• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১ : বরগুনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কারাগারে ৫
বরগুনার আমতলীতে চাঞ্চল্যকর হিরন গাজী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৬৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাছলিমা বেগম।  মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের আগে হিরন জানতে পারেন নয়ন মৃধা তার সমর্থকদের নিয়ে পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট কেনার জন্য টাকা বিতরণ করছেন। এই তথ্য জানার পরে তাদের বাধা দিতে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হিরন বের হন। তার সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন হিরনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।   শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে অটোরিকশা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ আরও ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বৃহস্পতিবার রাতে মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার নয়ন মৃধা, সন্দেহভাজন সোহাগ প্যাদা, মাহবুব, গোলাম কিবরিয়া ও মেহেদি নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, ‘মোর স্বামীরে আবুল বাশার নয়ন মৃধা তার ভাই এ জেড এম ছালেহ পান্নু মৃধা ও আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে। আমি এই খুনের কঠিন বিচার চাই।’ আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, হিরন গাজী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় প্রধান আসামি আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

বরগুনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, আটক ৩
বরগুনার আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী সহিংসতায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হিরন গাজী (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে হিরন গাজী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দীন মৃধার সমর্থক ছিলেন।   নিহত হিরন গাজীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। আমতলী থানা পুলিশ রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য হিরন গাজীর মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।   এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার মৃধা বলেন, বুধবার রাতে আমার কর্মীরা পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে গণসংযোগ করার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী নয়ন মৃধার নেতৃত্বে পান্নু মৃধা, সোহাগ প্যাদাসহ ৭-৮ জন আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে হিরন গাজী নামের আমার এক কর্মী নিহত হন। আমি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় বুধবার রাতে হিরন গাজী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাতেই লাশ উদ্ধার করে আজ সকালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। হিরন গাজী এলাকায় একজন চিহ্নিত অপরাধী ছিলেন।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৪

নির্বাচনী সংস্কৃতির চিরন্তন পাঠটি সুখকর না
বাংলাদেশে নির্বাচন একটি মজার ও ভয়ানক বিষয়; অনেকক্ষেত্রে তা উৎসবেরও। দেশের ৫৩ বছরের কাঠামো প্রথম দুটি বিষয়ের জন্য দায়ী। তৃতীয় বিষয়টির জন্য বাঙালির যেকোনো কাজকে উৎসবে রূপান্তর করার প্রয়াস কারণ। এ দেশে নির্বাচন কোনো সময়েই সঠিক হবে ধরা যায় না। এর পেছনে নানা কারণ জড়িত। নির্বাচন যেকোনোভাবেই জিতে আসার মানসিকতা এ দেশের প্রায় সবার মাঝেই আছে। এ থেকেই নির্বাচন বিষয়টি ভয়ের সৃষ্টি করে। মানুষের মৃত্যুও হয় এ নির্বাচনকে ঘিরে। সব ছাপিয়ে নির্বাচন মানেই উৎসবের বিষয়। উৎসব খুব বেশি পায় না এ দেশের মানুষ। ফলে নির্বাচন অবশ্যই ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করে। এ থেকেই উৎসবের জন্ম।  উৎসব হওয়ার নানা কারণ আছে। যেকোনো নির্বাচনে এ দেশে প্রার্থীকে অনেক অর্থ খরচ করতে হয়। যদিও তা হওয়ার কথা ছিল না। তিনি দাঁড়িয়েছেন এ প্রচার সংশ্লিষ্ট সবাই অর্থাৎ ভোটারের কাছে পৌঁছালেই হতো। এ বার্তাটুকু পৌঁছার জন্য অঢেল অর্থ খরচ করতে হয় না। