• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ক্ষুদ্র ঋণের অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
ভোক্তা ঋণ ও অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতে ঋণের প্রশাসনিক ব্যয় শিল্প ও অন্যান্য ঋণের চেয়ে বেশি হওয়ায় এসব ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ আরোপের বিধান রয়েছে। কিছু ব্যাংক ভোক্তাদের থেকে এর চেয়েও বেশি চার্জ আদায় করছে। তাই আদায় করা অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে সার্কুলার জারি করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, সিএমএসএমই ও ভোক্তা খাতের ঋণ প্রদানে ব্যাংকে আগ্রহী করতে সিএমএসএমই এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ও গাড়ি ক্রয় ঋণে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ প্রদানের বিধান রয়েছে। এই সুপারভিশন চার্জ বছরে একবার আদায় বা আরোপ করা যাবে। পাশাপাশি বার্ষিক ভিত্তিতে আরোপিত এ সুপারভিশন চার্জের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে কোনো চার্জ বা সুদ আরোপ করা যাবে না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে সুপারভিশন চার্জ হিসাব করার কারণে ক্ষেত্রমতে গ্রাহক থেকে অধিক পরিমাণ সুপারভিশন চার্জ আদায় করছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হয়ে থাকলে তা ফেরত দেওয়া বা সমন্বয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলছে, মেয়াদি ঋণের সুপারভিশন চার্জ আরোপের ক্ষেত্রে মূল ঋণের গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে সুপারভিশন চার্জ হিসাব করতে হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে মূল ঋণের দৈনিক গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। সুপারভিশন চার্জের ওপর কোনো ধরনের জরিমানা বা সুদ আরোপ করা যাবে না। ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুপারভিশন চার্জ পরিশোধের পদ্ধতি সহজ করার লক্ষ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণের পরিশোধ সূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক, ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে  চার্জ আদায়যোগ্য হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ আদায়ের সময় প্রাপ্য সুপারভিশন চার্জ আদায় করা যাবে। তলবি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদান্তে পরিশোধের সময় এককালীন বা উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে মেয়াদের মধ্যে একাধিক কিস্তিতে আদায় করা যাবে। মাসিক, ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হলে, বছরান্তে প্রাপ্ত গড় স্থিতির হিসাবের ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ সমন্বয় করতে হবে। শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে

যে কারণে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রোজা শুরুর আগেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইফতার পার্টি না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশনার পর প্রশ্ন ওঠে- কেনো এরকম একটা নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রোজা শুরুর দিন থেকে তা স্পষ্ট হতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনগুলো ইফতার সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করেন। এরইমধ্যে আয়োজনটি ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।  দ্বিতীয় রমজানের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বেই অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে আবারও শেখ হাসিনা ‘ইফতার পার্টি না করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন’ বলে বৈঠক শেষে জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মাহবুব হোসন। একইসঙ্গে ওইদিন শেখ হাসিনা বলেন, যারা ইফতারে আগ্রহী ও সাধ্য আছে তারা যেন ইফতার পার্টির টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে তার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনগুলো কাজ শুরু করে। কিন্তু ইফতার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, কেবল এবারই নয়, গতবারও কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে এবং প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে কোন ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়নি। গতবার অপচয় রোধে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে খরচ কমাতে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সাধারণত গণভবনসহ বিভিন্ন জায়গায় খুবই আড়ম্বরপূর্ণ ইফতার পার্টি হয়। এই সামাজিক অনুষ্ঠানে যারা যায় তাদের সবারই কিন্তু ইফতার করার সামর্থ্য থাকে। তাই সরকার ও দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা গরীব তাদের কাছে ইফতার সামগ্রী বিতরণের জন্য। রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশনার অংশ হিসেবেই ছাত্রলীগ দেশজুড়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণের এই কার্যক্রম শুরু করেছে।  ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমির হামজা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই পবিত্র রমজান মাসে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে নির্দেশনা দিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ। আমরা মাসজুড়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। ইফতার সামগ্রী সহায়তা পাওয়া রমিজান বানু বলেন, রোজায় খরচ একটু বেশি হয়। আমরা সাধারণত ভাত দিয়ে ইফতারি করে থাকি, ঘরে শরবতের ব্যবস্থা করতেও হিমশিম খাই। এই সামগ্রী পাওয়ার কারণে এবার অন্যভাবে ইফতার করতে পারবো। কোনরকম হয়রানি ছাড়া এই যে সামগ্রী বিতরণ সেটার ব্যবস্থা যিনি করেছেন আল্লাহ তার ভালো করুক। এদিকে রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ মেনে অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার পক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পবিত্র রমজান মাসে আওয়ামী লীগ অস্বচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলের সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। কেবল ঢাকায় নয়, স্থানীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা এই কর্মযজ্ঞে যুক্ত হয়েছেন। রোজই ইফতারির আগে বিভিন্ন স্পটে দলীয় উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী দেওয়া মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪

