• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চলতি মাসেই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল
চলতি মাস এপ্রিলেই প্রকাশ করা হতে পারে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষক নিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার একমাসের মধ্যেই ফলাফল ষোষণা করতে হয়। তাই ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সব জেলা থেকে ওএমআর শিট পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আর শিগগির সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ দেওয়া হবে। এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যেই ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা এ মাসের শেষ দিকে ফল প্রকাশ করতে পারব বলে আশা করছি। গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। দেশের আটটি বিভাগের ২৪ জেলা শহরে ওইদিন পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পা ধরে কাঁদলেন নিবন্ধনধারীরা
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পেতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ১-১৫তম (অনূর্ধ্ব ৩৫) নিবন্ধন সনদধারী ফোরাম। এ সময় তাদের সঙ্গে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম কথা বলতে আসেন। তাকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মানববন্ধনকারীরা। তাদের অনেকে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পা ধরেও কাঁদেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘যাদের সনদের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রম হয়ে গেছে আমরা আবেদনের সুযোগ দিতে পারি না। এমন কোন আইন নেই। তবে সরকার চাইলে বিষয়টি সমাধান করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। আমাকে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আপনাদের বিষয়টি আমি অনুধাবন করেছি। তবে আমার হাতে কিছু করার নেই। আদালত যদি আদেশ দেন অথবা রাজনৈতিকভাবে যদি এটার সমাধান করা যায়, তাহলে আবেদনের সুযোগ দিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’ এদিন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের প্রবেশ পথে বসে পড়েন এবং সেখানে অবস্থান নেন ১-১৫তম নিবন্ধনের সনদধারীরা।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৮

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বসছেন সাড়ে ১৮ লাখ প্রার্থী
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ (শুক্রবার)। দুই শিফটে দেশের ৮টি বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী। এনটিআরসির তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষা, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনসহ নানা কারণে এবার একদিনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী। পরীক্ষার সময় ও নম্বর : শুক্রবার প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার এক ঘণ্টায় মোট ১০০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য বরাদ্ধ ১ নম্বর। ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এ নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৭

‘জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮ নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে’
চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ তথ্য জানান। তবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রশ্নের উত্তর দেন। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তুরস্ক সফর শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরবেন তিনি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী জানান, সারাদেশের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তথ্য অধিদপ্তর নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করে থাকে। তথ্য অধিদপ্তর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে।  তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরও অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের আছে। এ ছাড়া দেশের অনিবন্ধিত কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

সুখবর পেতে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকরা
বদলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভোগা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা অবশেষে সুখবর পেতে যাচ্ছেন। বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা প্রশাসন। ফলে নিজ জেলায় বদলির সুযোগ পাবেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আপাতত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশকৃত  বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে কর্মরত এক লাখ ১৩ হাজার শিক্ষক পর্যায়ক্রমে নিজ জেলায় বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন। জানা গেছে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে। কর্মশালায় বদলির বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মশালায় বদলির ক্ষেত্রে ৭টি শর্তারোপ করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পর এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। কর্মশালা সূত্রে জানা গেছে, বদলির ক্ষেত্রে এনটিআরসিএর সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা বদলির সুযোগ পাবেন না। অধিক সংখ্যক প্রার্থীর বদলির বিষয়টি বিবেচনা করা কঠিন হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলির শর্তাবলীর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর তিনি বদলির আবেদন করতে পারবেন। এর আগে কেউ আবেদন করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। চাকরিজীবনে কেবল একবারই বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে। বদলির কারণে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্যতা তৈরি করা যাবে না। শিক্ষকের পদ শূন্য না থাকলে বদলির সুযোগ দেওয়া হবে না। এমনকি আবেদনই বিবেচনায় নেওয়া হবে না। পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতিপত্র থাকতে হবে। দুইজনের সম্মতিপত্র জমা দেয়ার পর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে একজনের সম্মতিপত্রের ভিত্তিতে পারস্পরিক বদলি দেওয়া হবে না। পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতিপত্র থাকতে হবে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই পদে একাধিক ব্যক্তি বদলির আবেদন করলে এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রদত্ত মেধাতালিকা বিবেচনায় নেওয়া হবে। মেধাতালিকায় যে এগিয়ে থাকবে তাকেই বদলির সুযোগ দেওয়া হবে। বদলি প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমেই অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। তবে এজন্য নতুন করে সফটওয়্যার তৈরি করা হবে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির জন্য যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে সেটি আপডেট করা হবে। এরপর ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।  স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি দেখবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। আর মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদলির বিষয়টি দেখবে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। বদলির আবেদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কিংবা ম্যানেজিং কমিটির কোনও অনুমতি নিতে হবে না। শিক্ষকরা সরাসরি অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাবেন। বদলির আবেদন ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বদলির কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য নতুন করে এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।  কর্মশালা সূত্রে আরও জানা গেছে, নারী শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বদলির ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষকের নিজ জেলার ঠিকানা, নারী শিক্ষকদের স্বামীর কর্মস্থল, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বর্তমানে কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষকদের নিজ জেলার দূরত্বও বদলির ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে। এছাড়া বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধনের ব্যাচ বিবেচনায় নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। এনটিআরসিএ প্রথম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০১৫ সালে। এ নিয়োগ সম্পন্ন হয় ২০১৬ সালের দিকে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তির আগে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা নিজে প্রতিষ্ঠান পছন্দের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে তাদের বদলির প্রয়োজন নেই। তাই এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরাই বদলির সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৮