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। যেকোনো নির্বাচনে এ দেশে প্রার্থীকে একটি বড় অংকের অর্থ খরচ করতে হবে ধরে নিয়েই মাঠে নামেন তিনি। ফলে অর্থ চারপাশে বিলি করেন প্রার্থী। অনেকেই তা পান এবং দেদার খরচ করেন। অনৈতিক অর্থ খরচ হয় বলেই নিবাচন উৎসবের রূপ নেয়। ভোট কেনাবেচাও হয়। ফলে একটি উৎসব ভাব বিরাজ করে।    আরেকটি বিষয় আমাদের দেশে নির্বাচনে প্রভাব ফেলে। আপনার অবশ্যই পেশিশক্তি থাকতে হবে। অর্থাৎ নির্বাচন ‘সুষ্ঠুভাবে’ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল থাকতে হবে। না হয় যত যোগ্য ও সৎই হন না কেন নির্বাচনের ফলাফল আপনার পক্ষে আসবে না। নির্বাচনে আরেকটি বিষয় কাজ করে কেন্দ্র দখল করে ফেলা। পরে একের পর এক ব্যালট পেপারে সিল মারা।  শুরুর প্রসঙ্গে ফেরা যেতে পারে। নির্বাচন মজার এসব নিয়েই। যেকোনো নির্বাচনে যতজন প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন; তাদের মাঝে একজন ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে ভোট দিবেন এই তো সহজ ও সাধারণ বিষয়। কিন্তু এসবের মাঝে অনেক বিচ্যুতি ও অনিয়ম ঢুকে পড়ার ফলে পুরো বিষয়টির মজার মানে হাসি-তামাশার হয়ে দাঁড়ায়। শুধুই সৎ কিংবা যোগ্য হয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারবেন না আপনি। তার জন্য অনেককিছু লাগবে। এসবের কারণেই নির্বাচন হয়ে দাঁড়ায় ভয়ের। আর খুব বেশি অর্থের ওড়াউড়ি ওই সময়টাই হয় বলে তা উৎসবের আমেজ পায়। আর তা যদি স্বাভাবিক রূপ পেত তবু উৎসব হতো। পরের উৎসবটি সুস্থ হতো। একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একজন সৎ ও যোগ্য প্রতিনিধি মিলবে। তিনি যে শাখার প্রতিনিধি হয়েছেন সে শাখাটিতে ক্রমশ নিজের কারিশমা দেখাবেন; এ ভিন্ন উৎসব। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় অন্য উৎসব। অঢেল অর্থ ওড়ে নির্বাচনে। তরুণ-যুবকরা পরিবার ছাড়াও ভিন্নভাবে অর্থ পান। যা খরচ করতে কখনোই তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। ফলে তাদের অন্যায় পথে পা বাড়াতে দেখা যায়। আর এমন নির্বাচনের ফসল একজন অযোগ্য প্রতিনিধি যিনি যেকোনোভাবে পাস করেছেন; অন্যায়ভাবে এর সুবিধা নেবেন বলে। আমাদের দেশে চারপাশে এমন নির্বাচন দেখছি কিনা? নির্দিষ্ট করে কোনো নির্বাচনকে ইঙ্গিত না করে পাঠকের দৃষ্ঠিকে একটু গভীরে নেওয়ার অনুরোধ করছি। চারপাশের অসংখ্য নির্বাচন এমন উদাহরণ সৃষ্টি করছে কিনা?  একটু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে কিছু চিত্র তুলে ধরব। তাতে নির্বাচনের বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু পাঠ পাওয়া যেতে পারে। আমার জন্ম একটি গ্রামে। সেখানেই কেটেছে আমার বালকবেলা-কৈশোরকাল। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাড়ার ‘মেম্বার’ প্রার্থীর জন্য মিছিল করেছি। মিছিল যত বড় তার জনপ্রিয়তা তত বেশি এমন ভাবনা ভোটারের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া ছিল উদ্দেশ্য। তার সুফল বাংলাদেশে সব নির্বাচনেই মেলে। ঘুরেফিরে নির্বাচন মানেই ‘শোডাউনের’ বিষয়। নির্বাচনকালীন প্রার্থীর বাড়িতে সারাক্ষণ খাবার ও চায়ের ব্যবস্থা থাকত। প্রার্থীর হয়ে ‘মাইকিংয়ের’ শব্দে মুখর থাকত এলাকা। রাতে বাড়ি বাড়ি পোস্টার সাটানো হতো। এ পোস্টার পাওয়ার জন্য প্রার্থীর বাড়িতেও যেতাম। পোস্টারের উপর পোস্টার সাটানোয় জগড়া লাগতেও দেখেছি। বড় ভাইয়ের কল্যাণে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীর নানা উপহার সরঞ্জাম বাড়িতে আসত। তার মাঝে থাকত অনেককিছু।  বাবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় ওই সময়টিতে বিভিন্ন নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার হতেন। তিনিই কেন্দ্রের প্রধান। তার জন্য উৎকণ্ঠাও হতো। অনোচনীয় কালি পেতাম তার জন্য। নিজেও সাহস নিয়ে নানা নির্বাচনী কেন্দ্রে ঢু মারতাম বালক হয়েও। দেখেছি কেন্দ্র দখল। অসংখ্য যুবক হন্যে হয়ে ব্যালটের পর ব্যালট সিল মারতে দেখেছি। তখন অনেকের উৎকণ্ঠা দেখেছি এই বুঝি ম্যাজিস্ট্রেট আসল, এই বুঝি সেনাবাহিনী আসল। গোলযোগ হলে তাদেরকেই ভয় পেত সংশ্লিষ্টরা।  আমার আপন বড় কাকা দুটি সংসদ নির্বাচন করেছেন। এ থেকেও নির্বাচনের বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক বেশি ধারণা জন্মেছে। মাকে দেখেছি মানুষের সেবা-যত্ন করতে। বাবা ‘নির্বাচনী খরচ’ চারপাশে বিলাতেন। সৎ হওয়ার পরও তাকে এটি করতে হতো; অনিচ্ছা সত্বেও। এমনও দেখেছি যিনি প্রতিদিন আমাাদের কাছ থেকে নির্বাচনী খরচ নিতেন তিনিই কিনা অন্য প্রার্থীর হয়ে গেছেন ভোটের সকালে।  