দস্যুদের নির্দেশ ছাড়া ঘাড় ফেরাতে পারছেন না নাবিকরা
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক শামসুদ্দিন বলেছেন, জলদস্যুদের নির্দেশ ছাড়া তারা ঘাড় ফেরাতে পারছেন না। এদিক-ওদিক করলেই রাইফেলের বাঁট দিয়ে গুঁতো দেওয়া হচ্ছে। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে জিম্মি নাবিক শামসুদ্দিন চট্টগ্রামে তার পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে এক মিনিটের মতো কথা বলেছেন। শামসুদ্দিনের পরিবারের ওই সদস্য বলেন, ‘দস্যুরা জাহাজের খাবার ইচ্ছেমতো খেয়ে ফেলছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে-২৪ ঘণ্টায় ব্যবহারের জন্য পানি দেওয়া হবে এক ঘণ্টা। ওয়াশরুমে ব্যবহার করতে হবে সাগরের পানি। সেহেরি ও ইফতারে দুই বেলা খাওয়ার দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘শামসুদ্দিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নতুন আস্তানায় নোঙর করার পর জাহাজে আরও ৩০-৪০ জন জলদস্যু উঠেছে। তাদের সবার হাতেই রয়েছে স্টেনগান, একে-৪৭ রাইফেলের মতো ভারী অস্ত্রশস্ত্র। ডিউটিরত নাবিকদের কেবিনে থাকতে দেওয়া হলেও অন্য নাবিকদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে ইঞ্জিন রুমে গাদাগাদি করে। জাহাজের ক্যাপ্টেন ও চিফ অফিসারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, জলদস্যুদের নির্দেশ ছাড়া তাদের ঘাড় ফেরাতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিক-ওদিক করলেই রাইফেলের বাঁট দিয়ে গুঁতো দেওয়া হচ্ছে। কেবিনে থাকা নাবিকদের এক-দুই ঘণ্টা পরপর এসে নক করে যাচ্ছে জলদস্যুরা। এ অবস্থায় দিন যতই যাচ্ছে জিম্মি নাবিকদের মানসিক অবস্থা ততই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্ধারে মালিকপক্ষ ও সরকার যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় সেই আকুতি জানিয়েছেন জিম্মি এই নাবিক পরিবারের সদস্যরা। এক নাবিক ভয়েস মেসেজে  বলেছেন, ‘একটি ওয়াশরুম ব্যবহার করি সবাই। বড় বড় ফ্রিগেট আসছে দুইটা। একদম সব ইক্যুইপমেন্টস নিয়ে। কিন্তু ওরা ভয় পায় না এগুলো। ওরা আমাদের মাথায় গুলি ধরে রাখে। বড় বড় মেশিনগান গান তাক করে রাখছে। এ অবস্থায় ঘুম যা হওয়ার হচ্ছে। যেহেতু জলদস্যুরা আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে। ১৫ দিন পর খাওয়া-দাওয়া যখন শেষ হয়ে যাবে তখন আমরা খুব কষ্টে পড়ে যাব।’ চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খানের ভাই আসিফ নুর বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এক মিনিট কথা বলেছেন তার ভাই। সবার আগে পানি সংকটে পড়বেন বলে জানিয়েছেন। একসঙ্গে ৪০ জন খাওয়া-দাওয়া করার কারণে দ্রুত খাদ্য ফুরিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। এ অবস্থায় ঈদের আগেই যাতে তাদের মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয় সেই আকুতি জানিয়েছেন চিফ অফিসার।’ জানা গেছে, জিম্মি নাবিকরা ঈদের আগেই প্রিয়জনের কাছে ফিরতে চান। স্বজনদেরকে ফোনে এবং ভয়েস মেসেজে এ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তারা। নাবিকদের পরিবারগুলোও চাই ঈদের আগেই ফিরে আসুক তারা। এদিকে সরকার ও মালিকপক্ষ বলছে, জিম্মি নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে তাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। জিম্মিদের বিষয়ে সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যমকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এদিকে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদশের সব টেলিভিশন জিম্মিকারী জলদস্যুরা দেখে বা দেখার সুযোগ আছে। জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া যখন তারা দেখে তখন জলদস্যুরা অনমনীয় হয়। জিম্মিদের উদ্ধারে সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের অধীন এসআর শিপিং-এর সিইও মেহেরুল করিম বলেন, গ্যারাকাড উপকূল থেকে জাহাজটি জলদস্যুদের নতুন আস্তানা গোদবজিরান উপকূলে নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত ওইখানেই ছিল। নতুন কোনো আপডেটও আমাদের কাছে নেই। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘দ্বিতীয় দফায় গ্যারাকাড উপকূল থেকে ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সোমালিয়ার ‘গোদবজিরান’ উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করা হয়েছে। জলদুস্যদের পক্ষ থেকে শনিবার পর্যন্ত জাহাজের মালিকপক্ষ বা সরকারি কোনো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’  
১৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৪

