• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রমজান উপলক্ষে নরসিংদীতে নিত্যপণ্যের সাশ্রয়ী বাজার
নরসিংদীতে রমজান মাসে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য কেনাবেচা করতে সাশ্রয়ী বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন।   শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে শহরের বঙ্গবন্ধু পৌর পার্ক মাঠে ১২টি স্টলের এই বাজার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক বদিউল আলম।  সাশ্রয়ী বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা, যা অন্যান্য বাজারের তুলনায় ১২ টাকা কম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬৫০ টাকায়, যা ৫০ টাকা কম। এ ছাড়া কেজিপ্রতি অন্তত ১০ টাকা কমে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা। মুরগির মাংস, লাউ, টমেটো, ডাটা, মাছ, গ্যাস সিলিন্ডারসহ সব ধরনের নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে স্বাভাবিক বাজার থেকে অন্তত ৩ শতাংশ কম দামে।  রমজানজুড়ে প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে তিন দিন সকাল ৯টা থেকে এই হাট চলবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।  জেলা প্রশাসক বদিউল আলম বলেন, নরসিংদী মূলত একটি শিল্প অধ্যুষিত অঞ্চল। এই অঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় কাজ করার জন্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম ঘটেছে। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী ছাড়াও নরসিংদীর নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষের রমজান মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজারটি অসামান্য ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি জানান, নিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্যের সুবিধা নিয়ে কেউ যেন অধিক পরিমাণে পণ্য কিনতে না পারে, সে জন্য প্রতিটি সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে উচ্চসীমা (যেমন—গরুর মাংস দুই কেজির বেশি কেউ কিনতে পারবেন না) নির্ধারণ করা হয়েছে।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৯

নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, কিনতে গিয়ে হিমশিম মানুষ
মাসখানেক আগেও বেগুন ছিল ৫০-৬০ টাকা, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। একই সময়ে শসার দাম ৪০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০-১২০ টাকা, লেবুর হালি ২০-২৩ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। আলুর দামও বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। শসার মতো ১০০ ছুঁয়েছে বরবটি ও পটলের দামও। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে অন্যান্য ধরনের সবজির দাম বাড়তিই রয়ে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির কারণে সপ্তাহ ব্যবধানে দাম কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।   শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকালে বাজারে ক্রেতা উপস্থিতি খুব বেশি নেই। বাজারে সবজির দোকানগুলোতে সবজির চড়া দামই চলছে। শসা প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্যান্য সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে চললেও বরবটি, পটলের দাম বাড়তি হয়ে ১০০ টাকা ছুঁয়েছে।  এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ভালো মানের লেবু রমজানের প্রথম দিন ৮০ টাকা হালি বিক্রি হলে আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি। পাশাপাশি বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রমজানের আগে যে করলা প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেটির দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, ঝিঙা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা,  লাউ  প্রতি পিস ৬০, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০, শিম প্রতি কেজি  ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর মহাখালীর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আল আমিন তুর্জ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে রমজান মাসে সব কিছুর দাম কমিয়ে দেওয়া হলেও, আমাদের দেশে ঘটে উল্টোটা। সবজির দাম বেড়ে যায়। সেই জিনিস বেশি কেনে মানুষ, সেটার দামই বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমাদের মত সাধারণ মানুষ শসা কীভাবে ১০০/১২০ টাকা কেজি দরে কিনবো? এ ছাড়া লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি, পটল, বরবটির দামও প্রতি কেজি ১০০ টাকার ওপরে।   