্যা করার পাঁয়তারা করে। সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) হাফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়