কেজিতে নয়, পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশ
নাটোরে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  রোববার (১৭ মার্চ) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাজার তদারকি অভিযান থেকে এ নির্দেশনা দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, রোববার থেকে কোনো ব্যবসায়ী কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন না। কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সকল মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীকে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এবার আবারও ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে বাজারে তা কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন এবং ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারণ করছেন।  তিনি আরও বলেন, বাজার তদারকি অভিযানে শহরের নিচাবাজারের দুটি ফলের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিপণী বিতানে ঘুরে ঘুরে পণ্যের সঠিক মূল্য প্রদর্শন এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

গ্রেপ্তারের নির্দেশ নয়, রূপক অর্থে বোঝানো হয়েছে : জবি কর্তৃপক্ষ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কারের পর দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম ও কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর আগে অবন্তিকা তার সুইসাইড নোটে অভিযুক্ত করে যাওয়া সহপাঠী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশসহ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষক দীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আদেশ নয় বলে জানিয়েছেন উপপরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম। তিনি বলেন, আমরা চাই দোষীদের আইনের আওতায় আনতে। প্রশাসনকে গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করেছেন উপাচার্য মহোদয়। আদেশ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখে কি না এ প্রসঙ্গে জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মো. তানভীর আহসান আরটিভি নিউজকে বলেন, কথাটি আসলে নির্দেশনা হবে না, এটা রূপক অর্থে বোঝানো হয়েছে। ওই সময় এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে, তড়িৎ সব করতে হয়েছে। সবকিছু পরিষ্কার করে বলতে গেলে অনেক বিষয় যুক্ত করতে হতো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে নেই। গ্রেপ্তারটা হলো আইনের বিষয়। তার পরিবার থেকে যদি মামলা করে তাহলে পুলিশ মামলা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। প্রেস রিলিজে এটা দেওয়া ঠিক হয়নি। গতকাল রাতে আইন সংস্থার লোকজন ছিল, তাদের হয়তো বলেছে। এর বেশি কিছু নয়। উল্লেখ্য, শুক্রবার ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের মৃত্যুর জন্য নিজের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করেছেন তিনি।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৯

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, সহপাঠীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  ইতোমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

রমজানে রাসুল (সা.) যে চার আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন
ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়। এই মাস কল্যাণময় মাস। এ মাসে পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল। এ মাস তাকওয়া ও সংযম প্রশিক্ষণের মাস। এ মাস সবরের মাস। এ মাস জীবনকে সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়। নাজাত বা মুক্তি পাওয়ার জন্য রাসুল (সা.) রমজানে যে ৪ আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন, সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো- রাসুল (সা.) বলেন, পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে একজন মুমিনের জন্য আল্লাহ তাআলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের সেরা মাস। এই মাস কল্যাণময় মাস। এ মাসে পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল। এ মাস তাকওয়া ও সংযম প্রশিক্ষণের মাস। এ মাস সবরের মাস। এ মাস জীবনকে সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩) পুরো রমজান তাসবিহ, ইসতেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে অতিবাহিত করতে বিশেষ আদেশ দিয়েছেন প্রিয়নবী (সা.)। যাতে মানুষ এ বিশেষ আমল ও দোয়ার মাধ্যমে নিজেকে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি করতে পারেন। বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) রমজান মাসে বেশি বেশি করে চারটি আমল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মুমিন মুসলমান যদি রমজান মাস জুড়ে আল্লাহর কাছে এ ৪টি কাজ করেন, তবে দুনিয়া ও পরকাল সফলকাম হবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এই রোজার মাসে তোমরা ৪টি কাজ বেশি বেশি করো- ১. বেশি বেশি কালেমা শাহাদাত ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়া।  ২. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইসতেগফার করা।  ৩. আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করা।  ৪. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাওয়া।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২২:২২