সবজির সার্বিক দাম নিয়ে গুলশান-সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের সবজি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই একটি সবজির দাম রমজানে বেড়েছে, বাকিগুলোর দাম আগের মতোই আছে, তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু দাম বেশি। আজকের বাজারে শসা, বরবটি, পটল প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকিগুলোর দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। বাজারে বিভিন্ন সবজি নতুন করে উঠছে। এগুলোর সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে সেগুলোর দাম কমে আসবে। আর যেই সবজিগুলোর দাম ১০০ বা তার চেয়ে বেশি চলছে এগুলো এখন সিজন শেষের সবজি, নতুন করে ক্ষেত থেকে উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে। এ ছাড়া রমজানের বাজারের হিসেব করলে আজকের বাজারে  সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শসা। তবে অন্যান্যবার রমজান মাসে যেভাবে বেগুনের বাড়তি থাকে সেই তুলনায় এবার তুলনামূলক বেগুনের দাম কম। ক্রেতারা বলছেন, মুরগির দাম কমলেও তারা স্বস্তিতে নেই। কারণ কম ওজনের মুরগি বাজারে তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। কিনতে গেলে বড় মুরগি কিনতে হচ্ছে। ফলে প্রয়োজন না থাকার পরও অনেককে বেশি ওজনের মুরগি কিনতে হচ্ছে। ওজন বেশি হলে দামও বেশি আসে। আর কম ওজনের মুরগি পাওয়া গেলেও স্বাভাবিকের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি। দেখা গেছে, ২০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে ২২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, সোনালি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৪০ টাকা দরে। সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ২৯৫ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।   বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০-১ হাজার ১০০ টাকা। ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে)  ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইকলা বা কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫১

নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)
বছর ঘুরে আবারও এসেছে মাহে রমজান। পবিত্র এই মাসে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবে বিশ্বের সব দেশে মূল্য ছাড় চললেও একমাত্র বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এদেশের বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর কাছে ধর্মীয় মূল্যবোধ নয়, মুনাফাই মূল উদ্দেশ্য। তবে সরকার কঠোর হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে রোজার আগেই হাজারও পণ্যের দাম কমিয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই খাদ্যপণ্য। আর রোজার অন্যতম অনুসঙ্গ খেজুরের দাম কমিয়েছে ৪০ শতাংশ। ৯ শতাধিক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতার। গেল মঙ্গলবার দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়। পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতেই নেওয়া হয়েছে এ উদ্যোগ। বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশগুলোর উল্টো চিত্র শুধু বাংলাদেশেই। কমার পরিবর্তে সব পণ্যের দাম বাড়তি। যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের রোজার বাজার অনেকটাই বেসামাল। ক্রেতারা বলছে, বাজারে সবকিছুর দাম ভয়াবহ। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রোজায় সব দেশে পণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে শুধু বাড়ে আর বাড়ে। সরকার চেষ্টা করেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না।  বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র গবেষক ড. মাহফুজ কবির বলছেন, ব্যবসায়ীদের মাঝে সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। তারা সে জায়গায় টাকাও খরচ করে না। তারমধ্যে রমজানে অতিরিক্ত লাভ করে। সেটা থেকেও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অতিরিক্ত লোভ থেকে দূরে থাকতে আমরা ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে মুক্তবাজার অর্থনীতির অজুহাতে কেউ যেন লাগামহীন মুনাফা করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, এবার শুধু সতর্ক বার্তা নয়, রমজানে কারসাজি করলে শাস্তি পেতে হবে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও বাড়তি চাহিদার অজুহাতে প্রতিবছর রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা লোটে ব্যবসায়ীরা। ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় সংস্থার হুঁশিয়ারি, কোন কিছুই যেন কাজে আসে না।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৯

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এক কোটি কার্ডধারীর কাছে কম দামে চাল-ডাল-তেল-চিনি-খেজুর বিক্রি করবে সরকার। এছাড়া ন্যায্য মুল্যে মাছ মাংস ডিম বিক্রি করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।  পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম বিক্রয় ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে। একটি কার্ডধারী পরিবার মাসে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ১০০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করছে টিসিবি। বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি ও দাম ঠিক রাখতে চিনি এবং পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। এছাড়া এই মুহূর্তে বন্ধ করা হয়েছে চাল রপ্তানি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি না করে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। দুই একদিনের মধ্যে ভারত থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চিনি এবং ৫০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। তিনি আরও বলেন, ‘শুল্ক কমানোর জন্য ১০ টাকা কমেছে ভোজ্য তেলের তেলের দাম। রোজাকে সামনে রেখে সব পণ্যের যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ আছে। রোজায় কোনও পণ্যের দাম বাড়বে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং বাজারে অব্যাহত আছে। কেউ এবার কারসাজি করতে পারবে না।’ রমজান মাস উপলক্ষে কম দামে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রিস শুরু করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে রবিবার (১০ মার্চ) সকালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গনে ভ্রাম্যমাণ দুধ ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।  মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪টি নির্ধারিত স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে ২৪০ টাকা কেজি দরে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ১০০ কেজি রুই, ৩০০ গ্রামের ১৩০ টাকা কেজি দরে ১০০ কেজি তেলাপিয়া, এক থেকে দেড় কেজির পাঙ্গাস ১৩০ টাকা দরে ৭৫ কেজি, ২০ পিসে ১ কেজি ওজনের পাবদা মাছ ২৫ কেজি বিক্রয় করা হবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ কেজি মাছ ক্রয় করতে পারবেন।  এছাড়া ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে এবার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতিটি ৯ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া দুই সিটির পাঁচ জায়গায় অস্থায়ী দোকানে ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস ও আট জায়গায় সুলভ মূল্যে মাছ বিক্রি হবে। গরু, খাসি, মুরগির মাংস এক কেজি করে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য যাতে সহনীয় থাকে সে লক্ষ্যে আমাদের এই পদক্ষেপ।’ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্যোগে রমজান মাস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী  বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামলী মাঠের সামনে অস্থায়ী এই বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে বেগুন ৪০টাকা, উস্তা ৭৫ কেজি, শিম ৫০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ টাকা পিস, কচুর লতি ৭৫ টাকা কেজি, গাজর ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১৫টাকা, ফুলকপি ২৫ টাকা, লালশাক ১০ টাকা আঁটি, বইতা শাক ১৫ টাকা আঁটি, পালংশাক ১০ টাকা আঁটি, ধনেপাতা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ৩৫ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা পিচ, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।  জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘রমজান মাসে যেখানে বাজারদর কম হওয়া উচিত। সবকিছু সুলভ মূল্যে বিক্রি করা উচিত ব্যবসায়ীদের। সে জায়গা থেকে যারা উল্টো মানুষকে জিম্মি করে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে, তাদেরকে আমি একটি সতর্কবাণী দিলাম। বাজার কারসাজি করলে কেউ রেহাই পাবে না।’   রমজানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। রমজানে কোনোভাবেই যেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মজুতদারি রোধে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। পাশাপাশি ইফতার ও সেহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের রমজানে দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুত আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে। রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যা প্রয়োজন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে কারও কোনো সমস্যা হবে না।’ এছাড়া বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে। অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত/অপরিশোধিত পাম তেল আমদানিতে আমদানি পর্যায়ে ১০% এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় ভ্যাট হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। খেজুর আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্কহার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।চাল আমদানিতে  আমদানি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং রেগুলেটরি ডিউটি ২৫% এর পরিবর্তে ৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। এবিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দরিদ্র পরিবার, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা নারীসহ কম আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় যেমন স্বস্তি আসবে, তেমনি পবিত্র রমজান মাসে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। এতে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে লাগাম টানা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪০

নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম নিয়ে তামাশা করছেন মন্ত্রীরা : মঈন খান
নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম নিয়ে মন্ত্রীরা জনগণের সঙ্গে তামাশা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। মঈন খান বলেন, নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী দামে জনগণ যখন দিশেহারা, তখন সরকারের মন্ত্রীরা এসব নিয়ে তামাশা করছে।  বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক সরকার এটা কখনোই চায় না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পরও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে সরকার। এসব করে বিরোধী দলের আন্দোলন দমানো যাবে না। খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ দাবি করে মঈন খান আরও বলেন, ভয় পেয়ে খালেদা জিয়াকে এখনও আটকে রেখেছে সরকার।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৫

রোজার আগেই লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার
সামনে পবিত্র মাহে রমজান। তার আগেই ছুটে চলেছে দ্রব্যমূল্য। রমজান উপলক্ষে অন্যান্য দেশে সবকিছুর দাম তুলনামূলক কমিয়ে দেওয়া হলেও এ দেশে সবকিছুর দাম বেড়ে চলেছে। শাক-সবজির দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করলেও বাজারে মাছ, মাংস ও মুরগিসহ বেড়েছে প্রায় সবকিছুর দাম। সব মিলিয়ে রোজার আগেই লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার। শুক্রবার (১ মার্চ)  রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।  কিছুদিন রাজধানীতে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হলেও সেটি বেড়ে আবার ৭৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লারসহ সোনালি ও দেশি মুরগির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। রমজানে রোজাদারদের ইফতারির তালিকায় অন্যতম খাবার হচ্ছে ফল। তবে রোজার আগে বাড়তে শুরু করেছে এর দাম। বিক্রেতাদের দাবি, ডলার সংকট ও আমদানি শুল্কের কারণে এ বাড়তি দাম। তার ওপর রমজানের বাড়তি চাহিদা তো রয়েছেই। আর ক্রেতারা বলছেন, রোজার আগেই বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন ফলের দাম। ডলার সংকটের অজুহাত দিয়ে অনেক পণ্যেই এতদিন বিক্রেতারা পকেট কেটেছেন ভোক্তার। এবার শুরু হয়েছে ফলের বাজারেও। আজ রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৮০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪৫০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি মাল্টা ৩০০ টাকা, সবুজ আপেল ৩২০ টাকা, নাশপতি ২৬০ টাকা, আনার ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কালো আঙুর ৪০০ টাকা ও কমলা ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। গত এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে এর চাহিদা। এতেও বাড়ছে দাম। রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, আর প্রতি মুঠা হিসেবে নিলে প্রতি মুঠা ২০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিল্লাল নামের এক ক্রেতা জানান, করলা ও ঢ্যাড়শের দাম আকাশচুম্বী। তবে কমেছে অন্যান্য শাক-সবজির দাম। এতে কিছু স্বস্তি ফিরেছে বাজারে। বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চাষের পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি রাজধানীতে কিছুদিন গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও আবারও আগের মতো প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সোনালি মুরগি ও কক মুরগিরও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে নতুন করে দাম নির্ধারণ করে দেয়া ভোজ্যতেলের বাজারে দেখা যায়নি দাম নির্ধারণের প্রভাব। বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৩ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।  বিক্রেতারা জানান, এখনও নতুন দামের তেল বাজারে আসেনি। নতুন তেল এলে দাম কমে যাবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৪

রমজানের আগেই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম
রমজান শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহের বেশি বাকি। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ শুরু হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। রোজার সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। ইতোমধ্যে রাজধানীর বাজারে বেড়ে গেছে মাছ, গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুরসহ নিত্যপণ্যের দাম।  ফলে সীমিত ও নিম্ন-আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। রমজানে পণ্যের দাম আরও বাড়বে এমন শঙ্কায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ। হঠাৎ করে দামের এমন ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া লোকজন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিং না করায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে, তাই বাধ্য হয়ে তাদের বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। রোববার রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, শান্তিনগর বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, রামপুরা, মেরাদিয়া বাজার, হাতিরপুল ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- পবিত্র শবেবরাতে চড়া রয়েছে মাংসের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে একলাফে মাংসের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। বিভিন্ন বাজারে অধিকাংশ দোকানেই গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।