একটি সংসদ নির্বাচনে ভোটের সকালে কেন্দ্রে পোস্টার লাগাতে গেছি। পুরো কেন্দ্র পোস্টারে ছেয়ে আছে এর মাঝেই একজন পুলিশ বললেন এখানে পোস্টার লাগানো যাবে না। বালক আমার মেজাজ চরম বিগড়ে উঠল। বললাম সব পোস্টার আগে তুলেন; তারপর না হয় লাগাব না। তিনি অন্য একজনের কাছে আমার পরিচয় জানলেন। পাবিারিক পরিচয় পেয়ে বুঝলেন এ সহজ বালক না।  তখন আমার বয়স পাঁচ কি ছয়। সবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। গ্রামীণ কিশোর পুলিশ দেখলেই ভয় পাওয়ার কথা। নির্বাচন মানেই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পুলিশ আসবে। সচরাচর ওই সময়টি মানে আশির দশকে গ্রামে পুলিশ মানেই ভয়ের কিছু। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরছি। নির্বাচন মানেই স্কুল বন্ধ। খোলা থাকবে কীভাবে স্কুলই যে কেন্দ্র। তো কাজহীন আমি আর কী করতে পারি? আর এ দিনে অন্য কিছু করাতে অ্যাডভেঞ্চার কই? নির্বাচনই তো বেশি অ্যাডভেঞ্চারের বিষয়। এই বুঝি মারামারি লেগে গেল। বালকের কাছে মারামারির চেয়ে বেশি অ্যাডভেঞ্চার আর কী হতে পারে? তো ঘুরছি; এমন সময় কেন্দ্রে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য আমাকে ডাকলেন। আবারো বলছি আমার বয়স পাঁচ কি ছয়। পুলিশ ডাকলে ভয়ে দৌড়ে পালানোর কথা। আমি এগিয়ে গেলাম। সঙ্গিরা ভাবলেন এই বুঝি ‘থাবড়া’ খাব। তিনি আমাকে বাবার নাম জিজ্ঞেস করলেন। জানালেন তিনি বাবার ছাত্র। আমাকে আদর করে সত্যিকার বুলেট দেখালেন। আমি শিউড়ে উঠলাম। শেষে বললেন- স্যারকে সালাম দিবা। আমি তোমাদের বাসায় এসে পড়েছি। আমাকে কিছু টাকা দিলেন। আমি তৎক্ষণাত তা দিয়ে লোভনীয় খাবার কিনে ফেললাম। এমন অসংখ্য সুখ-দুঃখের স্মৃতি আছে নির্বাচন নিয়ে।  একটি দুঃখের স্মৃতি বলতে পারি। অজ পাড়াগাঁয়ে যেকোনো একটি নির্বাচনে বাবা গেছেন প্রিসাইডিং অফিসার হয়ে। ভোট শেষে ব্যালট বক্স নিয়ে ফিরছেন। অল্প পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকায় বা তাদের গাফিলতিতে বাবার হাতে ব্যালট বক্সের একটি ছিল। ছাত্র পরিচয় দিয়ে এক যুবক এসে বললেন স্যার এটি আমাকে দিন। আপনি কেন কষ্ট করবেন। বলে রাখা ভালো আমার বাবা এখনো বদ্ধমূল বিশ্বাস নিয়ে আছেন কোনো ছাত্র তার ক্ষতি কোনোকালে করতে পারে না। তার বিশ্বাস ঠিকই আছে। ওই যুবকটি ছাত্রের ভান ধরেছে। ফলাফল বাক্সসহ সে উধাও। এবং বাবাকে নিয়মরক্ষার খাতিরে একরাত থানায় থাকতে হয়েছে। খুব ছোটবেলায় কিছু না বুঝলেও এটুকু বুঝেছি কোথাও কোনো সমস্যা হয়েছে। পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন। এবং দিনের আলো ফোটায় তিনি বাড়িতে আসলেন। তাকে স্বর্ণ-রূপার পানিতে গোছল করানোর পরে ঘরে ঢুকানো হলো।  আরেকটি ক্ষুদ্র কষ্টের কথা। বাবার ব্যাগে থাকা নির্বাচনের অমোচনীয় কালি হাতে মাখলে উপকার পাব এমনটি জানালেন আপন চাচাত এক বড় ভাই। আমি তাই করলাম। পাঠক বাকি কষ্টটা ধরার চেষ্টা করুন।  এখন এই একবিংশ শতাব্দীতে বাড়ির বাইরে থাকি। রাজধানীতে থেকে নির্বাচন খুব বেশি টানে না। নির্বাচনে অন্য অনেক নাগরিকের মতো আমারো ঘৃণা জন্মেছে। একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে বিগত অনেক নির্বাচনে ‘প্রেস কার্ড’ নিয়ে গিয়েছি। যা দেখেছি তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। এ দেশের নির্বাচনের উৎসব আমেজ ফিঁকে হয়ে গেছে। নির্বাচন হয়ে গেছে জোয়ার বোর্ড। তার দেখভাল করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবং ক্ষমাতাসীন দলের ক্যাডাররা। এসব বলা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ইদানিং সাংবাদিক সংগঠনের অনেক নির্বাচনে থেকেছি উপকারি কিছু মানুষ প্রার্থী হওয়ায়। দেখেছি নির্বাচন মানেই একটি দুষ্ট খেলা। বিরুদ্ধ গোষ্ঠী প্রার্থীর গায়ে অপবাদ দিয়ে বেড়ায়। এতে লাভও হয়। আরো দেখেছি সৎ ও যোগ্য হওয়া আর নির্বাচনে জেতা এক জিনিস না। নির্বাচন মানেই ভিন্ন বিষয়। নানাভাবে ভোট জোগার করতে হবে আপনাকে। অর্থ কিংবা পেশির বলে। এবং আরো অনেককিছু থাকতে হবে।  সব মিলিয়ে এ দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতির চিরন্তন পাঠটি সুখকর না। যেকোনো নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কমিশনও সৎ ও শক্তিশালি না। ফলে উৎসব আমেজ না ছড়িয়ে এ দেশের নির্বাচন তামাশা ও ভয় ছড়ায়। আগেই অনেকে জেনে যায় কী হচ্ছে। তারা উদযাপনও করে ফেলে ভুলে-বেভুলে। কী বলা কিংবা ভাবা যায় নতুন করে? এ যে রঙ্গে ভরা বঙ্গদেশ। প্রতিটি স্তরের নির্বাচন এমনটি বলে!  লেখক : কবি ও সাংবাদিক।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২২:২০

রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব চাইল ইসি
গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় করা অর্থের হিসাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৪৪গগগ (১) ও (৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে দাখিল করার বিধান রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। সভা শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলে শেষ সময় ১৫ এপ্রিল। যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

কারচুপি স্বীকার করায় পাকিস্তানের নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা আটক হয়েছেন। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চাতা তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের পর পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন লিয়াকত আলী চাতা। পরে তার অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর সেটি বন্ধ করে দেয়। প্রশাসন রেকর্ড জালিয়াতি ঠেকাতে অফিসটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এক কর্মকর্তা। পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ডন জানায়, চাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সামগ্রী ও তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষিত এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাওয়ালপিন্ডি জেলা প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলী চাতা বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে, আমি নিজেও বিষয়টির সঙ্গে জড়িত। শুধু অনিয়ম ও ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়াকে তিনি নিতান্তই কম। নির্বাচনে অনেক বড় জালিয়াতি হয়েছে। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন যারা ৭০ থেকে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এবং তাদের আমরা জাল ভোট দিয়ে হারিয়ে দিয়েছি। এমন অনেক প্রার্থী আছেন যারা হেরে যেতেন; কিন্তু তাদের আমরা ভোট জালিয়াতি করে জিতিয়ে দিয়েছি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর
শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী এবং জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে পরিচালিত আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রেখেছে।  ফলে, দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণকে বজায় রাখতে জনগণ ভোট প্রদানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।  এই কৃতজ্ঞতার প্রমাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে পুনরায় জয়ী করা। দেশের জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রচর্চা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণ একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা সম্ভব। এছাড়াও, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে।    বিগত দিনে আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনার সরকার সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে এবং জনগণের কল্যাণ সাধনে শতভাগ বদ্ধপরিকর থেকেছে।  তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরই কালক্ষেপণ না করে দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা জানি যেকোনো রাষ্ট্রে সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকারের মন্ত্রিসভা। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা সুযোগ্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত এই মন্ত্রিসভা দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে এবং সফল হবে নিঃসন্দেহে। পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে নানারকম দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।  