শিবচরে আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামির মালামাল ক্রোক
মাদারীপুরের শিবচরে আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামির বসতঘরের মালামাল ক্রোক করেছে পুলিশ।   বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কাদির মুন্সীর চরকান্দি গ্রামের পলাতক আসামি মিলন বিবির (৪২) বসতবাড়ি থেকে মালামাল ক্রোক করা হয়।  আসামি মিলন বিবি ওই গ্রামের প্রবাসী শাজাহান শনির স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় করা চেক ডিজঅনারের এক মামলায় আসামি মিলন বিবি দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক রয়েছেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় ফরিদপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাসিম মাহমুদ আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশ প্রদান করে। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বিকেলে শিবচর থানার এসআই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামির ঘরের মালামাল জব্দ তালিকা মূল্যে ক্রোক করে। ক্রোককৃত মালামালগুলো হলো- একটি পুরাতন স্টিলের আলমারি, একটি পারটেক্সের পুরাতন ড্রেসিং টেবিল,  একটি প্লাস্টিকের পুরাতন ডাইনিং টেবিল, একটি গ্যাসের চুলা, একটি প্লাস্টিকের পুরাতন স্ট্যান্ড ফ্যান, একটি পুরাতন রাইস কুকার, মাঝারি সাইজের পুরাতন পাতিল, একটি পুরাতন খালি গ্যাস সিলিন্ডার। প্রতিবেশীর মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে আসামি মিলন বিবি বলেন, আমি জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ এনেছিলাম। কোন এনজিও মামলা করেছে আমি কিছুই জানি না। শিবচর থানার এসআই আলমীর হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে আসামির মালামাল ক্রোক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৪

হিমাগারে থাকা ১০০ টন খেজুর খালাসের নির্দেশ
হিমাগারে থাকা ১০০ টন খেজুর আগামী সাত দিনের মধ্যে খালাস করতে নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যদি তা না করা হয় তাহলে তা জব্দ করে নিলামে বিক্রয় করা হবে বলে কোল্ড স্টোরেজ মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত এ অভিযানে রিয়াজুদ্দিন বাজারের একটি কোল্ড স্টোরেজে আনুমানিক ১০০ টন প্যাকেটজাত খেজুর পাওয়া যায়। কয়েকজন আমদানীকারক ও পাইকারি বিক্রেতা গত আগস্ট মাস থেকে হিমাগারটিতে খেজুর মজুত করেছেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই খেজুর বাজারে না ছাড়লে তা জব্দ করে নিলামে বিক্রয় করা হবে বলে কোল্ড স্টোরেজ মালিককে জানানো হয়েছে। হিমাগারে অভিযান ছাড়াও, মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে হিমাগারটিতে অভিযান চালানোর পর এ নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১

এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে মৃত্যু / তদন্ত প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ 
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে রাহিব রেজা (৩১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্তের প্রতিবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (১১ মার্চ) নিহতের পরিবারের রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ নির্দেশনা দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু তদন্তে বোর্ড কেন গঠন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রাহিব রেজা পরিবারের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম জানান, রিটে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ল্যাবএইড ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনায় রাহিবের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে রিটে। জানা গেছে, পেটে গ্যাসজনিত সমস্যা নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল। রাহিবের স্বজনরা জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খালি পেটে ল্যাবএইড হাসপাতালে যেতে বলা হয় রাহিবকে। যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে গেলেও এন্ডোস্কোপি শুরু হয় রাত ১১টার দিকে। কিন্তু  দেড় ঘণ্টা পরও রোগীকে বাইরে বের করা না হলে স্বজনদের একজন জোর করে এন্ডোস্কোপি রুমে ঢোকেন এবং রাহিবকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। এরপর অবস্থা জটিল হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়