তবে কোথাও ৮০০ টাকাও চাওয়া হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। মাছের মধ্যে চাষের রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২৫০ টাকা কেজি। ছোলা ও খেজুরের দাম এবার রোজার বেশ আগেভাগেই বেড়েছে। রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কামাল হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে প্রতিটি পণ্যের দামই বেড়েছে। তবে রমজানের অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ছোলার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে থেকে ১০০-১০৫ টাকায় উঠেছে। শান্তি নগরের খুচরা ব্যবসায়ী শফিক আরটিভি নিউজকে বলেন, রমজানের আগেই সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু করার নাই, আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। বিক্রি করতে হয় বেশি দামে। রিয়াজুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মগবাজারে। মালিবাগ রেলগেট বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, এভাবে চলেনা, রমজান আসতে না আসতেই সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমরা যারা সীমিত আয়ের লোক, আমরা যাব কোথায়। আমাদেরতো আর আয় বাড়েনি। তিনি আরও বলেন, সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটর করতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। তাদের বাঁচাতে হবে। গরীব মেরে দেশ চালানো যাবে না। রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারে কথা হয় সাথী ইসলামের সঙ্গে। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, আমরা যে চাকরি করি, সীমিত আয়। সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি।খুব কষ্টে আছি। কারওয়ান বজারে কথা হয় তরিকুল ইসলামের সঙ্গে। প্রায়ই তিনি অফিস থেকে ফেরার পথে বাজার করেন এখানে। তিনি বলেন, সব জিনিসের দাম যেহারে বাড়ছে, আয় তো আর বাড়ছে না। রমজানের আগেই যদি এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, তাহলে রমজান এলে কি হবে, তাই ভাবছি। আসলে এর লাগাম টানা দরকার।  প্রসঙ্গত, রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ক-কর কমিয়েছে সরকার।গত ৮ ফেব্রুয়ারি এসব পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে খুচরা বাজারে কোনো প্রভাব পড়েছে না।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২

রোজার আগে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম (ভিডিও)
সংযমের মাস রমজানকে সামনে রেখে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আগামী মার্চে রোজা শুরু, এর মাস দুয়েক আগে থেকেই নানান অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খেজুরের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। জাতভেদে প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা বেশি দামে। ছোলার দাম ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। গরুর মাংস আর পোলট্রি মুরগির দামও বাড়তি।  এ বিষয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারের এক খেজুর বিক্রেতা বলেন, ভালো খেজুরের দাম কেজিতে ২০০ টাকা বেড়েছে, ছোট খেজুরের দাম কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। গতবছর  শুল্ক কম ছিল, এবার বাড়তি শুল্কের কারণে খেজুরের দাম বেড়েছে। গতবার মেডজুল খেজুরের পাঁচ কেজিতে শুল্ক ছিল ২৬০ টাকা, এবার এক কেজিতে তা ২৬০ টাকা পড়ছে।  বেড়েছে ছোলাসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ জন্য আমদানিকারক ও বড় ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন।   দাম বাড়ার বিষয়ে এক ডাল বিক্রেতা বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে সবরকম ডালের বাজার চড়া। দুই সপ্তাহ আগে যে ছোলার ডাল বিক্রি করেছি ৮০ থেকে ৯০ টাকা এখন তা ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। সাদা ছোলাটি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা ছিল। এখন তা বিক্রি করতে হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। খেসারি, মসুরসহ সব ডালের দাম পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। কারণ, জানতে চাইলে পাইকাররা বলছেন ছোলা আমদানি হচ্ছে না। এতেও সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। রমজান উপলক্ষে তারা ছোলা মজুদ করছে বাজারে ছাড়ছে না। গরুর মাংসের দাম ফের সাড়ে ৭০০ অতিক্রম করেছে। কোথাও তা ৭৮০ টাকায় ঠেকেছে। নানান অজুহাতে বাড়ছে পোলট্রি মুরগির দামও। রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতি কেজির ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, আমদানি কম, ফিডের দাম বেশি, পরিবহনের ভাড়া বেশিসহ বিভিন্ন কারণে মুরগির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভরা মৌসুমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আলুর দামও সহনীয় হয়নি। নতুন করে বাড়ছে সবজির দাম। এ বিষয়ে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, আমরা দিনমজুর। এক কেজি শিমের দাম ৬০ টাকা। আর এক কেজি মাছের দাম ৩৫০ টাকা। তাহলে আর পকেটে কী থাকে। সেই সঙ্গে চাউল আছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। অন্য এক ক্রেতা বলেন, এটি একটি চক্র যা ভাঙা না গেলে রমজানে কিছু কেনাই যাবে না।  