জাতির পিতা যেমন সর্বদা অন্যায়, অত্যাচার কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, মাদক ও  দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করেছেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ, দেশে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স এবং জাতীয় ও  বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় নতুন মুদ্রানীতিবিষয়ক একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে চলেছে। সীমিত আয়ের জনগণকে সহযোগিতায় পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় ও অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা পয়সায় খাদ্য প্রদানসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের গৃহহীনদের জন্যে গৃহায়ন প্রকল্পটি প্রশংসা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার অন্যতম খাত হচ্ছে কৃষি। জাতির পিতার আদর্শের ধারক ও বাহক শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা কৃষি ও কৃষকের কথা ভেবেছে, দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কৃষি উৎপাদন ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য আরও বেশি সংরক্ষণাগার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট) নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে, দেশের পণ্য রপ্তানির বহুমুখীকরণ, পণ্যের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান, পোশাক শিল্পের বিকাশের মতো চামড়া, পাট ও কৃষি শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে যুগোপযোগী আইসিটি শিক্ষার প্রচার, প্রসার ও বাস্তবায়নে কাজ করবে।  সুতরাং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার প্রতিদান নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং সর্বোপরি দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে প্রাপ্তি হবে নিঃসন্দেহে। আর নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার শতভাগ বদ্ধপরিকর। লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫২

মনোনয়ন পেতে নতুন কৌশল, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ
কেউ ছোট পর্দায় কাজ করছেন দীর্ঘদিন, আবার কেউ চলচ্চিত্রে লম্বা সময় অভিনয় করে পেয়েছেন কোটি ভক্তের ভালোবাসা। শোবিজের অনেক তারকাই বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভক্তদের ভালোবাসাকে আর্শীবাদ হিসেবে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেতৃত্ব দিতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অনেক অভিনেত্রী। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রথম দিনই অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভিন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শাহনূর, শামিমা তুষ্টি ফরম সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মনোনয়ন পত্র কিনেছেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন। মনোনয়ন ফরম  কিনে অপু বিশ্বাস বলেন, যেহেতু একজন অভিনেত্রী, আমি সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম। বরাবরই নারীদের উন্নয়ন করতে চাই। সেই জায়গা থেকেই যদি সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে মানুষের জন্য কাজ করব। সবাই দোয়া করবেন, আশীর্বাদ করবেন যেন লক্ষ্য পূরণ করতে পারি। পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি আপেক্ষিক। তবে প্রত্যাশা করি, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এদিকে প্রথম দিন মনোনয়ন পত্র কিনে অভিনেত্রী  শাহনূর সাংবাদিকদের বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। আমি নিজেও সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে নানা সময় বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে চাই। এ ছাড়া নারীদের জন্য কাজ করতে চান বলেও জানান তিনি। অভিনেত্রী  শাহনূরের এমন মন্তব্যের পর অনেকেই তার সমআলোচনা করেছেন। পাশাপাশি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অভিনেত্রীদের এমন দৌড়ঝাঁপ অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলছেন তৃণমূল নেত্রীদের বাদ দিয়ে কি সরাকার তাদের মনোনয়ন দিবেন? আবার অনেকেই মনে করছেন কেবলই মনোনয়ন পেতেই  নির্বাচনী প্রচারণা সহ বেশ্ন কিছু দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন অনেক তারকা।  এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অভিনেত্রীদের মনোনয়ন পত্র কেনার হিড়িক দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী মহিলা লীগের সক্রিয় নেত্রীরা। শুধু ক্ষোভ নয়, স্বপ্নের সংসদ সদস্য পদ গ্ল্যামারের কাছে ধরাশয়ী হওয়ার শঙ্কায় রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। অশ্রুসিক্ত হয়ে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি আসমান আক্তার রুনা গণমাধ্যমকে বলেন, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সোহানা সাবারা কোথা থেকে এলো? দুর্দিনে তো তাদের কাউকে কখনও মাঠে দেখলাম না। রাজনীতিতে এসে জীবন-যৌবন নষ্ট করছি। জেল খেটেছি, নিজের পাঁচটা বাড়ি বিক্রি করেছি। নিজের স্বামীও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কী লাভ হলো এতসব ত্যাগ করে। এখন যদি এই নায়িকারা এসে মনোনয়ন নিয়ে যায়, তাহলে আমাদের মরণ হওয়া উচিত। রুনা বলেন, দুর্দিনে রাজপথে ছিলাম। সেই অধিকার নিয়ে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম কিনতে এসেছি। এসেই হতাশ হয়ে পড়লাম। নায়িকাদের ফরম কেনার অবস্থা দেখে হতাশ না হয়ে পারছি না। এই নায়িকারা কোথায় ছিল এতদিন? রাজপথে তো তাদের কাউকেই কখনও দেখিনি। তারা যদি আমাদের মতো কর্মীদের কিসমত মেরে খেতে আসে, তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। নায়িকাদের এমন মনোনয়ন পত্র কেনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ও সিনিয়র অভিনেত্রী  অরুণা বিশ্বাস আরটিভিকে বলেন, আসলে মনোনয়ন কেনা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতা বুঝেই  মনোনয়ন দিবেন।  রাজনীতির মাঠে সক্রিয় না থেকেও সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন গ্রহণ করে অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ও মমতাজ বেগম এর আগে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে দল থেকে নির্বাচন করেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পারেনি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ।  প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। গত তিন দিনে আওয়ামী লীগ এসব মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। এতে দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের মূল্য ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা, একাদশ জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে এটা ছিল ৩০ হাজার টাকা।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬

‘নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতি আস্থা রেখে দেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে। তাই সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি শপথ নেওয়ার পর থেকে ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি। আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইশতেহার বাস্তবায়নে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আপনারা উপজেলা প্রশাসনের যে যেই দপ্তরে কাজ করেন তারা ইশতেহার দেখে যেটি আপনার দপ্তরের মধ্যে পড়ে সেটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করুন।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কলাপাড়া ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিমন্ত্রী মহিব আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করি। যাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলাসহ আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে বিনির্মাণ করতে পারি। কলাপাড়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মঞ্জুরুল আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা নির্ধারিত সময়ে আপনাদের স্ব স্ব অফিসে এসে সরকারের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন। আপনারা জনসেবামূলক কাজের জন্য সার্বক্ষণিক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। আমার মন্ত্রণালয় আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ করা নিয়ে কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমি চাই না। আপনারা যার যার অবস্থান থেকে আজ থেকে স্বাধীনভাবে, নির্দ্বিধায় মানুষের কল্যাণে কাজ করুন। আমি সবাইকে একটা কথাই বলতে চাই, আমার আমলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও সালিস বাণিজ্য চলবে না। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা প্রমুখ। পরে দুপুর ১টায় কলাপাড়া মহিলা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অপর এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রতিমন্ত্রীর সম্মানে মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা। একই দিন বিকেল তিনটায় কুয়াকাটা রাখাইন মার্কেট মাঠে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক এক মতবিনিময় সভায় যোগদান শেষে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়াকাটা ত্যাগ করেন প্রতিমন্ত্রী মহিব।  এর আগে ২৫ জানুয়ারি ঢাকা থেকে তিন দিনের এক সরকারি সফরে নিজ জেলা পটুয়াখালীতে আসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান। তিনদিনের এ সফরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদেন প্রতিমন্ত্রী। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৪

‘আ.লীগ নির্বাচনী ইস্তেহার পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করবে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, আমাদের যে নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষিত হয়েছে সেই ইস্তেহার পূর্ণাঙ্গভাবে আমরা বাস্তবায়ন করবো। আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের ইমাম উদ্দিন স্কয়ারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দেওয়া এক গণসংবর্ধণা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারলে নিশ্চয়ই এই দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে, সত্যিকার অর্থেই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।  তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন, তারা অনেকেই নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। শুধুমাত্র টাকার পাহাড় ছড়িয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ফরিদপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যায় বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনও হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একজন সৈনিক জীবিত থাকতে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা।  ফরিদপুরকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে পরিকল্পিতভাবে পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ সময় যারা নানা প্রলোভনে মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন তাদের দলের মূল ধারায় ফিরে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলিষ্ঠভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে একই ছাতার নিচে থেকে দলকে সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান তিনি।  ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, সহ-সভাপতি শ্যামল ব্যানাজী, সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস, দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ পিয়ার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাছিরসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সোনার নৌকার রেপ্লিকা ও পৌরসভার মেয়রের পক্ষ থেকে পৌরসভার উন্নয়ন চাবির রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হয় আবদুর রহমানের হাতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪১

নির্বাচনী সভায় আপত্তিকর বক্তব্য, ওলির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় আপত্তিকর বক্তব্যের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলির বিরুদ্ধে আদালতে শতকোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করা হয়েছে।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি নবনিযুক্ত গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বাদীর আইনজীবী আব্দুল জব্বার মামুন সাংবাদিকদের জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে ফিরোজুর রহমান নির্বাচনী এক সভায় উদ্দেশ্য প্রোণোদিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তার ওই আপত্তিকর বক্তব্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি হয়েছে। তাই ফিরোজুর রহমানকে তার আপত্তিকর বক্তব্যের প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরপর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেই নোটিশ আমলে নেননি। তাই বাদীর সম্মানহানি করায় আদালতে শতকোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে। রোববার আদালত এ মামলায় শুনানি করবেন।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়