ভারতের জিআই তালিকা থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির নিবন্ধন বাতিলের দাবি 
ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) তালিকা থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৯ বিশিষ্টজন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) মেধাসম্পদ সুরক্ষা মঞ্চের পক্ষ থেকে এ দাবি জানান তারা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতবস্ত্র হিসেবে সর্বপরিচিত ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ সম্প্রতি ভারত নিজেদের ‘ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই)’ হিসেবে নিবন্ধন করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন জানিয়ে বিবৃতিদাতারা বলেন, বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশের ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ ভারতীয় অঞ্চলের জিআই নিবন্ধনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ‘টাঙ্গাইল’ বাংলাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল। মধুপুর গড়, বিল ও নদী সমভূমির এক বিরল সমন্বয় টাঙ্গাইল। ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ কিংবা ‘টাঙ্গাইল পোড়াবাড়ি চমচম’ এই প্রাচীন ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক নির্দেশক। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া ও পূর্ববর্ধমান অঞ্চলে উৎপাদিত তাঁতবস্ত্রকে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ হিসেবে নিবন্ধন করার ভেতর দিয়ে কেবল ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ নয় বরং সেইসব অঞ্চলের তাঁত-ঐতিহ্যের ভৌগোলিক নির্দেশনাকেও এই প্রক্রিয়ায় অমান্য করা হয়েছে। তারা বলেন, বাংলাদেশেই টাঙ্গাইল শাড়ির উদ্ভব এবং কয়েকশত বছর ধরে এখনও এখানে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ বোনা হচ্ছে। দেশভাগসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতশিল্পীদের একাংশের দেশান্তর ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া ও পূর্ববর্ধমানের বিভিন্ন অঞ্চলে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল থেকে দেশান্তরিত তাঁতিরা ভারতে তাদের নয়াবসতিতেও তৈরি করে চলেছেন তাঁতবস্ত্র। যা সেইসব অঞ্চলের ভৌগোলিক নির্দেশনাকে প্রকাশ করলেও কোনোভাবেই ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ নয়। ভারতীয় অঞ্চলের তাঁতপণ্য কী নামে কীভাবে নিবন্ধিত হবে এটি একান্তই তাদের নিজস্ব বিষয়। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধনের বিষয়টি বাংলাদেশের। ভারত কর্তৃক ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ নিবন্ধন করার সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধনের আন্তর্জাতিক নীতিকে  প্রশ্নবিদ্ধ করে। কেবল ঐতিহ্য বা তাঁতিদের পেশাগত ঝুঁকি নয়, একইসঙ্গে টাঙ্গাইল তাঁতশিল্পীদের মেধাসম্পদ অধিকারও এক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হতে পারে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য কেবল একটি এলাকার ঐতিহ্যগত পেশা, বাণিজ্য, জীবিকার সাথেই সম্পর্কিত নয়; বরং এর সাথে জড়িয়ে আছে কোনো ভূগোলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের বিষয়। বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ‘ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন’ তৈরি করে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে জামদানি শাড়িকে দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করে। ইতিপূর্বে ২১টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করেছে বাংলাদেশ। এতদিনেও ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ বাংলাদেশের জিআই হিসেবে নিবন্ধন না করার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও অমনোযোগিতার বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে। এরপর বিলম্বে হলেও ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করায় সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানিয়ে বিবৃতিদাতা বিশিষ্টজনেরা বলেন, একইসঙ্গে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ নামে ভারতে নিবন্ধন বাতিলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রকে সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানাই। ‘টাঙ্গাইল শাড়ির’ যাবতীয় প্রামাণিক দলিলসহ জাতিসংঘের ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার (ডাব্লিউআইপিও)’ কাছে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরতে সরকারকে আহ্বান জানাই। সেইসঙ্গে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ সহ দেশের সব প্রান্তের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য দ্রুত তালিকাভুক্তি এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া সক্রিয়করণের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক মেধাসম্পদ সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও সরকারকে আহ্বান জানাই। বিবৃতিদাতারা হলেন, মেধাসম্পদ সুরক্ষা মঞ্চের (মেধাসুম) আহ্বায়ক আবু সাঈদ খান, জাতিসংঘ শুভেচ্ছাদূত বিবি রাসেল, জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, মেধাসম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. তানভীর হোসেন, নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশি কবীর, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নারী অধিকার নেত্রী ফরিদা আখতার, আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, পরিবেশকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রউফ, প্রাণবৈচিত্র গবেষক পাভেল পার্থ, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, নদীগবেষক শেখ রোকন, ব্যারিস্টার তাসনুভা শেলী, ব্যারিস্টার উলোরা আফরিন, লেখক মোহাম্মদ আলী ও মেধাসুমের সদস্য সচিব আলী নাঈম।     
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮

যুক্তরাজ্য-ইতালি প্রবাসীদের নিবন্ধন ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
অনলাইনে দাখিলকৃত যুক্তরাজ্যে ও ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের চলমান নিবন্ধন কার্যক্রমের আবেদন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত ও নিষ্পত্তিকরণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের (নিবন্ধন ও প্রবাসী) পরিচালক আব্দুল মমিন সরকার এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইসির নির্দেশনায় জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে ও ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে তাদের আবেদনগুলো CMS পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের NRB মেনুতে পাওয়া যাবে। ইসি আরও জানায়, যেসব আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা আছে সেসব আবেদনগুলো সকল উপজেলা ও থানা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাগণ ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। ইসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যে উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসাররা প্রাপ্ত আবেদনগুলো সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন CMS Portal Investigation Report আপলোড করে Action থেকে Approved/Reject করে তা প্রতিবেদন ছকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে হবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩৩

তিন বছর পর আবারও চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন নিবন্ধন
প্রথমবার চালুর ঠিক তিন বছর পর আবারও চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন (এনইআইআর) ব্যবস্থা। সরকার ২০২১ সালের ১ জুলাই প্রথমবারের মতো এই ব্যবস্থা চালু করে। সে সময় অনেক মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধনও করা হয়। কিন্তু কিছুদিন চালু থাকার পর এই ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আবারও মোবাইল ফোন সেটের নিবন্ধন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এনইআইআর পদ্ধতি চালুর পর দেশে অবৈধ মোবাইল ফোন প্রবেশের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছিল। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছিল দেশের মোবাইল ফোনের উৎপাদকদের মাঝে। ফোন সেট নিবন্ধনের আগে গ্রে মার্কেটের (অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা মোবাইল) পরিধি মোট মোবাইল বাজারের অর্ধেক ছাড়িয়ে গিয়েছিল (৫৩ শতাংশ)। কিন্তু এই পদ্ধতি চালু হলে দেশে তৈরি এবং বৈধ চ্যানেলে আসা মোবাইল ফোন কিনতে বাধ্য হন ক্রেতারা। হঠাৎ প্রায় শূন্য হয়ে যায় গ্রে মার্কেট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র স্পেক্ট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আগামী ১ জুলাই থেকে মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি বিটিআরসিতে এক মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্থানীয় উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধিত ও বৈধ মোবাইল ফোন ছাড়া কেউ যেন অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার না করতে পারেন। এজন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করতে হবে।’ টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছুকাল আগেও দেশে মোবাইল ফোন সেট বিক্রির সংখ্যা ছিল বছরে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি। বর্তমানে ২ কোটির কিছু বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি হয়। দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। ক্ষেত্র বিশেষে তা অর্ধেকে নেমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গ্রে মার্কেট সেই জায়গাটা দখল করেছে বলে অভিযোগ তাদের। তারা মনে করছেন, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশের মোবাইল শিল্পটা একটা টেকসই রূপ পাবে।  জানা যায়, এনইআইআর চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমবার চালুর সময় যেসব নিয়ম-কানুন মেনে চলা হয়েছে, যেমন- মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের নিবন্ধনের আগে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, ব্যবসায়ীদের সময় দেওয়া হয়েছে, বিদেশ থেকে ফোন আনার ক্ষেত্রে ব্যাগেজ রুলস অনুসরণ করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে উপহার পাওয়া ফোনের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম ছিল, সেসব এবারও থাকবে কি না—থাকলে কতটা থাকবে, নতুন আরও কী বিষয় যুক্ত হবে, এখন তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মোবাইল ফোন সেট বৈধ নাকি অবৈধ, তা যাচাইয়ের জন্য বিটিআরসি গ্রাহকের জন্য একটি পদ্ধতি চালু করবে বল জানা গেছে। প্রথমবার এনইআইআর সিস্টেম চালুর জন্য বিটিআরসি সিনেসিস আইটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।   
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৩