উচ্চমূল্যের বাজারে নির্দিষ্ট আয়ের ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করেছে টিসিবি। সংস্থাটির মুখপাত্র মো. হুমায়ন কবির মনে করেন, প্রথম ধাপে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল, ছোলা ও চাল দেওয়া হচ্ছে, যা বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে আমরা তেল, ডাল, ছোলা এবং চাল বিক্রি করব। ছোলা ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা, তেল ১০০ টাকা লিটার এবং চাল যথারীতি ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে। পরে এর সঙ্গে একটি পণ্য বাড়ানো হবে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ এখান থেকে উপকৃত হবে। যদি এক কোটি পরিবার বাজার থেকে এসব পণ্য না কিনে টিসিবি থেকে কেনে তবে বাজারের ওপর এর একটি বিশেষ প্রভাব পড়বে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও এক কোটি পরিবারের মাঝে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত দামে তেল, চাল, ডাল, ছোলা ও খেজুর বিক্রি করা হবে। তবে দাম সহনীয় করতে অনিয়মের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করতে হবে।     
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৭

রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ (ভিডিও)
রমজান শুরুর মাসখানেক আগেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার। বেড়েছে চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, মাংস ও মাছের দাম। এ অবস্থায় চরম সংকটে পড়েছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বছরের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। তবে, বাজারের বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে। যেমন গত বছর এই সময়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ দাম বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ছোলা ও চিনির দামও বেড়েছে। ১১০ টাকার প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। ২০ টাকা বেড়ে ছোলার দাম উঠেছে ১১০ টাকায়। একই অবস্থা মাংস ও মাছের বাজারেও। কেজিপ্রতি ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। পুরাতন রূপে ফিরছে গরুর মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ টাকা কেজি দরে। দুই হাজার টাকা ছাড়িয়েছে ইলিশের কেজি। এদিকে অর্থনীতির চিরায়িত নীতির বিপরীত চিত্র দেখা গেলো সবজির বাজারে। শীতের ভরা মওসুমে সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও এবার ছিল বেশি। তবে, মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে কমছে দাম।  খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, যার লাগবে এক কেজি, সে কিনে পাঁচ কেজি। এই কারণেই জিনিসের দাম বাড়ে। প্রয়োজনের তুলনায় কিছুটা কম কিনলে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ থাকে না।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২৭

নিত্যপণ্যের বাজার লুটেরা মাফিয়া-সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে : ইনু
নিত্যপণ্যের বাজার লুটেরা মাফিয়া-সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাসদের জাতীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভার তিনি এ কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজনীতি ও সমাজে কালো টাকা ও পেশিশক্তির দাপট বেড়েই চলেছে। রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ও জ্ঞাতি সম্পর্কেও প্রভাব বেড়েছে।  তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতার ছাতার নিচ থেকে লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের বের করে দেওয়া, নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব ধ্বংস করা, আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য টেনে ধরা এখন জাতীয় প্রধান কর্তব্য। তিনি আরও বলেন, দেশ পরিচালনা, শাসন-প্রশাসনে জনগণের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নতুন জাতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি ও কর্মকৌশল প্রণয়ন করাই গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির কর্তব্য। জাসদ সভাপতি বলেন, সব বাধার মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান ছিল একটি বিরাট রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে কিছু আসনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে জিতিয়ে আনা হয়েছে। তবুও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সংবিধান সমুন্নত থেকেছে এবং সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত পরাজিত হয়েছে। সভায় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলমসহ বিভিন্ন কমিটির সদস্য এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলীয় প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়