৪৪ হাজার কোটা খালি রেখেই শেষ হজ নিবন্ধন
চতুর্থ দফা সময় বাড়িয়েও পূরণ হয়নি হজের নির্ধারিত কোটা। ফলে সৌদি আরবের দেওয়া ৪৪ হাজারের বেশি কোটা খালি রেখেই এবারের হজের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা পর্যন্ত ৮৩ হাজার ১৫৫ হজযাত্রী সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন।  ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, নিবন্ধন শেষে এখনও কোটা খালি রয়েছে ৪৪ হাজার ৪৩টি। চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। সরকারিভাবে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন চার হাজার ২৬০ জন ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। সবমিলিয়ে মোট নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। বাকি ৪৪ হাজার ৪৩টি কোটা ফেরত যাবে। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় সুত্র বলছে, শেষদিনে যারা নিবন্ধন করেছেন কিন্তু তাদের পেমেন্ট পেন্ডিং (অপেক্ষমাণ) রয়েছে। এ সংখ্যা যোগ করলে আরও হাজার দুয়েক কমবে। এরপরও ৪০ হাজারের মতো কোটা সৌদি আরবকে ফেরত দেওয়া হবে। জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মতিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, হজের কোটা ফেরত দেওয়ার ছাড়া আর উপায় থাকল না। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত করে বাকি কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দেওয়া হবে। হজ সংশ্লিষ্টরা জানান, হজের খরচ সাধারণ হাজীদের নাগালের বাইলে চলে যাওয়ায় গত দুই বছর ধরে কোটা ফেরত যাচ্ছে। অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজ পালন করতে পারছেন না। ফলে অনেকের হজ পালনের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ছয় লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ হয়। গতবারের তুলনায় এবার প্যাকেজের দাম ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমানো হয়েছে। এরপরও পূরণ হচ্ছে না। কেননা খরচ মেটাতে হজযাত্রীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এবার ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর হজের নিবন্ধন শুরু হয়, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় সময় বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি এবং তৃতীয় দফায় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারপরেও হজ নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় শেষ দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। এদিকে চলতি ২০২৪ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মূল্য  নির্ধারণ করা হয় নয় লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।  অপরদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা ও আট লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য এক লাখ চার হাজার ১৬০ টাকা কম। এরপরও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজ পালনে আগ্রহীরা। চলতি বছরের ১৬ জুন চাঁদ দেখা-সাপেক্ষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৭

সংসদে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি 
বিএনপিকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তিনি বলেন, ‌জঙ্গি সংগঠন যতদিন রাজনীতিতে বিচরণ করবে, ততদিনই বাংলাদেশের ভোগান্তি হবে। এ সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা হোক, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মঙ্গলবার থেকে যাত্রা শুরু করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। সেদিন সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তার বক্তব্যের ওপর রোববার ধন্যবাদ প্রস্তাব আনেন সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও বাংলাদেশ ধ্বংসকারী দাবি করেন নিখিল। একই সঙ্গে বিএনপিকে কানাডার আদালতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অ্যাখায়িত করেছে বলে দাবি করেন তিনি। নিখিল বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন, কেমন করে বাংলাদেশে রাজনীতি করে? সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল কঠিনতম, চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছিল বিএনপি-জামায়াত। তাদের লক্ষ্য ছিল সাংবিধানিক শূন্যতা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়